নরসিংদী জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য দর্শনীয় স্থান দর্শনীয় স্থান শিক্ষার হার
আইন সরকারি রুলস সরকারি হিসাব অনুযায়ী
নরসিংদী জেলার পুলিশের ইতিহাসঃ
১৯৮৪ সালে নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব এবং রায়পুরা এ ০৬ টি উপজেলা এবং নরসিংদী পৌরসভা নিয়ে নরসিংদীকে জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
০৩টি সার্কেল ০৭টি থানা নিয়ে নরসিংদী জেলা পুলিশ গঠিত।
সদর সার্কেলাধীন থানা সমূহ - নরসিংদী মডেল থানা- পলাশ থানা ও মাধবদী থানা।
রায়পুরা সার্কেলাধীন থানা সমূহ - রায়পুরা থানা ও বেলাব থানা।
নরসিংদী জেলার ইতিহাস আইন সরকারি রুলস সরকারি হিসাব অনুযায়ী
ইতিহাস পূর্বে এই অঞ্চলটি নরসিংহ নামক রাজার শাসনাধীন ছিল॥ ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে রাজা নরসিংহ নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেন। নরসিংদী নামটি রাজা নরসিংহের নাম অনুসারে উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করেন ইতিহাসবিদরা।
নরসিংদী জেলার
দর্শনীয় স্থান আইন সরকারি রুলস সরকারি হিসাব অনুযায়ী
নরসিংদী জনসংখ্যা মধ্য বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি শহর। এটি একই সাথে নরসিংদী জেলা ও সদর উপজেলার প্রশাসনিক সদরদপ্তর। ঢাকা থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত শহরটি নরসিংদী জেলার সবচেয়ে জনবহুল স্থান। এর মোট আয়তন ২০.৯৫ বর্গকিলোমিটার ও এর মোট ১৮৫,১২৮ জনসংখ্যা জন, যা একে বাংলাদেশের ২৪ তম বৃহৎ শহরের মার্যাদা দিয়েছে।
নরসিংদী জেলার ঐতিহ্য আইন সরকারি রুলস সরকারি হিসাব অনুযায়ী
নরসিংদী সদর, শিবপুর, পলাশ, মনোহরদী , রায়পুরা ও বেলাব উপজেলা এই ৬টি উপজেলা নিয়ে নরসিংদী জেলা। ১৯৭৮ সালে নরসিংদী মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে নরসিংদীকে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলায় পরিণত করা হয়। দক্ষিন পূর্বাঞ্চল মেঘনা বিধৌত নিম্নভূমি, পশ্চিমাঞ্চল উচ্চ সমতল ভূমি, উত্তরাঞ্চলে ছোট ছোট পাহাড়, টিলা, টেক নয়নাভিরাম অরণ্য আবরণে আবৃত। এ জেলার উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি ভূমি বাংলাদেশের আদি ভুমির অন্তর্গত।
এ জেলার আদি ভূমিতে অবস্থিত বেলাব উপজেলার ‘ওয়ারী বটেশ্বর’ গ্রামে পরিত্যক্ত ভিটা ও অসমরাজার গড়’ আবিস্কৃত হয়েছে, যা নব্য প্রস্তর যুগীয় সভ্যতার নিদর্শন । ওয়ারীতে খৃষ্টপূর্বকালের ছাপাঙ্কিত পর্যাপ্ত রৌপ্যমুদ্রা পাওয়া গেছে। এসব মুদ্রা নরসিংদী অঞ্চলের আদি সভ্যতার স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ‘জয়মঙ্গল’ নামে পাহাড়ী গ্রামে আবিস্কৃত হয়েছে গুপ্তযুগের স্বর্ণমুদ্রা। একই উপজেলার আশ্রাফপুরে আবিস্কৃত হয়েছে সপ্তম শতাব্দীর মহারাজা দেব খড়গের তাম্রলিপি এবং অষ্টধাতুর নির্মিত বৌদ্ধ নিবেদন স্ত্তপ। এই আশ্রাফপুরেই আবিস্কৃত হয়েছে গৌড়ের স্বাধীন নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নসরৎ শাহের রাজত্বকালে নির্মিত একটি অতি প্রাচীন মসজিদ। পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে আনুমানিক ১৭১৬ খ্রিষ্টাব্দে দেওয়ান শরীফ ও তার স্ত্রী জয়নব বিবি নির্মিত মোগল স্থাপত্যরীতির একটি প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। এ অঞ্চলের জনসাধারণের আধ্যাতিক ও নৈতিক জীবনে যাঁদের প্রভাব আলোকবর্তিকারূপে কাজ করেছে সে সব পীর আউলিয়াদের পবিত্র মাজার শরীফ রয়েছে। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের অনতিদুরে পশ্চিমদিকে তরোয়া গ্রামে হযরত কাবুল শাহের মাজার, কুমরাদী গ্রামে হযরত শাহ মনসুরের মাজার, পাটুলী ইউনিয়নের হযরত শাহ ইরানী মাজার, ওয়ারী গ্রামে হযরত সোলায়মানের মাজার, এবং পারুলিয়া দেওয়ান সাহেবের মাজার বিশেষভাবে উলেখযোগ্য।
নরসিংদী জেলার একটি বিশেষ এবং উলেখযোগ্য ঐতিহ্য হচ্ছে তাঁত শিল্প। ‘প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার’ বলে খ্যাত শেখেরচর (বাবুরহাট) এ জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের তাঁত বস্ত্রের চাহিদার প্রায় সিংহভাগ পূরণ করছে এ জেলার তাঁত শিল্প। শিক্ষা-সাহিত্য, ও সংস্কৃতি জগতে যারা্ আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলিত করে নরসিংদীকে ঐতিহ্যমন্ডিত করেছেন তাঁরা হলেন উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি আই সি এস স্যার কে, জি, গুপ্ত, পবিত্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশ চনদ্র সেন। অন্যদের মাঝে যাঁরা চিরকস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তাঁরা হচ্ছেন বিখ্যাত কবিয়াল হরিচরণ আচার্য, যিনি ‘কবিগুণাকর’’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন, মৌলভী সেকান্দর আলী, কবি দ্বিজদাস, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শামসুর রাহমান, আলাউদ্দিন আল-আজাদ এ জেলার গর্ব। আব্দুল মোমেন খান(প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী) আহমদুল কবির মনু মিয়া(সম্পাদক, দৈনিক সংবাদ) প্রমূখ নরসিংদী জেলারই কৃতি সন্তান।
মহান মুক্তিযুদ্ধেও গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টিতেও নরসিংদীর ঐতিহ্য রয়েছে। যাঁর বুকের তাজা রক্ত মুক্তি পাগল জনতার মিছিলকে বেগবান করে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে এগিয়ে নিয়েছিল সেই উনসত্তরের গণ আন্দোলনের শহীদ ‘আসাদ’ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ট ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মতিউর রহমান এ জেলারই সন্তান। কলা, কাঁকরোল, শশা, সিম,বেগুন ,ধান, পাট, আলু ও লটকন উৎপাদনে উলেখযোগ্য নরসিংদী বাংলাদেশের একটি অন্যতম কৃষি সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
নরসিংদী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
এই সকল বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব দেশ এবং জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১) শামসুর রহমান ( সাহিত্যিক) ২) আলাউদ্দিন আল আজাদ ( কবি) ৩) মতিউর রহমান ( বীরশ্রেষ্ঠ) ৪) ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন ( পবিত্র কুরয়ানের অনুবাদক) ৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ( শিক্ষাবিদ )।
নরসিংদী দর্শনীয় স্থান আইন সরকারি রুলস সরকারি হিসাব অনুযায়ী
ওয়ারী বটেশ্বর নরসিংদীর বেলাব উপজেলা নরসিংদী শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে বেলাবো উপজেলার মরজাল বাজার থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবিস্থত উয়ারী এবং বটেশ্বর গ্রাম দু’টি।
ড্রিম হলিডে পার্ক প্রাইভেট লি: ইউনিয়ন: মেহেরপাড়া
মৌজা: চৈতাব
পরিমান: ১৮.২১১৯ একর
জমির শ্রেণি: বাণিজ্যিক ভিটি
নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ড্রিম হলিডে পার্ক গড়ে ওঠেছে। ঐতিহ্যবাহী পাঁচদোনা মোড় হইতে আধা কিলোমিটার দক্ষিনে রিকশা যোগে ভাড়া ২০ টাকা। ঢাকা হতে সিলেট, কিশোরগঞ্জ, বিঃ বাড়ীয়া, ভৈরব মনোহরদী গামী যেকোন পরিবহনে এসে পার্ক এর সামনে নামা যায়।
নরসিংদী হেরিটেজ ইকো রিসোর্ট নরসিংদীর মাধবদীর নওপাড়ায় নরসিংদীর মাধবদীর নওপাড়ায় গড়ে উঠেছে বিশ্বমানের রিসোর্ট ‘হেরিটেজ রিসোর্ট’। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৪০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করলেই পেয়ে যাবেন হেরিটেজ রিসোর্ট। ১৫০ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত এই রিসোর্টটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন। ঢাকার গুলিস্তান বা মহাখালী থেকে নরসিংদিগামী যে কোনো বাসে চড়ে সরাসরি চলে যেতে পারবেন হেরিটেজ রিসোর্টে। নরসিংদীর কাছাকাছি ড্রিম হলিডে পার্কের একটু আগেই হেরিটেজ রিসোর্ট।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান এর বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে।নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে। যা এখন মতিনগর নামে পরিচিত। গুলিস্থান অথবা মহাখালী থেকে ভৈরবের গাড়িতে নরিসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে নেমে রিক্সা অথবা সিএনজি তে করে মতিনগর গ্রামে যেতে হবে।
ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন এর বাড়ি নরসিংদীর সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নে ভাই গিরিস চন্দ্র সেন এর বাড়ি অবস্থিত। গুলিস্থান অথবা মহাখালী থেকে নরসিংদীর যেকোন গাড়িতে করে পাঁচদনায় এসে নেমে ২ মিনিট হাটলেই গীস চন্দ্রের বাড়িতে যাওয়া যাবে।
মরজাল ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক ইউনিয়ন: মরজাল
মৌজা: মরজাল
পরিমান: ১.৫০ একর
জমির শ্রেণি: বাগান
জেলা সদর হতে দূরত্ব ১৫ কি.মি ও উপজেলা সদর হতে ৬ কি.মি
নরসিংদী জেলার শিক্ষার হার কত
জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী নরসিংদী শহরের মোট জনসংখ্যা ১৮৫,১২৮ জন, যার মধ্যে ৯৫,৭৩৯ জন পুরুষ এবং ৮৯,৩৮৯ জন নারী। এ শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৮৩৭ জন মানুষ বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০ঃ১০৭ এবং শিক্ষার হার ৬৪.৪%(৭ বছরের উর্দ্ধে)।