- পদ্মা সেতুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার জুলাই থেকে দিতে
- হবে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে টোল
- পদ্মা সেতুর টোল তালিকা
- পদ্মা সেতুর টোল রেট
- পদ্মা সেতুর টোল কোন যানবাহনে কত
- পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২
পদ্মা সেতুর জন্য অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণি এবং দুলহান নির্ধারণ সংক্রান্ত গেজেট ১৭ই মে ২০২২
পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যাতায়াত সহজ হবে।
দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু পার হতে সময় লাগবে। সেতু বিভাগের নির্ধারণ করা
টোলের হার অনুসারে বর্তমান ফেরিতে পদ্মা নদীর এ পাড় হতে ও পার যে টাকা লাগে
সেতু পার হতে এর চেয়ে দ্বিগুণ বেশি টাকা খরচ হবে ।আর দ্বিতীয় তম বঙ্গবন্ধু সেতুর
টোল এর সঙ্গে তুলনা করে তা হবে প্রায় দেড় গুণ। পদ্মা সেতুতে প্রস্তাবিত কার্যকর হলে
বড় বাসে ২৮০০ টাকা এবং মাঝারি ট্রাকে লাগবে 2800 টাকা।
বর্তমানে পদ্মা নদী পার হতে ফেরিতে যানবাহন ভাড়া দিতে হয় ৭০ থেকে ৩৯৪০ প্রস্তাব
অনুসারে পদ্মা সেতুতে যানবাহন বেঁধে টোল দিতে হবে ১০০ থেকে ৬০০০ টাকার বেশি
এর মধ্যে কার জীপ ৭৫০ টাকা ফেরি তে ৫০০ টাকা বড় বাসে ২৪০০ টাকা
ফেরিতে ১৫৮০ টাকা মাঝারি ট্রাকের 2800 টাকা ফেরিতে ১০৮০
পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্ম পরিকল্পনা অনুসারে আগামী ৩০শে জুনের মধ্যে
নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ঠিকাদারের মধ্য সেতু চালু হবে ধরে নিয়ে টোল
আদায় কারী ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার নিয়োগ করছে সেতু বিভাগ এই কাজ
পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশনকে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি
এমবিসি এর মধ্যে এমবিসি পতনের মূল সেতু নির্মাণের এবং কেইসি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
হিসেবে কাজ করছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই দুটি প্রতিষ্ঠান সেতু সেতু দুই প্রান্তে
যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থাপনায় আধুনিক পদ্ধতি চালু এবং সেতু ও নদী শাসনের কাজ
রক্ষণাবেক্ষণ করবে এর জন্য 5 বছরে তাদের দিতে হবে ৬৯৩ কোটি টাকা।
- পদ্মা সেতুর টোল তালিকা
- পদ্মা সেতুর টোল রেট
- পদ্মা সেতুর টোল কোন যানবাহনে কত
- পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২
সেতু বিভাগ সূত্র জানায় টোল আদায়ে প্রস্তুতি নিতে এই মাসের শুরুর দিকে পেয়েছি ডিসিকে চিঠি দিয়েছে
সেতু বিভাগ সরকারি সংস্থাটি বলছে ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু করার সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের ১ জুলাই
থেকে শুরু করতে পারে সেভাবেই তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এই চিঠি পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টোল আদায়
সংক্রান্ত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কিনতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিকে ইতিমধ্যে ফরমাশ দিয়েছে।
সেতু বিভাগের যুগ্মসচিব রহিমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে একটা প্রস্তাব তারা
তৈরি করেছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য এ মাসে অথবা আগামী মাসের সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানিয়েছে মাস ছয়েক আগে পদ্মা সেতুর জন্য এই প্রস্তাব তৈরি করেছে সেতু বিভাগ
একটি কমিটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই প্রজ্ঞাপন দেবে সেতু বিভাগ ফসল নির্ধারণ করা হয়েছে তা
কমানোর সম্ভাবনা কম প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দেবেন বলে সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেছেন।
প্রস্তাবিত টোল হার
পদ্মা সেতুর মূল সেতু দৈর্ঘ্য৬ দশমিক ১৫কিলোমিটার বায়ার দুই প্রান্তে উড়ালপথ৩.৬৮ কিলোমিটার
সবমিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯.৮৩ কিলোমিটার অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায়৫ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু
সেতুতে ব্যয় হয়েছিল প্রায়৪৯৯৮ হাজার কোটি টাকা ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর সময় টোলের হার
ছিল বেশ কম ২০১১ সালে এবং সর্বশেষ গত বছর বাড়ানো হয়েছে পদ্মা সেতু প্রস্তাবিত উপহার বঙ্গবন্ধু
সেতুর প্রায় দ্বিগুণ।
বর্তমানে পদ্মা নদীর পাড় হতে ভাড়া দিতে হয় ৭০ থেকে ৩৯৪০ টাকা প্রস্তাব অনুসারে পদ্মা সেতুতে
দিতে হবে ১০০ থেকে ৬ হাজার টাকার বেশি ।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হলো এর ব্যয় টাকা ঋণ হিসেবে সেতু কর্তৃপক্ষ কে দিয়েছে
অর্থমন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সেতু কর্তৃপক্ষ সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ নিজেদের
আয় চলবে প্রতিষ্ঠানটি পদ্মা সেতুর জন্য নেওয়া ৩১ শতাংশ সুদ হার ৩৫ বছরের ফেরত দিতে হবে সেতু
কর্তৃপক্ষ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ অর্থবছর থেকে জিনের কিস্তি পরিশোধ শুরু করার
উল্লেখ করা হয়েছে।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তা বলেছে এই চুক্তি কিছুটা সংশোধন করা লাগবে ২০২০ সালের সেতু চালু হবে ধরে
নিয়ে চুক্তি হয়েছিল সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠান দেওয়া জিনিস ফেরত দিতে হবে না এমন একটা সিদ্ধান্ত আছে
সরকারের পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও এমনটা চাইছে সেতু বিভাগ এছাড়া প্রকল্পের টাকা কেনা জমি সেনাবাহিনীসহ
সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ।
এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা এর মধ্যে জাপান
সরকারের ঋণ মওকুফ তহবিলের অর্থ ৩০০ কোটি টাকা এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে না হলে
প্রায় ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত দিতে হবে এর সঙ্গে বাড়তি১ শতাংশ হারে
সুদ পরিশোধ করতে হবে ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের টাকা সেতুতে রেল চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সেতুর পাশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন
লাইন বসানোর জন্য যে ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে তাও পদ্মা সেতু প্রকল্পের টাকায় রেল চলাচলের জন্য
বছরের ধার্য করা হবে তবে এ কোন পরিমাণ ঠিক হয়নি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইনের জন্য কত তেল পাওয়া
যাবে সেটাও চূড়ান্ত হয়নি।
টাকা আয় কিভাবে হবে
সেতু বিভাগ সূত্র জানায় চুক্তি অনুসারে প্রথম বছরেই সেতু বিভাগ কোটি টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে
হবে এই সময়ে থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায়৫০০ কোটি টাকার ১৫% ভ্যাট দিতে হবে
এর জন্য ঠিকাদার এর পেছনে বছরে প্রায় ১০০কোটি টাকার বেশি হলে শুরুতেই এর চেয়ে বেশি হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মিত হয়েছিল বিশ্বব্যাংকসহ বহুজাতিক সংস্থার অর্থায়নে সেতু চালু ১০ বছর
পর্যন্ত ঋণের কিস্তি দিতে হয়নি এ সময়টা ছিল হাজার ৯৯৮ সালে সেতুটি চালুর পরবর্তী ১০ বছর
যানবাহনের সংখ্যা ধারণার চেয়েও বেড়ে যায় ফলে আয় বৃদ্ধি পায় ঋণের কিস্তি পরিশোধের কোন
সমস্যা হয়নি।
সেতু বিভাগ সূত্র বলছে পূর্বাভাস অনুযায়ী পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল বাড়বে সেই ক্ষেত্রে
ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে এই সেতু থেকে মুনাফা সম্ভব।
৭ এপ্রিল সরকারি সংস্থা মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের
বলেছিলেন পদ্মা সেতু থেকে পূর্ণমাত্রায় টোল আদায় করা হবে শুধু টোল আদায় হবে না এ সেতু থেকে
মুনাফা হবে প্রকল্পের জন্য যে পরিমান খরচ হয়েছে তার চেয়ে বেশি অর্জন করা হবে সারা বিশ্ব তাই করে ।
সড়কে টোল লাগবে
পদ্মা সেতুর বাইরে ঢাকা পোস্তগোলা ও বাবুবাজার থেকে ফরিদপুর ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেস ওয়ে প্লেনে
দ্রুতগতির ব্যবহারের জন্য টোল দিতে হবে আগামী জুলাই থেকে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সড়কের
নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সড়ক জনপথ অধিদপ্তর।
সহজ সূত্র জানায় পরিকল্পনা অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য একটি বাসে প্রতি
কিলোমিটারে 9 tk টোল দিতে হবে মাঝারি একটি ট্রাকে টোল হবে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা
এক্ষেত্রে পোস্তগোলা কেরানীগঞ্জ নদীতে ২ দুটি সেতুসহ বাকি সেতুতে আলাদা হবে না।
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার হিসেবে প্রতিটি
গাড়িতে ৪৯৫ এবং ট্রাকে 500 টাকা দিতে হবে তবে আরও বাড়ানোর চিন্তা করছে
সহজে এক্সপ্রেস নির্মাণের খরচ হয়েছে ১১৩৯০ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পশ্চিমাঞ্চলে ১৯ টি জেলায় সরাসরি সারাদেশের
সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা ভাঙ্গা যাতায়াতের সময় কমে এক ঘন্টায় নেমে আসবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান প্রথম আলোকে
বলেন পদ্মা সেতু চালু হলে ওই পথে যাতায়াতের যুগান্তকারী পরিবর্তনের কম সময়ে যাতায়াত করার
কারণে যানবাহনের জ্বালানি খরচ কমে যাবে জাতীয় অর্থনীতিতে গতি আসবে ব্যাবসায়ী হিসেবে এই
দিকগুলোকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তবে সেতু ও সরল যতটা সম্ভব সরকার কম রাখবে বলে
আশা করছে তিনি কারণেই সড়ক ও সেতু সব শ্রেণীর মানুষ ব্যবহার করবে।
জীবনের প্রয়োজনে, ভালোভাবে বাচাঁর তাগিদে যেমন সবসময় উন্নত জীবনযাত্রার কথা ভাবতে হয়। তেমনি মানুষিক সাস্থ্যের কথা ভেবে নিজ দেশে বা দেশের বাহিরে ঘুরতে যাওয়া ও প্রয়োজন। জেনে রাখা ভালো বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ। নিজ জেলার বা অন্য যে কোন জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামসংখ্যা দেখুন আলাদা আলাদা জেলার ছবিগুলোতে।সারাবছর ভ্রমণের স্থানসমূহ উন্মুক্ত থাকলেও আমরা সাধারণত শীতকালে ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।