প্রাইমারী উপবৃত্তি সংক্রান্ত সরকারি নতুন ঘোষনা কার্যক্রম শুরু ২০২২-২৩ অর্থবছর।

 


প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তির সেবা প্রদান পদ্ধতিঃ

প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তির সেবা প্রদান পদ্ধতিতে আপনি দেখে নিন কীভাবে আপনি এ সেবা গ্রহণ করতে পারেন। প্রতি বছর মার্চ মাসে এসএমসি এর সভার মাধ্যমে ১ম শ্রেণির জন্য সুবিধাভোগী পরিবার নির্বাচন করা হয়। উপজেলা ভিত্তিক নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী উপবৃত্তি সুবিধা পায়। এক বছরে চার বার উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতি অর্থমাসে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি মিটিং করে নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী উপবৃত্তি প্রাপ্যদের তালিকা করে অনুমোদনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিস যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করে এবং টাকা ছাড় করার জন্য নির্ধারিত ফরমে টেবিল প্রস্তুত করে আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট উপস্থাপন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরের পর নির্ধারিত ব্যাংকে বিল করা হয়। বিল প্রাপ্তির পর ব্যাংক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে টাকা বিতরণের সূচী প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের দপ্তরে প্রেরণ করে নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী শিক্ষকগণ অভিবাবকদের অবহিত করেন যাতে করে নির্ধারিত দিনে সুবিধাভোগী পরিবারের অভিভাবকগণ উপস্থিত থাকেন। ব্যাংক প্রতিনিধি কয়েকটি বিদ্যালয় নিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে উপস্থিত হন। শিক্ষক কর্তৃক সনাক্ত করার মাধ্যমে বরাদ্ধকৃত টাকা বুঝিয়ে দেন। 

প্রাইমারি উপবৃত্তির নতুন ঘোষণাঃ 

প্রাইমারী উপবৃত্তি সংক্রান্ত সরকারি নতুন ঘোষনা, শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে প্রাথমিক উপবৃত্তি নিয়ে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  বিভিন্ন সুবিধার কার্যক্রম শুরু ২০২২-২৩ অর্থবছরের উন্নয়নের বিভিন্ন সুবিধার তথ্য। এখন থেকে প্রাথমিক শিক্ষার বৃত্তির টাকা নেওয়া যাবে যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থেকে। যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকসহ মোবাইল ব্যাংকিং সেবাতে উপবৃত্তির টাকা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তাই এখন থেকে যে যেই মোবাইল ব্যবহার করে টাকা লেনদেনের সেবা গ্রহণ করছেন সেই মোবাইলেই পেয়ে যাবেন। 

তবে সে সীমটি হতে হবে অভিভাবকের নিজ ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে নিজ নামের সীম ও সেই সীমেই নগদ, রকেট, বিকাশ বা অন্যান্য লেনদেনের একাউন্ট খোলা। তাই আপনার টাকা নিরাপদে ও সঠিক সময়ে পেতে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করুন আর আপনি যেই এমএফএস (MFS) ব্যবহার করেন সেই নম্বরটি রেজিষ্ট্রেশন করুন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রায় দেড়কোটি প্রাথমিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্ব নির্দিষ্ট কোন মোবাইল ফিনান্সিয়ালদের হাতে আর থাকলো না। এখন থেকে অভিভাবকদের মোবাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিকাশ, রকেট, নগদ উপায়সহ যে কোন বৈধ সংক্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উপবৃত্তি পাওয়া যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন ও শুরু করেছে। 

বাস্তবায়িত কার্যক্রমসমূহঃ

স্কুলগামী  শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে চার স্তরে সরকারী শিক্ষাবৃত্তি ও অন্যান্য ভাতার হার বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি ও অন্যান্য ভাতার হার 


বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি ও অন্যান্য ভাতার হার 



সরকারী শিক্ষাবৃত্তি ও অন্যান্য ভাতার হার



শিক্ষার্থী নির্বাচনের নিয়মাবলীঃ

ক. প্রাথমিক নির্বাচন

প্রথমত সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিকৃত মোট শিক্ষার্থী হতে উপরোক্ত শর্তাবলীর আলোকে 

প্রাইমারী উপবৃত্তি সংক্রান্ত  সরকারি নতুন ঘোষনা কার্যক্রম শুরু ২০২২-২৩ অর্থবছর।



লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

১। জনগোষ্ঠি অর্থসামাজিক উন্নয়ন সামাজিক নিরাপত্তার বিধান

২। পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি

৩। আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে তাদের মনোবল জোরদার করানো

৪। চিকিৎসা ও পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা

প্রার্থী নির্বাচনের মানদন্ড

ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলীঃ

ক। সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

খ। জন্মনিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। 

গ।  প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয় অনূর্ধ্ব দশ হাজার (১২, ০০০) হতে হবে। 

ঘ। বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।

ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা

ক। সরকারী কর্মচারী পেনশনভোগী হলে,

খ। দুস্থ মহিলা ভিজিডি কার্ডধারী হলে

গ। অন্য কোনভাবে নিয়মিত সরকারী অনুদান/ভাতা প্রাপ্ত হলে

ঘ। কোন বেসরকারী সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিতভাবে আর্থিক অনুদান/ ভাতা প্রাপ্ত হলে



Previous Post
Next Post
Related Posts