রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানসমূহ
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্পিল ওয়ে কর্ণফুলী হ্রদ, পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, শুকনা ছড়া ঝর্ণা, ধুম পানি ঝর্না, মুপ্পেোছড়া ঝরনা, পেদা টিং টিং, টুকটুক ইকো ভিলেজ, রাইংখ্যং পুকুর ,রাজবন বিহার, ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
আর্যপুর ধর্মোজ্জল বনবিহার
আর্যপুর, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
দর্শনীয় স্থান
আর্যপুর, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর হতে সড়কপথে মাত্র ৩ কি.মি দুরে বনবিহার অবস্থিত। অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রবেশ করে দেখতে পাবেন পাহাড়ের উপর মনোরম পরিবেশে বৌদ্ধদের সাধনা কেন্দ্র। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে বেষ্টনির মধ্যে আগার বাগান রয়েছে। এছাড়াও নানা রকম ফল-ফলাদি বাগানও রয়েছে এখানে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে আবাসিক হোটেলে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট
তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-শহরের যে কোন স্থান থেকে অত্যন্ত সহজেই এখানে যাওয়া যায়। অটোরিক্মা বা প্রাইভেট গাড়ি ইত্যাদি যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া পড়বে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শহরের তবলছড়ির ঠিক আগেই উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট অবস্থিত। পার্বত্য এলাকার উপজাতি কর্তৃক তৈরিকৃত বিভিন্র পোশাক এবং হস্তনির্মিত বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প ক্রয় করা যাবে। পর্যটকদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান।
উপজাতীয় যাদুঘর
রাঙ্গামাটি সদর
রাঙ্গামাটি সদর
যাদুঘরটি সকলের জন্য উম্মুক্ত।
রাঙ্গামাটি শহরের ভেদভেদি নামক স্থানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের অভ্যন্তরে এ জাদুঘরটি অবস্থিত। এখানে পার্বত্য অঞ্চলে ববাসরত উপজাতি সমূহের ঐতিহ্য এবং কৃষ্টি-সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শন দেখা যাবে। জাদুঘরে রক্ষিত উপজাতীয়দের বিভিন্ন যে কাউকে মুগ্ধ করে সহজে। এছাড়াও জাদুঘরের অভ্যন্তরে রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমূহের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এর ভবনটি অনন্য আধুনিক স্থাপত্য কলায় নির্মিত।
ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি
রাজবন বিহারের পূর্ব পার্শ্বে ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি অবস্থিত। বিহার ও রাজবাািড়র মাঝে আছে হ্রদ। রাজবন বিহারর ঘুরে ইচ্ছে করলে নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যায়। বাংলা নববর্ষের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ্ অনুষ্ঠিত হয়। চাকমাদের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানও এসময় চলতে থাকে। উপজাতীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতির দেখা মিলবে এ সময়। প্রবেশ মূল্য নেই।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-মূল শহরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় থাকা-খাওয়া নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয় না।
ওয়াগ্গা চা এস্টেট
চট্টগ্রামের বৃহত্তম ও মনোমুগ্ধকর চা বাগান হলো ওযাগ্গা চা এস্টেট। পাহাড়ী এলাকায় কর্ণফুলি নদীর তীরে এ চা বাগান অবস্থিত। কাদেরী টি এস্টেট পরিচালিত এই চা বাগান পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত মনোরম ও উপভোগ্য। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মন জড়িয়ে দেয়।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই-এ থাকা ও খাওয়ার জন্যৌ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিচু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করেও কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান দর্শন করা যায়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাংলাদেশে পানিশক্তি দ্বারা পরিচালিত একমাত্র বিদ্যুৎ স্থাপনা হলো কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ৫০ কিলোমিটার দুরবর্তী রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ১৯৬২ খ্রি: এই কেন্দ্রটি চালু করা হয়। কর্ণফুলি নদীর নির্ধারিত স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে সঞ্চিত পানির বিরাট জলাধার সৃষ্টি এবং পানির এই শক্তিকে গতিশক্তিতে রুপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এজন্য ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৫.৭ মিটার উঁচু বাঁধ তৈরি করা হয়। এই বাধেঁর পাশে ১৬ টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি জল নির্গমনপথ বা স্পীলওয়ে রয়েছ। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য আগ্রহের একটি স্থান হলো স্পীলওয়ে। পানি পড়ার দৃশ্যটি পর্যটকদের নিকট খুবই উপভোগ্য। এই কেন্দ্রের কার্যক্রম দেখার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। এছাড়া বাইরে থেকে ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে কেন্দ্রের স্পীলওয়ে দেখা যায়।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই-এ থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল আছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যায়।
কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড
চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ- রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্সা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। এর চন্দ্রঘোনা পেপার মিল ১নং গেটে যেতে হবে।
১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম কাগজের কল কর্ণফুলি পেপার মিলস্ লিমিটেড। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই এ প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয়করণ করা হয়। কাগজ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল বাশেঁর প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে কর্ণফুলি পেপার মিলটি চন্দ্রঘোনায় স্থাপন করা হয়। এই মিলে সাদা কাগজ এবং বাদামী ও অন্যান্য রঙ্গিন কাগজ উৎপাদিত হয়। এদেশে সরকারী চাহিদার প্রায় অর্ধেকের বেশি কাগজ সরবরাহ করে থাকে এ প্রতিষ্ঠানটি। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি পর্যটকদের নিকট আকর্ষণীয় স্থান। এখানে বাঁশ ও পাল্পউড থেকে কাজগ তৈরির সকল পর্যায় দেখা যাবে। অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রবেশ করা যাবে। এছাড়া রাইখালী থেকে এ বিশাল মিলটি দেখা যায়।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই এ থাকা-খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যাবে।
কাট্টলী বিল
ইহা কাপ্তাই লেকের সর্ববৃহৎ বিল। যা ভরা মৌসমে যখন পানি কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে তখন তার অপরুপ সৌন্দর্য নৌকাযোগে ঘুরে ঘুরে অবলোকন করা যায়। বিলের দুই পাড়ে বড় বড় পাহাড় অবস্থিত।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-রাঙ্গামাটি শহরে আবাসন ও খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও লংগদু উপজেলায় সীমিত আকারে আবাসন ও খাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান
কাপ্তাই উপজেলা
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা) বাস, মাইক্রো, অটোরিক্সা, ইঞ্চিন চালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রো বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়। কাপ্তাই নতুন বাজার যাওয়ার আগে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান গেটে নামতে হবে।
নদী, পাহাড় আর সবুজের সহাবস্থান নিয়ে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য হলো কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান। বিস্তৃত পাহাড়রাশি আর চিত্তাকর্ষক উদার প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয় এ জাতীয় উদ্যান। উদ্যানের ভিতরের সেগুন, পারুল, গামারী আর কড়ই গাছের সারি পর্যটকদের নিকট অফুরন্ত আনন্দের উৎস। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের বিশ্রামাগারে দৃশ্যমান দিগন্তজুড়ে সবুজ আর সবুজের সমারোহ মানুষের চোখ ও মনকে জুড়িয়ে দেয়। মূলতঃ জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং একা-ট্যুরিজমের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে সরকার কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই-এ থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যায়।
কাপ্তাই লেক
কাপ্তাই উপজেলা
নৌ-ভ্রমণের জন্য রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও পর্যটন ঘাটে ভাড়ায় স্পীড বোট ও নৌযান পাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে কর্ণফুলী হ্রদের সৃষ্টি হয়। কৃত্রিম এ হ্রদের আয়তন ২৯২ বর্গমাইল (বর্গ কিলোমিটারে পরিণত করতে হবে)। এ হ্রদের সাথে কর্ণফুলী, কাচালং আর মাইনী নদীর রয়েছে নিবিড় সংযোগ। কাচালং নদীর উজানে লংগদুর মাইনীমুখে এসে হ্রদের বিস্তার দেখে যুগপৎ বিষ্মিত হতে হয়। এখানে হ্রদের বিস্তীর্ণ জলরাশি নির্দ্বিধায় আকাশের সাথে মিশে গেছে। রাঙ্গামাটি শহরে এলেই চোখে পড়ে হ্রদ-পাহাড়ের অকৃত্রিম সহাবস্থান যা দেশের আর কোথাও দেখা মেলেনা। এ হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি আর সবুজ পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের সহজেই কাছে টানে আর হ্রদে নৌ-ভ্রমণ যে কারো মন-প্রাণ জুড়িয়ে দেয় প্রকৃতির আপন মহিমায়। প্রকৃতি এখানে কতটা অকৃপন হাতে তার রূপ-সুধা ঢেলে দিয়েছে তা দূর থেকে কখনই অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার
কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ- রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্সা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল হতে বাস অথবা চট্টগ্রামস্থ কাপ্তাই রাস্তার মাথা হতে সিএনজি যোগে কাপ্তাই চিৎমরম কিয়াং ঘাটে নামতে হবে। কিয়াং ঘাট নেমে নৌকাযোগে কর্ণফুলি নদী পার হয়ে কোয়ার্টার কি.মি. গেলেই চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার চোখে পড়বে।
পাহাড়ী অঞ্চলের অন্যান্য জেলার ন্যয় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলাতেও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার জন্য অনেক বৌদ্ধ বিহার আছে। কিন্তু কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম ইউপিতে প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধ বিহারটি সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের জন্য অন্যতম বিহার। মূলত এটি ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত করে তারা উপাসনা শুরু করেন। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এটি সংস্কার করে আকর্ষণীয় করে তোলেন। উক্ত বিহারটি ২টি পাহাড়ের উপর থাকায় আকর্ষণের মাত্রাকে আরও বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এই বিহারে প্রতিদিন তিন পার্বত্য জেলা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে অসংখ্য পর্যটক পূণ্যার্থী ও পর্যটক উপাসনা ও পরিদর্শন করতে আসে। বিহারটি চট্টগ্রাম হতে ৪৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।
জেলা প্রশাসকের বাংলো
রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।
শহরের যে কোন জায়গা হতে অটোরিক্মা বা প্রাইভেট গাড়ি বা নৌপথে রাঙ্গামাটি ডিসি
বাংলোতে যাওয়া যাবে।
নয়নাভিরাম এই বাংলো হতে কাপ্তাই হ্রদের মৌলিকত্ব ও বিস্তৃত জলরাশির ওপর সূর্যোদয় আর গোধূলিলগ্নে সূর্যাস্তের অভাবনীয় সুন্দর দৃশ্য স্বচক্ষে অবলোকন করা যায়। এখানে রয়েছে একটি ছোট্ট পার্ক। তাছাড়া ডিসি বাংলোর ভেতরে রয়েছে ছোট্ট একটি জাদুঘর- যেখানে এ জেলার নানা ঐতিহ্যের নির্দশন সংরক্ষিত রয়েছে; রয়েছে প্রথম জেলা প্রশাসকের ভাস্কর্যসহ সকল জেলা প্রশাসকের ছবি। বাংলোর অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে 'কোচপানা' যার অর্থ ভালোবাসা। নিসর্গপ্রেমীরা এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত অবলোকন করতে পারে। ডিসি বাংলোতে অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করা যায়।
ঝুলন্ত ব্রিজ
তবলছড়ি ডিয়ার পার্ক, তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি।
রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি ‘পর্যটন কমপ্লেক্সে’ যাওয়া যায়। এখানে গাড়ি পার্কিং-য়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। যারা ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সার্ভিস বাসে করে আসবেন তাদের তবলছড়িতে নেমে অটোরিক্সাযোগে রিজার্ভ করে (ভাড়ার পরিমাণ আনুমানিক ৮০-১০০/-) যেতে হবে।
ব্যবস্থাপক, পর্যটন কর্পোরেশন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
সদর উপজেলার তবলছড়ি এলাকায় নয়নাভিরাম ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ এ সেতুটির অবস্থান। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ১৯৮৬ সালে এই সেতুটি নির্মাণ করে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে জলপথে ও স্থলপথে যে কোন মাধ্যমে সহজে যাওয়া যাবে। বর্তমানে সেতুটি রাঙ্গামাটির প্রতীক হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে।
টুকটুক ইকো ভিলেজ
সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
চারদিকে কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ পানি রাশির মাঝে হঠাৎই জেগে ওঠা সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় গড়ে তোলা এই ভ্রমণ স্পটে খানিক বসতেই নিমিশেই হিমেল হাওয়ার ঝাপটা নিয়ে যাবে কোনো এক স্বর্গীয় অনুভূতির সন্ধানে। কাপ্তাই লেকে দীর্ঘ নৌভ্রমণে যখন ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থা, তখন টুক টুক ইকো ভিলেজের রেস্তোরাঁর রকমারি খাবারের স্বাদ গ্রহণ জিবে এনে দেয় নতুন তৃপ্তি। কাঠ এবং বাঁশের কারুকাজে তৈরি এ রেস্তোরাঁয় মিলে দেশীয় ও পাহাড়ি আদিবাসীদের মজাদার সব খাবারের আইটেম।লেকের পথে সারা দিনের জন্য যারা নৌভ্রমণে বের হন দুপুরের খাবারটা তারা এখানেই সেরে নিতে বেশি পছন্দ করেন।
পুরো ইকো ভিলেজটি ৫০ একর পাহাড়ি জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত। বহু টিলা-উপটিলা বিভক্ত এ পর্যটন কেন্দ্রে থেকে থেকে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি কাঠের কটেজ। অ্যাটাশ বাথ, ব্যালকনি-সমেত এ কটেজগুলোয় থাকার জন্য রয়েছে সুব্যবস্থা। জানালার ফাঁকগলিয়ে দূরে পাহাড়ের ঢালে কাপ্তাইয়ের পানিতে পূর্ণিমার চাঁদের খেলা করার দৃশ্য অসাধারণ। রাতে পাহাড়ি বন-বনানীর মাঝ থেকে ভেসে আসা ঝিঁঝি পোকার একটানা ডাক সঙ্গে নাম জানা-অজানা নিশাচর পশু-পাখির বিচিত্র শব্দে কেবলই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যেতে চায় মন। পর্যটকদের অবস্থান নির্বিঘ্ন করতে আছে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রাকৃতিক পরিবেশে আড্ডা দেয়ার জন্য ইকো ভিলেজে তৈরি করা হয়েছে ১৫টি গোলঘর। শিশুদের আনন্দ দিতে প্রশস্ত খেলার মাঠ, কাঠের ব্রিজ সবই আছে এখানে। চারদিকে পাহাড়ি গাছ-গাছালি ছাড়াও ইকো ভিলেজের চড়াই-উত্রাইয়ে থেকে থেকে লাগানো হয়েছে নানান রকমের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ। লাল গোলাপ, সাদা গোলাপ, আফ্রিকান গাদায় ভরপুর পার্কটিতে পা ফেললেই বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসা কোমল গন্ধে মন জুড়িয়ে যায়।
যারা প্রকৃতিপ্রেমী, প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্য পছন্দ করেন, তাদের জন্য নির্ঝঞ্ঝাট ও ঝামেলামুক্ত পরিবেশে কয়েকটি মুহূর্ত কাটানোর এমন সুযোগ আর দু-একটি মেলানো দায়।
ডলুছড়ি জেতবন বিহার
লংগদু উপজেলা থেকে ৬ কি.মি. দুরে জেতবন নামক স্থানে এই বিহারের অবস্থান। ইহা শ্রদ্ধেয় যোগাসিদ্ধি ভান্তের নিজস্ব ডিজাইনে তৈরী করা হয়। এ বিহার অন্যান্য বিহার হতে কিছুটা ভিন্ন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত। তবে এখানে অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করতে হয়। সড়ক ও নৌপথে এখানে যাওয়া যায়।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-লংগদু উপজেলায় সীমিত আকারে আবাসন ও খাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
তিনটিলা বনবিহার
রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় অবস্থিত তিনটিলা বনবিহার বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় গুরু বনভন্তে প্রথম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এখানে প্রতিবছর কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুন্ঠানকে কেন্দ্র করে বিহার এলাকায় নারী-পুরুষের ঢল নামে। বিহার এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই মনোমুগ্ধকর।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-লংগদু উপজেলায় সীমিত আকারে আবাসন ও খাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য মনলোভা দর্শণীয় স্থান হলো ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা। পানি প্রবাহিত ছড়ায় পাথরের উপর আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ হেঁটে এই ঝর্ণা দেখতে যাওয়াও রোমাঞ্চকর। এই ঝর্ণায় দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক সৌন্দর্য অবলোকন করে চারদিকে তাকালে প্রকৃতির বিচিত্র রুপ ও পাহাড়ি ঢেউ ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়ে না। বিলাইছড়ি সদরে ধুপ্যাচর ও দীঘলছড়ি এ দু সেতুর কাছে দর্শণার্থীদের সমাগম ঘটে। এখানে দর্শণার্থীরা লেকের স্বচ্ছ জলরাশি ও সবুজ পাহাড়ের দুরের দুশ্যাবলী অবলোকন করে। এই স্থানে আসলে উপজাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বাস্তবে দেখা ও জানা যায়। চারদিকে সবুজ অরণ্যে ঘেরা প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের আরেক দর্শণীয় স্থান হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য মনলোভা দর্শণীয় স্থান ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা। চারদিক সবুজ অরণ্যবেষ্টিত প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের আরেক দর্শণীয় স্থান হলো বিলাইছড়ির পাংখোপাড়া। বিলাইছড়ি সদর থেকে প্রায় ২ ঘন্টা সময়ে ইঞ্জিনচালিত বোটে করে পাংখোপাড়ায় যেতে হয়। সেখানে দেখা যাবে আঁকা-বাঁকা সর্পিল নদীপথ। মনোমুগ্ধকর সবুজের মুগ্ধতম সুউচ্চ সিড়িঁ বেয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পাংখোয়া সম্প্রদায়ের আবাসস্থলে যাওয়া ও হেলিপ্যাডে উঠে প্রকৃতির নিসর্গ অবলোকন করা যাবে। হেলিপ্যাডটি পাহাড়ের চূড়ায় খুবই উঁচুতে হওয়ায় এটিকে বিলাইছড়ির ছাদ বলা যেতে পারে। ওখান থেকে বিলাইছড়ি টিএন্ডটি টাওয়ার, চারদিকে সবুজে ঢাকা পাহাড়, হৃদের উপরি অংশের প্রকৃতির নিসর্গ উপভোগ করা যায়। তাছাড়া যদি ফারুয়ায় যানর তাহলে যাবার পথে দেখতে পানেব স্থাপত্যকীর্তির ন্যায় অনিন্দ্য সুন্দর শৈল্পিক পাহাড়।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-এখানে কোন আবাসিক হোটে এবং খাও-দাওয়ার সুব্যবস্থা নেই।
নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পট
কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ- রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্সা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস বা অটোরিক্মা বা অন্য কোন পরিবহনযোগে কাপ্তাই নৌ বাহিনীর বা নৌ জা শহীদ মোয়াজ্জেম পিকনিক স্পটে যাওয়া যায়।
নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পটটি বিশাল এলাকাজুড়ে ছোট ছোট অনেকগুলো বিনোদন স্পট তৈরি করা হয়েছে কাপ্তাই লেকের পাড়ে। সবুজের ঝোঁপ-ঝাড়ের ফাকেঁ ফাকেঁ নিজেকে আড়ারল করে বিশাল কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য অবলোকন করা যাবে। লুকোচুরি খেলার এ এক অনন্য জায়গা। পাহাড়ের আড়ালে নিজেকে হারিয়ে অনুভব করা যাবে অনাবিল প্রশান্তি। ইঞ্জিনবোটযোগে কাপ্তাই লেক ভ্রমণসহ রাঙ্গামাটি ঘুরে আসা যাবে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই এ থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিচু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যাবে।
পেদা টিং টিং
কাপ্তাই হ্রদ
রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই যাওয়া যায়।
সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
কাপ্তাই হ্রদের চারিদিকে কেবল পাহাড় আর হ্রদ, যেন প্রকৃতির মাঝে আপিন এক আগন্তুক মাত্র। বুনো প্রকৃতি ছাড়া আর কিছুই আশা করা যায় না এখানে। কিন্তু আপনি অবাক হবেন যখন চলতি পথে কোন একটি টিলার উপর দেখবেন পেদা টিং টিং এবং চাং পাং।
এমন এক পরিবেশে যেখানে আপনি এক গ্লাস খাবার পানি পাবেন না, সেখানে এই দুইটি রেষ্টুরেন্ট আপনার জন্য চা, কফি আর চিকেন ফ্রাই নিয়ে অপেক্ষা করছে। সত্যিই হতবাক করার মত ব্যাপার।
এছাড়াও এখানে পাবেন স্থানীয় খাবার "বিগল বিচি", "কচি বাঁশের তরকারী", "কেবাং"। পেদা টিং টিং একটা চাকমা শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ হচ্ছে পেট টান টান। অর্থাৎ মারাত্মকভাবে খাওয়ার পর পেটের যে টান টান অবস্থা থাকে, সেটাকেই বলা হয় পেদা টিং টিং। রাঙ্গামাটি শহর থেকে মাত্র ৪-৫ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের ভসমান একটি পাহাড়ে অবস্থিত এই পর্যটন সংস্থা। এখানে রেস্তোরা, কটেজ, নৌবিহার ব্যবস্থা, সেগুন বাগান ও অসংখ্য বানর রয়েছে। ইচ্ছে করলে মনোজ্ঞ কোন অনুষ্ঠানও আয়োজন করা যায়। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে রাত্রিযাপনও করতে পারবেন।
এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি কক্ষ সদৃশ ঘর।
ফুরমোন পাহাড়
কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ- রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্সা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস বা অটোরিক্মা বা অন্য কোন পরিবহনযোগে কাপ্তাই নৌ বাহিনীর বা নৌ জা শহীদ মোয়াজ্জেম পিকনিক স্পটে যাওয়া যায়।
নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পটটি বিশাল এলাকাজুড়ে ছোট ছোট অনেকগুলো বিনোদন স্পট তৈরি করা হয়েছে কাপ্তাই লেকের পাড়ে। সবুজের ঝোঁপ-ঝাড়ের ফাকেঁ ফাকেঁ নিজেকে আড়ারল করে বিশাল কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য অবলোকন করা যাবে। লুকোচুরি খেলার এ এক অনন্য জায়গা। পাহাড়ের আড়ালে নিজেকে হারিয়ে অনুভব করা যাবে অনাবিল প্রশান্তি। ইঞ্জিনবোটযোগে কাপ্তাই লেক ভ্রমণসহ রাঙ্গামাটি ঘুরে আসা যাবে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই এ থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিচু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যাবে।
কাপ্তাই হ্রদ
রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই যাওয়া যায়।
সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
কাপ্তাই হ্রদের চারিদিকে কেবল পাহাড় আর হ্রদ, যেন প্রকৃতির মাঝে আপিন এক আগন্তুক মাত্র। বুনো প্রকৃতি ছাড়া আর কিছুই আশা করা যায় না এখানে। কিন্তু আপনি অবাক হবেন যখন চলতি পথে কোন একটি টিলার উপর দেখবেন পেদা টিং টিং এবং চাং পাং।
এমন এক পরিবেশে যেখানে আপনি এক গ্লাস খাবার পানি পাবেন না, সেখানে এই দুইটি রেষ্টুরেন্ট আপনার জন্য চা, কফি আর চিকেন ফ্রাই নিয়ে অপেক্ষা করছে। সত্যিই হতবাক করার মত ব্যাপার।
এছাড়াও এখানে পাবেন স্থানীয় খাবার "বিগল বিচি", "কচি বাঁশের তরকারী", "কেবাং"। পেদা টিং টিং একটা চাকমা শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ হচ্ছে পেট টান টান। অর্থাৎ মারাত্মকভাবে খাওয়ার পর পেটের যে টান টান অবস্থা থাকে, সেটাকেই বলা হয় পেদা টিং টিং। রাঙ্গামাটি শহর থেকে মাত্র ৪-৫ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের ভসমান একটি পাহাড়ে অবস্থিত এই পর্যটন সংস্থা। এখানে রেস্তোরা, কটেজ, নৌবিহার ব্যবস্থা, সেগুন বাগান ও অসংখ্য বানর রয়েছে। ইচ্ছে করলে মনোজ্ঞ কোন অনুষ্ঠানও আয়োজন করা যায়। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে রাত্রিযাপনও করতে পারবেন।
এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি কক্ষ সদৃশ ঘর।
রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।
শহর থেকে অটোরিক্সা কিংবা অন্য কোন মটরগাড়ি যোগে পাহাড়ের পাদস্থলে যাওয়া যাবে। পরে হেটে পাহাড়ে উঠতে হবে।
কতুকছড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই এ পাহাড়টি অবস্থিত। এ পাহাড় থেকে পুরো শহর দেখা যায়। এমনকি মেঘ না থাকলে চট্টগ্রাম শহরও দৃষ্টিগোচর হয়। এখানে আছে আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র। শহরের কোলাহল ছেড়ে এখানে নিরিবিলি পরিবেশে এক বেলা কাটিয়ে যাওয়া যায়। তবে এ স্থানে একা একা যাওয়া ঠিক হবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করে কিংবা তাদের সহযোগিতা নিয়ে যাওয়া উচিত।
উক্ত স্থানে থাকা-খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। মূল শহর হতে খুব বেশি দুরে নয়। তাই শহর থেকেই এ স্থানে যাওয়া যায়। সাথে প্রয়োজনীয় খাবার ও অন্যান্য দ্রব্যাদি রাখা যেতে পারে।
ভ্রমণের উপকারিতাঃ
জীবনের প্রয়োজনে,চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে আপনাকে আপনার এলাকার সম্পর্কে দর্শনীয় স্থানসমূহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এবং আপনার এলাকার বিশেষ বিশেষ কিছু নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্ন করতেই পারেন এবং ম্যাক্সিমাম সময় প্রশ্ন করে তাই আপনার এলাকা সম্পর্কে আপনার নিজের জানা উচিত তাই আপনার এলাকার সম্পর্কে আমরা খুঁটিনাটি সকল তথ্য তুলে ধরেছি। ভালোভাবে বাচাঁর তাগিদে যেমন সবসময় উন্নত জীবনযাত্রার কথা ভাবতে হয়। তেমনি মানুষিক সাস্থ্যের কথা ভেবে নিজ দেশে বা দেশের বাহিরে ঘুরতে যাওয়া ও প্রয়োজন। জেনে রাখা ভালো বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ। নিজ জেলার বা অন্য যে কোন জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামসংখ্যা দেখুন আলাদা আলাদা জেলার ছবিগুলোতে।সারাবছর ভ্রমণের স্থানসমূহ উন্মুক্ত থাকলেও আমরা সাধারণত শীতকালে ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।