গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে কর্মরত যে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী রয়েছেন তারা দেশের যে কোন পরিস্থিতিতেই প্রতি মাসে সঠিক বেতন পেয়ে থাকেন। এমনকি অন্যান্য সকল সুবিধা ও পেয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অধিকাংশ শ্রমজীবী লোকেরই যেখানে বেতন পেতে সমস্যা হয় এমনকি শ্রমজীবী মানুষগণ তাদের কর্ম পর্যন্ত হারাচ্ছেন সেখানে সরকারী চাকরিজীবীগণ তাদের সঠিক বেতন পেয়ে থাকছেন।
যে কারণে বন্ধ হতে পারে সরকারী চাকরিজীবীদের বেতনঃ
সরকারী চাকরিজীবীগণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতন ভাতাসহ যাবতীয় সকল সুবিধা পেয়ে থাকেন। বন্ধ হতে পারে প্রতি মাসের বেতন ও কর্মস্থলে যাওয়ার অনুমতি। বর্তমানে সরকার দেশের সকলকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দিচ্ছেন বিভিন্ন নির্দেশনা। এমনকি করোনা মহামারির এ সময়ে সরকার দিচ্ছেন করোনা ভ্যাকসিন বা টীকা। ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিন বা কোভিড ১৯ এর টীকা সরকারীভাবে নিবন্ধন করে অনেকেই নিতে পারছেন এবং নিয়ে নিচ্ছেন। তবে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীগন এ টীকা নিতে গরিমসী বা অলসতা করছেন তাদের জন্য থাকতে পারে কঠিন নির্দেশনা। করোনা ভ্যাকসিন বা কোভিড ১৯ টীকা না নিলে আপনার এবং আপনার চারপাশের পরিবেশ থাকতে পারে ঝুঁকিতে। তাই সরকার এক্ষেত্রে সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য দিতে পারেন বেতন বন্ধসহ কঠিন নির্দেশনা।
কোভিড-১৯ এর দুই ডোজ টীকা সম্পন্ন করে করোনা প্রতিরোধী টীকার সনদ ব্যবহার করে ঝুঁকিমুক্ত থাকুন। নতুবা চলাচলসহ দাপ্তরিক কাজের ক্ষেত্রে বেতন বন্ধসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
টীকার নিবন্ধন সম্পর্কেঃ
সরকার প্রথমে জরুরী সেবাদান সরকারী বেসরকারী কর্মীদের আগে টীকাদানের ব্যবস্থা করেছেন। সরকারী জরুরী সেবাদানকারীদের মধ্যে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, প্রতি দপ্তরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী। ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালে কর্মরত সকলকে সহ ধাপে ধাপে চল্লিশোর্ধ্ব সকল নাগরিক থেকে ক্রমে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নাগরিকদের টীকা নিবন্ধনের আওতায় রেখেছেন। বর্তমানে সরকারী সুরক্ষা অ্যাপ এর মাধ্যমে ফ্রি এই রেজিষ্ট্রেশন এখন ত্রিশ বয়সী সকল সাধারণ নাগরিক ও আবেদন করতে পারছেন।
অর্থ্যাৎ, সকলেই ধীরে ধীরে টীকার নিবন্ধন করে করোনা ভ্যাকসিন দিন। করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে নিজে সুরক্ষিত থাকুন ও দেশকে সুরক্ষিত রাখুন। টীকার নিবন্ধন করতে প্রথমে www.surokkha.gov.bd এ গিয়ে নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন। মোবাইল নম্বরের ম্যাসেজে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী টীকা গ্রহণ সম্পন্ন করুন। কোভিড-১৯ এর দুই ডোজ টীকা গ্রহণ সম্পন্ন হলে ঐ অ্যাপ থেকে আপনি কোভিড-১৯ এর সার্টিফিকেট গ্রহণ করুন। এই সার্টিফিকেট দেখাতে হবে নিজ নিজ কর্মস্থল ও প্রয়োজনীয় যাত্রাকালে। নতুবা পড়তে পারেন দেশ বিদেশ চলাচলের নিষেধাজ্ঞায়।
ভিন্ন দেশে টীকা না দিলেঃ
যেমন সিঙ্গাপুরে ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের ঘর থেকে বের হতেই নিষেধ করে দিয়েছেন সে দেশের সরকার।
টীকা গ্রহণ ছাড়া ফ্রান্স ভ্রমণে ও রয়েছে বিভিন্ন বিধি নিষেধ। দুই ডোজ টীকা গ্রহণ করলে তবেই আসা যাওয়া করতে পারবেন ফ্রান্সে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোম্পানির টীকা দিলেই ভ্রমণ করতে পারবেন সেদেশে। দেখে নিন কোন কোন টীকার প্রযোজ্যতা রয়েছে ফ্রান্সে যাওয়ার ক্ষেত্রে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, সাইপ্রাস, নেদারল্যান্ডস ও গ্রীস থেকে যে কেউ আসতে পারবেন সেজন্য আসার ২৪ ঘন্টা আগেই করাতে হবে করোনা টেস্ট। এছাড়া অন্য দেশ থেকে ফ্রান্সে যেতে হলে কোন টীকা দিলে সহজ হবে প্রবাসে যেতে দেখে নিন।