নতুন নিয়মে এন আই ডি কার্ড সংশোধন NID ২০২২

 


নতুন নিয়মে এন আই ডি সংশোধন NID

যারা নতুন নিয়মে NID এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) ভুল সংশোধন করতে চান তাদের জন্য!

নতুন নিয়মে নতুন প্রসেসে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের জন্মতারিখ, নাম, পিতার নাম,মাতার নাম, নিজের নাম, ঠিকানা, নিজের ছবি, নিজেই যেভাবে সংশোধন করবেন!

ন্যাশনাল আইডি অর্থাৎ NID সংশোধন করতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বরাবর আপনাকে সংশোধন ফি বাবদ টাকা জমা দেওয়া লাগবে। সে কাজটিও আপনি ঘরে বসে অনলাইনে করতে পারেন খুব সহজেই আপনার মোবাইলের মাধ্যমে। ঘরে বসেই এনআইডি সংশোধন এর টাকা জমা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।


পোস্ট এ যেভাবে বলা হচ্ছে সেইভাবে আপনাকে ভালো করে ফলো করতে হবে NID সংশোধন করতে।


NID কার্ডের সংশোধনের পুরো প্রসেস

মোবাইল বা পিসি থেকে আপনি প্রথমে সার্চ করবেন Nid bd প্রথম যে লিংকটা আসবে ওটা আপনি দেখবেন সেটা বাংলাদেশি লিংক কিনা যদি বাংলাদেশে হয় তাহলে আপনি ক্লিক করে প্রথমে যে অপশনটি আসবে সেখানে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে কারণ আমরা এখানে নতুন তাই আমাদের প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে রেজিস্ট্রেশন করা সম্পন্ন হলে এরপর আমাদের এখানে ভোটার আইডি নাম্বার /ন্যাশনাল আইডি অর্থাৎ NIDনাম্বার দিতে হবে এবং আপনাকে আপনার জন্ম তারিখ দিতে হবে।


আমরা দ্রুত সম্পন্ন করলাম জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি নাম্বার দিলাম এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী জন্মতারিখ যেটা আমরা ভোটার আইডিতে দিয়েছিলাম সেটা দিলাম। পরে আমরা জন্ম সাল টা দিব, জন্ম সালটা দেওয়ার পর কম্পিউটারের বা মোবাইলে বা ল্যাপটপে ডিসপ্লেতে একটি চার সংখ্যার ডিজিট ভেসে আসবে FMBE এভাবে একেকজনের একেক রকমের আসবে সেটা আমরা পরবর্তী অপশনে বসাবো। বসানো হয়ে গেলে এরপর আপনার কাছে আপনার বর্তমান ঠিকানাটা জানতে চাইবে আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানাটা দিয়ে দিবেন। যেভাবে আপনি ন্যাশনাল আইডি কার্ডের দিয়েছেন ঠিক সেভাবে বর্তমান ঠিকানা টা দিয়ে দিবেন। ঠিকানাটা এভাবে আসবে, বিভাগ খুলনা, থানা তেরোখাদা, ডাকঘর হাড়িখালি, গ্রাম গাজীপুর, বাড়ী/সড়ক বা হোল্ডিং নম্বর ও দিতে হতে পারে। এভাবে আপনাকে ঠিকানাটি লিখে এই অপশন এর পর আমরা অন্য অপশনে চলে যাব।


সেখানে প্রথমে গিয়ে আপনার একাউন্ট নাম্বার অর্থাৎ আপনার মোবাইল নাম্বার যেটি দেওয়া ছিলো সে মোবাইল নাম্বারটি দিবেন আপনি ইচ্ছা করলে আপনার মোবাইল নাম্বার ও পরিবর্তন করতে পারেন। সেখানে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন এর অপশন রয়েছে  এখানে আপনাকে কিছুক্ষণ সময় নিতে পারে আপনার ভয় পাওয়ার কিছুই নেই আপনি একটু অপেক্ষা করবেন এরপর মোবাইলে একটি কোড চলে আসবে কোডটি আপনার মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ যেখানেই হোক না কেন বসাতে হবে আপনি যেটা দিয়ে কাজ করছেন ঠিক সময় মত আপনার পরবর্তী অপশনে চলে যাবে। এরপর আপনার ক্যামেরা এক্সচেঞ্জ টি যাবে আপনি ক্যামেরা এক্সচেঞ্জ এর অনুমোদন দিয়ে দিবেন।


এরপর আপনার পেজটাকে পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ আপনি প্লে স্টোরে PLAY STORE / APP STORE স্টোরে চলে যাবেন PLAY STORE / APP STORE স্টোরে ঢুকে ছবির অপশনে গিয়ে আপনি ছবি তুলে নিবেন যদি আপনি চান পাসওয়ার্ড সেভ করতে পারবেন সেভ করার পর প্রথমে আপনাকে এডিট অপশনে গিয়ে এডিট করতে হবে। যেখানে আপনার ভুল আছে সেখানটায় আপনাকে এডিট করবেন এবং সঠিকটা বসাবেন এডিট অপশন বসানোর পর আপনার এই ভুলের জন্য কত টাকা ফি দিতে হবে সে বিষয়টা আপনার উপরে অপশন আছে। উপরের অপশন দেখে আপনি বসাতে পারবেন আপনি বিকাশের মাধ্যমে, নগদের রকেটে টাকা পরিশোধ করার অর্থ ফি দেওয়া অপশন রয়েছে এই যে আপনার সময় অনেক কম লাগবে আপনি আপনার সরকারী  ফি এর বিকাশ আপনার বড় ধরনের ভুলের জন্য আপনাকে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে যে সকল কাগজপত্র আপনার সঙ্গে রাখতে হবে, যেমন আসল সার্টিফিকেট, জন্মসনদ, পিতা মাতার কাগজাদি বিবাহ তথ্যাদির ক্ষেত্রে স্বামীর কাগজাদি বা কাবিননামা ।


পাসওয়ার্ড তৈরি ক্যাপিটাল লেটার 

পাসওয়ার্ড তৈরি ক্যাপিটাল লেটার এ চিহ্ন দু‘বার ব্যবহার করুন। যেমন: STSTSTY 12341 এবার ক্লিক করলে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে/ভূল সংশোধনের:

যেমন: ছবি, বাংলায় নাম, পিতার নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার নাম বাংলায় ও ইংরেজীতে, মৃত হলে সনদ, লিঙ্গ, রক্তের গ্রুুপ, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, কোর্টের এফিডেভিড, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, বিবাহিত হলে স্ত্রীর তথ্যাদি, ২য় স্ত্রী থাকলে তার তথ্য দিতে হবে। ভাড়াটিয়া হলে বাড়িওয়ালার nid, বিদ্যু’ বিল, বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া কর্তৃক ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র, প্রবাসী হলে ভিসার সিল ও তারিখসহ পাসপোর্টর কপি। নিবন্ধন ফরমের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সনাক্তকারী হিসেবে বাবা, মা। নিবন্ধন ফরমের ৪০, ৪১, ৪২ যাচাইকারী হিসেবে পাসওয়ার্ড স্বাক্ষর করতে হবে। সকল সনদের সফট কপি ও হার্ড কপি প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।







এ সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে অবশ্যই আপনি রিসিভ কপিটি নিয়ে নিবেন। অবশ্যই রিসিভ কপিতে স্বাক্ষরিত হতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন কমিশন এ জমা দেওয়ার পর রিসিভ কপিটি গ্রহণ করে নিজের সংরক্ষণে রেখে দিবেন। 

যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বা যে কোন প্রয়োজনে রিসিভ কপিটি আপনার প্রয়োজন হবে।

Previous Post
Next Post
Related Posts