ভোটার নিবন্ধন ফরম ও নতুন ভোটার হালনাগাদ তালিকার বিস্তারিত NID Reg Form & Details Information 2022

 


বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচী ২০২২

কত বছর পরপর ভোটার হালনাগাদ করা হয়? নতুন ভোটার তালিকা ২০২২। নতুন ভোটার তালিকা দেখার উপায় নতুন ভোটার হালনাগাদ কবে হবে? ভোটার তথ্য হালনাগাদ করণ ২০২২। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, গত ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়েছিল ২০১২।


নতুন ভোটার হওয়ার আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে/ভূল সংশোধনের:

যেমন: ছবি, বাংলায় নাম, পিতার নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার নাম বাংলায় ও ইংরেজীতে, মৃত হলে সনদ, লিঙ্গ, রক্তের গ্রুুপ, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, কোর্টের এফিডেভিড, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, বিবাহিত হলে স্ত্রীর তথ্যাদি, ২য় স্ত্রী থাকলে তার তথ্য দিতে হবে। ভাড়াটিয়া হলে বাড়িওয়ালার nid, বিদ্যু’ বিল, বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া কর্তৃক ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র, প্রবাসী হলে ভিসার সিল ও তারিখসহ পাসপোর্টর কপি। নিবন্ধন ফরমের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সনাক্তকারী হিসেবে বাবা, মা। নিবন্ধন ফরমের ৪০, ৪১, ৪২ যাচাইকারী হিসেবে পাসওয়ার্ড স্বাক্ষর করতে হবে। সকল সনদের সফট কপি ও হার্ড কপি প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে

ভোটার তালিকা বিধিমালা ২০১২

ভোটার তালিকা হালনাগাদ বিধি ২০০৪ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ৫১৯ উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচীর আওতায় ভোটার তালিকা আপডেট করার জন্য নির্বাচন কমিশন গদ ২৮শে মার্চ, ২০২২ তারিখে ১৮৩ নম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন অফিসার নিয়োগ করেন। এবং নির্বাচন কমিশন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণের উদ্দ্যেশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা শুরু হবে কবে?

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কবে থেকে শুরু হবে দেখুন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচী ২০২২, এ ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই কার্যক্রম ২০শে মে, ২০২২ পরবর্তী তিন সপ্তাহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচী চলমান রাখার বিষয়ে মাননীয় কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

নিবন্ধন ফরম পেতে দেখুন এখানে। ফরমের নমুনা (বাংলা)। ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি নতুন ফরম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ফরমের নম্বরযুক্ত এবং প্রশাসনের নম্বর যুক্ত  প্রতিটি ইউনিটে কোডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ

ভোটার নিবন্ধন ফরম পেতে এখানে ক্লিক করুন


কোন নাগরিকদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে

২০০৭ সালের ১লা জানুয়ারি অথবা তার পূর্বে যাদের জন্ম, তাদের বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পরেছেন তাদের নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া এ কর্মসূচীতে ভোটার তালিকা হতে মৃত ভোটারের নাম কর্তন এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর করণের বিষয়ে কার্যক্রম গৃহিত হবে। 

নির্বাচন কমিশন কি নতুন জনবল নিয়োগ দিবে?

ভোটার তালিকা হালনাগাদ তালিকা সুস্থভাবে সম্পাদনের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার, টিম লিডার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বা সাপোর্ট, গ্রুফ লিডার এন্ড ডাটা এন্ট্রি হেলপার পদসমূহে যথাসময়ে সম্পাদন করা হবে। ভোটার তালিকা কার্যক্রম সুস্থভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে গড়ে বিদ্যমান ২৫০০ জন ভোটারের জন্য ১জন করে তথ্য সংগ্রহকারী এবং প্রতি ৫জন তথ্য সংগ্রহকারীর জন্য ১জন করে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে। ভোটার এলাকার সাথে সমন্বয় সাধন এবং ভৌগলিক প্রাকৃতিক, প্রশাসনিক ভোটার এলাকা বিন্যাস ও অন্যান্য কারণে উল্লিখিত সংখ্যায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম বা বেশি হতে পারে।

ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ হবে কারা?

বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে সাধারণত নির্বাচন কমিশন এর তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। যেমন সরকারী আধাসরকারী স্বায়ত্ত্বশাসিত স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ এ দায়িত্ব পালন করে থাকবেন। সরকারী অনুদান প্রাপ্ত দায়িত্ব পালনকারী উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারীর অর্থাৎ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন অফিস বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কিন্ডারগার্ডেন ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকেই নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এ ভোটার তালিকা হালনাগাদকারীগণ।

তথ্য সংগ্রহে সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ পাবেন যারাঃ 

তথ্য সংগ্রহে সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন সরকারী, আধা সরকারী, সায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার কর্তপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। সরকারী আধাসরকারী অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসার শিক্ষক বা কলেজ এ সমপর্যায়ের কলেজ এর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। সরকারী আধা সরকারী এর অনুদান প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বা উচ্চ বিদ্যালয় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বা সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তা। এখানে উল্লেখযোগ্য যে তথ্য সংগ্রহকারী সুপারভাইজার নিয়োগের বিধানে বর্ণিত কর্মকর্তা বলতে ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা এবং ৩য় শ্রেণির কর্মচারী বুঝাবে।

ডাটা এন্ট্রি কারা করবে?

টিম লিডার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, গ্রুফ লিডার, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বা সাপোর্ট, ডাটা এন্ট্রি হেলপার নিয়োগের প্যানেল প্রস্তুত এবং প্যানেল হতে নিয়োগ ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর ৬/২ ধারা এবং ভোটার তালিকা বিধিমালা ২০১২ এর ৪/৭ বিধি অনুযায়ী পরিশিষ্ট ২ এ বর্ণিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে টিম লিডার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, গ্রুফ লিডার, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বা সাপোর্ট, ডাটা এন্ট্রি হেলপার নিয়োগ প্রদান করা হবে। প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের মধ্য হতে মেধাক্রম অনুসারে প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে। তবে কোন জেলায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে, একই কার্যক্রমের জন্য অন্য জেলা হতে প্যানেলকৃত তালিকা হতে উল্লিখিত পদে নিয়োগ করা যাবে। 





রেজিষ্ট্রিশন টিম রেজিষ্ট্রিশনের শুরুর দায়িত্ব পালন করবে

প্রতি উপজেলায় একটি রেজিষ্ট্রিশেন টিম থাকবে, টিমে চারজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, একজন টিম লিডার, দুই জন প্রুফ লিডার এবং একজন ডাটা এন্ট্রি হেলপার নিয়োগ প্রদান করা হবে। তবে উপজেলার আয়তন ও ভোটার সংখ্যা অধিক হলে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার, প্রয়োজনবোধে একাধিক রেজিষ্ট্রেশন টিম গঠন করতে পারে। ইসির অতিরিক্ত সচিব আশুক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন নির্বাচন কশিনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব আরও জানিয়েছেন একটি টিম গড়ে প্রতিদিন (৩০০) তিনশ জন ভোটারের ডাটা এন্ট্রি করবেন। তিনি আরও জানান ২০১৯ সালের পর এ বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ শুরু হয়েছে। 


তথ্য সংগ্রহের পর কি করা হবে? 

তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। এরপর নির্ধারিত নিবন্ধন কেন্দ্রে ছবি তোলা দশ আঙ্গুলের ছাপ রাখা ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়াসহ সকল কার্যক্রম চলবে। পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্রের কাজ চলবে।

নতুন ভোটারগণ কি ২০২৩ সালে ভোট দিতে পারবে?

২০২৩ সালের ২রা মার্চ তারিখে যে সব নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন, ১লা জানুয়ারি ২০০৫ বা তার আগে যাদের জন্ম তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। দীর্ঘ তিন বছর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ শুরু হয়ে চলছে। অনলাইনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। ২০১৯ সালের ২রা মার্চ পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ভোটার সংখ্যা দাড়িয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ এবং ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৫৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন। এখন যারা নতুন ভোটার হতে ইচ্ছুক তারা যথাসময়ে ভোটার হওয়ার জন্য এবং যারা তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে চান তারা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বা উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করুন।

Previous Post
Next Post
Related Posts