ভূমি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু সংজ্ঞা
জমির মালিকানা বের করার উপায়
নামজারী বা মিউটেশন কি?
নামজারী বা মিউটেশন হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকানা পরিবর্তন করা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ পন্থায় ভূমি জমির মালিকানা অর্জন করলে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড আপটুডেট হালনাগাদ করাকে নামজারি বলা হয়। কোন ব্যক্তির নাম জানি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেওয়া হয় সেখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে উক্ত হিসাব বিবরণী অর্থাৎ খতিয়ানে মালিক এর নাম কোন মৌজা মৌজা জে এল নম্বর জমির দাগ নম্বর জমির পরিমাণ একাধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত প্রতিবছরের ধার্যকৃত খাজনা ভূমি উন্নয়ন কর ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।
জমা একত্রীকরণ কি?
নামজারী ও জমাভাগ একত্রীকরণ সম্পর্কে ধারণা প্রয়োজন তাহলো কোন ব্যক্তি একই মৌজার অন্তর্গত ভিন্ন ভিন্ন খতিয়ানের জমি খণ্ডগুলো একটিমাত্র খতিয়ানভুক্ত করে রেকর্ড সংশোধন হালকরণ করাকে বলে জমায়েতে উঁচু করুন জমা একত্রীকরণের এই কাজটি হয়ে থাকে প্রজাতন্ত্রের আইনে ১১৬ ধারা অনুযায়ী।
নামজারির গুরুত্ব?
শুধুমাত্র কোন দলিলের মাধ্যমে অর্জিত মালিকানার ভিত্তিতে অথবা ওয়ারিশ হিসেবে পিতা-মাতা জমি দখল সূত্রে থাকলেই সরকারি রেকর্ডে উক্ত ভূমিতে তার মালিকানা নিশ্চিত হয়। না কোন ভূমি তে কড়াইশুঁটি মালিক হবার পর পূর্বে মালিকের নাম হতে নাম কেটে বর্তমান মালিকের নাম অন্তর্গত করতে হয় তাহলে তার মালিকানা সরকারকর্তৃক নিশ্চিত হয় আর এটিই হল নামজারি পদ্ধতি আপনি যদি ওড়িশি সেবা করার সূত্র কোন জমির মালিক হন। কিন্তু নাম জানি না করেন তবে আপনার অজান্তে কোনভাবে এক বা একাধিক দলিল সম্পাদন করে কোন ব্যক্তি আপনার আগে নামজারি করে ফেলতে পারে তাতে আপনি পরবর্তী নামজারি করতে গেলে স্বাভাবিকভাবে সমস্যায় পড়বেন। বাস্তব ক্ষেত্রে জটিলতা আরো বাড়তে দেখা দেয় যখন উক্ত ব্যক্তি অপর এক বা একাধিক ব্যক্তির নিকট ওই জমি ইতিমধ্যে বিক্রয় করে ফেলেছে বর্তমানে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে এসব ক্ষেত্রে নানা রকম মামলা-মোকদ্দমা সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থ মানুষের মানুষের সম্পর্ক অবনতি ঘটায় সাধারণভাবে আমাদের ধারণা দলিল সম্পাদন হলেই কাজ শেষ নামজারির দরকার কি এটি অত্যন্ত ভুল ধারণা দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে শুধুমাত্র মালিকানা হস্তান্তর সরকারের স্বীকৃতি পাওয়া যায়না রেজিস্ট্রেশন আইন মন্ত্রণালয়ের আইন একটি অফিস সকল প্রকার দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন করেন উক্ত দপ্তরের কাজ দলিল রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত যিনি তিনি উক্ত জমির মালিক হিসেবে সরকারের অন্তর্গত আছেন কিনা তার কোন জেলা রেজিস্ট্রার দপ্তরে নেই ফলে ভুলবশত একই জমি এক বা একাধিক দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় এর ঘটনা ঘটে অপরদিকে ভূমি অফিস গুলো ভূমি মন্ত্রণালয় এর অধীনে যার কাছে সরকারের কাছে রেকর্ডভুক্ত মালিকদের নাম পূর্ববর্তী নাম জড়িত মালিকের নাম নথিসহ বিস্তর তথ্য থাকে ফলে একবার নামজারি করাতে সক্ষম হলে ওই জমির একাধিক বিক্রয় হলেও মূল মালিকের আর ক্ষতিগ্রস্ত বা হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা নামজারি আবেদনের মাধ্যমে আবেদন খারিজে স্বত্বলিপি অর্জন করেন যাকে প্রচলিত ভাষায় আমরা খতিয়ান বলে থাকি এর মাধ্যমে তার উক্ত জমিতে মালিকানা স্বত্ব প্রমাণের নিশ্চিত লাভ করেন যা অন্য কোন দালিলিক মাধ্যমে লাভ করেন না নামজারি করা না থাকলে শুধু একাধিক বিক্রয় আশঙ্কায় বিদ্যমান থাকে না পরবর্তী আপনার অর্জিত সম্পত্তিতে দখলে থাকলেও ও পরবর্তী আপনার অবর্তমানে আপনার উত্তরাধিকারীগণ উক্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বর্তমান ঋণ নিতে গেলে জমি বন্ধকের ক্ষেত্রে খতিয়ান ছাড়া আবেদন করা যায় না পড়লে প্রাপ্ত জমির মালিকানা যদি নামজারি না করা তাহলে তাদের মধ্যে বিশেষত অংশীদারগণ এবং বহু সাথে তাদের ওয়ারিশগণের মধ্যে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হয় এজন্য ওজনের সমঝোতার মাধ্যমে প্রথমের নামজারি সম্পন্ন রাখলে পরবর্তীতে অনেক জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হয়।
আইন সরকারি রুলস সরকারি হিসাব অনুযায়ী
জমা খারিজ কি?
যৌথ মালিকানার খতিয়ান ভেঙ্গে একক মালিকের নামে খতিয়ান খোলা বা একটি খতিয়ান থেকে অপরাপর মালিকের নাম্বার দেখেই বলা হয় জমা খারিজ এছাড়া মালিকের নাম কর্তন ও জমাখারিজ বলে অর্থাৎ জমা হতে কারো নাম কর্তন করা বাদ দেয়া বা নাম খারিজ করে ফেলাই হলো জমাকারী জমাখারিজ এর এই কাজটি হয়ে থাকে প্রজাতন্ত্র আইনে ১১৭ ধারা অনুসারে।
নামজারি খারিজ এবং একত্রীকরণ কি?
নামজারি জমা খারিজ এবং জমা একত্রীকরণ সম্পর্কে তুলনামূলক ভাবে আলোচনা করলে দেখা যায় যে নামজারি হলো সরকারি রেকর্ডে জমি মালিক হিসেবে কার নাম ঘোষণা করা বা জারি করা জমাখারিজ হলো কারো হোল্ডিং ভারতে জমি কর্তন করা কিংবা জোটের সম্পূর্ণ বা আংশিক বিভিন্ন স্থানান্তর করা অন্যদিকে জমা একত্রীকরণ হলো এক মালিকের একই মৌজায় ভুক্ত খতিয়ানের জমি হোল্ডিং ভুক্ত করা।
