বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এক/দুই মাসের আগাম সময় নিয়ে প্রা্য় অর্ধেক মূল্যে পণ্য দিতে শুরু করেন। ভালো মানের পণ্য পাওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা ছিল এবং পণ্য সরবরাহের মধ্যে ছিল প্রাইভেটকার, মোবাইল, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন ধরণের ডায়মন্ড, স্বর্ণালংকার ও নিত্য প্রয়োজনীয় সকল মানসম্মত সামগ্রী। অনেক গ্রাহকই মানসম্মত পণ্যসামগ্রি পাওয়ায় যোগ্য মর্যাদার সহিত পূণরায় ইভ্যালি থেকেই গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় সকল পণ্য এখান থেকেই অনলাইনে পছন্দ করে কিনতে আগ্রহী হয় এবং পূণরায় কেনার আগ্রহ জানায়।
ইভ্যালির অবস্থাঃ
কিন্তু ততদিনে ইভ্যালির ঋণ বেড়ে যায় গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এর তথ্যমতে ইভ্যালির ঋণ তিনশত ঊনচল্লিশ কোটি। গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ই-ভ্যালির কাছে চিঠি দেয় ই কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাব। এ প্রেক্ষিতে কয়েকটি ব্যাংক তাদের কার্ডের মাধ্যমে ই-ভ্যালির পণ্য ক্রয় করা বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন গ্রাহক ও মার্চেন্টদের এত ঋণের দায়বদ্ধতা এড়াতে শুরু হয় কোম্পানির ব্যবস্থাপণা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল সাহেবকে নিয়ে নানা কথা।
১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সুখবর!
সম্প্রতি দেশের আরেকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এ অনলাইন প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখছে। প্রথম ধাপে ২০০ কোটি টাকা ও পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে টাকা দিয়ে ইভ্যালির ব্যবসা আগের মতো সহজ করছে যমুনা গ্রুপ। বাংলাদেশের ই-কমার্স ্প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি যেন যুক্তরাষ্ট্রের আমাজন, চীনের আলিবাবার মতো বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে পারে এ উদ্দ্যেশেই যমুনা গ্রুপের এমডি শামিম ইসলাম এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছেন।
বর্তমানে ইভ্যালি পূর্ণ উদ্দ্যামে ব্যবসা পরিচালনা করে গ্রাহকদের পূণরায় সেবা দিবেন বলে আমরা আশা করছি।
আপনি কি যেকোন ধরণের চাকুরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজছেন? তাহলে সবার আগে সবধরণের চাকুরির বিজ্ঞপ্তি পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজ ফলো করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।