সরকারি কর্মচারী সাজাপ্রাপ্ত বরখাস্ত অধ্যাদেশ

 


সরকারি কর্মচারী সাজাপ্রাপ্ত বরখাস্ত অধ্যাদেশ ১৯৮৫

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সাজাপ্রাপ্ত হলে বরখাস্ত 


সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বাতিল হওয়ায় আদেশটি কার্যকারিতা হারাইলে ১৯৮২  সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬  সালের ১১নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ বিশেষ বিধান আইন ২০১৩  সনের ৭  নং আইন দাঁড়াইয়া দেশটির কার্যকরিতা বহাল রাখা হয়।


 সংক্ষিপ্ত শিরোনাম

এই অধ্যাদেশ কর্মচারী সাজা প্রাপ্তিতে বরখাস্ত অধ্যাদেশ ১৯৮৫  নামে অভিহিত হইবে।


 সংজ্ঞা

 এই অধ্যাদেশের বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিস্থিতি কিছু না থাকিলে

 কর্মচারী অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং সরকারকর্তৃক বা কোন আইন দ্বারা বা আইনের অধীনে সৃষ্টি বা স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন, কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা সহজে কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের, বিধিবদ্ধ কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ডাইরেক্টর, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ট্রাস্টি, মেম্বার কমিশনার, শিক্ষক, কর্মকর্তা বা অন্যান্য কর্মচারী তবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ কর্মচারীর অন্তর্ভুক্ত হইবে না-


  •  প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য অথবা 
  • কোন আইনের অধীনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ
  •  তফসিল- এই অধ্যাদেশের সংযুক্ত তফসিল

সাজা প্রাপ্তির কারণে বরখাস্ত 

বিদ্যমান অন্য যে কোন আইনে অথবা কোন বিধি, প্রবিধি, উপ-আইন, দলিলপত্র বা চুক্তি বা চাকরির শর্ত বলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন কর্মচারী তফসিল বর্ণিত ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হইলে, রায় ঘোষণার তারিখ হইতে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি হইতে বরখাস্ত হিসেবে গণ্য হইবেন।


সাজা প্রাপ্তির কারণে বরখাস্ত 

 তফসিল বর্ণিত ফৌজদারি অপরাধে সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তি একজন গণকর্মচারী ইহা যদি বিচার কার্যক্রম এর কোন পর্যায়ে আদালতের বছরে আসে, তাহা হইলে আদালত রায় ঘোষণার পর পরই সাজা প্রদানের বিষয়টি কর্মচারী নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।


সাজা প্রাপ্তির কারণে বরখাস্ত 

 উপধারা ১  এর অধীনে দরখাস্ত কর্মচারীর মাধ্যমে আপিল আদালত কর্তৃক পাইলে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হইবেন, যদি না ইতিমধ্যে তিনি অবসর গ্রহণের বয়স উপনীত হইয়া থাকেন অথবা সংশ্লিষ্ট পদ বা চাকরি বিলুপ্তি হয়ে থাকে।


 অব্যাহতি ইত্যাদি

 যে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি হন, কোন সরকারী কর্মচারীকে ধারা ৩ এর বিধান হইতে অব্যাহতি দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রহিয়াছে, সেই ক্ষেত্রে তিনি আদেশের মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, উক্ত কর্মচারীর উপর ধারা-৩  প্রযোজ্য হইবে না। তদপ্রেক্ষিতে উক্ত গণকর্মচারী চাকরি হইতে বরখাস্ত হিসেবে গণ্য হইবে না।


যে ক্ষেত্রে উপধারা ১  এর অধীনে রাষ্ট্রপতি কোন আদেশ প্রদান করেন, সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ নয়, এমন কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারী সম্পর্কে দরখাস্তের আদেশ ব্যতীত অন্য যে কোনো আদেশ যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন, শের উপদেশ দিতে পারিবেন।


 অন্যান্য আইনের প্রয়োগ ইত্যাদি

 এই অধ্যাদেশের বিধানসমূহ সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা বিষয়ক চাকরি সংক্রান্ত বিদ্যামান অন্য যে কোন আইন, বিধি ও প্রবিধান, কিন্তু পরিস্থিতি নয়।


ধারা-৩(১) 

যে কোন আইনে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা এক বছরেরও অধিক কারাদণ্ড, বা ১০ হাজার টাকার অধিক জরিমানা দন্ড, বা উভয় প্রকার দণ্ডের বিধান সম্মতিও অপরাধ।


বিশ্লেষণ- ট্রান্সপোর্টেশন বা দ্বীপান্তর বলিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বোঝায় 


Previous Post
Next Post
Related Posts