সরকারি চাকরি আইন ২০১৮
২০১৮সালের ৫৭ নং আইন PDF
বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস
সরকারি চাকরি আইন গেজেট দেখতে চাইলে অথবা
প্রজাতন্ত্রের কর্মবিভাগ সৃজন ও পূর্ণ গঠন একই করুন সংযুক্ত করুন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগকর্তাদের কর্মের শর্তাবলী নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং এতদসংক্রান্ত বিদ্যামান বিধানাবলী সংহত করন কল্পে প্রণীত আইন ।বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস
যেহেতু সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদের আইনের দ্বারা প্রজাতন্ত্রের কর্মবিভাগ সিজন সংযুক্তকরণ ও একই করণসহ পুনর্গঠন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যক্তির কর্মে শর্তাবলীর তারতম্য পরিবার ও উহার রদ করিবার বিধান রয়েছে এবং
যেহেতু সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কর্মচারীগণের নিয়োগ ও তাদের কর্মের শর্তাবলী আইন দ্বারা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করিবার বিধান রহিয়াছে এবং
যেহেতু প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও কর্মের সত্য বলি সম্পর্কিত বিদ্যমান বিধানসমূহ সংহত করণের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করিবার পর প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে এবং
যেহেতু সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য হইবে বলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে এবং
যেহেতু সংবিধানে বর্ণিত নির্দেশমূলক বাস্তবায়ন ও প্রতিফলনের দক্ষ জনবান্ধব স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন অপ্রয়োজনীয়
যেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, আইন সরকারি রুলস
সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা
মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা
১।(১) কোন সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা এক বছরের মেয়েদের অধিক মেয়াদে কারাদণ্ড হইলে উক্ত দ্বন্দ্ব আরবের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হইতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন।
২। কোন সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক এক বছরের মেয়েদের কোন কারাদণ্ড অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নিম্নবর্ণিত যেকোনো আরব করিতে পারিবে।
যথা:
- তিরস্কার
- নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করুন
- বেতন স্কেল অবনমিতকরন অথবা
- কোন আইন বা সরকারি আদেশ অমান্য অথবা কর্তব্য ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়
৩। উপধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত চাকরি হইতে বর্ণিত কোন ব্যক্তি গৌরব বরখাস্ত হইতে অব্যাহতি প্রদানের বিশেষ কারণ বা পরিস্থিতির রহিয়াছে তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ প্রদান করে করা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকরিতে পুনর্বহাল হইবেন।
৪। গুগোল ধরা (২) এর অধীন দন্ড আরোপের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন বিভাগীয় কার্যকরী বারবার কারণ দর্শানোর প্রয়োজন হবে না এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত প্রদত্ত আদেশ আপিল যোগ্য হইবেন।
৫। ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক আরোপিত দণ্ডাদেশ পরিপেক্ষিতে
ক) উপধারা১) এর অধীন বরখাস্তকৃত ব্যক্তি পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করিতে হইবে এবং
খ) উপধারা (২)এর অধীন দণ্ডিত ব্যক্তি পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে তাহার উপর আরোপিত দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করিতে হইবে।
৬। খালাসপ্রাপ্ত কোন কর্মচারী অবসর গ্রহণের বয়স উপনীত হলে অথবা সংশ্লিষ্ট পদ বা চাকরির বিলুপ্তি ঘটিল তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা যাবে না তবে তিনি সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হইবেন।