জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিদেশে যেতে ইচ্ছে হলে অবশ্যই আগে বিষয়গুলো জানুন


  • জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো

    বিদেশে যেতে ইচ্ছে হলে অবশ্যই আগে বিষয়গুলো জানুন


  •  বিদেশ যাওয়ার জন্য একজন কোথায় যোগাযোগ করব?
  •  বিদেশ যাওয়ার আগে কোন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন?
  •  আদম বেপারী প্রতারণা হতে সাবধান থাকার উপায়?
  •  কিভাবে বৈধ উপায়ে স্বল্প খরচে বিদেশে যাওয়া যায়?
  •  শ্রম জনশক্তি  ব্যুরো কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা প্রদান করেন?
  • বিদেশ যাওয়ার  যাত্রাপথে বিদেশগামী কে কি কি  কাজ করতে হবে?
  •  বিদেশে হতে পাঠানো টাকা কোথায় কিভাবে বিনিয়োগ করবেন?
  •  বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস কি কি সেবা দেয় তা জানা?
  •  বিদেশ গমনের পর বিদেশে তার করণীয় কী?
  •  বিদেশে থাকা কালিন সময় তার জীবনযাত্রা?


মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ


বিদেশে কর্মীদের কর্ম হলের জীবন ব্যবস্থা 

প্রবাস জীবনে পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী থাকতে হয়। তাই মানসিক কষ্ট থাকা স্বাভাবিক।

তাই ভিন্ন পরিবেশে অভিন্ন সংস্কৃতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 


 কাজের সময়

  • আন্তর্জাতিক শ্রম আইনে কাজের সময় দৈনিক ৮ ঘন্টা
  • তবে পোশাক কারখানা, নির্মাণ কাজ, কৃষি খামারের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেশি সময় ও কাজ করতে হতে পারে।
  • গৃহকর্মীদের ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজের সময় নির্ধারণ হয়।


 বাসস্থান

  •  মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যাম্পে থাকতে হয়।
  •  বাংলাদেশের চাইতে তাপমাত্রা ২/৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবেশি হয়।
  •  দিনে প্রচন্ড গরম এবং রাতে তীব্র শীত অনুভব হতে পারে।


 বিদেশ যাওয়ার পূর্বে করণীয়

  • বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদান
  • উদ্যোগে বা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট/ এন ও সি/ এন্টি- সংগ্রহ করলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তে উপস্থিত হয়ে বা রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বহির্গমন ছাড়পত্রের Emigration Clearance জন্য আবেদন করতে হবে।


 ছাড়পত্রের জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে


১। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে নিবন্ধনকৃত কার্ড

২। ভিসারর পৃষ্ঠাসহ পাসপোর্ট এর প্রথম ৬ পৃষ্ঠার ফটোকপি

৩। মূল ভিসা এডভাইস/ এন্টি- পারমিট/ ওয়ার্ক- পারমিট/ এন ও ফটোকপি ১৫০/ টাকা মূল্যবান নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ব্যক্তিগত অঙ্গীকারনামা পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সরকারি/ সাহিত্য শাসিত/ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা হতে রিলিজ অর্ডার বাসনপত্র।

 ৪। বিদেশগামী মহিলার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আর আপত্তি পত্র।

 ৫। পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সরকার/ সাহিত্য শাসিত/ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদেরকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা হতে রিলিজ অর্ডার বাসনপত্র।

 ৬। অভিসার বিদেশগামী মহিলার ক্ষেত্রে আইনানুগ অভিভাবক থেকে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অনাপত্তি পত্র।


 বিদেশ যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হোন

 নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র আপনার কাছে রয়েছে কিনা


  •  পাসপোর্ট
  •  চাকুরির চুক্তিপত্র
  •  ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে 
  •  দূতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
  •  ভিসা
  •  জনশক্তি ব্যুরো ছাড়পত্র
  •  মেডিকেল রিপোর্ট
  •  টিকিট
  •  টাকা প্রদানের চুক্তিপত্র পরীক্ষা
  •  বিদেশে যাওয়ার কমপক্ষে দুদিন আগে এজেন্সির কাজ থেকে চুক্তিপত্র নিতে হবে এবং চুক্তিপত্রের বিষয়গুলো পরীক্ষা করে নেবেন।

বিদেশ যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হোন

নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র আপনার কাছে রয়েছে কিনা

চাকরি নাম, কোম্পানি নাম, চাকরিদাতার নাম, ঠিকানা, কর্মক্ষেত্র, চাকরি মেয়াদ, চুক্তির মেয়াদ, মাসিক বেতন, ছুটি ও সামাজিক, যাওয়া-আসার বিমান ভাড়া, নিয়মিত কর্মঘন্টা, সাপ্তাহিক ছুটি, ওভারটাইম, বাৎসরিক ছুটি, বেতন সহ ছুটি, বেতন ছাড়া ছুটি, অসুস্থ জনিত ছুটি, মেডিকেল স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা, কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে অসুস্থ, মৃত্যুর জন্য ক্ষতির অংক, যাতায়াত ভাড়া, খাবার ভাতা, মৃত্যু লাশ দেশে পাঠানো ইত্যাদি।



 বিদেশ যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করণীয়


 ১। বিদেশ যাওয়া পথে যা যা নিতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করবেন।


 ২। ক্যারি অন ব্যাক যে ব্যক্তি বিমানে নিজের সাথে রাখবেন সেখানে টাকাপয়সা গহনা ভ্রমণ চাকুরী সংক্রান্ত কাগজপত্র রাখবেন।


 ৩। চেকিং এ যে ব্যাগ ব্যক্তি বিমানে দেবেন, সে ব্যাগ ওজন করবেন এবং ২০ কেজি ওজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন।


 ৪। ব্যাগটি দড়ি বা প্যাকিং টেপ দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নেবেন যাতে যাত্রাকালীন সময় ছিড়ে না যায়।


 ৫। ভ্রমণের জন্য হালকা কিন্তু শক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি এবং ভালো তালা কিনবেন।


 ৬। প্রতিটি ব্যাগে নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে রাখবেন।


৭। বিদেশ যাওয়ার পথে যা যা নিতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করবেন।


৮। অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া কোন জিনিস বহন করবেন না।


 ৯। কখনোই ধারালো বস্তু বহন করবেন না। যেমন ব্লেড, কাচিঁ বা ছুরি ইত্যাদি সিকিউরিটি চেক এর সময় ধরা পড়ে এবং ফেলে দেওয়া হয়।


  •  নিষিদ্ধ কোন জিনিস নেওয়া যাবে না
  •  প্লেনে এয়ারপোর্টে ধূমপান নিষিদ্ধ
  •  মোবাইল ফোন রেডিও ব্যবহার করা নিষেধ
  •  অগ্নি অস্ত্র ও বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ
  •  নিষিদ্ধ ড্রাগ নিষিদ্ধ
  •  আগুন ধরে এমন তরল পদার্থ লাইট
  •  দুর্গন্ধ বের হয় এমন পদার্থ
  •  মাংস, দুধ, ডিম, অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার ফুল, ফল, সবজি, সাদা পাতা ইত্যাদি।


 ১। কাউন্টারে প্রার্থীর পাসপোর্ট, ভিসা, জনশক্তি ব্যুরো ছাড়পত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করে সঠিক থাকলে কেবল

২। পাসপোর্ট সিলমোহর করে প্রার্থীকে ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।


 এবং সেখানে বিমানে আরোহণের পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়


 ১। ইমিগ্রেশন এর সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়ানো, আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, এসআরকে ও কাস্টম রমস তৈরি থাকুন।

২।  অফিসারঃ আপনার পাসপোর্ট ওই দেশের বিমান বন্দরে পাঠিয়ে দেবে।


 বিমানে কি করবেন 


১। বিমানে আরোহন এর পূর্বে ইংরেজিতে ও বাংলায় মাইক্রোফোনের ঘোষণা করা হয় এবং ডিসপ্লে বোর্ড ও টেলিভিশনে মনিটরে দেখানো হয়।

 ২। ঘোষণার পরপরই বোর্ডিং পাস কার্ড হাতে নিয়ে বিমানের দিকে অগ্রসর হতে হয়।


 বিদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে করণীয়

 সংগ্রহ


কোন কনভেয়ার বেল্ট, কনভেয়ার বেল্টের উপর আপনার ফ্লাইট নাম্বার দেয়া থাকবে, সেটা খেয়াল করুন।


 কাস্টমস

 আপনার কাস্টম দিস্তন্স ফ্রম দিন

 কাস্টমস অফিসার চাইলে ব্যাগ খুলে দেখান


 হারানো ব্যাগ খুঁজুন


ব্যাগ না পাওয়া গেলে হারানো গেলে সাথে সাথে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং ফরম পূরণ করুন প্রয়োজনে তথ্যকেন্দ্রের সহায়তা নিন।


 এয়ারলাইনস আপনার খুঁজে বের করে আপনার চূড়ান্ত গন্তব্য যোগাযোগ করবেন,

 আপনার হারানো আপনাকে পৌঁছে দেয়া হবে, নীতিমালা আপনাকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।


কাজের সময়

 ১।আন্তর্জাতিক শ্রম আইনে কাজের সময় দৈনিক ৮ ঘন্টা

 ২।কিন্তু বা কারখানায় নির্মাণকাজ কৃষি খামারএর ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেশি সময়ও কাজ করতে হতে পারে।

 ৩।গৃহকর্মীদের ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজের সময় নির্ধারিত হয়।


 বাসস্থান

  •  মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যাম্পে থাকতে হয়।
  •  বাংলাদেশের চাইতে তাপমাত্রা ২/৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকে।
  •  দিনে প্রচন্ড গরম এবং রাতে তীব্র শীত অনুভব করতে পারে।


 খাদ্য


১। নিয়মিত ভাত খাওয়ার সুযোগ থাকে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রুটি বা পাস্তা জাতীয় খাবারের ব্যবস্থা থাকে।


 ২। অনেক নিয়োগকর্তা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন অথবা খাবারের জন্য টাকা দিয়ে দেন।


 ৩। অনেক সময় কোম্পানির দেয়া খাবার খেতে ভালো লাগে না বলে শ্রমিকরা নিজেরাই রান্না করে খেতে পছন্দ করেন।


 চিকিৎসা

১। চুক্তিপত্র অনুযায়ী নিয়োগকর্তা কর্তৃক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হয়।


 ২। সাধারণত এসব দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো হেলথ কার্ড এর মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকেন


 ৩। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জলবায়ু প্রকল্প, যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য কোন ক্রিম সাথে নেওয়া ভালো।


 ৪। দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকলে যেমন হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দেশ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে যাওয়া অবশ্য ভালো।


 ৫। প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিদেশে প্রয়োজনীয় ঔষধ ক্রয় করা যায়না।


 ৬। বিদেশের জীবনযাত্রা


  •  কোথাও গেলে নিয়োগকারীর অনুমতি সাপেক্ষে গমন করবেন।
  •  কর্মরত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মস্থলে রীতি মেনে ও শৃঙ্খলা মেনে চলবেন।
  •  আপনার অর্ত বৈধভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরণ করবেন অবৈধ প্রেরণ করবে না।
  •  সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়মকানুন মেনে চলতে চেষ্টা করবেন।


 যে কারণে কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়

  1.  ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়
  2.  ওয়ার্ক পারমিট না থাকা
  3.  মেডিকেল পরীক্ষার জন্ডিস, যক্ষা হাঁপানি এইচ আই ভি/ পজেটিভ এইডস
  4.  নিয়োগকর্তা সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকা
  5.  বেআইনিভাবে চাকরি পরিবর্তন করা বা কর্মস্থল থেকে পলায়ন করা


 বিদেশ  দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ সহযোগী সাহায্য পাওয়া যায়


  •  বাংলাদেশ দূতাবাস
  •  অভিবাসী কমিউনিটি বা অন্য শুভাকাঙ্ক্ষী সহকর্মী
  •  বিদেশে মানবাধিকার সংস্থা যদি থাকে
  •  উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও সমূহ যদি থাকে
  •  বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ স্টেশন


 বিদেশে সমস্যা মুক্ত থাকার জন্য করণীয়


  1.  বাংলাদেশি দূতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করুন
  2.  যে দেশে কাজ করছেন সে দেশের শ্রম আইন সমূহ জেনে রাখুন
  3.  হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুলিশ স্টেশন এর ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করুন
  4.  বিদেশে বাংলাদেশী ব্যাংক সমূহ ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করুন এবং নিজের নামে ব্যাংকে টাকা রাখুন
  5. বিদেশে আপনার কর্মস্থলের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার এবং নিয়োগকর্তার বিস্তারিত তথ্য দেশে পরিবারকে জানিয়ে রাখুন
  6.  অন্য দেশের অধিবাসী শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন তাদের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার রাখুন।


 ওয়ার্ক পারমিট

১। ওয়ার্ক পারমিট হলো বিদেশে কাজের অনুমতিপত্র যা সংশ্লিষ্ট দেশের লেবার ডিপার্টমেন্ট থেকে সরবরাহ করা হয়।


২। বিদেশে চাকরি করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন।


 ৩।অনেক দেশেই বিমান বন্দরে শ্রমিকদের ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স এর সময় এক বছরের ওয়ার্ক পারমিট এন্ডোস করা হয়।


 ৪।অন্যান্য দেশের লেবার অফিস থেকে এই ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয় বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করণীয়সমূহ।

 দূতাবাসের সেবা সকলের জন্য সেবা ।


Previous Post
Next Post
Related Posts