Bangladesh Labor Act 2006 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬



 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

২০০৬ সনের ৪২নং আইন 


শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরীর হার নির্ধারণ, মজুরী পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্যে ক্ষতিপূরণ, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শিল্প বিরোধ উত্থাপন ও নিষ্পত্তি, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও চাকুরীর অবস্থা ও পরিবেশ এবং শিক্ষাধীনতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে সকল আইনের সংশোধন ও সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরীর হার নির্ধারণ, মজুরী পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শিল্প বিরোধ উত্থাপন ও নিষ্পত্তি, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও চাকুরীর অবস্থা ও পরিবেশ এবং শিক্ষাধীনতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে সকল আইনের সংশোধন ও সংহতকরণকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 
 

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

গঙ্গা সমূহ

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) "অবসর" অর্থ এই আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী কোন শ্রমিকের নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে চাকুরীর অবসান। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে ২৫ বছর চাকুরী পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে শ্রমিকের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকেও অবসর বলিয়া গণ্য হইবে;

(১-ক) "আংশিক অক্ষমতা" অর্থ, যে ক্ষেত্রে অক্ষমতা অস্থায়ী প্রকৃতির, এমন অক্ষমতা যাহা যে দুর্ঘটনার কারণে তাহার অক্ষমতা সৃষ্টি হইয়াছে তাহা ঘটিবার সময় তিনি যে কাজে নিয়োজিত ছিলেন তৎসম্পর্কে তাহার উপার্জন ৰমতা কমাইয়া দেয় এবং যে ক্ষেত্রে অক্ষমতা স্থায়ী প্রকৃতির, এমন অক্ষমতা যাহা উক্ত সময়ে তিনি যে যে কাজ করিতে পারিতেন তাহার প্রত্যেকটি সম্পর্কে তাহার উপার্জন ক্ষমতা কমাইয়া দেয়ঃ-

তবে শর্ত থাকে যে, প্রথম তফসিলে উলিস্নখিত প্রত্যেক জখম স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা সৃৃষ্টি করে বলিয়া গণ্য হইবে;


(২) "উৎপাদন প্রক্রিয়া" অর্থ নিম্নোক্ত যে কোন প্রক্রিয়া, যথাঃ-

 

(ক) কোন বস্তু বা পদার্থের ব্যবহার, বিক্রয়, পরিবহন, বিতরণ, প্রদর্শন বা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে উহা প্রস্তুত, পরিবর্তন, মেরামত, অলংকরণ, রংকরণ, ধৌতকরণ, সম্পূর্ণ বা নিখুঁতকরণ, গাঁট বা মোড়কবন্দীকরণ অথবা অন্য কোনভাবে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় আরোপকরণ,

 

(খ) তৈল, গ্যাস, পানি, নর্দমার ময়লা অথবা অন্য কোন তরল আবর্জনা পাম্প করার প্রক্রিয়া,

 

(গ) শক্তি বা গ্যাস উৎপাদন, হ্রাস-বৃদ্ধিকরণ বা প্রেরণ প্রক্রিয়া,

 

(ঘ) জাহাজ বা নৌ-যান নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, মেরামত, সম্পূর্ণ বা নিখুঁতকরণ বা ভাঙ্গনের প্রক্রিয়া,

 

(ঙ) লেটারপ্রেস, লিথোগ্রাফি, ফটোগ্রেভোর, কম্পিউটার, ফটো কম্পোজ, অফসেট অথবা অনুরূপ কোন প্রক্রিয়া দ্বারা ছাপার কাজ অথবা বই-বাঁধাই এর প্রক্রিয়া যাহা ব্যবসা হিসাবে অথবা মুনাফার জন্য অথবা অন্য কোন ব্যবসার আনুষঙ্গিক বিষয় হিসাবে পরিচালিত হয়;

 

[ (২ক) ‘‘উৎসব ভাতা’’ অর্থ কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে তাহাদের স্ব স্ব ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে প্রদেয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত উৎসব ভাতা;]

 
 

(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে "কর্মকর্তা" অর্থ উহার নির্বাহী কমিটির কোন সদস্য, কিন্তু কোন নিরীক্ষক বা আইন উপদেষ্টা ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবেন না;

 

(৪) "কর্ম-ঘন্টা" অর্থ আহার এবং বিশ্রামের জন্য বিরতি ব্যতীত যে সময়ে কোন শ্রমিক কাজ করার জন্য মালিকের এখতিয়ারাধীন থাকেন;

 

(৫) "কর্মরত সাংবাদিক" অর্থ কোন ব্যক্তি যিনি একজন সার্বক্ষণিক সাংবাদিক এবং যিনি কোন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে বা তৎসংক্রান্ত কাজে উক্তরূপে নিয়োজিত আছেন, এবং কোন সম্পাদক, সম্পাদকীয় লেখক, সংবাদ সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, কপি টেস্টার, কাটুর্নিস্ট, সংবাদ চিত্র গ্রাহক, ক্যালিগ্রাফিষ্ট এবং প্রুফ রীডারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

 

(৬) "কর্মশালা" অর্থ কোন বাড়ীঘর বা আঙ্গিনা যেখানে কোন শিল্প প্রক্রিয়া চলে;

 

(৭) "কারখানা" অর্থ এমন কোন ঘর-বাড়ী বা আঙ্গিনা যেখানে বৎসরে কোন দিন সাধারণতঃ পাঁচ জন বা ততোধিক শ্রমিক কর্মরত থাকেন এবং উহার যে কোন অংশে কোন উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু থাকে, কিন্তু কোন খনি ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে না;

 

(৮) "কিশোর" অর্থ চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করিয়াছেন কিন্তু আঠার বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি;

 

[ (৮ক) ‘‘কৃষি শ্রমিক’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি দৈনিক, মাসিক অথবা বাৎসরিক চুক্তির ভিত্তিতে অথবা নির্দিষ্ট কোন কাজ সম্পাদনের চুক্তিতে মজুরীর বিনিময়ে কৃষি কাজে নিযুক্ত থাকেন;]

 

(৯) "খনি" অর্থ কোন খনন যেখানে খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য বা অনুসন্ধানের জন্য কার্য-পরিচালনা করা হয়, এবং খনিতে বা উহার সন্নিকটে, ভূ-গর্ভে বা ভূ-পৃষ্ঠে এতদ্‌সংক্রান্ত সকল কাজ, যন্ত্রপাতি, ট্রাম পথ এবং সাইডিংও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবেঃ

 

তবে শর্ত থাকে যে, এমন কোন বাড়ী-ঘর বা আঙ্গিনার অংশ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না যাহাতে কোন উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু আছে, যদি না উক্তরূপ প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট খনিজ পদার্থের মন্ড বানাইবার জন্য বা উহা ড্রেসিং করিবার জন্য হয়;

 

[ (৯ক) ‘‘খোরাকী ভাতা’’ অর্থ মূল মজুরী, মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর অর্ধেক;]

 

[ (১০) ‘‘গ্রাচুইটি’’ অর্থ কোন শ্রমিকের প্রতি পূর্ণ বৎসর চাকুরী অথবা ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাকুরীর জন্য তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ন্যূনতম ৩০ দিনের মজুরী অথবা ১০ বৎসরের অধিককাল চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৪৫ দিনের মজুরী যাহা উক্ত শ্রমিককে তাহার চাকুরীর অবসানে প্রদেয় 

 

(১০-ক) "চা-বাগান" অর্থ চা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত বা ব্যবহারের অভিপ্রেত কোন জমি, এবং চা কারাখানাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 

(১১) "ছাটাই" অর্থ অপ্রয়োজনীয়তার কারণে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান;

 

(১২) "জনকল্যাণমূলক সার্ভিস" অর্থ-

 

(ক) জনসাধারণের জন্য বিদুৎ, গ্যাস, তৈল বা পানি উৎপন্ন, প্রস্তুত বা সরবরাহকরণ,

 

(খ) জনসাধারণের জন্য পয়ঃনিষ্কাশন বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা,

 

(গ) হাসপাতাল এবং এম্বুলেন্স সার্ভিস,

 

(ঘ) অগ্নি-নির্বাপন সার্ভিস,

 

(ঙ) ডাক, তার ও টেলিফোন সার্ভিস,

 

(চ) রেল, বিমান, সড়ক এবং নৌ-পরিবহন,

 

(ছ) বন্দর,

 

(জ) কোন প্রতিষ্ঠানের পাহারা-টহলদারী স্টাফ এবং নিরাপত্তা সার্ভিস,

 

(ঝ) অক্সিজেন এসিটাইলিন, এবং

 

(ঞ) ব্যাংকিং।

 

(১৩) "ট্রাইব্যুনাল" অর্থ এই আইনের অধীন স্থাপিত শ্রম আপীল ট্রাইবু্যনাল;

 

(১৪) "ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি" অর্থ কোন শেফ্‌ট, চাকা, ড্রাম, পুলি, পুলির সিসটেম, কুপলিংস, ক্লাচ, ড্রাইভিং বেল্ট অথবা অন্য কোন কলকব্জা বা কৌশল যাহা দ্বারা কোন প্রাইম মুভারের গতি কোন যন্ত্রপাতি বা প্লান্টে প্রেরণ বা গ্রহণ করানো হয়;

 

(১৫) "ট্রেড ইউনিয়ন" অর্থ ত্রয়োদশ অধ্যায়ের অধীন গঠিত ও রেজিস্ট্রিকৃত শ্রমিকগণের বা মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন, এবং কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 

(১৬) "ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন" অর্থ ত্রয়োদশ অধ্যায়ের অধীন রেজিস্ট্রিকৃত কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন;

 

(১৭) "ডিসচার্জ" অর্থ শারীরিক বা মানসিক অৰমতার কারণে অথবা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে মালিক কতর্ৃক কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান;

 

(১৮) "ঢিমে তালের কাজ" অর্থ কোন একদল শ্রমিক কর্তৃক সংঘবদ্ধ, ইচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাভাবিক উৎপাদনের গতি শ্লথ করিয়া দেওয়া এবং যাহা কোন যান্ত্রিক ত্রুটি বা কলকব্জা বা যন্ত্রপাতি বিকল বা ভাঙ্গিয়া যাওয়া বা শক্তি সরবরাহের ক্রটি বা ব্যর্থতা বা স্বাভাবিক জিনিসপত্র এবং কলকব্জার খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের ব্যর্থতার কারণে না ঘটে;

 

(১৯) "দিন" অর্থ ভোর ছয় ঘটিকা হইতে শুরু করিয়া কোন চব্বিশ ঘণ্টা সময়;

 

(২০) "দেওয়ানী কার্যবিধি" অর্থ দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৫নং আইন);

 

(২১) "দোকান" অর্থ কোন বাড়ী-ঘর বা আংগিনা যাহা সম্পূর্ণ বা অংশতঃ কোন মালামাল নগদে বা বাকিতে, খুচরা বা পাইকারীভাবে বিক্রির জন্য ব্যবহৃত হয়, অথবা যেখানে কোন গ্রাহককে কোন সেবা দেওয়া হয়, এবং উক্ত বাড়ী-ঘরের আঙ্গিনায় হউক বা অন্যত্র হউক, উক্ত ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে মূলতঃ ব্যবহৃত হয় এরূপ প্রত্যেক অফিস, ভান্ডার, কক্ষ, গুদাম ঘর বা কর্মস্থল, এবং সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্যে ঘোষিত অন্য কোন বাড়ী-ঘর বা আঙ্গিনাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 

(২২) "ধর্মঘট" অর্থ কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত একদল শ্রমিক কর্তৃক একত্রে কর্ম বন্ধকরণ বা কাজ করিতে অস্বীকৃতি অথবা উহাতে নিয়োজিত কোন শ্রমিক সমষ্টি কর্তৃক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ গ্রহণ করিতে বা কাজ চালাইয়া যাইতে অস্বীকৃতি;

 

(২৩) "নাবিক" অর্থ কোন সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক, কিন্তু জাহাজের মাস্টার ইহার অন্তর্ভুক্ত নহেন;

 

(২৪) কোন ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে, "নির্বাহী কমিটি" অর্থ এমন কোন একদল লোক, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, যাহার উপর ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উহার ব্যবস্থাপনার ভার ন্যসত্দ আছে;

 

(২৫) "নিষ্পত্তি" অর্থ কোন সালিসী কার্য ধারায় উপনীত নিষ্পত্তি এবং সালিসী কার্যধারা ছাড়াও মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সম্পাদিত এমন কোন চুক্তিও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে যাহা লিখিত হয় এবং উভয় পক্ষের স্বাক্ষরযুক্ত হয় এবং যাহার কপি শ্রম পরিচালক এবং সালিসের নিকট প্রেরণ করা হয়;

 

(২৬) "নৌ-পরিবহন সার্ভিস" অর্থ নৌপথে নৌযানে ভাড়ায় বা অর্থের বিনিময়ে যাত্রী বা মালামাল পরিবহন সার্ভিস;

 

(২৭) "নৌযান" অর্থ কোন যন্ত্রচালিত নৌযান যাহা নৌ-পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয় বা ব্যবহারযোগ্য, এবং কোন টাগ বা ফ্লাট এবং বার্জও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে;

 

(২৮) "প্রশাসনিক শ্রমিক" অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি সার্বৰণিক ভিত্তিতে, কর্মরত সাংবাদিক বা সংবাদপত্র ছাপাখানা শ্রমিক ব্যতীত, কোন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে বা তৎসংক্রান্ত কোন কাজে যে কোন পদে নিয়োজিত আছেন;

 

(২৯) "পালা" অর্থ যে ক্ষেত্রে একই প্রকারের কাজ দিনের বিভিন্ন সময়ে দুই বা ততোধিক শ্রমিকদল দ্বারা সম্পাদিত হয় সে ক্ষেত্রে উক্তরূপ প্রত্যেক সময়;

 

(৩০) কোন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে, "পোষ্য" অর্থ নিম্নলিখিত যে কোন আত্মীয়, যথাঃ-

 

(ক) কোন বিধবা, নাবালক সনত্দান, অবিবাহিত কন্যা, অথবা বিধবা মাতা, এবং

 

(খ) সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মৃত্যুর সময় তাহার আয়ের উপর সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে, কোন স্ত্রীহারা স্বামী, বিধবা মাতা বা পিতা, কন্যা যদি অবিবাহিত, নাবালিকা বা বিধবা হয়, নাবালক ভ্রাতা, অবিবাহিত বা বিধবা ভগ্নি, বিধবা পুত্রবধু, মৃত পুত্রের নাবালক ছেলে, মৃত মেয়ের নাবালক সন্তান যদি তাহার পিতা জীবিত না থাকেন, অথবা, যদি মৃত শ্রমিকের মাতা বা পিতা জীবিত না থাকেন, তাহা হইলে তাহার দাদা ও দাদী, এবং বিবাহ বহির্ভূত ছেলে এবং বিবাহ বহির্ভূত কুমারী কন্যা;

 

(৩১) "প্রতিষ্ঠান" অর্থ কোন দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান [ পরিবহন,], শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা বাড়ী-ঘর বা আঙ্গিনা যেখানে কোন শিল্প পরিচালনার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়;

 

(৩২) "প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ" অর্থ একই অথবা বিভিন্ন মালিকের অধীন কোন নির্দিষ্ট এলাকায় এমন একাধিক প্রতিষ্ঠান যেগুলিতে একই প্রকারের বা ধরনের শিল্প পরিচালিত হয়;

 

(৩৩) "প্রবিধান" অর্থ আইনের অধীন প্রণীত কোন প্রবিধান;

 

(৩৪) "প্রসূতি কল্যাণ" অর্থ চতুর্থ অধ্যায়ের অধীন কোন মহিলা শ্রমিককে তাহার প্রসূতি হওয়ার কারণে প্রদেয় মজুরীসহ ছুটি [ অন্যান্য সুবিধা];

 

(৩৫) "প্রাইমমুভার" অর্থ কোন ইঞ্জিন, মোটর বা অন্যকোন যন্ত্রপাতি যাহা শক্তি উৎপন্ন করে বা শক্তি যোগায়;

 

[ (৩৫ক) ‘প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত’ অর্থ এমন কোনো ব্যক্তি যাহার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত অভিজ্ঞতার প্রত্যয়ন পত্র রহিয়াছে;]

 

(৩৬) "প্রাপ্ত বয়স্ক" অর্থ আঠার বৎসর বয়স পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তি;

 

(৩৭) "ফৌজদারী কার্যবিধি" অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন);

 

(৩৮) "বন্ধ" অর্থ গ্রাহকের সেবা দেওয়ার জন্য বা কোন ব্যবসা পরিচালনা করিবার জন্য খোলা নাই;

 

(৩৯) "বরখাস্ত" অর্থ অসদাচরণের কারণে মালিক কর্তৃক কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান;

 

(৪০) "বাগান" অর্থ কোন এলাকা যেখানে রাবার, কফি, চা ইত্যাদি উৎপাদন এবং অথবা সংরক্ষণ করা হয় এবং, পরীক্ষা বা গবেষণা খামার ব্যতীত,[ পাঁচজন] বা ইহার অধিক শ্রমিক নিয়োগকারী প্রত্যেক কৃষি খামারও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে;

 

(৪১) "বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান" অর্থ এমন কোন প্রতিষ্ঠান যাহাতে বিজ্ঞাপন, কমিশন বা ফরওয়ার্ডিং এর ব্যবসা পরিচালনা করা হয় বা যাহা একটি বাণিজ্যিক এজেন্সী, এবং নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে, যথাঃ-

 

(ক) কোন কারখানা বা শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের করণিক বিভাগ,

 

(খ) এমন কোন ব্যক্তির অফিস-প্রতিষ্ঠান যিনি কোন শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য শ্রমিক নিযুক্ত করেন,

 

(গ) কোন যৌথ কোম্পানীর কোন ইউনিট,

 

(ঘ) কোন বীমা কোম্পানী, ব্যাংকিং কোম্পানী বা ব্যাংক,

 

(ঙ) কোন দালালের অফিস,

 

(চ) কোন স্টক এঙ্চেঞ্জ,

 

(ছ) কোন ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরা বা খাবারের ঘর,

 

(জ) কোন সিনেমা বা থিয়েটার,

 

(ঝ) সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বলিয়া ঘোষিত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান;

 

(৪২) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি;

 

[ (৪২ক) ‘‘বিশেষজ্ঞ’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা শ্রমিক নহেন, তবে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মালিক অথবা ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কিংবা যাহার শ্রম, শিল্প ও কর্মস্থলে নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা রহিয়াছে;]

 

(৪৩) "বে-আইনী ধর্মঘট" অর্থ চতুর্দশ অধ্যায়ের [ বিধান লংঘন করিয়া] ঘোষিত, শুরুকৃত বা জারীকৃত কোন ধর্মঘট;

 

(৪৪) "বে-আইনী লক-আউট" অর্থ চতুর্দশ অধ্যায়ের [ বিধান লংঘন করিয়া] ঘোষিত, শুরুকৃত বা জারীকৃত কোন লক-আউট;

 

(৪৫) "মজুরী" অর্থ টাকায় প্রকাশ করা হয় বা যায় এমন সকল পারিশ্রমিক যাহা চাকুরীর শর্তাবলী, প্রকাশ্য বা উহ্য যেভাবেই থাকুক না কেন পালন করা হইলে কোন শ্রমিককে তাহার চাকুরীর জন্য বা কাজ করার জন্য প্রদেয় হয়, এবং উক্তরূপ প্রকৃতির অন্য কোন অতিরিক্ত প্রদেয় পারিশ্রমিকও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে, তবে নিম্নলিখিত অর্থ ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে না, যথাঃ-

 

(ক) বাসস্থান সংস্থান, আলো, পানি, চিকিৎসা সুবিধা বা অন্য কোন সুবিধা প্রদানের মূল্য অথবা সরকার কর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে এইরূপ কোন সেবার মূল্য,

 

(খ) অবসর ভাতা তহবিল বা ভবিষ্য তহবিলে মালিক কর্তৃক প্রদত্ত কোন চাঁদা,

 

(গ) কোন ভ্রমণ ভাতা অথবা কোন ভ্রমণ রেয়াতের মূল্য,

 

(ঘ) কাজের প্রকৃতির কারণে কোন বিশেষ খরচ বহন করিবার জন্য কোন শ্রমিককে প্রদত্ত অর্থ;

 

(৪৬) "মধ্যস্থতাকারী" অর্থ চতুর্দশ অধ্যায়ের অধীন নিযুক্ত কোন মধ্যস্থতাকারী;

 

[ (৪৭) ‘‘মহাপরিদর্শক’’, ‘‘অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক’’, ‘‘যুগ্ম মহাপরিদর্শক’’, ‘‘উপ-মহাপরিদর্শক’’, ‘‘সহকারী মহাপরিদর্শক’’ এবং ‘‘শ্রম পরিদর্শক’’ অর্থ বিংশ অধ্যায়ের অধীন উক্ত পদে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি;]

 

[ (৪৮) ‘‘মহাপরিচালক’’, ‘‘অতিরিক্ত মহাপরিচালক’’, ‘‘পরিচালক’’, ‘‘উপ-পরিচালক’’, ‘‘সহকারী পরিচালক’’ এবং ‘‘শ্রম কর্মকর্তা’’ অর্থ বিংশ অধ্যায়ের অধীন উক্ত পদে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি;]

 

(৪৯) কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে, "মালিক" অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ করেন, এবং নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবেন, যথাঃ-

 

(ক) উক্ত ব্যক্তির কোন উত্তরাধিকারী, অভিভাবক, হস্তান্তরমূলে উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধি,

 

(খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বা উহার ব্যবস্থাপনা বা নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি,

 

(গ) সরকার কর্তৃক বা সরকারের কর্তৃত্বাধীন পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, এতদ্উদ্দেশ্য নিয়োজিত কোন কর্তৃপক্ষ, অথবা এরূপ কোন কর্তৃপক্ষ না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রধান,

 

(ঘ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা উহার পক্ষে পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, এতদ্উদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা অথবা এরূপ কোন কর্মকর্তা না থাকিলে, উহার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,

 

(ঙ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, উহার মালিক এবং উহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব, প্রতিনিধি অথবা উহার কাজ-কর্মের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোন কর্মকর্তা বা ব্যক্তি,

 

(চ) মালিক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির দখলে আছে এরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, উক্ত প্রতিষ্ঠান দখলকারী ব্যক্তি অথবা উহার নিয়ন্ত্রণকারী চূড়ান্ত ব্যক্তি অথবা ব্যবস্থাপক অথবা উক্ত কাজ-কর্মের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোন উপযুক্ত কর্মকর্ত;

 

(৫০) "যন্ত্রপাতি" বলিতে প্রাইম মুভার, ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি এবং এমন অন্য কোন যন্ত্রপাতি বা কলকব্জাকেও বুঝাইবে যাহার দ্বারা শক্তির উৎপাদন, হ্রাস-বৃদ্ধি বা প্রেরণ করা হয় অথবা প্রয়োগ করা হয়;

 

(৫১) "যান বাহন" অর্থ যান্ত্রিক শক্তি চালিত যানবাহন যাহা স্থল, নৌ ও আকাশ পথে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয় বা ব্যবহারের যোগ্য, এবং কোন ট্রলিযান ও আনুগমিক যানও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে;

 

(৫২) "যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি" (CBA) অর্থ কোন প্রতিষ্ঠানে বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের এমন কোন ট্রেড ইউনিয়ন বা ট্র্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন যাহা ত্রয়োদশ অধ্যায়ের অধীন উক্ত প্রতিষ্ঠানে বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে যৌথ দর কষাকষির ব্যাপারে শ্রমিকগণের প্রতিনিধি;

 

(৫৩) "রিলে" অর্থ যে ক্ষেত্রে একই প্রকারের কাজ দিনের বিভিন্ন সময়ে দুই বা ততোধিক শ্রমিক দল দ্বারা সম্পাদিত হয় সে ক্ষেত্রে, উক্তরূপ প্রত্যেক দল;

 

(৫৪) "রেজিস্টার্ড চিকিৎসক" অর্থ চিকিৎসক হিসাবে মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ১৬নং আইন) এর অধীন রেজিস্ট্রিকৃত কোন ব্যক্তি;

 

(৫৫) "রেজিস্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন" অর্থ ত্রয়োদশ অধ্যায়ের অধীন রেজিস্ট্রিকৃত কোন ট্রেড ইউনিয়ন;

 

(৫৬) "রোয়েদাদ" অর্থ কোন মধ্যস্থতাকারী, শ্রম আদালত বা ট্রাইবু্যনাল কর্তৃক কোন শিল্প বিরোধ বা তৎসংক্রান্ত কোন বিষয়ের নিষ্পত্তি, এবং কোন অর্ন্তবর্তী রোয়েদাদও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে;

 

(৫৭) "লক-আউট" অর্থ কোন মালিক কর্তৃক কোন কর্মস্থান অথবা উহার কোন অংশ বন্ধ করিয়া দেওয়া অথবা উহাতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কাজ স্থগিত রাখা অথবা কোন মালিক কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বা শর্তসাপেক্ষে তাহার যে কোন সংখ্যক শ্রমিককে [ কাজ করিতে দিতে অস্বীকৃতি], যদি উক্তরূপ বন্ধকরণ, স্থগিতকরণ বা অস্বীকৃতি কোন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে হয় বা ঘটে অথবা উহা শ্রমিকগণকে চাকুরীর কতিপয় শর্ত মানিতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে করা হয়;

 

(৫৮) "লে-অফ" অর্থ কয়লা, শক্তি বা কাঁচা মালের স্বল্পতা, অথবা মাল জমিয়া থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কল-কব্জা বিকল বা ভাঙ্গিয়া যাওয়ার কারণে কোন শ্রমিককে কাজ দিতে মালিকের ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা;

 

(৫৯) "শক্তি" অর্থ বৈদু্যতিক শক্তি এবং এমন অন্য কোন শক্তি যাহা যান্ত্রিকভাবে প্রেরণ করা হয় এবং যাহা মানব বা জন্তুর মাধ্যমে উৎপন্ন হয় না;

 

(৬০) "শিল্প" অর্থ যে কোন ব্যবসা, বাণিজ্য, উৎপাদন, বৃত্তি, পেশা, চাকুরী বা নিয়োগ;

 

(৬১) "শিল্প প্রতিষ্ঠান" অর্থ কোন কর্মশালা, উৎপাদন প্রক্রিয়া অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান যেখানে কোন বস্তু প্রস্তুত হয়, অভিযোজিত হয়, প্রক্রিয়াজাত করা হয় অথবা উৎপন্ন হয়, অথবা যেখানে ব্যবহার, পরিবহন, বিক্রয়, চালান অথবা হস্তান্তর করার লক্ষ্যে যে কোন বস্তু বা পদার্থের তৈরী, পরিবর্তন, মেরামত, অলংকরণ, সম্পূর্ণর্ বা নিখুঁতকরণ অথবা গাঁট বা মোড়কবন্দীকরণ অথবা অন্য কোনভাবে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় আরোপ করার কোন কাজ পরিচালিত হয়, অথবা এমন অন্য কোন প্রতিষ্ঠান যাহা সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্যে, শিল্প প্রতিষ্ঠান বলিয়া ঘোষণা করে, এবং নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলিও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে, যথাঃ-

 

(ক) সড়ক পরিবহন, রেল পরিবহন সার্ভিস,

 

(খ) নৌ-পরিবহন সার্ভিস,

 

(গ) বিমান পরিবহন,

 

(ঘ) ডক, জাহাজ ঘাট বা জেটি,

 

(ঙ) খনি, পাথর খাদ, গ্যাস ক্ষেত্র বা তৈল ক্ষেত্র,

 

(চ) বাগান,

 

(ছ) কারখানা,

 

(জ) সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান,

 

(ঝ) কোন বাড়ী-ঘর, রাস্তা, সুড়ঙ্গ, নর্দমা, নালা বা সেতু, জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ ভাঙ্গা, পুনঃ নির্মাণ, মেরামত, পরিবর্তন বা ভাঙ্গিয়া ফেলার অথবা জাহাজে মাল উঠানো-নামানো বা লইয়া যাওয়া সংক্রানত্দ কাজ বা ব্যবস্থা করার জন্য স্থাপিত কোন ঠিকাদার বা উপ-ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠান [ ,

 

(ঞ) জাহাজ নির্মাণ,

 

(ট) জাহাজ পুন: প্রক্রিয়াজাতকরণ(রিসাইক্লিং),

 

(ঠ) ওয়েল্ডিং,

 

(ড) নিরাপত্তা কর্মী সরবরাহ করিবার জন্য আউটসোর্সিং কোম্পানী অথবা কোন ঠিকাদার বা উপ-ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠান,

 

(ঢ) বন্দর; বন্দর বলিতে সকল সমুদ্র বন্দর, নৌ বন্দর ও স্থল বন্দর বুঝাইবে,

 

(ণ) মোবাইল অপারেটর কোম্পানী, মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী কোম্পানী ও ল্যান্ড ফোন অপারেটর কোম্পানী,

 

(ত) বেসরকারি রেডিও, টিভি চ্যানেল ও কেবল অপারেটর,

 

(থ) রিয়েল এস্টেট কোম্পানী, কুরিয়ার সার্ভিস ও বীমা কোম্পানী,

 

(দ) সার ও সিমেন্ট প্রস্ত্ততকারী কোম্পানী,

 

(ধ) মুনাফা বা লাভের জন্য পরিচালিত ক্লিনিক বা হাসপাতাল;

 

(ন) ধানকল বা চাতাল;

 

(প) করাতকল;

 

(ফ) মাছ ধরা ট্রলার;

 

(ব) মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প;

 

(ভ)[ সমুদ্রগামী] জাহাজ।]

 

(৬২) "শিল্প বিরোধ" অর্থ কোন ব্যক্তির চাকুরীর নিয়োগ সংক্রান্ত বা চাকুরীর শর্তাবলী বা কাজের অবস্থা বা পরিবেশ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে মালিক এবং মালিক, মালিক এবং শ্রমিক বা শ্রমিক এবং শ্রমিকের মধ্যে কোন বিরোধ বা মত-পার্থক্য;

 

(৬৩) "শিশু" অর্থ চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি;

 

(৬৪) "শ্রম আদালত" অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত শ্রম আদালত;

 

(৬৫) "শ্রমিক" অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তাহার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন [ ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর] মাধ্যমে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা কেরানীগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন, কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক [ ,তদারকি কর্মকর্তা] বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না;

 

(৬৬) "সপ্তাহ" অর্থ সাত দিনের মেয়াদ যাহা কোন শুক্রবার সকাল ছয় ঘটিকা হইতে অথবা কোন এলাকার কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত অন্য কোন দিন হইতে শুরম্ন হয়;

 

(৬৭) "সম্পূর্ণ অক্ষমতা" অর্থ এমন অক্ষমতা, স্থায়ী প্রকৃতির হউক বা অস্থায়ী প্রকৃতির হউক, যাহা কোন শ্রমিককে, যে দুর্ঘটনার কারণে তাহার জখম হইয়াছে উহা ঘটিবার সময় তিনি যে যে কাজ করিতে সৰম ছিলেন উক্ত সকল কাজ হইতে তাহাকে অক্ষম করিয়া দেয় অথবা কর্মকালীন সময়ে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদির প্রতিক্রিয়া অথবা কাজের সাথে সম্পৃক্ত কোন দূষণের ফলে স্বাস্থ্যহানির কারণে উক্ত শ্রমিক স্থায়ী বা অস্থায়ী প্রকৃতির কর্মক্ষমতা হারায়ঃ

 

তবে শর্ত থাকে যে, উভয় চোখের স্থায়ী সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি লোপ পাইলে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে অথবা প্রথম তফসিলে বর্ণিত কোন জখমসমূহের এইরূপ সংযোজন হইতেও স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যেখানে উক্ত তফসিলে নির্ধারিত উক্ত জখমসমূহের জন্য উপার্জন ক্ষমতা লোপের মোট গড় হার শতকারা একশত ভাগ হয়;

 

(৬৮) "সড়ক পরিবহন সার্ভিস" অর্থ সড়ক পথে ভাড়ায় বা অর্থের বিনিময়ে গাড়ীতে যাত্রী বা মালামাল পরিবহন সার্ভিস;

 

(৬৯) "সংবাদপত্র" অর্থ কোন মুদ্রিত পর্যায়ক্রমিক প্রকাশনা যাহাতে সাধারণ সংবাদ বা উক্ত সংবাদের উপর মনত্দব্য থাকে এবং সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংবাদপত্র বলিয়া ঘোষিত অন্য কোন মুদ্রিত পর্যায়ক্রমিক প্রকাশনা ও ইহার অনত্দভর্ক্ত হইবে;

 

(৭০) "সংবাদপত্র ছাপাখানা শ্রমিক" অর্থ কোন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে কোন ছাপার কাজ করার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি;

 

(৭১) "সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান" অর্থ সংবাদপত্র ছাপাইবার, উৎপাদন করিবার বা প্রকাশ করিবার কোন প্রতিষ্ঠান অথবা কোন সংবাদ এজেন্সী বা ফিচার সিন্ডিকেট পরিচালনারত কোন প্রতিষ্ঠান;

 

(৭২) "সংবাদপত্র শ্রমিক" অর্থ কোন কর্মরত সাংবাদিক, প্রশাসনিক শ্রমিক অথবা সংবাদপত্র ছাপাখানা শ্রমিক;

 

(৭৩) "সালিস" অর্থ চতুর্দশ অধ্যায়ের অধীন নিযুক্ত কোন সালিস;

 

(৭৪) "সালিসী কার্যধারা" অর্থ কোন সালিসের সম্মুখে সালিস সংক্রান্ত কোন কার্যধারা;

 

(৭৫) "সাংঘাতিক শারীরিক জখম" অর্থ এমন কোন জখম যাহাতে কোন ব্যক্তির কোন অঙ্গের ব্যবহার স্থায়ীভাবে নষ্ট হয় বা হওয়ার প্রকট সম্ভাবনা থাকে অথবা কোন অঙ্গের স্থায়ী জখম হয় বা হওয়ার প্রকট সম্ভাবনা থাকে, অথবা দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট বা জখম হয় বা হওয়ার প্রকট সম্ভাবনা থাকে বা কোন অঙ্গ স্থায়ীভাবে ভাঙচুর হয় বা হওয়ার প্রকট সম্ভাবনা থাকে অথবা জখম প্রাপ্ত ব্যক্তিকে কাজ হইতে বিশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিত থাকিতে বাধ্য করে বা করার প্রকট সম্ভাবনা থাকে;

 

(৭৬) কোন শ্রম আদালত সম্পর্কে "সিদ্ধান্ত" অর্থ, রোয়েদাদ ব্যতীত, শ্রম আদালতের এমন কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ যাহাতে কোন মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়;

 

(৭৭) "স্কীম" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন স্কীম।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

 ঠিকাদার সংস্থা রেজিস্ট্রেশন

৩ক। (১) অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহাই কিছু থাকুক না কেন, কোন ঠিকাদার সংস্থা, যে নামেই অভিহিত হইক না কেন, যাহা বিভিন্ন সংস্থায় চুক্তিতে বিভিন্ন পদে কর্মী সরবরাহ করিয়া থাকে সরকারের নিকট হইতে রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত এইরূপ কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে না।

 
 

(২) এই আইনের অধীন এতদুদ্দেশ্যে বিধি প্রণীত হইবার ০৬(ছয়) মাসের মধ্যে দেশে বিদ্যমান সকল ঠিকাদার সংস্থা সরকারের নিকট হইতে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিবে।

 
 

(৩) ঠিকাদার সংস্থা দ্বারা সরবরাহকৃত শ্রমিকগণ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের শ্রমিক হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তাহারা শ্রম আইনের আওতাভুক্ত থাকিবেন।

 
 

(৪) এই ধারার অধীন রেজিস্ট্রেশন প্রদানের পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

 
 

ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্মী বলিতে ‘‘শ্রমিক’’ সহ নিরাপত্তাকর্মী, গাড়ীচালক ইত্যাদিকে বুঝাইবে।]

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

নিয়োগ পত্র ও পরিচয় পত্র


৫। কোন মালিক নিয়োগপত্র প্রদান না করিয়া কোন শ্রমিককে নিয়োগ করিতে পারিবেন না, এবং নিয়োজিত প্রত্যেক শ্রমিককে ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান করিতে হইবে।

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

সার্ভিস  বই এর ফর্ম


৭। (১) সার্ভিস বই বিধি দ্বারা নির্ধারিত মাপে ও ফরমে রৰিত হইবে, এবং উহাতে শ্রমিকের একটি ফটো সংযোজিত থাকিবে।
 
 
(২) সার্ভিস বইয়ে নিম্নলিখিত বিবরণ থাকিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) শ্রমিকের নাম, শ্রমিকের মাতা, পিতার নাম ও ঠিকানা;
 
 
(প্রযোজ্য ৰেত্রে স্বামী/স্ত্রীর নামও লিখিতে হইবে)
 
 
(খ) জন্ম তারিখ;
 
 
(গ) সনাক্ত করার প্রয়োজনে বিশেষ বিবরণ;
 
 
(ঘ) যদি পূর্বে কোন মালিকের অধীনে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে তাহার নাম ও ঠিকানা;
 
 
(ঙ) চাকুরীর মেয়াদ;
 
 
(চ) পেশা বা পদবী;
 
 
(ছ) মজুরী ও ভাতা (যদি থাকে);
 
 
(জ) ভোগকৃত ছুটি; এবং
 
 
(ঝ) শ্রমিকের আচরণ।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

শ্রমিক রেজিস্ট্রার এবং টিকেট ও কার্ড সংগ্রহ 


৯। (১) মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিকের জন্য একটি শ্রমিক রেজিস্টার রাখিবেন, এবং ইহা সকল কর্মসময়ে পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখিতে হইবে।
 
 
(২) শ্রমিক রেজিস্টারে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ থাকিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) প্রত্যেক শ্রমিকের নাম ও জন্ম তারিখ;
 
[(কক)শ্রমিকের পিতা ও মাতার নাম;]
 
 
(খ) নিয়োগের তারিখ;
 
 
(গ) কাজের ধরন;
 
 
[(গগ) পদবী;
 
 
(গগগ) বিভাগ বা শাখা;
 
 
(গগগগ) টিকিট বা কার্ড;]
 
 
(ঘ) তাহার জন্য নির্ধারিত কার্য সময়;
 
 
(ঙ) বিশ্রাম এবং আহারের জন্য তাহার প্রাপ্য বিরতিকাল;
 
 
(চ) তাহার প্রাপ্য বিশ্রামের দিন;
 
(ছ) কোন গ্রপের অন্তর্ভুক্ত হইলে উহার উল্লেখ;
 
 
(জ) তাহার গ্রুপ পালায় কাজ করিলে, যে রিলেতে তাহার কাজ বরাদ্দ-উহার উলেস্নখ; এবং
 
 
(ঝ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য বর্ণনা।
 
 
(৩) যদি পরিদর্শক এই মত পোষণ করেন যে, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বিবরণ কোন প্রতিষ্ঠানে রুটিন মাফিক রৰিত মাস্টার রোল বা রেজিস্টারেও লিপিবদ্ধ করা আছে তাহা হইলে তিনি, লিখিত আদেশ দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, উক্ত মাস্টার রোল বা রেজিস্টার শ্রমিক রেজিস্টার হিসাবে গণ্য হইবে এবং তৎপরিবর্তে ইহা রক্ষিত হইবে।
 
 
(৪) সরকার বিধি দ্বারা শ্রমিক রেজিস্টারের ফরম, উহা রক্ষণের পন্থা এবং সংরক্ষণের মেয়াদ নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৫) মালিক প্রত্যেক শ্রমিককে নিম্নলিখিতভাবে টিকেট বা কার্ড সরবরাহ করিবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) প্রত্যেক স্থায়ী শ্রমিককে তাহার নম্বর উল্লেখপূর্বক স্থায়ী বিভাগীয় টিকেট;
 
 
(খ) প্রত্যেক বদলী শ্রমিককে একটি বদলী কার্ড, যাহাতে তিনি যে সমস্ত দিন কাজ করিয়াছেন তাহার উল্লেখ থাকিবে এবং যাহা তাহার স্থায়ী চাকুরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ফেরত দিতে হইবে;
 
 
 
 
(গ) প্রত্যেক অস্থায়ী শ্রমিককে একটি অস্থায়ী টিকেট, যাহা তাহার চাকুরী পরিত্যাগের ক্ষেত্রে বা স্থায়ী চাকুরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ফেরত দিতে হইবে;
 
 
(ঘ) প্রত্যেক সাময়িক শ্রমিককে একটি সাময়িক কার্ড, যাহাতে তিনি যে সকল দিন কাজ করিয়াছেন তাহার উল্লেখ থাকিবে; এবং
 
 
(ঙ) প্রত্যেক শিক্ষাধীন শ্রমিককে একটি শিক্ষাধীন কার্ড, যাহা তাহার প্রশিক্ষণ ত্যাগের সময় বা স্থায়ী চাকুরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ফেরত দিতে হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
অব্যাহিত ছুটির মঞ্জুর ই প্রদান
১১। যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী ছাটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, বরখাসত্দ, অবসর, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে অবসান হয় এবং যদি তাহার কোন বাৎসরিক ছুটি পাওনা থাকে, তাহা হইলে মালিক ঐ পাওনা ছুটির পরিবর্তে এই আইনের বিধান অনুযায়ী ছুটিকালীন সময়ে উক্ত শ্রমিকের যে মজুরী প্রাপ্য হইত তাহা প্রদান করিবেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

প্রতিষ্ঠান  বন্ধ রাখা


১৩। (১) কোন প্রতিষ্ঠানের কোন শাখা বা বিভাগে বে-আইনী ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন, এবং এরূপ বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকগণ কোন মজুরী পাইবেন না।
 
 
(২) যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন শাখা বা বিভাগ বন্ধের কারণে প্রতিষ্ঠানের অন্য কোন শাখা বা বিভাগ এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে উহা চালু রাখা সম্ভব নহে, তাহা হইলে উক্ত শাখা বা বিভাগও বন্ধ করিয়া দেওয়া যাইবে, কিন্তু সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে তিন দিন পর্যন্ত লে-অফ এর ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের সমপরিমাণ মজুরী প্রদান করিতে হইবে, তবে এই মেয়াদের অতিরিক্ত সময়ের জন্য তাহারা আর কোন মজুরী নাও পাইতে পারেন।
 
 
(৩) উক্তরূপ বন্ধের বিষয়টি মালিক যথাশীঘ্র সম্ভব সংশ্লিষ্ট শাখা বা বিভাগের নোটিশ বোর্ডে বা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকাশ্যস্থানে নোটিশ সাঁটিয়া বা লটকাইয়া দিয়া সংশিস্নষ্ট সকলকে অবহিত করিবেন এবং কাজ পুনরায় শুরু হইবার বিষয়ও উক্তরূপে বিজ্ঞাপিত করিবেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

ধারা ১২,১৬,১৭ এবং ১৮ প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা নিষেধ 


১৫৷ এই অধ্যায়ের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অন্ততঃ পাঁচ জন শ্রমিক নিযুক্ত নাই বা পূর্ববর্তী বার মাসে নিযুক্ত ছিলেন না- এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠানে ধারা ১২, ১৬, ১৭ এবং ১৮ এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না৷


বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

লে-অফ শ্রমিকদের মাস্টার রোল 


১৭৷ কোন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকগণকে লে-অফ করা সত্ত্বেও মালিককে তাহাদের জন্য মাস্টার-রোল সংরক্ষণ করিতে হইবে, এবং স্বাভাবিক কর্মসময়ে লে-অফকৃত শ্রমিকগণের মধ্যে যাহারা কাজের জন্য হাজিরা দিবেন, তাহাদের নাম উহাতে লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করিবেন36[:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোনভাবে মাষ্টার রোল সংরক্ষণ বা মাষ্টার রোলে কোন শ্রমিক নিয়োগ করা যাইবে না।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

মৃত্যুদণ্ড ক্ষতিপূরণ


১৯। যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ততঃ ০২(দুই) বৎসরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ০৬ (ছয়) মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০(ত্রিশ) দিনের এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারণে পরবর্তীতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিলে যে অবসর জনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের পুনরায় নিয়োগ
২১। যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয় এবং ছাঁটাইয়ের এক বৎসরের মধ্যে মালিক পুনরায় কোন শ্রমিক নিয়োগ করিতে ইচ্ছুক হন সে ক্ষেত্রে মালিক ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের সর্বশেষ জানা ঠিকানায় নোটিশ প্রেরণ করিয়া তাহাকে চাকুরীর জন্য আবেদন করিতে আহ্বান জানাইবেন, এবং এই আহ্বানে সাড়া দিয়া কোন শ্রমিক পুনরায় চাকুরী পাইবার জন্য আবেদন করিলে তাহাকে নিয়োগের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে, এবং এ রকম একাধিক ছাঁটাইকৃত শ্রমিক প্রার্থী হইলে তাহাদের মধ্যে পূর্বের চাকুরীর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

অসাধ  আচারণ এবং দন্ড  প্রাপ্তি ক্ষেত্রে শাস্তি


২৩। (১) এই আইনে লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ এবং চাকুরীর অবসান সম্পর্কে অন্যত্র যাহা কিছুই বলা হউক না কেন, কোন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরীতে চাকুরী হইতে বরখাস্ত করা যাইবে, যদি তিনি-
 
 
(ক) কোন ফৌজদারী অপরাধের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হন; অথবা
 
 
(খ) ধারা ২৪ এর অধীন অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।
 
 
(২) অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিককে উপ-ধারা (১) এর অধীন চাকুরী হইতে বরখাস্তের পরিবর্তে, বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, নিম্নলিখিত যে কোন শাস্তি প্রদান করা যাইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) অপসারণ;
 
 
(খ) নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত আনয়ন;
 
 
(গ) অনধিক এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ;
 
 
(ঘ) অনধিক এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ;
 
 
(ঙ) জরিমানা;
 
 
(চ) অনধিক সাত দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত;
 
 
(ছ) ভর্ৎসনা ও সতর্কীকরণ।
 
 
[(৩) উপ-ধারা (২) (ক) এর অধীন অপসারিত কোন শ্রমিককে, যদি তাহার অবিচ্ছিন্ন চাকুরীর মেয়াদ অন্যুন এক বৎসর হয়, মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পুর্ণ চাকুরী বৎসরের জন্য ১৫ দিনের মজুরী প্রদান করিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন শ্রমিককে উপ-ধারা (৪) (খ) ও (ছ) এর অধীন অসদাচরণের জন্য বরখাস্ত করা হইলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাইবেন না। তবে এইরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক তাহার অন্যান্য আইনানুগ পাওনাদি যথা নিয়মে পাইবেন।]
 
 
(৪) নিম্নলিখিত কাজ করা অসদাচরণ বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) উপরস্থের কোন আইনসংগত বা যুক্তিসংগত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা;
 
 
(খ) মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, [আত্মসাৎ,] প্রতারণা বা অসাধুতা;
 
 
(গ) মালিকের অধীন তাঁহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান;
 
 
(ঘ) বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়া এক সঙ্গে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;
 
 
(ঙ) অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;
 
 
(চ) প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লঙ্ঘন;
 
 
[(ছ) প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখলতা, দাংগা-হাংগামা, অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুর;]
 
 
(জ) কাজে-কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
 
 
(ঝ) প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃঙ্খলা বা আচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লঙ্ঘন;
 
 
(ঞ) মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারাইয়া ফেলা।
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) (ক) এর অধীন বরখাস্তকৃত কোন শ্রমিক যদি আপীলে খালাস পান, তাহা হইলে তাহাকে তাহার পূর্বতন পদে বহাল করিতে হইবে, অথবা নূতন কোন উপযুক্ত পদে তাহাকে নিয়োগ করিতে হইবে, এবং যদি ইহার কোনটিই সম্ভব না হয়, তাহা হইলে তাহাকে ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিককে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের সমান হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে, তবে বরখাস্ত হওয়ার কারণে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের টাকা ইহা হইতে বাদ যাইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

জরিমানা সম্পর্কে বিশেষ বিধান


২৫। (১) কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমাণ অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা যাইবে না।
 
 
(২) পনের বৎসরের কম বয়স্ক কোন শ্রমিকের উপর জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।
 
 
(৩) কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা কিস্তি ভিত্তিতে বা উহা আরোপের তারিখ হইতে ষাট দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর আদায় করা যাইবে না।
 
 
(৪) কোন জরিমানা, যে অপরাধের জন্য আরোপিত হইয়াছে সে অপরাধ সংঘটনের তারিখেই উহা আরোপিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৫) সকল জরিমানা এবং উহার আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিস্টারে মালিক কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হইবে, এবং আদায়কৃত জরিমানা কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা যাইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

শ্রমিক কর্তিক চাকরির অবসন


২৭৷ (১) কোন স্থায়ী শ্রমিক মালিককে ষাট দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন৷
 
(২) কোন অস্থায়ী শ্রমিক-
 
(ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের,
 
(খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের,
 
লিখিত নোটিশ মালিকের নিকট প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন৷
 
(৩) যে ক্ষেত্রে শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরীর সমপরিমাণ অর্থ মালিককে প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন৷
 
[ (৩ক) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে অথবা বিনা অনুমতিতে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকিলে মালিক উক্ত শ্রমিককে ১০ দিনের সময় প্রদান করিয়া এই সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করিতে এবং চাকুরীতে পুনরায় যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান বা চাকুরীতে যোগদান না করিলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে তাহার আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য আরো ৭দিন সময় প্রদান করিবেন। তাহাতেও যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক চাকুরীতে যোগদান অথবা আত্নপক্ষ সমর্থন না করেন তবে, উক্ত শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে [ চাকুরি হইতে ইস্তফা দিয়াছেন] বলিয়া গণ্য হইবেন।]
 
(৪) যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকুরী হইতে ইস্তফা দেন সে ক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বত্সরের চাকুরীর জন্য-
 
(ক) যদি তিনি পাঁচ বত্সর বা তদূর্ধ্ব, কিন্তু দশ বত্সরের কম মেয়াদে অবিচ্ছিন্নভাবে মালিকের অধীন চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, চৌদ্দ দিনের মজুরী;
 
(খ) যদি তিনি দশ বত্সর বা তদূর্ধ্ব সময় মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, ত্রিশ দিনের মজুরী;
 
অথবা গ্রাচ্যুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

নিয়ন্তন বহির্ভূত বিপর্যয় বা  ক্ষতির কারণে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক


২৮ক। এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আকষ্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা মানুষের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিপর্যয় বা জরূরী প্রয়োজনে কোন শিল্প স্থানান্তর বা কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ হইলে সেই ক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্ক, সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্ধারণ করিতে পারিবে।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের মেয়াদ


৩০৷ অবসর, ডিসচার্জ, ছাঁটাই, বরখাস্ত এবং চাকুরীর অবসান ইত্যাদি যে কোন কারণে শ্রমিকের চাকুরীর ছেদ ঘটার পরবর্তী সর্বোচ্চ ত্রিশ কর্ম দিবসের মধ্যে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত শ্রমিকের প্রাপ্য সকল পাওনা পরিশোধ করিতে হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

বাসস্থান হইতে উচ্ছেদ 


৩২৷ (১) কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান হইলে, তাহা যে কোন প্রকারেই হউক না কেন, তিনি তাহার চাকুরীর অবসানের ষাট দিনের মধ্যে মালিক কর্তৃক তাহাকে বরাদ্দকৃত বাসস্থান ছাড়িয়া দিবেন৷
 
 
(২) উক্ত সময়ের মধ্যে বাসস্থান ছাড়িয়া না দিলে মালিক শ্রম আদালতে তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করিতে পারিবেন51[:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকের সকল পাওনা পরিশোধ না করিয়া কোন শ্রমিককে বাসস্থান হইতে উচ্ছেদ করা যাইবে না।]
 
 
(৩) আদালত উভয় পক্ষকে শ্রবণ করিয়া মামলাটি সংতিগপ্তভাবে বিচার করিবে, এবং যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে শ্রমিককে বাসস্থানটি ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
(৪) আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাসস্থান ছাড়িয়া না দিলে শ্রমিককে উহা হইতে বলপূর্বক উচ্ছেদ করিবার জন্য প্রয়োজনবোধে আদালত কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আদালতের নির্দেশপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আদালতের আদেশের সারমর্ম এবং উহাতে তাহার প্রবেশের ইচ্ছা বাসস্থানে বসবাসরত ব্যক্তিগণকে অবহিত করিবেন, এবং বাসস্থান ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য তাহাদিগকে অন্ততঃ ছয় ঘন্টা সময় দিবেন, এবং অতঃপর উহার দখল গ্রহণের জন্য বল প্রয়োগের পূর্বে উহাতে বসবাসকারী শিশুগণকে বাহির হইয়া আসার জন্য সম্ভাব্য সকল সুযোগ দিবেন৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

শিশু-কিশোর নিয়োগে বাধা-নিষেধ


৩৪৷ (১) কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷
 
 
(২) কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না, যদি না-
 
 
(ক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক তাহাকে প্রদত্ত সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র মালিকের হেফাজতে থাকে, এবং
 
 
(খ) কাজে নিয়োজিত থাকাকালে তিনি উক্ত প্রত্যয়নপত্রের উল্লেখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করেন
 
 
(৩) কোন পেশা বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরের শিক্ষাধীন হিসাবে অথবা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
(৪) সরকার যদি মনে করে যে, কোন জরুরী অবস্থা বিরাজমান এবং জনস্বার্থে ইহা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত সময়ের জন্য উপ-ধারা (২) এর প্রয়োগ স্থগিত ঘোষণা করিতে পারিবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

বয়স সম্পর্কে বিরোধ 


৩৬। যদি কোন ব্যক্তি শিশু নাকি কিশোর এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্কুল সার্টিফিকেট বা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত ব্যক্তির বয়স সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে উহা নিষ্পত্তি হইবে।]

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদেশ প্রদানের ক্ষমতা 


৩৮৷ যে ক্ষেত্রে কোন পরিদর্শক এরূপ মত পোষণ করেন যে-
 
 
(ক) কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি কিশোর, কিন্তু তাহার সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র নাই; অথবা
 
 
(খ) উক্তরূপ প্রত্যয়নপত্রসহ কর্মরত কোন কিশোর প্রত্যয়নপত্রে উল্লিখিত কাজের জন্য আর সক্ষম নহেন;
 
 
সে ক্ষেত্রে তিনি নোটিশ মারফত মালিককে কোন রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কর্তৃক কিশোরটিকে পরীক্ষা করাইবার অনুরোধ করিতে পারিবেন, এবং কিশোরটি উক্তরূপ পরীক্ষান্তে সক্ষম বলিয়া প্রত্যয়িত না হওয়া পর্যন্ত অথবা কিশোরটি আর কিশোর নয় এই মর্মে প্রত্যয়িত না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে কোন কাজ না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

বিপদজনক যন্ত্রপাতির কাজে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু নিয়োগ 


৪০৷ (১) কোন কিশোর যন্ত্রপাতির কোন কাজ করিবেন না, যদি না-
 
 
(ক) তাহাকে উক্ত যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে এবং এই ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকেবহাল করানো হয়; এবং
 
 
(খ) তিনি যন্ত্রপাতিতে কাজ করার জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন, অথবা তিনি যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত অভিজ্ঞ এবং পুরোপুরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে কাজ করেন৷
 
 
(২) এই বিধান কেবলমাত্র ঐ সকল যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রযোজ্য হইবে যে সম্পর্ক সরকার বিজ্ঞপ্তি মারফত ঘোষণা করে যে, এইগুলি এমন বিপজ্জনক যে উহাতে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শর্তাদি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিশোরের পক্ষে কাজ করা উচিত নহে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
ভূগর্ভে পানির নিচে কিশোর নিয়োগ নিষেধ
৪২৷ কোন কিশোরকে ভূগর্ভে বা পানির নীচে কোন কাজে নিয়োগ করা যাইবে না৷

   বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

কতিপয় ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী  শ্রমিক নিয়োগে বিধি নিষেধ 


৪৪। কোনো প্রতিবন্ধী শ্রমিককে বিপজ্জনক যন্ত্রপাতির কাজে অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাইবে না।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার এবং প্রদানের দায়িত্ব


৪৬৷ (১) প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তাহার মালিকের নিকট হইতে তাহার সন্ত্মান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং সন্ত্মান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন, এবং তাহার মালিক তাহাকে এই সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলা উক্তরূপ সুবিধা পাইবেন না যদি না তিনি তাহার মালিকের অধীন তাহার সন্ত্মান প্রসবের অব্যবহিত পূর্বে অন্যুন ছয় মাস কাজ করিয়া থাকেন৷
 
 
(২) কোন মহিলাকে উক্তরূপ সুবিধা প্রদেয় হইবে না যদি তাহার সন্ত্মান প্রসবের সময় তাহার দুই বা ততোধিক সন্ত্মান জীবিত থাকে, তবে এতেগত্রে তিনি কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার পরিমাণ 


৪৮৷ (১) এই [ অধ্যায়ের] অধীন যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদেয় হইবে উহা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত পন্থায় গণনা করিয়া দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক, যে তেগত্রে যাহা প্রযোজ্য, গড় মজুরী হারে সম্পূর্ণ নগদে প্রদান করিতে হইবে৷
 
(২) উপ-ধারা (১) এর প্রয়োজনে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক গড় মজুরী গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্তৃক এই অধ্যায়ের অধীন নোটিশ প্রদানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসে তাহার প্রাপ্ত মোট মজুরীকে উক্ত সময়ে তাহার মোট প্রকৃত কাজের দিনগুলি দ্বারা ভাগ করিতে হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

কতিপয় ক্ষেত্রে মহিলার চাকুরীর  বাধা


৫০৷ যদি কোন মহিলার সন্ত্মান প্রসবের পূর্ববতী ছয় মাস এবং সন্ত্মান প্রসবের পরবর্তী আট সপ্তাহ মেয়াদের মধ্যে তাহাকে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ, বরখাস্ত্ম বা অপসারণ করার জন্য অথবা তাহার চাকুরী অন্যভাবে অবসানের জন্য মালিক কোন নোটিশ বা আদেশ প্রদান করেন, এবং উক্তরূপ নোটিশ বা আদেশের যদি যথেষ্ট কোন কারণ না থাকে তাহা হইলে, এই নোটিশ বা আদেশ প্রদান না করা হইলে এই অধ্যায়ের অধীন সংশিস্্নষ্ট মহিলা যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইতেন, উহা হইতে তিনি বঞ্চিত হইবেন না৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা
৫২৷ (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্ম-কক্ষে নির্মল বায়ু প্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা রাখিতে হবে৷
 
 
(২) উক্তরূপ প্রত্যেক কতেগ এমন তাপমাত্রা বজায় রাখিবার উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখিতে হইবে যাহাতে সেখানে কর্মরত শ্রমিকগণ মোটামুটি আরামে কাজ করিতে পারেন, এবং যাহাতে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য হানি রোধ হয়৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর প্রয়োজনে কতেগর দেওয়াল এবং ছাদ এমনভাবে তৈরী করিতে হইবে যাহাতে উক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায়, এবং যতদূর সম্ভব কম থাকে৷
 
 
(৪) যে ক্ষেত্রে, কোন প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রকৃতি এমন হয় যে, ইহাতে অত্যধিক উচ্চ তাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে যে উত্স হইতে উক্তরূপ উচ্চ তাপ সৃষ্টি হইতেছে উহাকে বা উহার উত্তপ্ত অংশকে তাপ অপরিবাহী বস্তু দ্বারা মুড়িয়া বা অন্য কোন পন্থায় শ্রমিকগণের কর্ম-কক্ষ হইতে আলাদা করার জন্য যতদূর সম্ভব উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷
 
 
(৫) যদি সরকারের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠানের অতি উচ্চ তাপমাত্রা উহার পার্শ্ব দেওয়াল, ছাদ বা জানালা চুনকাম করিয়া, স্প্রে করিয়া, অথবা তাপ অপরিবাহী করিয়া, বা পর্দা দিয়া, অথবা ছাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করিয়া, অথবা অন্য কোন বিশেষ পন্থায় হ্রাস করা সম্ভব হয়, তাহা হইলে সরকার উক্ত প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত যে কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
বর্জ্য পদার্থ অপসারণ
৫৪৷ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে উহার উত্পাদন প্রক্রিয়ার কারণে সৃষ্ট কোন বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

অতিরিক্ত ভিড়


৫৬৷(১) কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কর্ম-কক্ষে উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য হানি হয় এই প্রকার অতিরিক্ত ভীড় করা যাইবে না৷
 
 
(২) উপরিউক্ত বিধানের হানি না করিয়া, প্রত্যেক কর্মকক্ষে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য অন্ততঃ ৯.৫ কিউবিক মিটার পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করিতে হইবে৷
 
 
ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারার প্রয়োজনে, কোন ঘরের উচ্চতা মেঝে হইতে ৪.২৫ মিটারের অধিক হইলে ইহা বিবেচনায় আনা হইবে না৷
 
 
(৩) যদি প্রধান পরিদর্শক লিখিত আদেশ দ্বারা কোন মালিককে অনুরোধ করেন তাহা হইলে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মকক্ষে এই ধারার বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ কতজন লোক কাজ করিতে পারিবেন, তত্সম্পর্কে তাহাকে একটি নোটিশ লটকাইয়া দিতে হইবে৷
 
 
(৪) প্রধান পরিদর্শক লিখিত আদেশ দ্বারা কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকক্ষকে এই ধারার বিধান হইতে রেহাই দিতে পারিবেন, যদি তিনি এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে এই বিধান মানার প্রয়োজন নাই৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

পান করার পানি 


৫৮৷ (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, উহাতে কর্মরত সকল শ্রমিকের পান করার জন্য উহার কোন সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিতে হইবে৷
 
(২) প্রত্যেক পানি সরবরাহের স্থানকে বাংলায় পান করার পানি” কথাগুলি স্পষ্টভাবে লিখিয়া দিয়া চিহ্নিত করিতে হইবে৷
 
(৩) যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ দুইশত পঞ্চাশ জন বা ততোধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন, সে সকল প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালে পান করার পানি ঠান্ডা করিয়া সরবরাহ করার ব্যবস্থা করিতে হইবে৷
 
(৪) মাত্রাতিরিক্ত তাপ উদ্রেককারী যন্ত্রের সন্নিকটে কাজ করার কারণে শ্রমিকের শরীরে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হইলে, ঐ সকল শ্রমিকের জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির ব্যবস্থা করিতে হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

আবর্জনা  বাক্স  ও  পিক দানী


৬০৷ (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক আবর্জনা ফেলার বাক্স ও পিকদানীর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে, এবং এইগুলিকে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থায় রাখিতে হইবে৷
 
 
(২) কোন প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনার মধ্যে কোন ব্যক্তি অনুরূপ বাক্স ও পিকদানী ব্যতীত অন্য কোথাও ময়লা আবর্জনা কিংবা থুথু ফেলিতে পারিবেন না৷
 
 
(৩) এই বিধান এবং উহা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ-ইহা উল্লেখ করিয়া প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উপযুক্ত স্থানে এরূপভাবে নোটিশ লটকাইয়া দিতে হইবে যাহাতে ইহা সহজেই সকলের দৃষ্টিগোচর হয়৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সর্তকতা অবলম্বন


৬২৷ (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে বিধি দ্বারা নির্ধারিতভাবে অগ্নিকান্ডের সময় প্রত্যেক তলার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী অন্ততঃ একটি বিকল্প সিঁড়িসহ বহির্গমনের উপায় এবং প্রত্যেক তলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক] অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করিতে হইবে৷
 
 
(২) যদি কোন পরিদর্শকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিধি অনুযায়ী বহির্গমনের ব্যবস্থা করা হয় নাই 71[অথবা অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের লাইসেন্স মোতাবেক প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম রাখা হয় নাই], তাহা হইলে তিনি মালিকের উপর লিখিত আদেশ জারী করিয়া, উহাতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, তাহার মতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন- তাহা তাহাকে অবহিত করিবেন৷
 
 
(৩) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কোন কক্ষ হইতে বহির্গমনের পথ তালাবদ্ধ বা আটকাইয়া রাখা যাইবে না, যাহাতে কোন ব্যক্তি কক্ষের ভিতরে কর্মরত থাকিলে উহা তত্ক্ষণাৎ ভিতর হইতে সহজে খোলা যায়, এবং এই প্রকার সকল দরজা, যদি না এইগুলি স্লাইডিং টাইপের হয়, এমনভাবে তৈরী করিতে হইবে যেন উহা বাহিরের দিকে খোলা যায়, অথবা যদি কোন দরজা দুইটি কক্ষের মাঝখানে হয়, তাহা হইলে উহা ভবনের নিকটতম বহির্গমন পথের কাছাকাছি দিকে খোলা যায়, এবং এই প্রকার কোন দরজা কক্ষে কাজ চলাকালীন সময়ে তালাবদ্ধ বা বাধাগ্রস্থ অবস্থায় রাখা যাইবে না৷
 
[(৩ক) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কর্মকালীন অবস্থায় কোন কক্ষ হইতে বহির্গমনের পথ তালাবদ্ধ বা আটকাইয়া রাখা যাইবে না এবং বহির্গমনের পথ বাধাগ্রস্থ কিংবা পথে কোন প্রতিবন্ধকতাও তৈরী করা যাইবে না।
 
 
(৩খ) কোন কর্মকক্ষের ভিতর হইতে তাৎক্ষণিকভাবে এবং উহা বাহিরের দিকে খোলা যায় এমনভাবে সকল দরজা তৈরী করিতে হইবে।
 
 
(৩গ) যদি কোন দরজা দুইটি কক্ষের মাঝখানে হয়, তাহা হইলে উহা ভবনের নিকটতম বহির্গমনের পথের কাছাকাছি খোলা যায় এইরূপভাবে তৈরী করিতে হইবে এবং এইরূপ সকল দরজা কক্ষে কাজ চলাকালীন তালাবদ্ধ বা বাধাগ্রস্থ অবস্থায় রাখা যাইবে না।]
 
 
(৪) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ বহির্গমণের জন্য ব্যবহৃত পথ ব্যতীত অগ্নিকান্ড কালে বহির্গমনের জন্য ব্যবহার করা যাইবে- এরূপ প্রত্যেক জানালা, দরজা বা অন্য কোন বহির্গমন পথ স্পষ্টভাবে লাল রং দ্বারা বাংলা অক্ষরে অথবা অন্য কোন সহজবোধ্য প্রকারে চিহ্নিত করিতে হইবে৷
 
 
(৫) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, উহাতে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিককে অগ্নিকান্ডের বা বিপদের সময় তৎসম্পর্কে হুশিয়ার করার জন্য, স্পষ্টভাবে শ্রবণযোগ্য হুশিয়ারী সংকেতের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে৷
 
 
(৬) প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কক্ষে কর্মরত শ্রমিকগণের অগ্নিকান্ডের সময় বিভিন্ন বহির্গমন পথে পৌঁছার সহায়ক একটি অবাধ পথের ব্যবস্থা রাখিতে হইবে৷
 
 
(৭) যে প্রতিষ্ঠানে উহার নীচ তলার উপরে কোন জায়গায় সাধারণভাবে দশজন বা ততোধিক শ্রমিক কর্মরত থাকেন, অথবা বিষ্ফোরক বা অতিদাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়, অথবা গুদামজাত করা হয়, সে প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডকালে বহির্গমনের উপায় সম্পর্কে সকল শ্রমিকেরা যাহাতে সুপরিচিত থাকেন এবং উক্ত সময়ে তাহাদের কি কি করণীয় হইবে, তত্সম্পর্কে তাহারা যাহাতে পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ লাভ করিতে পারেন সেই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷
 
 
(৮) পঞ্চাশ বা ততধিক শ্রমিক/কর্মচারী সম্বলিত কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে প্রতি 73[ছয় মাসে] অন্ততঃ একবার অগ্নিনির্বাপন মহড়ার আয়োজন করিতে হইবে, এবং এই বিষয়ে মালিক কর্তৃক নির্ধারিত পন্থায় একটি রেকর্ড বুক সংরক্ষণ করিতে হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

চলমান যন্ত্রপাতির উপরে বা নিকটে কাজ


৬৪৷ (১) যে ক্ষেত্রে, কোন প্রতিষ্ঠানে ধারা ৬৩ এর অধীন চলমান কোন যন্ত্রপাতির কোন অংশ পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, অথবা উক্তরূপ পরীক্ষার ফলে চলমান যন্ত্রপাতির বেল্ট চড়ানো এবং নামানো, তৈলাক্তকরণ অথবা সুবিন্যস্তকরণের কোন কাজ করিতে হয়, সেক্ষেত্রে উক্তরূপ পরীক্ষা বা চালনা এতদব্যাপারে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোন পুরুষ শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত হইতে হইবে, এবং উক্ত শ্রমিককে ঐ সময়ে আটো-সাটো পোষাক পরিতে হইবে, এবং তাহার নাম এতদউদ্দেশ্যে নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ থাকিতে হইবে, এবং যখন উক্ত শ্রমিক এই প্রকার কাজে নিযুক্ত থাকিবেন, সে সময় তিনি কোন ঘূর্ণায়মান পুলিতে সংযুক্ত বেল্ট নাড়াচাড়া করিবেন না, যদি না বেল্টটি প্রস্থে ১৫ সেঃ মিঃ এর নীচে হয় এবং উহার জোড়া সমতল ও ফিতা দিয়ে আটকানো থাকে৷
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন যন্ত্রপাতির ঘূর্ণায়মান কোন নির্দিষ্ট অংশের পরিষ্কারকরণ, তৈলাক্তকরণ, সুবিন্যস্তকরণ নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি 


৬৬৷ কোন প্রতিষ্ঠানের কোন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির কোন চলমান অংশ এবং উহাতে বাহিত কোন দ্রব্য যাহার উপর দিয়া চলাচল করে, উহা যদি এমন কোন স্থান হয় যাহার উপর দিয়া কোন ব্যক্তিকে কর্তব্য সম্পাদন বা অন্য কোন কারণে চলাচল করিতেই হয়, তাহা হইলে, উক্ত যন্ত্রপাতির অংশ নহে এমন কোন স্থির কাঠামো হইতে ৪৫ সেঃ মিঃ এর মধ্যে উহাকে বহির্মুখী অথবা অন্তর্মুখী চলাচল করিতে দেওয়া যাইবে নাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন বলবৎ হইবার পূর্বে, এই ধারার ব্যতিক্রমভাবে স্থাপিত কোন যন্ত্রপাতিকে প্রধান পরিদর্শক, তৎকর্তৃক নির্ধারিত উহার নিরাপত্তা সম্বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের শর্তে, উহার ব্যবহার অব্যাহত রাখিতে অনুমতি দিতে পারিবেন৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

ক্রেন বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি


৬৮৷ কোন প্রতিষ্ঠানে, হয়েস্ট এবং লিফ্‌ট ব্যতীত, সকল ক্রেন এবং অন্যান্য উত্তোলন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে নিম্নলিখিত বিধানগুলি প্রযোজ্য হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) স্থির অথবা চলমান ওয়ার্কিং গিয়ার, রজ্জু, শিকল এবং নোঙ্গর বা বন্ধন সম্পর্কিত যন্ত্রপাতিসহ উহার প্রত্যেক অংশ-
 
 
(১) পর্যাপ্ত শক্তিশালী ও মজবুত পদার্থ দিয়া উত্তমরূপে তৈরী হইতে হইবে,
 
 
(২) যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে,
 
 
(৩) প্রতি বারো মাসে অন্ততঃ একবার একজন উপযুক্ত ব্যক্তি দ্বারা সম্পূর্র্ণভাবে পরীক্ষিত হইতে হইবে, এবং উক্তরূপ প্রত্যেক পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত বিষয়াদি লিপিবদ্ধ করিবার জন্য একটি রেজিস্টার থাকিতে হইবে৷
 
 
(খ) উক্তরূপ যন্ত্রপাতি দ্বারা উহাতে লিখিত বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত কোন বোঝা বহন করা যাইবে না;
 
 
(গ) ক্রেন দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার আশংকা আছে, এরূপ কোন স্থানে কোন চলমান ক্রেনের হুইল ট্রেকে কোন ব্যক্তি কাজ করাকালীন সময়ে যাহাতে ক্রেনটি উক্ত স্থানের ছয় মিটারের মধ্যে পৌঁছাইতে না পারে- তাহার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

ঘূর্ণায়মান যন্ত্রপাতি


৭০৷ (১) কোন প্রতিষ্ঠানে গ্রাইন্ডিং প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়- এ রকম প্রত্যেক কক্ষে ব্যবহৃত প্রত্যেক যন্ত্রের গায়ে অথবা উহার নিকটে স্থায়ীভাবে নিম্নলিখিত বিষয় বর্ণনা করিয়া একটি নোটিশ লটকাইয়া বা সাটিয়া দিতে হইবে যথাঃ-
 
 
(ক) প্রত্যেক গ্রাইন্ড স্টোন অথবা এব্রোসিভ হুইলের সর্বোচ্চ নিরাপদ গতিসীমা;
 
 
(খ) যে শেফট্ অথবা স্পিন্ডল এর উপর চাকাটি স্থাপিত উহার গতি;
 
 
(গ) নিরাপদ গতি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উক্তরূপ শেফট্ বা স্পিন্ডলের উপর স্থাপিত পুলির পরিসীমা।
 
 
(২) উক্ত নোটিশে উল্লিখিত গতি অতিক্রম করা যাইবে না৷
 
 
(৩) প্রত্যেক গতিশীল আধার, খাঁচা, ঝুড়ি, ফ্লাই-হুইল, পুলি ডিস্ক অথবা শক্তি দ্বারা চালিত অনুরূপ যন্ত্রপাতি তাহাদের নির্ধারিত গতি যাহাতে অতিক্রম না করিতে পারে ইহার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
মেঝে সিঁড়ি এবং যাতায়াত পথ
৭২৷ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে-
 
 
(ক) সকল মেঝে, সিঁড়ি, চলাচল পথ মজবুতভাবে নির্মাণ করিতে এবং যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং প্রয়োজন হইলে উহাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মজবুত রেলিং এর ব্যবস্থা করিতে হইবে [এবং কর্মকালীন নিবিঘ্নে চলাচলের জন্য পথ ও সিঁড়ি উন্মুক্ত রাখিতে হইবে];
 
 
(খ) যে স্থানে কোন সময়ে কোন ব্যক্তিকে কাজ করিতে হয়, সে স্থানে যাতায়াতের জন্য, যুক্তিসংগতভাবে যতদূর সম্ভব নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করিতে হইবে; এবং
 
 
(গ) কর্মস্থলের [***] চলাচলের পথ ও সিঁড়ি পরিচ্ছন্ন, প্রশস্ত ও বাধা-বন্ধকহীন হইতে হইবে [;
 
 
(ঘ) মালিক কারখানা ও শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মস্থলের চলাচলের পথ, সিঁড়ি, গেইট, গুদাম ও সাধারণ ব্যবহারি স্থানসমূহ (Common Utility Area) ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনিতে পারিবে।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ নির্ণয় অথবা  ওহার স্থায়িত্ব  পরীক্ষা ক্ষমতা


৭৬৷ যদি কোন পরিদর্শকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন বা উহার অংশ বিশেষ, অথবা উহার কোন পথ, যন্ত্রপাতি অথবা প্ল্যান্ট এমন অবস্থায় আছে যে, উহা মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ তাহা হইলে তিনি প্রতিষ্ঠানের মালিকের উপর লিখিত আদেশ জারী করিয়া, উহাতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, নিম্নলিখিত কাজ করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) উক্ত ভবন, রাস্তা, যন্ত্রপাতি বা প্লান্ট নিরাপদভাবে ব্যবহার করা যায় কি না- উহা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় নকশা এবং অন্যান্য তথ্য বা বিবরণ সরবরাহ করা;
 
 
(খ) কোন নির্দিষ্ট অংশের মান বা শক্তি নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা পরিচালনা করা এবং উহার ফলাফল পরিদর্শককে অবহিত করা৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

বিস্ফোরণ  বা  দাহ গ্যাস ধুলা  ইত্যাদি 


৭৮৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন উত্পাদন প্রক্রিয়ার কারণে উত্থিত গ্যাস, ধোঁয়া, বাষ্প বা ধুলা এমন প্রকৃতির বা এমন পরিমাণের হয় যে, উহা বিষ্ফোরিত বা প্রজ্জ্বলিত হইবার সম্ভাবনা থাকে, সে ক্ষেত্রে উক্তরূপ বিষ্ফোরণ বন্ধ করার জন্য নিম্নলিখিত পন্থায় সম্ভাব্য সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) প্ল্যান্ট বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় উহা কার্যকরভাবে ঘিরিয়া রাখিয়া;
 
 
(খ) উক্তরূপ ধুলা, গ্যাস, ধোঁয়া বা বাষ্প নিষ্কাশন বা উহার সঞ্চয় নিরোধ করিয়া;
 
 
(গ) দহনীয় হইবার সম্ভাব্য সকল উত্স কার্যকরভাবে ঘিরিয়া রাখিয়া৷
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কোন পস্্ন্যান্ট বা যন্ত্রপাতি এমনভাবে নির্মাণ করা হয় নাই যাহাতে উহা উক্তরূপ বিষ্ফোরণের ক্ষেত্রে উত্পন্ন সম্ভাব্য চাপ সহ্য করিতে পারে সে ক্ষেত্রে উক্ত পস্্ন্যান্ট বা যন্ত্রপাতিতে চোক, বেফল্‌স, ভেন্টস বা অন্য কোন কার্যকর যন্ত্রপাতি ব্যবস্থা করিয়া উক্ত বিস্ফোরণের বিস্ত্মার বা প্রভাব রোধ করার জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷
 
 
(৩) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন পস্্ন্যান্ট বা যন্ত্রপাতির কোন অংশ কোন বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস বা বাষ্প স্বাভাবিক বায়ু চাপ অপেক্ষা অধিক চাপে থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত অংশ নিম্নলিখিত পন্থা ব্যতীত খোলা যাইবে না, যথাঃ-
 
 
(ক) উক্ত কোন অংশের ঢাকনার মুখের সঙ্গে সংযুক্ত কোন পাইপের সংযোগ খুলিয়া দেওয়ার পূর্বে উক্ত অংশে কোন গ্যাস বা বাষ্প প্রবেশ অথবা উক্তরূপ পাইপ ষ্টপ-বালব্‌ দ্বারা বা অন্য কোন পন্থায় বন্ধ করিতে হইবে;
 
 
(খ) উক্তরূপ কোন বন্ধন অপসারণ করিবার পূর্বে উক্ত অংশের অথবা পাইপের গ্যাস বা বাষ্পের চাপ স্বাভাবিক বায়ু চাপে কমাইয়া আনার জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে;
 
 
(গ) যে ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোন বন্ধন শ্লথ বা অপসারণ করা হইয়াছে, সে ক্ষেত্রে কোন বিষ্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস অথবা বাষ্প উক্ত অংশে অথবা পাইপে, বন্ধন শক্ত করিয়া বাধা না হওয়া পর্যন্ত এবং নিরাপদভাবে প্রতিস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত, প্রবেশ নিরোধ করিবার জন্য সর্ব প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইেবঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কোন প্ল্যান্ট বা যন্ত্রপাতি খোলা মাঠে স্থাপিত হয়, সেক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
(৪) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন প্ল্যান্ট, আধার বা চৌবাচ্চাতে কোন বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ থাকে বা কোন সময় ছিল, সে ক্ষেত্রে উহাতে তাপ ব্যবহার করিয়া কোনরূপ ঝালাই বা কাটার কাজ করা যাইবে না, যদি না উক্ত বস্তু বা ধোঁয়া অপসারণ অথবা অদাহ্য বা অবিষ্ফোরক অবস্থায় রূপান্তর করার জন্য প্রথমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, এবং উক্তরূপ কোন পদার্থ উক্ত প্ল্যান্ট, আধার বা চৌবাচ্চায় উক্তরূপ কোন কাজ করার পর প্রবেশ করিতে দেওয়া যাইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সংশ্লিষ্ট ধাতু উক্ত বস্তুকে দাহ্য করার বিপদ রোধ করার মত যথেষ্ট ঠাণ্ডা হয়৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

বিপদজনক চালনা 


৭৯৷ যে ক্ষেত্রে সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কর্ম পরিচালনায় ইহাতে নিযুক্ত কোন ব্যক্তির সাংঘাতিক শারীরিক জখম, বিষাক্রান্ত বা ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সে ক্ষেত্রে সরকার বিধি দ্বারা উক্ত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে লিখিত বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) কোন্‌ কোন্‌ পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ উহা ঘোষণা;
 
 
(খ) মহিলা, কিশোর এবং শিশুদের উক্ত কাজে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা;
 
 
(গ) উক্ত কাজে নিয়োজিত প্রত্যেক ব্যক্তির নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং উক্ত কাজের জন্য উপযুক্ত বলিয়া প্রত্যয়িত হন নাই এই রকম কোন ব্যক্তির ইহাতে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা;
 
 
(ঘ) উক্ত কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিগণের বা উহার আশে পাশে কর্মরত ব্যক্তিগণের সু-রক্ষার ব্যবস্থা করা, এবং কর্ম পরিচালনার ব্যাপারে বিশেষ কোন বস্তু বা পন্থা ব্যবহার করা; এবং
 
 
(ঙ) ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ সম্পর্কে নোটিশ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার নোটিশ৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
কতগুলো বিপদজনক ঘটনার  নোটিশ
৮১৷ যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রকৃতির কোন বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রে, উহাতে কোন শারীরিক জখম হউক বা না হউক, মালিক পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তত্সম্পর্কে নোটিশ মারফত পরিদর্শককে অবহিত করিবেন৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

দুর্ঘটনা বা ব্যাধি সম্পর্কে তদন্ত নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা


৮৩৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা জনিত বিস্ফোরণ, প্রজ্জ্বলন, অগ্নিকাণ্ড বা সবেগে পানি প্রবেশ অথবা অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটে, অথবা যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত কোন ব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় বা দিয়াছে বলিয়া সন্দেহ হয়, এবং সরকার যদি মনে করে যে, উক্তরূপ দুর্ঘটনা বা ব্যাধির উদ্ভবের কারণ ও তত্সম্পর্কিত পরিস্থিতি সম্বন্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে সরকার কোন যোগ্য ব্যক্তিকে উক্তরূপ তদন্ত করিবার জন্য নিযুক্ত করিতে পারিবে, এবং আইনের বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন কোন ব্যক্তিকে তদন্তকালে এসেসর হিসাবে কাজ করার জন্য নিযুক্ত করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উক্ত তদন্তকারী ব্যক্তির, কোন সাক্ষীর উপস্থিতি, দলিল বা অন্য কোন বস্তু পেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে এতদসংক্রান্ত দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন দেওয়ানী আদালতের সকল ক্ষমতা থাকিবে, এবং কোন ব্যক্তিকে তদন্তের উদ্দেশ্যে কোন সংবাদ দেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দিলে সে ব্যক্তি দণ্ড বিধির ধারা ১৭৬ এর অর্থে উহা করিতে আইনত বাধ্য বলিয়া গণ্য হইবেন৷
 
 
(৩) তদন্তের প্রয়োজনে উক্ত তদন্তকারী এই আইনের অধীন কোন পরিদর্শকের যে যে ক্ষমতা তাহার প্রয়োগ করার প্রয়োজন বলিয়া মনে করেন, তাহা তিনি প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
 
 
(৪) তদন্তকারী ব্যক্তি সরকারের নিকট তাহার রিপোর্ট পেশ করিবেন এবং এই রিপোর্টে দুর্ঘটনার কারণ এবং তত্সম্পর্কিত পরিস্থিতি লিপিবদ্ধ করিবেন, এবং এতদবিষয়ে তাহার এবং এসেসরের কোন মন্তব্য থাকিলে তাহাও ব্যক্ত করিবেন৷
 
 
(৫) সরকার, তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময় ও পন্থায়, উক্ত রিপোর্ট প্রকাশ করিবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
কতিপয় বিপদের ক্ষেত্রে পরিদর্শকের ক্ষমতা
৮৫৷ (১) এই আইনে কোন বিষয় সম্বন্ধে সুস্পষ্ট বিধান নাই এরূপ কোন ক্ষেত্রে, যদি পরিদর্শকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠান বা উহার অংশবিশেষ অথবা উহাতে বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট নষ্ট বা উহা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত কোন ব্যাপার বা রীতি মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক, অথবা এমন ত্রম্নটিপূর্ণ যে উহা মানুষের শারীরিক ক্ষতি করিতে পারে, তাহা হইলে তিনি লিখিত নোটিশ দ্বারা তত্সম্পর্কে মালিককে অবহিত করিতে পারিবেন এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ও পদ্ধতিতে, যে যে কারণে উহা বিপজ্জনক বা ক্ষতিকারক বা ত্রুটিপূর্ণ তাহা দূরীভূত করার নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানের হানি না করিয়া, পরিদর্শক লিখিত আদেশ দ্বারা কোন প্রতিষ্ঠানের মালিককে তাহার প্রতিষ্ঠানের বা উহার কোন অংশের কোন স্তম্ভ উপড়াইয়া ফেলা বা কমাইয়া ফেলা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন, যদি তাহার মতে ইহা দ্বারা অন্য কোন স্তম্ভভ ভাঙ্গিয়া পড়ার অথবা প্রতিষ্ঠানের কোন অংশ অকালে ধ্বসিয়া পড়ার সম্ভাবনা থাকে অথবা ইহা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক হয়৷
 
 
(৩) যদি পরিদর্শকের মতে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তির জীবন ও নিরাপত্তা আশু বিপদের সম্মুখীন তাহা হইলে, তিনি সংশ্লিষ্ট মালিককে প্রদত্ত লিখিত আদেশ দ্বারা তাহার এই মতের কারণ বর্ণনা করিয়া, বিপদ অপসারিত হইয়াছে এই মর্মে তিনি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত, উক্ত প্রতিষ্ঠানে বা উহার কোন অংশে কোন ব্যক্তির নিয়োগ নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন, তবে কোন ব্যক্তি উক্ত বিপদ অপসারণের কাজে নিযুক্ত থাকিলে তত্সম্পর্কে এই আদেশ প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ কোন মালিক আদেশ প্রাপ্তির দশ দিনের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে প্রধান পরিদর্শকের নিকট আপীল করিতে পারিবেন, এবং তিনি এই আদেশ বহাল, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবেন৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) এবং (৩) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যেক আদেশ সম্পর্কে পরিদর্শক তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের নিকট রিপোর্ট পেশ করিবেন, এবং সংশ্লিষ্ট মালিককে এই রিপোর্ট প্রদান সম্পর্কে অবহিত করিবেন৷
 
 
(৬) প্রধান পরিদর্শক উপ-ধারা (৪) এর অধীন তৎকর্তৃক প্রদত্ত বাতিলের আদেশ ব্যতীত অন্য কোন আদেশ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের নিকট রিপোর্ট পেশ করিবেন, এবং এই রিপোর্ট প্রদান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মালিককেও অবহিত করিবেন৷
 
 
(৭) কোন মালিকের উপ-ধারা (১), (৩) অথবা (৪) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপত্তি থাকিলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির বিশ দিনের মধ্যে উক্ত আপত্তি এবং উহার কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ সরকারের নিকট লিখিতভাবে জানাইবেন এবং সরকার উহা একটি কমিটির নিকট সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করিবে৷
 
 
(৮) উক্ত কমিটির সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত, যে আদেশের বিরম্নদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছে মালিককে উহা মানিয়া চলিতে হইেবঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, মালিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি উহার সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিতে পারিবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
কতিপয়  কাজে মহিলাগণের নিয়োগের বাধা নিষেধ
৮৭৷ ধারা ৩৯, ৪০ এবং ৪২ এর বিধানগুলি কিশোর শ্রমিকগণের জন্য যেমন প্রযোজ্য মহিলা শ্রমিকগণের জন্যও তেমন প্রযোজ্য হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম


৮৯৷ (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে সকল কর্ম সময়ে যাহাতে সহজে পাওয়া যায় এমনভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সমৃদ্ধ বাক্স অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত সরঞ্জাম সমৃদ্ধ আলমিরার ব্যবস্থা করিতে হইবে৷
 
 
(২) উক্তরূপ বাক্স বা আলমিরার সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ নিয়োজিত প্রত্যেক একশত পঞ্চাশ জন শ্রমিকের জন্য একটির কম হইবে না৷
 
 
(৩) প্রত্যেক প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স অথবা আলমিরা এমন একজন দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তির জিম্মায় থাকিবে যিনি প্রাথমিক চিকিত্সায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং যাহাকে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্ম সময়ে পাওয়া যাইবে৷
 
 
(৪) প্রত্যেক কর্ম-কক্ষে উক্ত ব্যক্তির নাম সম্বলিত একটি নোটিশ টাংগাইয়া দেওয়া হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি তাহাকে সহজে সনাক্ত করা যায় মত ব্যাজ পরিধান করিবেন৷
 
 
(৫) যে সকল প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ তিনশ বা ততোধিক শ্রমিক নিয়োজিত থাকেন সে সকল প্রতিষ্ঠানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত মাপের ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত অথবা অন্যান্য সুবিধা সম্বলিত ডিসপেনসারীসহ একটি রোগী কক্ষ থাকিবে, এবং উক্ত কক্ষটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফের দায়িত্বে থাকিবে৷
 
 
[(৬) যে সকল প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহে পাঁচ হাজার বা ততোধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন সেই সকল প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিক বা মালিকগণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় একটি স্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনার ব্যবস্থা করিবেন।
 
 
(৭) পেশাগত রোগে বা কর্মকালীন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত শ্রমিক ও কর্মচারীকে মালিকের নিজ খরচে ও দায়িত্বে উক্ত রোগ, আঘাত বা অসুস্থতা উপযুক্ত বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা করিতে হইবে।
 
 
(৮) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে যেখানে ৫০০ জন বা ততোধিক সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত রহিয়াছেন সেই সব প্রতিষ্ঠানের মালিক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কল্যাণ কর্মকর্তা নিয়োগ করিবেন।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

একটি কমিটি গঠন 


৯০ক। পঞ্চাশ বা তদূর্ধ্ব সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত রহিয়াছেন এমন প্রত্যেক কারখানায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় সেইফটি কমিটি গঠন এবং উহাকে কার্যকর করিতে হইবে।]

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

ক্যান্টিন


৯২৷ (১) যে প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ একশত জনের অধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন সে প্রতিষ্ঠানে তাহাদের ব্যবহারের জন্য যথেষ্ঠ সংখ্যক ক্যান্টিন থাকিবে৷
 
 
(২) সরকার বিধি দ্বারা-
 
 
(ক) কোন ক্যান্টিনের নির্মাণ, স্থান সংস্থান, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামের মান নির্ধারণ করিবে;
 
 
(খ) ক্যান্টিনের জন্য একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং উহার ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক প্রতিনিধত্বের জন্য বিধান করিতে পারিবে৷
 
 
(৩) ক্যান্টিনে কি ধরণের খাদ্য সরবরাহ করা হইবে এবং উহার মূল্য কত হইবে তাহা উক্ত ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্ধারণ করিবে৷

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

শিশু কক্ষ


৯৪৷ (১) সাধারণতঃ চল্লিশ বা ততোধিক মহিলা শ্রমিক নিয়োজিত আছেন এরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে তাহাদের ছয় বৎসরের কম বয়সী শিশু সন্তানগণের ব্যবহারের জন্য এক বা একাধিক উপযুক্ত কক্ষের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে৷
 
 
(২) উক্তরূপ কোন কক্ষে যথেষ্ট স্থান সংস্থান, আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকিবে, এবং উহা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে, এবং কক্ষটি শিশুদের পরিচর্যার জন্য অভিজ্ঞ বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলার তত্ত্বাবধানে থাকিবে৷
 
 
(৩) উক্তরূপ কক্ষ শিশুদের মায়েদের জন্য সহজগম্য হইতে হইবে, এবং যুক্তিসংগতভাবে যতদূর সম্ভব উহা প্রতিষ্ঠানের এমন কোন অংশের সংলগ্ন বা নিকটে অবস্থিত হইবে না যেখান হইতে বিরক্তিকর ধোঁয়া, ধুলাবালি বা গন্ধ নির্গত হয়, অথবা যেখানে অতি মাত্রায় শব্দময় কাজ-কর্ম পরিচালিত হয়৷
 
 
(৪) উক্তরূপ কক্ষ মজবুতভাবে নির্মাণ করিতে হইবে, এবং ইহার সকল দেওয়ালে ও ছাদে উপযুক্ত তাপ প্রতিরোধক বস্তু থাকিতে হইবে এবং ইহা পানি-রোধক হইতে হইবে৷
 
 
(৫) উক্তরূপ কক্ষের উচ্চতা মেঝে হইতে ছাদের সর্বনিম্ন অংশ পর্যন্ত ৩৬০ সেণ্টিমিটারের নীচে হইবে না, এবং উহাতে অবস্থানরত প্রত্যেক শিশুর জন্য মেঝের পরিমাণ হইবে কমপক্ষে ৬০০ বর্গ সেণ্টিমিটার৷
 
 
(৬) উক্তরূপ কোন কক্ষের প্রত্যেক অংশের জন্য প্রচুর আলো-বাতাস ও মুক্ত বায়ু সঞ্চালনের উপযুক্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে৷
 
 
(৭) উক্তরূপ কোন কক্ষ যথেষ্ট আসবাবপত্র দ্বারা সজ্জিত থাকিবে এবং বিশেষ করিয়া প্রত্যেক শিশুর জন্য বিছানাসহ একটি খাট বা দোলনা থাকিবে, এবং প্রত্যেক মা যখন শিশুকে দুধ পান করাইবেন বা পরিচর্যা করিবেন, তখন তাহার ব্যবহারের জন্য অন্ততঃ একটি চেয়ার বা এই প্রকারের কোন আসন থাকিতে হইবে, এবং তুলনামূলকভাবে বয়স্ক শিশুদের জন্য যথেষ্ট ও উপযুক্ত খেলনার সরবরাহ থাকিতে হইবে৷
 
 
(৮) তুলনামূলকভাবে বয়স্ক শিশুদের জন্য একটি উপযুক্ত ঘেরা দেওয়া ছায়াময় উন্মুক্ত খেলার মাঠ থাকিেবঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রধান পরিদর্শক লিখিত আদেশ দ্বারা কোন প্রতিষ্ঠানকে এই উপ-ধারার বিধান হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবেন যদি তিনি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে উক্তরূপ খেলার মাঠ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের যথেষ্ট জায়গা নাই৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
চা বাগানে বিনোদন ও শিক্ষার ব্যবস্থা
৯৫৷ সরকার চা বাগান সম্পর্কে-
 
 
(ক) বিধি প্রণয়ন করিয়া উহার প্রত্যেক মালিককে সেখানে নিযুক্ত শ্রমিকগণ এবং তাহাদের শিশু সন্তানগণের জন্য বিধিতে উল্লিখিত বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে;
 
 
(খ) যে তেগত্রে কোন চা-বাগানের শ্রমিকগণের ছয় হইতে বারো বছর বয়সী শিশু সন্তানগণের সংখ্যা পঁচিশ এর উপরে হয় সে তেগত্রে, বিধি প্রণয়ন করিয়া উহার মালিককে, বিধিতে উল্লিখিত প্রকারে এবং মানের শিশুদের শিতগার সুযোগ এর ব্যবস্থা করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে;

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

চা বাগানে  দৈনিন্দ  জিনিসপত্র ইত্যাদি সুবিধা 


৯৭৷ চা বাগানের প্রত্যেক মালিক তাহার শ্রমিকগণের জন্য সহজগম্য স্থানে তাহাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস প্রাপ্তির সুবিধার ব্যবস্থা করিবেন৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

বাধ্যতামূলক গুরুপ বীমা চালু


 ৯৯। (১) যে সকল প্রতিষ্ঠানে অন্যূন ১০০ জন স্থায়ী শ্রমিক কর্মরত রহিয়াছেন, সেইখানে মালিক প্রচলিত বীমা আইন অনুযায়ী গ্রুপ বীমা চালু করিবেন।
 
(২) বীমা দাবীর টাকা এই আইনের অধীন শ্রমিকের অন্যান্য প্রাপ্যের অতিরিক্ত হইবে;
 
তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বীমা দাবী আদায় মালিকের দায়িত্ব হইবে এবং মালিক উক্ত বীমা দাবী হইতে আদায়কৃত অর্থ পোষ্যদের সরাসরি প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন:
 
আরও শর্ত থাকে যে, অন্য আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুন না কেন, এই ধারা অনুযায়ী কোন বীমা দাবী উত্থাপিত হইলে উহা অনুর্ধ একশত বিশ দিনের মধ্যে বীমা কোম্পানী ও মালিক যৌথ উদ্যোগে নিস্পত্তি করিবেন।]
 
[ (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২৩২ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টর অথবা শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগকারী শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টরসহ অন্যান্য শিল্প সেক্টরে সরকার কর্তৃক কেন্দ্রীয় তহবিল স্থাপিত হইলে উক্ত শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য গ্রুপ বীমা করিবার প্রয়োজন হইবে না এবং এইরূপ ক্ষেত্রে শ্রমিকের গ্রুপ বীমার সমপরিমাণ অর্থ উক্ত তহবিল হইতে প্রদান করা হইবে:
 
তবে শর্ত থাকে যে, কেন্দ্রীয় তহবিলের শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ অর্থ গ্রুপ বীমার পরিবর্তে প্রদানের নিমিত্ত এবং অবশিষ্ট শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ অর্থ শ্রমিকের কল্যাণে ব্যবহৃত হইবে।]

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

বিশ্রাম বা আহারের জন্য বিরতি


১০১। কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক-
 
 
(ক) দৈনিক ছয় ঘণ্টার অধিক কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন না, যদি না উক্ত দিনে তাহাকে বিশ্রাম বা আহারের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়;
 
 
(খ) দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার অধিক কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন না, যদি না উক্ত দিনে উক্ত উদ্দেশ্যে তাহাকে আধা ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়, অথবা
 
 
(গ) দৈনিক আট ঘন্টার অধিক কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন না, যদি না উক্ত দিনে উক্ত উদ্দেশ্যে তাহাকে দফা (ক) এর অধীন একটি বিরতি অথবা দফা (খ) এর অধীন দুইটি বিরতি দেওয়া হয়[;
 
 
(ঘ) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্মাণ, রি-রোলিং, ষ্টিল মিলস, জাহাজ ভাঙ্গা, ঝালাই (welding) সহ শারীরিক ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিশ্রমী কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন ধরণের কারখানায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকার কর্মঘণ্টা ও বিশ্রামের সময় নির্ধারণ করিবে।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

সাপ্তাহিক  ছুটি 


১০৩। কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন শ্রমিক-
 
[ (ক) প্রতি সপ্তাহে কারখানা ও শিল্পের ক্ষেত্রে একদিন এবং দোকান ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেড় দিন ছুটি পাইবেন;]
 
(খ) সড়ক পরিবহণ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, প্রতি সপ্তাহে অবিচ্ছিন্ন চবি্বশ ঘণ্টার একদিন ছুটি পাইবেন
 
(গ) উপরোক্ত দফা (ক) ও (খ) এর আওতায় কোন ছুটির জন্য শ্রমিকের মজুরী হইতে কোন কর্তন করা যাইবে না।]

  বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

কর্ম সময়ে সম্প্রসারণ


১০৫। কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের কাজের সময় এমনভাবে ব্যবস্থা করিতে হইবে যেন, ধারা ১০১ এর অধীন তাহার আহার ও বিশ্রামের [ বিরতি ব্যতীত] ইহা দশ ঘণ্টার অধিক সমপ্রসাারিত না হয়, তবে সরকার কর্তৃক সাধারণভাবে [ অথবা কোনো সেক্টরভিত্তিক] অথবা কোন বিশেষ প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে এবং তৎকর্তৃক আরোপিত শর্তে ইহার ব্যতিক্রম করা যাইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

যানবাহনে ক্রমপুঞ্জিত কর্মঘন্টার উপর বাধা


১০৭। এই আইনের অধীন অনুমোদিত সময়ের অতিরিক্ত কোন সময় কোন শ্রমিক কোন যানবাহনে বা একাধিক যানবাহনে কাজ করিবেন না বা তাহাকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হইবে না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

শ্রমিকের জন্য সীমিত কর্মঘন্টা 


১০৯। কোন মহিলা শ্রমিককে তাহার বিনা অনুমতিতে কোন প্রতিষ্ঠানে রাত দশ ঘটিকা হইতে ভোর ছয় ঘটিকা পর্যনত্দ সময়ের মধ্যে কোন কাজ করিতে দেওয়া হইবে না।

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের কাজের সময় নোটিশ এবং উহার প্রস্তুতি
১১১। (১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে উহাতে কর্মরত প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকগণ কোন্ কোন্ সময় কাজ করিবেন ইহা পরিষ্কারভাবে লিখিয়া একটি নোটিশ ধারা ৩৩৭ এর বিধান অনুযায়ী প্রদর্শিত হইবে এবং প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধভাবে রক্ষিত হইবে।
 
 
(২) উক্ত নোটিশে প্রদর্শিত সময় এই ধারার বিধান অনুযায়ী পূর্বেই স্থির করিতে হইবে এবং উহা এমন হইবে যেন উক্ত সময়ে কর্মরত শ্রমিকগণকে ধারা ১০০, ১০১, ১০২, ১০৩ এবং ১০৫ এর বিধানের খেলাপ করিয়া কাজ না করানো হয়।
 
 
(৩) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের সকল প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে একই সময়সমূহে কাজ করিতে হয় সেক্ষেত্রে মালিক উক্ত সময়সমূহ সাধারণভাবে স্থির করিবেন।
 
 
(৪) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের সকল প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে একই সময়সমূহে কাজ করিতে হয় না সেক্ষেত্রে মালিক উক্তরূপ শ্রমিকগণকে তাহাদের কাজের প্রকৃতি অনুসারে বিভিন্ন দলে ভাগ করিবেন, এবং প্রত্যেক দলের শ্রমিক সংখ্যা নির্ধারণ করিয়া দিবেন।
 
 
(৫) যে দলকে কোন পালা পদ্ধতিতে কাজ করিতে হয় না, সে দলকে কোন্ সময় কাজ করিতে হইবে, তাহা মালিক নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।
 
 
(৬) যে ক্ষেত্রে কোন দলকে পালা পদ্ধতিতে কাজ করিতে হয়, এবং রিলেগুলি অনির্দিষ্ট পর্যায়ক্রমিক পালা পরিবর্তনের অধীনে নয়, সে ক্ষেত্রে উক্তরূপ প্রত্যেক দলের রিলেকে কোন্ সময় কাজ করিতে হইবে তাহা মালিক নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।
 
 
(৭) যে ক্ষেত্রে কোন দলকে পালা পদ্ধতিতে কাজ করিতে হয়, এবং রিলেগুলি পূর্ব নির্দিষ্ট পর্যায়ক্রমিক পালা পরিবর্তনের অধীন, সে ক্ষেত্রে মালিক পালার একটি স্কীম প্রণয়ন করিবেন যেখানে কোন্ দলের রিলেকে কোন্ দিনের কোন্ সময়ে কাজ করিতে হইবে তাহা জানা যাইবে।
 
 
(৮) এই ধারার অধীন কাজের সময় সম্পর্কিত কোন নোটিশের দুইটি কপি কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরম্ন হইবার পূর্বে অনুমোদনের জন্য পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
(৯) উক্ত নোটিশের একটি কপি পরিদর্শক, উহা প্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে, কোন সংশোধন প্রয়োজন হইলে উহা নির্দেশ করিয়া মালিকের নিকট ফেরত পাঠাইবেন, এবং মালিক উক্তরূপ সংশোধন, যদি থাকে, অবিলম্বে কার্যকর করিবেন, এবং প্রতিষ্ঠানের রেকর্ডে উক্তরূপ অনুমোদন সংরৰণ করিবেন।
 
 
(১০) কোন প্রতিষ্ঠানের কাজের পদ্ধতিতে কোন পরিবর্তনের প্রসত্দাবে যদি নোটিশের পরিবর্তন প্রয়োজনীয় হইয়া পড়ে তাহা হইলে প্রসত্দাবিত পরিবর্তনের পূর্বে উহার দুইটি কপি পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং পরিদর্শকের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত উক্তরূপ কোন পরিবর্তন কার্যকর করা যাইবে না।
 
 
(১১) কোন প্রতিষ্ঠানে কোন দিনের কাজের নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পরে যদি কোন শ্রমিক কাজে হাজির হন তাহা হইলে মালিক উক্ত শ্রমিককে উক্ত দিনের কাজে নিয়োগ করিতে অস্বীকার করিতে পারিবেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

নোটিশ এবং কর্ম  ঘন্টার শহীত রেজিস্টারে মিল থাকা


১১৩। ধারা ১১১ (১) এর অধীন নোটিশ এবং ধারা ৯ এর অধীন রৰিত রেজিস্টারে কোন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকের নামের বিপরীতে পূর্ব লিপিবদ্ধ বিবরণ অনুযায়ী ব্যতীত তিনি কোন কাজ করিতে পারিবেন না বা তাহাকে কোন কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

নৈমিত্তিক ছুটি


১১৫। প্রত্যেক শ্রমিক প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে দশ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন, এবং উক্তরূপ ছুটি কোন কারণে ভোগ না করিলেও উহা জমা থাকিবে না এবং কোন বৎসরের ছুটি পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাইবে নাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে এই ধারার কোন কিছুই চা-বাগানের অধীনে নিযুক্ত কোন শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
 মঞ্জুরি সহ বাৎসরিক ছুটি
১১৭। (১) কোন প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর চাকুরী পূর্ণ করিয়াছেন এমন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিককে পরবর্তী বারো মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বারো মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ নিম্নবর্ণিত হারে গণনার ভিত্তিতে ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে, যথাঃ-
 
(ক) কোন দোকান বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা কোন কারখানা অথবা সড়ক পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, প্রতি আঠার দিন কাজের জন্য একদিন;
 
(খ) কোন চা বাগানের ক্ষেত্রে, প্রতি বাইশ দিন কাজের জন্য একদিন;
 
(গ) কোন সংবাদপত্র শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রতি এগার দিন কাজের জন্য একদিন।
 
(২) কোন প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর চাকুরী পূর্ণ করিয়াছেন এমন প্রত্যেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিককে পরবর্তী বারো মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বারো মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ নিম্নবর্ণিত হারে গণনার ভিত্তিতে ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে; যথাঃ-
 
(ক) কোন কারখানার ক্ষেত্রে, প্রতি পনর দিন কাজের জন্য একদিন;
 
(খ) কোন চা-বাগানের ক্ষেত্রে, প্রতি আঠার দিন কাজের জন্য একদিন;
 
(গ) কোন দোকান বা বাণিজ্য অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, প্রতি চৌদ্দ দিন কাজের জন্য একদিন।
 
(৩) এই ধারার অধীন মঞ্জুরকৃত কোন ছুটির সময়ের মধ্যে যদি অন্য কোন ছুটি পড়ে তাহা হইলে উক্ত ছুটি ও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে।
 
(৪) যদি কোন শ্রমিক কোন বারো মাস মেয়াদের মধ্যে উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন তাহার প্রাপ্য কোন ছুটি সম্পূর্ণ বা অংশত ভোগ না করেন তাহা হইলে উক্তরূপ প্রাপ্য ছুটি পরবর্তী বারো মাস মেয়াদে তাহার প্রাপ্য ছুটির সহিত যুক্ত হইবে।
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের এই ধারার অধীন ছুটি পাওনা বন্ধ হইয়া যাইবে যখন তাহার পাওনা অর্জিত ছুটি-
 
(ক) কোন কারখানা অথবা সড়ক পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, চলিস্নশ দিন হয়;
 
(খ) কোন চা-বাগান, দোকান বা বাণিজ্য অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, ষাট দিন হয়।
 
(৬) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন [ কিশোর] শ্রমিকের এই ধারার অধীন ছুটি পাওনা বন্ধ হইয়া যাইবে যখন তাহার পাওনা অর্জিত ছুটি-
 
(ক) কোন কারখানা অথবা চা-বাগানের ক্ষেত্রে, ষাট দিন হয়;
 
(খ) কোন দোকান বা বাণিজ্য অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, আশি দিন হয়।
 
(৭) কোন শ্রমিক অর্জিত ছুটির জন্য দরখাসত্দ করিলে যদি মালিক কোন কারণে উহা না-মঞ্জুর করেন, তাহা হইলে উক্ত না-মঞ্জুরকৃত ছুটি সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের হিসাবে উপ-ধারা (৫) অথবা (৬) এ উলিস্নখিত সীমার অতিরিক্ত পাওনা হিসাবে যুক্ত হইবে।
 
(৮) এই ধারা প্রয়োজনে, কোন শ্রমিক কোন প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে কোন সময়ের জন্য কাজ সমপূর্ণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন যদিও বা উক্ত সময়ে নিম্নলিখিত কারণে তাহার কাজ ব্যাহত হইয়া থাকে, যথাঃ-
 
(ক) কোন বন্ধের দিন;
 
(খ) কোন মজুরীসহ ছুটি;
 
(গ) পীড়া বা দুর্ঘটনার কারণে মজুরীসহ বা মজুরী ছাড়া কোন ছুটি;
 
(ঘ) অনধিক ষোল সপ্তাহ পর্যনত্দ প্রসূতি ছুটি;
 
(ঙ) কোন লে-অফ;
 
(চ) আইন সম্মত কোন ধর্মঘট বা বে-আইনী কোন লক-আউট।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

 ছুটি অথবা বন্ধের সময় মঞ্জুরি হিসাব প্রদান


১১৯। (১) এই আইনের অধীন কোন শ্রমিককে মঞ্জুরকৃত ছুটি বা বন্ধের জন্য যে হারে মজুরী প্রদেয় তাহা হইবে-তিনি তাহার ছুটির অব্যবহিত পূর্ববতী মাসে যে দিন গুলিতে কাজ করিয়াছন সেই দিনগুলির জন্য প্রদত্ত, অধিকাল ভাতা ও বোনাস ব্যতীত, তাহার পূর্ণ সময়ের মজুরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অনত্দবতর্ী মজুরী, যদি থাকে, এর দৈনিক গড়ের সমানঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক খাদ্য শষ্য সরবরাহের সুযোগের পরিবর্তে কোন নগদ অর্থ পাইতে অধিকারী হন তাহা হইলে ইহা তাহার মজুরীর সঙ্গে সংযুক্ত হইবে।
 
 
(২) যদি কোন প্রাপ্ত বয়সক শ্রমিককে একসঙ্গে অনু্যন চার দিনের এবং কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিককে একসঙ্গে অনূ্যন পাঁচ দিনের বাৎসরিক ছুটি মঞ্জুর করা হয় তাহা হইলে, যতদুর সম্ভব, তাহার ছুটি শুরম্ন হইবার পূর্বে তাহাকে ছুটির মজুরী প্রদান করিতে হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
Bangladesh Labor Act 2006

মঞ্জুরি পরিষদের দায়িত্ব 


১২১। প্রত্যেক মালিক তৎকর্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক শ্রমিককে, এই আইনের অধীন পরিশোধ করিতে হইবে এরূপ সকল মজুরী পরিশোধ করিবার জন্য দায়ী থাকিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ঠিকাদার কর্তৃক নিযুক্ত কোন শ্রমিকের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল শ্রমিকের ক্ষেত্রে, কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক অথবা উহার তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিকের নিকট দায়ী অন্য কোন ব্যক্তিও উক্তরূপ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেনঃ
 
 
আরো শর্ত থাকে যে, ঠিকাদার কর্তৃক নিযুক্ত কোন শ্রমিকের মজুরী উক্ত ঠিকাদার কর্তৃক পরিশোধ না করা হইলে সেই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃক উক্ত শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ করা হইবে, যাহা ঠিকাদারের নিকট হইতে সমন্বয় করা হইবে।


বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006

মঞ্জুরি পরিষদের সময় 


১২৩। (১) কোন শ্রমিকের যে মজুরীকাল সমপর্কে তাহার মজুরী প্রদেয় হয় সেই কাল শেষ হওয়ার পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাহার মজুরী পরিশোধ করিতে হইবে।
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিকের চাকুরী তাহার অবসর গ্রহণের কারণে অবসান হয়, অথবা মালিক কর্তৃক তাহার ছাটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান অথবা] অন্য কোন কারণে উহার অবসান করা হয় সে ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিককে প্রদেয় সকল মজুরী তাহার চাকুরী অবসানের তারিখ হইতে পরবর্তী [ত্রিশ] কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে।
 
 
(৩) সকল মজুরী কর্মদিবসে পরিশোধ করিতে হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Bangladesh Labor Act 2006
আপস মীমাংসার মাধ্যমে  মঞ্জুরি সহ অন্যান্য পাওনাদি
১২৪ক। (১) কর্মরত থাকা বা অবসরে যাওয়া বা চাকুরীর অবসান বা বরখাস্তাধীন থাকা ইত্যাদিসহ চাকুরীর যে কোন পর্যায়ে কোন শ্রমিকের বা শ্রমিকদের মজুরীসহ আইনত প্রাপ্য পাওনাদি আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে পাওয়ার জন্য প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা যাইবে।
 
 
(২) এইরূপ আবেদন পাওয়ার পর প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ২০ দিনের মধ্যে উত্থাপিত দাবী নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের মাধ্যমে নিস্পত্তি করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।
 
 
(৩) এই ধারার অধীনে উত্থাপিত দাবী নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উদ্যোগ গ্রহণ এবং আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসার বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করিবেন।
 
 
(৪) এইরূপ আলাপ-আলোচনা অথবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত পক্ষদের জন্য প্রতিপালন করা বাধ্যতামূলক হইবে।
 
 
(৫) এই ধারার অধীনে অনুষ্ঠিত আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে উভয় পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে।
 
 
(৬) শ্রমিক ও মালিক যে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ এই ধারার অধীনে আপোষ-মীমাংসা বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর আপোষ মীমাংসা কার্যক্রম সমাপ্তির পর তাহার সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ সম্মত না হইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা উভয় পক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে মামলা করিতে পারিবেন এবং শ্রম আদালত এইরূপ মামলার বিচারকালে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিবেন।]

 

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

 কর্তব্য অনুপস্থিতির জন্য মঞ্জুরি কর্তন


১২৬। (১) ধারা ১২৫ (২) (খ) এর অধীন কর্মস্থল হইতে অনুপস্থিতির কারণে কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কর্তন কেবল তখনই করা যাইবে যখন তাহার নিয়োগ এর শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা তখন যদি তিনি সমসত্দ সময়ের জন্য অথবা উহার কোন অংশের জন্য অনুপস্থিত থাকেন।
 
 
(২) উক্তরূপ কর্তনের পরিমাণ কোন ৰেত্রেই অনুপস্থিতির সময়ের জন্য তাহাকে প্রদেয় মজুরীর পরিমাণ এর অধিক হইবে নাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কতর্ৃক এতদউদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি সাপেৰে, যদি দশ বা ততোধিক শ্রমিক একযোগে বিনা নোটিশে এবং যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তাহা হইলে উক্ত প্রত্যেক শ্রমিকের নিকট হইতে মজুরী কর্তনের সহিত অনধিক আট দিনের মজুরীও যুক্ত করা যাইবে যাহা তাহার নিয়োগের শর্তানুযায়ী নোটিশের পরিবর্তে মালিককে প্রদেয় হয়।
 
 
ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্যে কোন শ্রমিক কোন কর্মস্থল হইতে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য হইবেন যদি তিনি উক্তস্থানে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও কোন অবস্থান ধর্মঘটের কারণে অথবা অন্য কোন অযৌক্তিক কারণে তাহার কাজ করিতে অস্বীকার করেন। ইহা ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকর্তার ৰেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

সেবা প্রদানের জন্য মঞ্জুরি কর্তন


১২৮। ধারা ১২৫ (২) (ঘ) এবং (ঙ) এর অধীন কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কোন কর্তন করা যাইবে না যদি না সরবরাহকৃত বাসস্থান, সুযোগ-সুবিধা বা সেবা নিয়োগের শর্ত অনুসারে অথবা অন্যভাবে সংশিস্নষ্ট শ্রমিক গৃহীত হয়, এবং উক্তরূপ কোন কর্তন কোন অবস্থায়ই সরবরাহকৃত বাসস্থান, সুযোগ সুবিধা বা সেবার মূল্যের অধিক হইবে না এবং দফা (ঙ) এর অধীন কর্তনের ৰেত্রে উহা সরকার কতর্ৃক আরোপিত শর্ত সাপেৰে হইবে।


বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

মঞ্জুরি  হতে  অন্যান্য কর্তন


১৩০। ধারা-১২৫ (২) (ঞ), (ট) এবং (ঠ) এর অধীন মজুরী হইতে সকল কর্তন সরকার কর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে হইবে।

  বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
মঞ্জুরি  হতে কর্তন বা মঞ্জুরি বিলম্বে পরিষধ
১৩২। (১) যে ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানের খেলাপ[ করিয়া] কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কোন কর্তন করা হয় অথবা কোন শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ করা না হয় অথবা তাহার মজুরী কিংবা কোন বিধির আওতায় প্রদেয় গ্রাচুইটি বা ভবিষ্য তহবিলের প্রাপ্য পরিশোধে বিলম্বে ঘটে সে ক্ষেত্রে তিনি, অথবা তাহার মৃতু্য হইলে তাহার কোন উত্তরাধিকারী অথবা কোন আইনসঙ্গত প্রতিনিধি কর্তৃক মজুরী ফেরত পাওয়ার জন্য অথবা বকেয়া বা বিলম্বিত মজুরী ও অন্যান্য পাওনা আদায়ের জন্য শ্রম আদালতে দরখাসত্দ করিতে পারিবেন।
 
(২) উক্তরূপ দরখাসত্দ, সংশিস্নষ্ট শ্রমিক যে স্থানে কাজ করিতেন অথবা যে স্থানে তাহাকে মজুরী পরিশোধ করা হইত সে স্থান যে শ্রম আদালতের এখতিয়ারাধীন, সে শ্রম আদালতে মজুরী কর্তনের তারিখ হইতে অথবা, ক্ষেত্রমত, মজুরী প্রদেয় হওয়ার তারিখ হইতে বারো মাসের মধ্যে পেশ করিতে হইবেঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন দরখাস্ত উক্ত সময়ের পরেও পেশ করা যাইবে যদি দরখাস্তকারী শ্রম আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, উক্ত সময়ের মধ্যে দরখাসত্দ দাখিল না করার পিছনে তাহার যথেষ্ট কারণ ছিল।
 
(৩) শ্রম আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরখাসত্দ প্রাপ্তির পর উহার উপর দরখাসত্দকারী এবং মালিক অথবা মজুরী পরিশোধের জন্য এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী দায়ী অন্য কোন ব্যক্তিকে শুনানীর জন্য যুক্তসংগত সুযোগ দান করিবে এবং প্রয়োজনীয় সাৰ্য প্রমাণ গ্রহণ করিবে, এবং যে মজুরী কর্তন করা হইয়াছে বা যে মজুরী পরিশোধ করা হয় নাই বা পরিশোধে বিলম্ব করা হইতেছে উহা দরখাসত্দকারীকে পরিশোধ করিবার জন্য মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন আদেশ এই আইনের অধীন উক্ত মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে গ্রহণীয় কোন শাসত্দিমূলক ব্যবস্থার হানি করিবে না।
 
(৫) শ্রম আদালত উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশের সময় মজুরীর শতকরা পঁচিশ ভাগ ৰতিপূরণ হিসাবে দরখাসত্দকারীকে প্রদানের জন্যও মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
(৬) মজুরী পরিশোধে বিলম্বের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৫) এর অধীন ৰতিপূরণ প্রদানের জন্য কোন নির্দেশ দেওয়া যাইবে না, যদি শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত বিলম্বের কারণ ছিল-
 
(ক) শ্রমিককে প্রদেয় মজুরীর পরিমাণ সম্পর্কে প্রকৃত ভুল বা প্রকৃত বিরোধ;
 
(খ) কোন জরম্নরী অবস্থা অথবা বিশেষ পরিস্থিতির কারণে মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি কর্তৃক তাহার যুক্তিসংগত চেষ্টা সত্ত্বেও যথাসময়ে উহা প্রদান করিতে অৰমতা; অথবা
 
(গ) মজুরী গ্রহণে অথবা উহার জন্য দরখাসত্দ করিতে শ্রমিকের ব্যর্থতা।
 
(৭) এই ধারার অধীন কোন দরখাসত্দ শুনানীকালে যদি শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত দরখাসত্দ বিদ্বেষ প্রসূত অথবা বিরক্তিকর তাহা হইলে আদালত দরখাসত্দকারীকে অনধিক দুইশত টাকা পর্যনত্দ জরিমানা করিতে পারিবে এবং উহা মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে প্রদান করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

মঞ্জুরি  প্রাপ্ত হই নাই অথবা মঞ্জুরি কর্তন হয়েছে এইরূপ শ্রমিকদের পক্ষে দাবি আদায়ের জন্য একটিমাত্র দরখাস্ত 


১৩৪। (১) মজুরী প্রাপ্ত হন নাই অথবা মজুরী কর্তিত হইয়াছে এইরূপ শ্রমিকদের পৰে অর্ন্তভুক্ত সকল অথবা একাধিক শ্রমিকের পৰে ধারা ১৩২ এর অধীন মাত্র একটি দরখাসত্দ দাখিল করা যাইবে, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ধারা ১৩২ (৫) অনুযায়ী ৰতিপূরণ প্রদেয় হইবে।
 
 
(২) শ্রম আদালত ধারা ১৩২ এর অধীন দাখিলকৃত মজুরী প্রাপ্ত হন নাই এরূপ শ্রমিক দলভুক্ত একাধিক শ্রমিক কর্তৃক দাখিলকৃত স্বতন্ত্র দরখাস্তসমূহকে একটি দরখাসত্দ হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে, এবং তদনুযায়ী ঐ গুলি একত্রে এক দরখাস্ত হিসাবে নিষ্পত্তি করিতে পারিবে এবং সেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।
 
 
(৩) এই ধারার প্রয়োজনে "মজুরী প্রাপ্ত হন নাই এরূপ শ্রমিক দল" এর অর্ন্তভুক্ত বলিয়া ঐ সমসত্দ শ্রমিককে বুঝাইবে যাহারা একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত আছেন, এবং যাহাদের অনাদায়ী মজুরী অথবা বিলম্বিত মজুরী একই মজুরীকালের জন্য হইয়া থাকে।

   বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

মানিক বা অন্য কেউ মঞ্জুরি পরিশোধের জন্য দায়ী কোন ব্যক্তি সম্পত্তির শতাধিক 


১৩৬। (১) যে ক্ষেত্রে যে কোন সময়-
 
 
(ক) ধারা ১৩২ এর অধীন কোন দরখাসত্দ পেশ করার পর, শ্রম আদালত; অথবা
 
 
(খ) ধারা ১৩৫ এর অধীন কোন শ্রমিক কর্তৃক আপীল পেশ করার পর, ট্রাইবু্যনাল;
 
 
এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, মালিকের অথবা ধারা ১২১ এর অধীন মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোন ব্যক্তির ধারা ১৩২ বা ধারা ১৩৫ এর অধীন প্রদানের জন্য আদেশকৃত কোন অর্থ পরিশোধ এড়াইবার সম্ভাবনা আছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত বা, ক্ষেত্রমত, ট্রাইবু্যনাল উক্ত মালিক বা ব্যক্তিকে শুনানীর সুযোগদান করিয়া উক্ত আদেশকৃত অর্থ পরিশোধের জন্য তাহার সম্পত্তি ক্রোক করিতে পারিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিলম্বের কারণে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে, উক্ত আদালত বা ট্রাইবু্যনাল শুনানীর সুযোগ দেওয়ার পূর্বেও উক্তরূপ ক্রোকের আদেশ দিতে পারিবেঃ
 
 
আরোও শর্ত থাকে যে, উক্ত আদালত বা ট্রাইবু্যনালের বিবেচনায় যে পরিমাণ সম্পত্তি ক্রোক আদেশকৃত অর্থ আদায়ের জন্য যথেষ্ট হইবে, সে পরিমাণ সম্পত্তিই ক্রোক করা হইবে।
 
 
(২) বিচারের পূর্বে সম্পত্তি ক্রোক সম্পর্কীয় দেওয়ানী কার্য বিধি এর সকল বিধান উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্রোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

নিম্নতম মঞ্জুরি বোর্ড প্রতিষ্ঠিত


১৩৮। (১) সরকার নিম্নতম মজুরী বোর্ড নামে একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা করিবে।
 
 
(২) নিম্নতম মজুরী বোর্ড, অতঃপর এই অধ্যায়ে মজুরী বোর্ড বলিয়া উলিস্নখিত, নিম্নরূপ সদস্য-সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) চেয়ারম্যান;
 
 
(খ) একজন নিরপেৰ সদস্য;
 
 
(গ) মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য; এবং
 
 
(ঘ) শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য।
 
 
(৩) ধারা ১৩৯ এ উলিস্নখিত দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে, মজুরী বোর্ডে নিম্নলিখিত সদস্যদ্বয়ও অনত্দর্ভুক্ত হইবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) সংশিস্নষ্ট শিল্পের মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;
 
 
(খ) সংশিস্নষ্ট শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য।
 
 
(৪) মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।
 
 
(৫) মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নিরপেৰ সদস্য এমন ব্যক্তিগণের মধ্যে হইতে নিযুক্ত হইবেন যাহাদের শিল্প শ্রমিক ও দেশের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে, এবং যাহারা কোন শিল্পের সহিত সংশিস্নষ্ট নহেন অথবা কোন শ্রমিক বা মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়নের সহিত সংযুক্ত নহেন।
 
 
(৬) সরকারের মতে, যে সকল প্রতিষ্ঠান মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সে সকল প্রতিষ্ঠানের কোন মনোনয়ন থাকিলে উহা বিবেচনা করিয়া উপ-ধারা (২) বা (৩) এর অধীন মালিক এবং শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যগণকে নিযুক্ত করা হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি একাধিক প্রচেষ্টায় মালিক কিংবা শ্রমিক প্রতিনিধির মনোনয়ন না পাওয়া যায় তাহা হইলে সরকার, নিজ বিবেচনায়, যাহাকে উপযুক্ত মনে করিবে তাহাকেই মালিক কিংবা শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য হিসাবে নিযুক্ত করিতে পারিবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

নিম্নতম মঞ্জুরি বোর্ড ঘোষণা করার ক্ষমতা 


১৪০। (১) ধারা ১৩৯ এর অধীন মজুরী বোর্ডের সুপারিশ প্রাপ্ত হইবার পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষণা করিতে পারিবে যে, মজুরী বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন শ্রমিকের জন্য সুপারিশকৃত নিম্নতম মজুরীর হার, প্রজ্ঞাপনে উলিস্নখিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, উক্তরূপ শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার হইবে।
 
 
(২) যদি সরকার মনে করে যে, উক্তরূপ সুপারিশ কোন ব্যাপারে মালিকগণের বা শ্রমিকগণের জন্য ন্যায়সঙ্গত নহে, তাহা হইলে সরকার সুপারিশ প্রাপ্তির [পঁয়তাল্লিশ] দিনের মধ্যে, উহা পুনরায় বিবেচনা করিয়া দেখিবার জন্য মজুরী বোর্ডের নিকট ফেরৎ পাঠাইতে পারিবে, এবং উক্তরূপ ফেরত পাঠাইবার সময়, সরকার উচিত বিবেচনা করিলে, সুপারিশের উপর উহার কোন মন্তব্য এবং তৎসম্পর্কে কোন তথ্যও প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) যে ক্ষেত্রে কোন সুপারিশ উপ-ধারা (২) এর অধীন মজুরী বোর্ডের নিকট ফেরত পাঠানো হয় সে ক্ষেত্রে, মজুরী বোর্ড সরকারের মন্তব্য ও তৎকর্তৃক প্রেরিত তথ্য বিবেচনা করিয়া উহার সুপারিশ পুনরায় পর্যালোচনা করিয়া দেখিবে, এবং প্রয়োজন হইলে, আরও তদন্ত পরিচালনা করিবে, এবং তৎপর সরকারের নিকট একটি সংশোধিত সুপারিশ পেশ করিবে অথবা, যদি বোর্ডের বিবেচনায় সুপারিশের কোন সংশোধন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন না থাকে, তাহা হইলে, কারণ বিবৃত করিয়া সেই মর্মে সরকারকে অবহিত করিবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন সুপারিশপ্রাপ্ত হইবার পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষণা করিতে পারিবে যে, মজুরী বোর্ড কর্তৃক উক্ত উপ-ধারার অধীন [অথবা সরকার কর্তৃক সংশোধিত উক্ত সুপারিশকৃত] বিভিন্ন শ্রমিকগণের নিম্নতম মজুরীর হার, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সংশোধন ও ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, উক্ত শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার হইবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রজ্ঞাপনে যদি এতদসম্পর্কে কোন তারিখ উল্লেখ না থাকে তাহা হইলে উহার অধীন ঘোষণাটি উহা প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।
 
 
(৬) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) অথবা (৪) এর অধীন কোন প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার পর অথবা উহার অধীন ঘোষিত কোন নিম্নতম মজুরীর হার কার্যকর হইবার পর ইহা সরকারের নজরে আসে যে, উক্তরূপ ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর হারে কোন ত্রুটি আছে সে ক্ষেত্রে সরকার বিষয়টি মজুরী বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রেরণ উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রেরণ বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৭) এই ধারার অধীন ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর হার চূড়ান্ত হইবে এবং তৎসম্পর্কে কোনভাবে কোন আদালতে বা কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন করা বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

সুপারির প্রণয় বিবেচ্য বিষয়


১৪১। কোন সুপারিশ প্রণয়ন করা কালে মজুরী বোর্ড জীবন যাপন ব্যয়, জীবনযাপনের মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজের ধরন, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ, দেশের এবং সংশিস্নষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখিবে।

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

সংবাদপত্র শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড গঠন


১৪৩। (১) সরকার প্রয়োজন মনে করিলে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংবাদপত্র শ্রমিকগণের মজুরী নির্ধারণের জন্য সংবাদপত্র শ্রমিক মজুরী বোর্ড নামে একটি স্বতন্ত্র মজুরী বোর্ড গঠন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উক্ত বোর্ড, অতঃপর এই অধ্যায়ে সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড বলিয়া উলিস্নখিত, সরকার কর্তৃক নিয়োজিত একজন চেয়ারম্যান এবং সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সংবাদপত্র শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সমসংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

সংবাদপত্র শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড  এর সিদ্ধান্ত প্রকাশ


১৪৫। (১) সরকার, সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের সিদ্ধানত্দ পরীৰা করিয়া দেখিবে এবং উহা প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে তৎকর্তৃক প্রয়োজনীয় বিবেচিত এরূপ সংশোধনসহ উহা সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত উক্তরূপ সংশোধনসহ সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের সিদ্ধানত্দ উক্ত প্রজ্ঞাপনে উলিস্নখিত তারিখ হইতে অথবা উক্তরূপ কোন তারিখ না থাকিলে, উহা প্রকাশের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

শ্রম আদালতের দরখাস্ত


১৪৭। যে ৰেত্রে ধারা ১৪৫ (২) এর অধীন প্রকাশিত সংশোধনসহ সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের কোন সিদ্ধানত্দের কারণে কোন সংবাদপত্র বা সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী বিন্যাস বা পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে কোন বিরোধ দেখা দেয় সে ৰেত্রে উক্তরূপ সিদ্ধানত্দের দ্বারা সংৰুব্ধ কোন ব্যক্তি বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে দরখাসত্দ করিতে পারিবেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
নিম্নতম মজুরি হারে কম হারে মজুরি নিষিদ্ধ
১৪৯। (১) কোন মালিক কোন শ্রমিককে এই অধ্যায়ের অধীন ঘোষিত বা প্রকাশিত নিম্নতম হারের কম হারে কোন মজুরী প্রদান করিতে পারিবেন না।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই কোনভাবে কোন শ্রমিকের এই অধ্যায়ের অধীন ঘোষিত বা প্রকাশিত নিম্নতম হারের অধিক হারে মজুরী অথবা অন্য কোন সুযোগ-সুবিধা অব্যাহতভাবে পাইবার অধিকার ৰুণ্ন করিবে না, যদি কোন চুক্তি বা রোয়েদাদের অধীন বা অন্য কোন কারণে তিনি উক্তরূপ অধিক হারে মজুরী পাইবার অথবা কোন প্রথা অনুযায়ী উক্তরূপ সুযোগ-সুবিধা পাইবার অধিকারী হন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

ক্ষতিপূরণ পরিমাণ


১৫১। (১) এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
(ক) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকটি পঞ্চম তফসিলের দ্বিতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সে অর্থ 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই ক্ষতিপুরণের পরিমাণ তার চাকুরির স্বাভাবিক ছাঁটাই, বরখাস্ত, অবসান, পদত্যাগজনিত ক্ষতিপূরণের অতিরিক্ত হইবে;]
 
[ (খ) যে ক্ষেত্রে যখমের ফলে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটে সেই ক্ষেত্রে পঞ্চম তফসিলের তৃতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সেই অর্থ;]
 
(গ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে-
 
(১) জখমটি প্রথম তফসিলে বর্ণিত হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ এর ঐ শতকরা হার, যাহা উহাতে উল্লিখিত উক্ত জখমের কারণে উপার্জন ক্ষমতা হানির শতকরা হারের সমান;
 
(২) জখমটি প্রথম তফসিলে বর্ণিত না হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের ঐ শতকরা হার যাহা উক্ত জখমের কারণে স্থায়ীভাবে উপার্জন ক্ষমতা হানির অনুপাতের সমান; এবং
 
(ঘ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্থায়ী অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে মাসিক ক্ষতিপূরণ যাহা অক্ষমতার তারিখ হইতে চার দিন অপেক্ষাকাল অতিবাহিত হইবার পর যে মাসে প্রদেয় হইবে উহার পরবর্তী মাসের প্রথম দিনে প্রদেয় হইবে এবং তৎপর অক্ষমতার সময়কালে অথবা পঞ্চম তফসিলের শেষ কলামে উল্লিখিত সময়ের জন্য, যাহা স্বল্প হইবে, মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় হইবে।
 
(২) যে ক্ষেত্রে একই দুর্ঘটনার কারণে একাধিক জখম হয় সে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) (গ) এর অধীন তৎসম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ একত্রিত করা হইবে, কিন্তু কোন ক্ষেত্রে ইহা এমন ভাবে করা হইবে না যাহাতে ইহা জখম- গুলি হইতে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিলে যে ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইত উহা হইতে বেশী হয়।
 
(৩) কোন মাসিক ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হওয়ার তারিখের পূর্বে যদি অক্ষমতার অবসান হয় তাহা হইলে উক্ত মাস সম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ উক্ত মাসের অক্ষমতা থাকাকালীন সময়ের আনুপাতিকহারে প্রদেয় হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

পুণ্য বিবেচনা


১৫৩। (১) এই অধ্যায়ের অধীন প্রদেয় কোন মাসিক ৰতিপূরণ, উহা পৰ- দ্বয়ের মধ্যে চুক্তির অধীন হউক অথবা শ্রম আদালতের আদেশের অধীন হউক, শ্রম আদালত কর্তৃক পূনর্বিবেচনা করা যাইবে, যদি-
 
 
(ক) শ্রমিকের অবস্থার পরিবর্তন হইয়াছে এই মর্মে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রসহ মালিক অথবা শ্রমিক কর্তৃক দরখাসত্দ করা হয়, অথবা
 
 
(খ) উক্তরূপ প্রত্যয়নপত্র ছাড়াও, প্রতারণার মাধ্যমে অথবা অবৈধ প্রভাব অথবা অন্যান্য অসংগত উপায়ের মাধ্যমে ৰতিপূরণ নির্ধারণ করা হইয়াছে অথবা রেকর্ড হইতে সুস্পষ্ট দেখা যায়, যে উক্তরূপ নির্ধারণ ভুল-এই মর্মে মালিক অথবা শ্রমিক কর্তৃক দরখাসত্দ করা হয়।
 
 
(২) এই অধ্যায়ের বিধান সাপেৰে, এই ধারার অধীন পুনর্বিবেচনার ভিত্তিতে কোন মাসিক ৰতিপূরণ চালু রাখা যাইবে, বৃদ্ধি করা যাইবে, কমানো যাইবে অথবা বন্ধ করা যাইবে অথবা যদি দেখা যায় যে, দুর্ঘটনার কারণে স্থায়ী অৰমতা ঘটিয়াছে তাহা হইলে প্রদেয় মাসিক ৰতিপূরণ শ্রমিকের প্রাপ্যতা অনুযায়ী থোক অর্থে রূপানত্দরিত করা যাইবে, তবে ইহা হইতে মাসিক ৰতিপূরণ বাবদ ইতিমধ্যে প্রাপ্ত অর্থ বাদ যাইবে।

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

ক্ষতিপূরণ বন্টন 


১৫৫। (১) জখমের ফলে মৃত কোন শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় কোন ৰতিপূরণ এবং আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে ৰতিপূরণ বাবদ প্রদেয় থোক অর্থ শ্রম আদালতে জমা দেওয়া ব্যতীত ভিন্ন কোন পন্থায় পরিশোধ করা যাইবে না।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত কোন ৰতিপূরণ যদি মালিক সরাসরিভাবে পরিশোধ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উহা ৰতিপূরণ পরিশোধ বলিয়া গণ্য হইবে না, যদি না সংশিস্নষ্ট শ্রমিক তাহার চাকুরীকালে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় জখমজনিত কারণে তাহার মৃতু্যর ৰেত্রে ৰতিপূরণ গ্রহণের জন্য তাহার কোন উত্তরাধিকারীকে মনোনীত করিয়া থাকেন, এবং সেই মনোনীত উত্তরাধিকারীকে ৰতিপূরণ প্রদত্ত হইয়া থাকে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, কোন মৃত শ্রমিকের ক্ষেত্রে তাহার কোন পোষ্যকে মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ অগ্রিম অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন, এবং শ্রম আদালত উক্ত পোষ্যকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ হইতে উক্ত অগ্রিম কর্তন করিয়া উহা মালিককে ফেরত দিবে
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মৃত শ্রমিকের ক্ষেত্রে মৃতের দাফন-কাফন বা চিকিৎসা, মৃত দেহ পরিবহণ ইত্যাদি বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে মালিক কর্তৃক অগ্রিম প্রদানকৃত কোন অর্থ কিংবা শ্রম আদালতের মাধ্যমে পোষ্যকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ হইতে উক্ত অর্থ কর্তন করা যাইবে না।]
 
 
(৪) ৰতিপূরণ বাবদ প্রদেয় অন্য কোন অর্থ উহা পাওয়ার অধিকারী ব্যক্তির পৰে শ্রম আদালতে জমা করা যাইবে।
 
 
(৫) শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রশিদ উহাতে জমাকৃত ৰতিপূরণ সম্পর্কে যথেষ্ট দায়মুক্তি হইবে।
 
 
(৬) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন মৃত শ্রমিক সম্পর্কে ৰতিপূরণ বাবদ কোন অর্থ জমা হইলে শ্রম আদালত প্রয়োজনবোধে, তৎকর্তৃক বিবেচিত উপযুক্ত পন্থায়, নোটিশ প্রকাশ করিয়া অথবা প্রত্যেক পোষ্যের উপর উহা জারী করিয়া ৰতিপূরণ বন্টন নির্ধারণের জন্য তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখে উহার সম্মুখে হাজির হওয়ার জন্য তাহাদিগকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
 
(৭) যদি শ্রম আদালত তৎকর্তৃক প্রয়োজনীয় কোন তদনত্দ সমাপনানত্দে এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন পোষ্য বিদ্যমান নাই, তাহা হইলে আদালত, জমার তারিখ হইতে অনূ্যন দুই বৎসর পর উহার নিকট জমা অবন্টিত অর্থ শ্রমিকগণের কল্যাণের জন্য, সরকার কতর্ৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দিষ্ট অথবা স্থাপিত কোন তহবিলে হসত্দানত্দর করিবে।
 
 
(৮) মালিক দরখাসত্দ করিলে শ্রম আদালত তৎকর্তৃক বন্টনকৃত অর্থের একটি বিসত্দারিত বর্ণনা তাহাকে সরবরাহ করিবে।
 
 
(৯) কোন মৃত শ্রমিক সম্পর্কে জমাকৃত ৰতিপূরণ, উপ-ধারা (৩) এর অধীন কর্তন সাপেৰে, মৃত শ্রমিকের পোষ্যগণের মধ্যে অথবা তাহাদের কাহারও মধ্যে এমন অনুপাতে বন্টন করা হইবে, যাহা শ্রম আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, অথবা আদালত নিজ বিবেচনায় যে কোন একজন পোষ্যকে উহা বরাদ্দ করিতে পারিবে।
 
 
(১০) যে ৰেত্রে শ্রম আদালতে জমাকৃত কোন ৰতিপূরণ কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে শ্রম আদালত, যে ব্যক্তিকে উহা প্রদেয় তিনি যদি কোন আইনগত অৰমতার অধীন না হন তাহা হইলে, তাহাকে প্রদান করিবে এবং অন্যান্য ৰেত্রে যিনি উহা পাওয়ার অধিকারী, তাহাকে প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(১১) যে ৰেত্রে আদালতে জমাকৃত কোন থোক অর্থ আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে, উক্ত অর্থ উক্ত ব্যক্তির উপকারার্থে তাহার অৰমতাকালীন সময়ে শ্রম আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিনিয়োগ বা ব্যবহার করা যাইবে।
 
 
(১২) যে ৰেত্রে আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে অর্ধ মাসিক ৰতিপূরণ প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে, আদালত স্ব-ইচ্ছায় অথবা কোন দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে উক্ত ৰতিপূরণ তাহার অৰমতাকালীন সময়ে সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের কোন পোষ্যকে, অথবা আদালতের বিবেচনায় উক্ত শ্রমিকের কল্যাণ ব্যবস্থা করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রদান করার জন্য আদেশ দিতে পারিবে।
 
 
(১৩) যে ৰেত্রে কোন দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে অথবা অন্যভাবে শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন মাতা বা পিতা কর্তৃক উহার সনত্দানের অবহেলার কারণে, অথবা কোন পোষ্যের পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে, অথবা অন্য কোন পর্যাপ্ত কারণে, ৰতিপূরণ হিসাবে পরিশোধিত কোন অর্থ বন্টন সম্পর্কে শ্রম আদালতের কোন আদেশ অথবা উক্তরূপ কোন পোষ্যকে প্রদেয় ৰতিপূরণের বিনিয়োগ বা ব্যবহার সম্পর্কিত উহার কোন আদেশ পরিবর্তন করা উচিত, তাহা হইলে আদালত উহার উক্ত আদেশ পরিবর্তন করার জন্য অবস্থার পরিপ্রেৰিতে যেরূপ নূতন আদেশ দেওয়া প্রয়োজন সেরূপ আদেশ দিতে পারিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্তরূপ কোন আদেশ কোন ব্যক্তির জন্য হানিকর হয়, তাহা হইলে তাহাকে উক্ত আদেশের বিরম্নদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়া, অথবা কোন ৰেত্রে যদি উক্ত আদেশের ফলে কোন পোষ্য কর্তৃক তাহাকে পরিশোধিত কোন ৰতিপূরণ ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহা হইলে উক্তরূপ কোন আদেশ প্রদান করা যাইবে না।
 
 
(১৪) যে ৰেত্রে শ্রম আদালত উপ-ধারা (১৩) এর অধীন কোন আদেশ এই কারণে পরিবর্তন করে যে, কোন ব্যক্তিকে পরিশোধিত ৰতিপূরণ তিনি প্রতারণা, মিথ্যা পরিচয়, অথবা অন্য কোন অসংগত উপায়ে হাছিল করিয়াছেন সে ৰেত্রে উক্ত পরিশোধিত ৰতিপূরণ তাহার নিকট হইতে ধারা ৩২৯ এর বিধান অনুযায়ী উসুল করা যাইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

নোটিশ ও দাবি 


১৫৭। (১) কোন শ্রম আদালত ৰতিপূরণের কোন দাবী বিবেচনায় আনিবে না যদি না দুর্ঘটনা ঘটিবার পর যতশীঘ্র সম্ভব এতদ্নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে তৎসম্পর্কে নোটিশ প্রদান করা হয় এবং যদি না দুর্ঘটনা ঘটিবার দুই বৎসরের মধ্যে অথবা মৃতু্যর ৰেত্রে উহার দুই বৎসরের মধ্যে দাবী উত্থাপন করা হয়।
 
 
(২) যে ৰেত্রে দুর্ঘটনাটি হইতেছে ধারা ১৫০ (৩) এর বিধান প্রযোজ্য হয় এমন কোন রোগের আক্রমণ সে ৰেত্রে দুর্ঘটনাটি উক্ত রোগ দ্বারা অৰমতার কারণে শ্রমিকের অবিচ্ছিন্ন অনুপস্থিতির প্রথম তারিখে ঘটিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৩) কোন নোটিশের কোন ত্রম্নটি বা অনিয়ম অথবা উহা প্রদান না করার কারণে কোন দাবী বিবেচনার অযোগ্য হইবে না-
 
 
(ক) যদি উত্থাপিত দাবী এমন কোন দুর্ঘটনার ফলে শ্রমিকের মৃতু্যজনিত কারণে হয় যে, দুর্ঘটনাটি-
 
 
(১) মালিকের বাড়ীঘর বা আংগিনায় ঘটে; বা
 
 
(২) এমন কোন জায়গায় ঘটে যেখানে শ্রমিক মালিক বা তৎকর্তৃক নিয়োজিত অন্য ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে কাজ করিতে ছিলেন; এবং শ্রমিকটি উক্ত বাড়ীঘর বা আংগিনায় বা স্থানে মারা যান অথবা উক্ত বাড়ীঘর বা আংগিনা বা স্থানের সনি্নহিত এলাকা ত্যাগের পূর্বে মারা যান; অথবা
 
 
(খ) যদি মালিক অথবা জখমপ্রাপ্ত শ্রমিকটি মালিকের যে ব্যবসা বা বাণিজ্যে নিয়োজিত ছিলেন উহার ব্যবস্থাপনার জন্য মালিকের নিকট দায়ী কোন ব্যক্তি অন্য কোন সূত্র হইতে দুর্ঘটনাটি ঘটিবার সময়ে অথবা উহার কাছাকাছি সময়ে তৎসম্পর্কে অবহিত হইয়াছিলেন।
 
 
(৪) উপরোক্ত উপ-ধারা অনুযায়ী যথাসময়ে কোন নোটিশ প্রদান অথবা দাবী উত্থাপন না করা সত্ত্বেও শ্রম আদালত ৰতিপূরণের কোন দাবী বিবেচনায় আনিতে এবং তৎসম্পর্কে সিদ্ধানত্দ দিতে পারিবে যদি উহা এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নোটিশ প্রদান না করার বা দাবী উত্থাপন না করার যথেষ্ট কারণ ছিল।
 
 
(৫) উক্তরূপ প্রত্যেক নোটিশে জখমপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম এবং ঠিকানা দেওয়া হইবে এবং সহজ ভাষায় জখমের কারণ ও দুর্ঘটনার তারিখ বর্ণনা করা হইবে, এবং ইহা মালিকের উপর অথবা জখমপ্রাপ্ত শ্রমিকটি মালিকের যে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত ছিলেন উহার ব্যবস্থাপনার জন্য মালিকের নিকট দায়ী কোন ব্যক্তির উপর জারী করা হইবে।
 
 
(৬) এই ধারার অধীন কোন নোটিশ, যাহার উপর উহা জারী করিতে হইবে তাহার বাসায় অথবা অফিসে অথবা ব্যবসার স্থানে হসত্দানত্দর করিয়া অথবা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া জারী করা হইবে অথবা যে ৰেত্রে কোন নোটিশ বই সংরৰিত হয় সেৰেত্রে উক্ত বইয়ে লিপিবদ্ধ করিয়া জারী করা যাইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

মারাত্মক দুর্ঘটনার রিপোর্ট 


১৫৯। যে ৰেত্রে আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের দ্বারা কোন মালিকের বাড়ীঘর বা আংগিনায় ঘটিত কোন দুর্ঘটনায় মৃতু্য সম্পর্কে কোন কর্তৃপৰকে নোটিশ দেওয়া প্রয়োজন সেৰেত্রে মালিক অথবা তাহার পৰে অন্য কেহ উক্তরূপ মৃতু্যর সাত দিনের মধ্যে মৃতু্যর কারণ ও পারিপাশ্বর্িক অবস্থা বর্ণনা করিয়া শ্রম আদালতে একটি রিপোর্ট প্রেরণ করিবেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
চুক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ
১৬১। (১) যে ক্ষেত্রে কোন মালিক তাহার ব্যবসা বা বাণিজ্য চলাকালে অথবা উহার প্রয়োজনে সাধারণতঃ তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের অংশ এরূপ কোন কাজ বা উহার অংশ বিশেষ সম্পাদন করার জন্য অন্য কোন ব্যক্তির, অতঃপর এই ধারায় "[ঠিকাদার সংস্থা]" বলিয়া উল্লিখিত, সহিত চুক্তি করেন, সে ক্ষেত্রে উক্ত মালিক, কোন শ্রমিক সরাসরি তাহার দ্বারা নিযুক্ত হইলে তাহাকে যে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিতেন, উক্ত কার্য সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক নিযুক্ত শ্রমিককেও তিনি অনুরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন, এবং যে ক্ষেত্রে মালিকের নিকট হইতে কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করা হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ের জন্য ঠিকাদারের নিকট হইতে প্রাপ্ত মজুরী আমলে আনা হইবে।
 
 
[(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) প্রযোজ্য, সে ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল বা মূল মালিক সমস্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
 
 
(৩) যে ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল বা মূল মালিক মনে করেন যে সংশ্লিষ্ট কোন শ্রমিকের নিহত কিংবা আহত হওয়ার ঘটনাটি বিশেষভাবে এবং বাস্তবিক অর্থে ঠিকাদারের পক্ষ হইতে কোন আচরণবিধি লংঘনের ফলে সংঘটিত হইয়াছে, তবে তিনি, শ্রম আদালতে ক্ষতিপূরণের পূর্ণ অর্থ জমা দেওয়ার পর (যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিক নিহত হয়), কিংবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের পর (যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিক আহত হয়), উক্ত অর্থের কত অংশ ঠিকাদার কর্তৃক প্রিন্সিপাল বা মূল মালিককে প্রদান করা উচিত, তাহা নির্ধারণের জন্য প্রধান পরিদর্শকের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং প্রধান পরিদর্শক আবেদন প্রাপ্তির পর ৪৫ দিনের মধ্যে বিধি মোতাবেক তা নিস্পত্তি করিবেন।]

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

মাস্টার ও নাবিকের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান 


১৬৩। (১) এই অধ্যায়, এই ধারার বিধান সাপেৰে, কোন জাহাজের মাষ্টার অথবা নাবিকের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
 
 
(২) কোন দুর্ঘটনার নোটিশ ও ৰতিপূরণের দাবী, যে ৰেত্রে জখমপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি জাহাজের মাষ্টার সে ৰেত্র ব্যতীত, জাহাজের মাষ্টারের উপর জারী করা হইবে যেন তিনিই মালিক, কিন্তু যে ৰেত্রে দুর্ঘটনা জাহাজেই ঘটে এবং অৰমতা জাহাজে শুরম্ন হয় সে ৰেত্রে কোন নাবিকের পৰে দুর্ঘটনার কোন নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না।
 
 
(৩) কোন মাষ্টার অথবা নাবিকের মৃতু্যর ৰেত্রে ৰতিপূরণের দাবী দাবীকারী কর্তৃক মৃতু্যর খবর পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে, অথবা যে ৰেত্রে জাহাজটি উহার সকলকে নিয়া হারাইয়া গিয়াছে, অথবা হারাইয়া গিয়াছে বলিয়া গণ্য হয়, সে ৰেত্রে হারাইয়া যাওয়ার বা গিয়াছে বলিয়া গণ্য হওয়ার তারিখ হইতে আঠারো মাসের মধ্যে করিতে হইবে।
 
 
(৪) যে ৰেত্রে জখমপ্রাপ্ত মাষ্টার অথবা নাবিককে বিদেশে কোথাও ডিসচার্জ করা হয় অথবা ছাড়িয়া আসা হয়, সে ৰেত্রে সেই দেশের কোন বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ঐ দেশে কোন কনসু্যলার কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত এবং তৎকর্তৃক সরকারের নিকট প্রেরিত কোন সাৰ্য কোন দাবী আদায় সংক্রানত্দ কার্যক্রমে সাৰ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে, যদি-
 
 
(ক) সাৰ্যটি উক্ত বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কনসু্যলার কর্মকর্তার স্বাৰর দ্বারা প্রমাণিকৃত হয়;
 
 
(খ) বিবাদী অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বাৰীকে জেরা করিবার সুযোগ পান; এবং
 
 
(গ) সাৰ্যটি কোন ফৌজদারী কার্যক্রমে গৃহীত হইলে ইহা প্রমাণ করা হয় যে, সাৰ্য অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে গৃহীত হইয়াছিল;
 
 
এবং কোন ৰেত্রে উক্তরূপ সাৰ্য দসত্দখত করিয়াছেন বলিয়া দৃষ্ট ব্যক্তির দসত্দখত বা পদমর্যাদা প্রমাণ করার প্রয়োজন হইবে না, এবং বিবাদী অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি সাৰীকে জেরা করিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং সাৰ্য, ফৌজদারী কার্যক্রমের ৰেত্রে, অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে গৃহীত হইয়াছিল এই মর্মে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত কোন প্রত্যয়নপত্র ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, তিনি উক্তরূপ সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং উহা উক্তরূপে গৃহীত হইয়াছিল ইহার পর্যাপ্ত প্রমাণ হইবে।
 
 
(৫) বাংলাদেশে প্রচলিত বাণিজ্যিক জাহাজ সম্পর্কিত কোন আইনের অধীন জাহাজের মালিক জখম প্রাপ্ত মাষ্টার এবং নাবিকের কোন সময়ের জন্য খোরপোষ বহন করিতে বাধ্য হইলে ঐ সময়ের জন্য ৰতিপূরণ বাবদ কোন মাসিক অর্থ প্রদেয় হইবে না।
 
 
(৬) অবসর ভাতা (নৌ, সেনা, বিমান বাহিনী এবং বাণিজ্য-নৌ) আইন, ১৯৩৯ এর অধীন প্রণীত যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (বাণিজ্য-নৌ, ইত্যাদি) স্কীম, ১৯৩৯ অথবা যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (ভারতীয় নাবিক, ইত্যাদি) স্কীম, ১৯৪১, অথবা সরকার কতর্ৃক প্রণীত যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (ভারতীয় নাবিক) স্কীম, ১৯৪২ এর অধীন কোন জখম সম্পর্কে গ্রেচুইটী, ভাতা, বা অবসর ভাতার ব্যবস্থা করা হইলে এই অধ্যায়ের অধীন তৎসমপর্কে কোন ৰতিপূরণ প্রদেয় হইবে না।
 
 
(৭) এই অধ্যায়ের অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন নোটিশ প্রদান বা দাবী পেশ বা কার্যক্রম শুরম্ন করিতে ব্যর্থতা এই অধ্যায়ের অধীন কোন ব্যক্তিগত জখমের সম্পর্কে কোন কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে বাধা হইবে না, যদি-
 
 
(ক) উপ-ধারা (৬) এ উলিস্নখিত কোন স্কীমের অধীন উক্ত জখম সম্পর্কে অর্থ প্রদানের জন্য দরখাসত্দ করা হইয়া থাকে; এবং
 
 
(খ) সরকার এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত দরখাসত্দ এই যুক্তিসংগত বিশ্বাসে করা হইয়াছিল যে, জখমটি এমন যে, উহা সম্পর্কে যে স্কীমের অধীনে দরখাসত্দ করা হইয়াছিল উক্ত স্কীমে উহার জন্য অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা আছে, এবং জখমটি উক্তরূপ কোন জখম নহে এই কারণে দরখাসত্দখানি না মঞ্জুর করা হইয়াছিল অথবা উক্ত দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে প্রদত্ত অর্থ প্রদান বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল; এবং
 
 
(গ) এই অধ্যায়ের অধীন কার্যক্রম সরকারের উক্ত প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এক মাসের মধ্যে শুরম্ন করা হইয়াছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
দায়মুক্তি বা লাঘবের চুক্তি বাতিল
১৬৫। এই আইন বলবৎ হওয়ার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত কোন চুক্তি দ্বারা যদি কোন শ্রমিক তাহার চাকুরীকালে অথবা উহা হইতে উদ্ভূত কোন ব্যক্তিগত জখমের জন্য মালিকের নিকট হইতে কোন ৰতিপূরণ পাওয়ার অধিকার পরিত্যাগ করেন, তাহা হইলে উক্ত চুক্তি দ্বারা এই অধ্যায়ের অধীন কোন ব্যক্তির ৰতিপূরণ পরিশোধের দায় যতখানি অপসারিত অথবা হ্রাস করা হইবে ততখানি পর্যনত্দ বাতিল হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

কার্যধারার স্থান 


১৬৭। যে ৰেত্রে এই অধ্যায়ের অধীন কোন বিষয় শ্রম আদালত কতর্ৃক বা শ্রম আদালত সমীপে সম্পাদন হওয়ার কথা সে ৰেত্রে উহা এই অধ্যায়ের এবং কোন বিধির বিধান সাপেৰে ঐ শ্রম আদালত কর্তৃক বা শ্রম আদালত সমীপে সম্পাদিত হইবে যাহার এলাকার মধ্যে যে দুর্ঘটনার ফলে জখম হইয়াছে উহা ঘটিয়াছেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে ৰেত্রে শ্রমিকটি কোন জাহাজের মাষ্টার বা নাবিক, সে ৰেত্রে জাহাজের মালিক অথবা এজেন্ট যে এলাকায় বাস করেন বা ব্যবসা পরিচালনা করেন, সেই এলাকার উপর এখতিয়ার সম্পন্ন শ্রম আদালত কতর্ৃক বা শ্রম আদালত সমীপে উক্তরূপ বিষয়টি সম্পাদিত হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে শ্রম আদালত কর্তিক অতিরিক্ত  জমা তলব করার ক্ষমতা 


১৬৯। (১) যে ৰেত্রে জখমের ফলে মৃত কোন শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় ৰতিপূরণ বাবদ কোন অর্থ মালিক জমা দেওয়া হইয়াছে এবং শ্রম আদালতের মতে উক্ত অর্থ অপর্যাপ্ত, সে ৰেত্রে উক্ত আদালত উহার যুক্তি উলেস্নখপূর্বক লিখিত নোটিশ জারী করিয়া, উহাতে উলিস্নখিত সময়ের মধ্যে, আরোও অধিক অর্থ কেন জমা করা হইবে না তৎসম্পর্কে কারণ দর্শানোর জন্য মালিককে নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
 
(২) যদি মালিক শ্রম আদালতের সনত্দোষমত কারণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত আদালত ৰতিপূরণ বাবদ মোট প্রদেয় অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিয়া রোয়েদাদ দিতে পারিবে এবং মালিককে উক্ত পরিমাণের ঘাটতি অর্থ জমা দিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
চুক্তি রেস্ট্রি করিতে ব্যর্থতার ফল 
১৭১। যে ৰেত্রে ধারা ১৭০ এর অধীন রেজিস্ট্রিকরণ প্রয়োজন এরূপ কোন চুক্তির স্মারকলিপি উক্ত ধারার বিধান অনুযায়ী শ্রম আদালতে প্রেরণ করা না হয়, সে ৰেত্রে মালিক এই অধ্যায়ের অধীন তৎকতর্ৃক প্রদেয় ৰতিপূরণের সম্পূর্ণর্র্ অর্থ পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন এবং উক্ত আদালত ভিন্নরূপ নির্দেশ না দিলে, তিনি ৰতিপূরণ বাবদ শ্রমিককে পরিশোধিত অর্থের, উহা চুক্তির অধীন হউক অথবা অন্যভাবে হউক, অর্ধেকের অধিক কর্তন করিতে অধিকারী হইবেন না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

আপীলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে কতিপয় পরিশোধ স্থগিতকরণ


১৭৩। যে ৰেত্রে কোন মালিক ধারা ১৭২ (১) (ক) এর অধীন কোন আপীল দায়ের করেন, সে ৰেত্রে শ্রম আদালত, আপীলের সিদ্ধানত্দ সাপেৰে, উহার নিকট জমাকৃত কোন অর্থ পরিশোধ স্থগিত রাখিতে পারিবে, এবং ট্রাইবু্যনাল নির্দেশ দিলে উহা অবশ্যই স্থগিত রাখিবে।

 বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

শ্রমিকের বিশেষ সংজ্ঞা


১৭৫৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে এই অধ্যায়ে ‘শ্রমিক' অর্থ ধারা ২(৬৫) এ সংজ্ঞায়িত কোন শ্রমিক, এবং এই অধ্যারে অধীন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে কোন কার্যধারার প্রয়োজনে, উক্ত বিরোধের সূত্রে অথবা বিরোধের ফলে লে-অফকৃত, ছাঁটাইকৃত, ডিসচার্জকৃত বা বরখাস্তকৃত অথবা অন্যভাবে চাকুরী হইতে অপসারিত কোন শ্রমিক অথবা যাহার লে-অফ, ছাটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা অপসারণ হইতে উক্ত বিরোধ উত্থিত হইয়াছে এরূপ কোন শ্রমিক ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন; কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানের পাহারা টহলদারী অথবা নিরাপত্তা স্টাফ, অগ্নি-নির্বাপক স্টাফের কোন সদস্য এবং গোপনীয় সহকারী ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত
১৭৭৷ [(১)] কোন ট্রেড ইউনিয়ন উহার সভাপতি এবং সম্পাদকের স্বাক্ষরে, এই অধ্যায়ের অধীন উহার রেজিস্ট্রিকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন এর নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে৷
 
[(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নস্ বলিতে শ্রম পরিচালক অথবা তাহার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধিকে বুঝাইবে।]

রেজিস্ট্রিকরণের জন্য বিষয়াদি


১৭৯৷ (১) এই অধ্যায়ের অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হইবে না, যদি না উহার গঠনতন্ত্রে নিম্নলিখিত বিষয়াদির বিধান থাকে, যথাঃ-
 
(ক) ট্রেড ইউনিয়নের নাম ও ঠিকানা;
 
(খ) ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্য;
 
[ (গ) কোনো শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পদ্ধতি এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে সদস্যপদ গ্রহণের ঘোষণা;]
 
(ঘ) ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের উত্স এবং উক্ত তহবিল কি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে তাহার বর্ণনা
 
তবে শর্ত থাকে যে, ইউনিয়নের চাঁদা ব্যতিরেকে দেশি বা বিদেশি অন্য কোনো উৎস হইতে অর্থ সংগ্রহ করিবার ক্ষেত্রে তাহা সরকারকে অবহিত করিতে হইবে;]
 
 
(ঙ) ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র কর্তৃক নিশ্চিত কোন সুবিধা কোন সদস্য কর্তৃক পাওয়ার অধিকারী হওয়ার জন্য শর্ত এবং কোন সদস্যের উপর জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের শর্ত;
 
(চ) ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ এবং উহার কর্মকর্তা ও সদস্য কর্তৃক উহা পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা;
 
(ছ) গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, সংশোধন ও বাতিলের পন্থা;
 
(জ) ট্রেড ইউনিয়ন তহবিলের নিরাপদ [ সংরক্ষণ], উহার বাত্সরিক নিরীক্ষা, নিরীক্ষার পন্থা, এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও উহার সদস্য কর্তৃক উহার হিসাব বই পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা;
 
(ঝ) ট্রেড ইউনিয়ন অবলুপ্তির পন্থা;
 
(ঞ) ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক উহার কর্মকর্তা নির্বাচনের পন্থা, এবং কর্মকর্তাগণের কার্যকালের মেয়াদ যাহা কোন ক্ষেত্রেই দুই বত্সরের বেশী হইবে না [ এবং প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণের কার্যকালের মেয়াদ তিন বৎসরের বেশী হইবে না:
 
তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Force majure) বা অনুরূপ কোন কারণে ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ২ বৎসর অথবা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে ৩ বৎসরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলেও উক্ত কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করা যাইবে না।]
 
(ট) কর্মকর্তাগণের সংখ্যা যাহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পাঁচজনের কম এবং পঁয়ত্রিশ জনের বেশী হইবে না;
 
(ঠ) ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশের পদ্ধতি; এবং
 
(ড) ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ সদস্যগণের সভা আহ্বান, যাহা নির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার এবং সাধারণ সদস্যগণের ক্ষেত্রে প্রতি বত্সরে অন্তত একবার হইতে হইবে৷
 
(২) শ্রমিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়ন এই অধ্যায়ের অধীন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হইবে না, যদি না যে প্রতিষ্ঠানে উহা গঠিত হইয়াছে, সে প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকগণের মোট সংখ্যার অন্যুন শতকরা [ বিশভাগ] শ্রমিক উহার সদস্য হনঃ
 
 (২ক) শ্রম পরিচালক অথবা এতদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিন পরিদর্শন করিয়া অথবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ হইতে তালিকা সংগ্রহ করিয়া ধারা ১৭৮ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (৫) এবং এই ধারায় বর্ণিত বিষয়াদির সঠিকতা যাঁচাই করিবেন।]
 
তবে শর্ত থাকে যে, একই মালিকের অধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান যদি একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে একে অপরের সহিত সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহা হইলে উহারা যেখানেই স্থাপিত হউক না কেন এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যে একটি প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
(৩) যে ক্ষেত্রে কোন দুই বা ততোধিক প্রতিষ্ঠান একই মালিকের অধীন কি না, অথবা একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে উহারা পরস্পর সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত কি না এইরূপ কোন সন্দেহ বা বিরোধ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করা যাইবে৷
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন শ্রম পরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি সিদ্ধান্তপ্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবেন, এবং এই বিষয়ে শ্রম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
 
(৫) কোন প্রতিষ্ঠানে অথবা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে কোন সময়ে তিনটির অধিক [ রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা যাইবে না]৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক রেজিস্টার, ইত্যাদি সংরক্ষণ


১৮১৷ প্রত্যেক রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে নিম্নলিখিত রেজিস্টার বা বই সংরক্ষণ করিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সদস্য রেজিস্টার-যাহাতে প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদার বর্ণনা থাকিবে;
 
 
 
 
(খ) হিসাব বই- যাহাতে আয় এবং ব্যয় প্রদর্শিত হইবে; এবং
 
 
(গ) কার্য-বিবরণী বই- যাহাতে সকল প্রকার কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ থাকিবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

প্রতিষ্ঠান-পুঞ্জে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণ


১৮৩৷ (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্যে কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ একটি প্রতিষ্ঠান বলিয়া বিবেচিত হইবে, এবং এই প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কোন স্বতন্ত্র ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাইবে না৷
 
 
(২) এই ধারার উদ্দেশ্যে কোন “প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ” বলিতে কোন নির্ধারিত এলাকায় একই প্রকারের কোন নির্ধারিত শিল্পে নিয়োজিত এবং অনধিক বিশ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছেন- এইরূপ সকল প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন নির্ধারিত এলাকায় নিম্নবর্ণিত যে কোন শিল্প পরিচালনারত সকল প্রতিষ্ঠান, উহাদের প্রত্যেকটিতে নিযুক্ত শ্রমিকসংখ্যা যাহাই থাকুক না কেন, উক্ত এলাকার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-
 
 
[(ক) বাস,মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ইত্যাদি ব্যক্তি মালিকানাধীন যান্ত্রিক সড়ক পরিবহন;
 
 
(কক) রিক্সা, রিক্সাভ্যান, ঠেলাগাড়ী ইত্যাদি ব্যক্তি মালিকানাধীন অযান্ত্রিক সড়ক পরিবহন;]
 
 
(খ) ব্যক্তি মালিকানাধীন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন;
 
 
(গ) অনূর্ধ ১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত দর্জি ও পোষাক প্রস্তুতকারী শিল্প;
 
 
(ঘ) চা শিল্প;
 
 
(ঙ) জুট বেলিং;
 
 
(চ) চামড়া শিল্প;
 
 
(ছ) বিড়ি;
 
 
(জ) হস্তচালিত তাঁত;
 
 
(ঝ) হোশিয়ারী;
 
 
(ঞ) ছাপাখানা;
 
 
(ট) অনধিক পঁচিশ অতিথি কক্ষবিশিষ্ট হোটেল অথবা মোটেল;
 
 
(ঠ) হোটেলের অংশ হিসাবে নহে-এমন রেস্তোরাঁ;
 
 
(ড) ক্ষুদ্র ধাতব শিল্প;
 
 
(ঢ) বই-বাঁধাই;
 
 
(ণ) সিনেমা এবং থিয়েটার;
 
 
(ত) জাহাজ নির্মাণ ;
 
 
(থ) জাহাজ পুন: প্রক্রিয়াজাতকরণ (রিসাইক্লিং)
 
 
(দ) নির্মাণ শ্রমিক ;
 
 
(ধ) চাতাল বা চাল কল শ্রমিক ;
 
 
(ন) কৃষি খামার:]
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যদি জাতীয় স্বার্থে উচিত বলিয়া মনে করে, তাহা হইলে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপরোক্ত শিল্পের তালিকার সহিত অন্য কোন শিল্প যোগ করিতে পারিবে৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) অথবা (৩) এ উল্লিখিত নির্ধারিত এলাকা বলিতে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এতদউদ্দেশ্যে কোন নির্ধারিত শিল্পের জন্য নির্ধারিত কোন এলাকা বুঝাইবে; এবং উক্তরূপ এলাকা জাতীয়, আঞ্চলিক অথবা স্থানীয় ভিত্তিতে নির্ধারিত হইতে পারিবে; এবং ভিন্ন ভিন্ন শিল্পের জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারণ করা যাইবে৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নির্ধারিত শিল্প বলিতে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এতদ্‌উদ্দেশ্যে নির্ধারিত কোন শিল্পকে বুঝাইবে৷
 
 
(৬) কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রি করা যাইবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিকের মোট সংখ্যার অন্যুন ত্রিশ শতাংশ উহার সদস্য হয়৷
 
 
(৭) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে এরূপ বিধান থাকে যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত নহেন এরূপ কোন ব্যক্তি উহার কর্মকর্তা নির্বাচিত হইতে বা থাকিতে পারিবেন-তাহা হইলে উক্তরূপ কোন ব্যক্তি উহার কোন কর্মকর্তা নির্বাচিত হইতে বা থাকিতে পারিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন অবস্থাতেই উক্তরূপ ব্যক্তির সংখ্যা উহার মোট কর্মকর্তার সংখ্যার এক-চতুর্থাংশের অধিক হইতে পারিবে না৷
 
 
(৮) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, কোন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অধ্যায়ের অন্য সকল ধারা কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

নাবিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণ


১৮৫৷ (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সমুদ্রগামী জাহাজে সাধারণতঃ কর্মরত থাকেন এরূপ বাংলাদেশী নাবিকগণ তাহাদের নিজস্ব ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন৷
 
 
(২) কোন নাবিক উক্তরূপ কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইবেন না যদি না তাহার একটি অবিচ্ছিন্ন ডিসচার্জ প্রত্যয়নপত্র থাকে অথবা বাণিজ্যিক জাহাজ ব্যবসায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে নাবিক হিসাবে নিযুক্তির কোন নিয়োগ পত্র থাকে৷
 
 
(৩) এই অধ্যায়ের অধীন নাবিকগণের কেবলমাত্র একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাইবে৷

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
রেজিস্ট্রিকরণের দরখাস্ত অনিষ্পন্ন থাকাকালে চাকুরীর শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকিবে
১৮৬। (১) কোন মালিক উহার প্রতিষ্ঠানে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রিকরণের দরখাসত্দ অনিষ্পন্ন্ন থাকাকালে শ্রম পরিচালকের পূর্ব অনুমতি ব্যতীরেকে উক্ত ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তার অসুবিধা হয়-এইরূপভাবে তাহার দরখাসত্দ পূর্ব চাকুরীর শর্তাবলীর কোন পরিবর্তন করিবেন না।
 
 
(২) ধারা ২৬ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন মালিক উক্তরূপ কোন দরখাসত্দ অনিষ্পন্ন থাকাকালে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য-এরূপ কোন শ্রমিকের চাকুরী উক্ত ধারার অধীন অবসান করিতে পারিবেন না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

গঠনতন্ত্র এবং নির্বাহী কমিটির কতিপয় পরিবর্তনের ৰেত্রে নোটিশ প্রদান


১৮৮। (১) কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের প্রত্যেক সংশোধন, উহার কর্মকর্তার প্রত্যেক পরিবর্তন, এবং উহার নাম ও ঠিকানার পরিবর্তন উহাকে উক্তরূপ সংশোধন বা পরিবর্তনের পনর দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা হাতে হাতে নোটিশ প্রদান করিয়া শ্রম পরিচালককে অবহিত করিতে হইবে, এবং শ্রম পরিচালক উক্তরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর সংগে সংগে উহার একটি কপি সংশিস্নষ্ট মালিককে, তাহার অবগতির জন্য প্রেরণ করিবেন।
 
[ (২) মহাপরিচালক উক্তরূপ কোনো সংশোধন বা পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিতে পারিবেন যদি উহা এই অধ্যায়ের কোনো বিধানের খেলাপ করিয়া করা হয়।]
 
(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনকে উহার সহিত কোন নূতন সদস্য ইউনিয়নের সংযুক্তি অথবা উহা হইতে কোন সদস্য ইউনিয়নের বিযুক্তি সম্পর্কে, উহা সংগঠিত হওয়ার ষাট দিনের মধ্যে, রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরিত নোটিশ মারফত শ্রম পরিচালককে অবহিত করিতে হইবে।
 
(৪) যদি কোন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন বিরোধ থাকে, অথবা উপ-ধারা (২) এর অধীন শ্রম পরিচালকের প্রত্যাখ্যান আদেশ দ্বারা কোন ট্রেড ইউনিয়ন সংৰুদ্ধ হয়, তাহা হইলে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের যে কোন সদস্য বা কর্মকর্তা শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবেন।
 
(৫) শ্রম আদালত উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আপীল প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে উহার শুনানীর পর, উপযুক্ত বিবেচনা করিলে উহার রায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংশিস্নষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের সংশোধন অথবা উহার কর্মকর্তার পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করার জন্য শ্রম পরিচালককে নির্দেশ দিতে, অথবা শ্রম পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়নের নূতন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬

রেজিস্ট্রি বাতিলকরণ


১৯০৷ (১) এই ধারার অন্য বিধান সাপেক্ষে, শ্রম পরিচালক কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করিতে পারিবেন, যদি-
 
[ (ক) রেজিস্ট্রি বাতিলের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দরখাস্ত করে;]
 
(খ) উহার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়;
 
(গ) উহা প্রতারণা অথবা কোন তথ্যের মিথ্যা বর্ণনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রি হাসিল করিয়া থাকে;
 

 
(ঙ) উহা কোন অসত্ শ্রম আচরণ করিয়া থাকে;
 
(চ) উহার সদস্য সংখ্যা এই অধ্যায়ের অধীন প্রয়োজনীয় সংখ্যার নীচে নামিয়া যায়; অথবা
 
(ছ) উহা এই অধ্যায় বা কোন বিধির বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে৷
 
(২) যে ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক তদন্তান্তে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করা উচিত, সে ক্ষেত্রে তিনি উহার রেজিস্ট্রি বাতিল করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিয়া শ্রম আদালতে দরখাস্ত পেশ করিবেন৷
 
(৩) শ্রম পরিচালক শ্রম আদালত হইতে অনুমতি প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করিয়া দিবেন৷
 
(৪) কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি উপ-ধারা (১) (ঙ) অনুযায়ী বাতিল করা যাইবে না যদি না উক্ত ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক অভিযোগে বর্ণিত অসত্ শ্রম আচরণ সংঘঠিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে শ্রম আদালতে দরখাস্ত করা হয়৷

১৯২৷ (১) কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকৃত না হইলে অথবা উহার রেজিস্ট্রি বাতিল করা হইলে, ধারা ১৯১(২) এর বিধান সাপেক্ষে, উহা ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে কাজ করিতে পারিবে না৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের জন্য, সদস্যভুক্তির চাঁদা ব্যতীত, অন্য কোন চাঁদা আদায় করিতে পারিবেন না৷

১৯৪। (১) প্রত্যেক রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন উহার রেজিস্ট্রিকৃত নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা এবং একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং ইহার চুক্তি করার, স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হসত্দানত্দর করার ৰমতা থাকিবে, এবং ইহার নামে ইহা মামলা করিতে পারিবে বা ইহার বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
 
 
(২) সমিতিসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ আইন, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ২১ নং আইন), সমবায় সমিতি অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ১নং অধ্যাদেশ) এবং কোম্পানীসমূহ আইন, ১৯৯৪ কোন রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, এবং উক্ত কোন আইনের অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রিকরণ অবৈধ হইবে।

১৯৬৷ (১) মালিকের বিনা অনুমতিতে কোন শ্রমিক তাহার কর্মসময়ে কোন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকিবেন নাঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রতিষ্ঠানের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক এর ট্রেড ইউনিয়নের কাজ কর্মে নিয়োজিত থাকার ব্যাপারে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না, যদি উক্তরূপ কর্মকান্ড এই আইনের অধীন কোন কমিটি, আলাপ-আলোচনা, সালিস, মধ্যস্থতা অথবা অন্য কোন কর্মধারা সম্পর্কে হয় এবং মালিককে তত্সম্পর্ক যথাসময়ে অবহিত করা হয়৷
 
(২) কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ইউনিয়নের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি-
 
(ক) কোন শ্রমিককে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য অথবা না হওয়ার জন্য অথবা উক্ত পদে বহাল থাকার জন্য অথবা উহা হইতে বিরত থাকার জন্য ভীতি প্রদর্শন করিবেন না;
 
(খ) কোন শ্রমিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন সুযোগ দিয়া বা সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করিয়া অথবা তাহার জন্য সুযোগ সংগ্রহ করিয়া অথবা সংগ্রহ করার প্রস্তাব দিয়া তাহাকে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হইতে বিরত রাখার জন্য অথবা উক্ত পদ ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করিবেন না;
 
(গ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক, শারীরিক আঘাত, পানি, শক্তি বা টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করিয়া অথবা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া কোন শ্রমিককে কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলে চাঁদা প্রদান করার জন্য বা না করার জন্য বাধ্য করিবেন না বা বাধ্য করার চেষ্টা করিবেন না;
 
(ঘ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক বা উহা হইতে উচ্ছেদ, বেদখল, হামলা, শারীরিক আঘাত, পানি, [ বিদ্যুৎ, গ্যাস] বা টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করিয়া অথবা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া মালিককে কোন নিষ্পত্তি নামায় দস্তখত করিতে অথবা কোন দাবী গ্রহণ করিতে বা মানিয়া লইতে বাধ্য করিবেন না বা বাধ্য করার চেষ্টা করিবেন না;
 
(ঙ) কোন বেআইনী [ ধর্মঘটে অংশগ্রহণ]অথবা ঢিমে তালে কাজ শুরু করিবেন না বা চালু রাখিবেন না; অথবা উহাতে অংশ গ্রহণের জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করিবেন না; অথবা
 
(চ) কোন ট্রেড ইউনিয়নের কোন দাবী অথবা উহার কোন লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন ঘেরাও, পরিবহন অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অথবা কোন সম্পত্তির ধ্বংস সাধন করিবেন না৷
 
(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন উহার কর্মকর্তা বা উহার পক্ষে নিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে অবৈধ প্রভাব, ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা পরিচয় অথবা ঘুষ দ্বারা ধারা ২০২ এর অধীন অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিলে, ইহা উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে অসত্ শ্রম আচরণ হইবে৷
 
[ (৪) অসৎ শ্রম আচরণ বিষয়ক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]

১৯৭৷ কোন ট্রেড ইউনিয়ন ধারা ১৭৯ এ উল্লিখিত উহার গঠনতন্ত্রের কোন লক্ষ্য হাছিলের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত উহার সদস্যগণের মধ্যে কোন চুক্তির জন্য উহার বা কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির কোন সদস্য বা কর্মকর্তা দণ্ডবিধি আইন, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ১২০-খ (২) এর অধীন শাস্তিযোগ্য হইবেন না, যদি না চুক্তিটি কোন অপরাধ করিবার জন্য হয় অথবা অন্য কোনভাবে ইহা, এই অধ্যায়ের বিধান ব্যতীত, অন্য কোন আইন বা বিধান ভঙ্গ করে৷

১৯৯। অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুন না কেন, কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যগণের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তি কেবলমাত্র এই কারণে বাতিল বা বাতিলযোগ্য হইবে না যে, ইহার কোন লৰ্য কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বাধাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কিছুই কোন দেওয়ানী আদালতকে এরূপ কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণের জন্য সমর্থ করিবে না যাহা কোন ট্রেড ইউনিয়নের কোন সদস্য তাহাদের কোন দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি করিবেন কি করিবেন না, ব্যবসা চালাইবেন কি চালাইবেন না, অথবা কোন কাজ করিবেন কি করিবেন না, অথবা কোন চাকুরী করিবেন কি করিবেন না-এই সম্পর্কে সম্পাদিত কোন চুক্তি বাসত্দবায়নের জন্য অথবা উহা ভঙ্গের কারণে ৰতিপূরণের জন্য দায়ের করা হয়।

২০১। (১) কোন ইংরেজী পঞ্জিকা বৎসর শেষ হওয়ার পর পরবতর্ী বৎসর ৩০শে এপ্রিল এর মধ্যে উক্ত বৎসর সংক্রানত্দ কোন ট্রেড ইউনিয়নের আয় ও ব্যয়ের, এবং সম্পদ ও দায়ের হিসাবসম্বলিত একটি সাধারণ বিবরণী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রস্তুত ও নিরীৰণ করাইয়া শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
(২) উক্তরূপ সাধারণ বিবরণী যে বৎসরের জন্য প্রেরণ করা হইবে সেই বৎসরের ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সকল পরিবর্তন প্রদর্শন করিয়া একটি বিবরণ এবং সর্বশেষ সংশোধনীসম্বলিত উহার গঠনতন্ত্রের একটি কপি উক্ত সাধারণ বিবরণীর সংগে শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
(৩) যদি কোন রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত সময়সীমার মধ্যে উক্তরূপ সাধারণ বিবরণী প্রেরণে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে শ্রম পরিচালক একটি নোটিশ দ্বারা তৎসম্পর্কে উহাকে অবহিত করিবেন, এবং উক্তরূপ নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি ট্রেড ইউনিয়নটি উহার সাধারণ বিবরণী প্রেরণ করিতে পুনরায় ব্যর্থ হয় তাহা হইলে উহার রেজিষ্ট্রি বাতিলযোগ্য হইবে।
 
 
(৪) যদি কোন ট্রেড ইউনিয়ন কোন ফেডারেশনের সদস্য হয়, তাহা হইলে উক্ত সাধারণ বিবরণীতে উক্ত ফেডারেশনটির নাম লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

২০২ক। (১) এই অধ্যায়ে যে বিধানই থাকুক না কেন যৌথ দরকষাকষি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মালিক অথবা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (CBA) প্রয়োজন মনে করিলে বিশেষজ্ঞের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিশেষজ্ঞ সম্পর্কে কোন আপত্তি উত্থাপিত হইলে তাহা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে যে কোন পক্ষ শ্রম পরিচালককে সালিশের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে।]

২০৪৷ (১) যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি অনুরোধ করিলে যে কোন মালিক তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণের, যাহারা ঐ সিবিএ ইউনিয়নের সদস্য, মজুরী হইতে সিবিএ ইউনিয়নের তহবিলে দেয় তাহাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা, ঐ সিবিএ ইউনিয়ন কর্তৃক পেশকৃত ডিমান্ড স্টেটমেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি শ্রমিকের অনুমোদন সাপেক্ষে, কাটিয়া আলাদা করিয়া রাখিবেন
 
তবে শর্ত থাকে যে, সিবিএ বহির্ভূত ইউনিয়নের সদস্যরা রসিদের মাধ্যমে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবেন।]
 
(২) কোন মালিক উপ-ধারা (১) অনুসারে শ্রমিকগণের মজুরী হইতে টাকা কাটিয়া থাকিলে কর্তিত সম্পূর্র্র্ণ টাকা পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সিবিএ ইউনিয়নের হিসাবে জমা দিবেন৷
 
(৩) উপ-ধারা (১) মোতাবেক উহার সদস্যদের মজুরী হইতে টাকা কাটা হইতেছে কি না সংশ্লিষ্ট সিবিএ তাহা যাচাই করিতে চাহিলে মালিক উহার পূর্ণ সুযোগ প্রদান করিবেন৷

২০৬৷ (১) অংশগ্রহণকারী কমিটির কাজ হইবে প্রধানতঃ প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিক এবং মালিক সকলেরই অংগীভূত হওয়ার ভাব প্রোথিত ও প্রসার করা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিকগণের অঙ্গীকার ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা, এবং বিশেষ করিয়া-
 
 
(ক) শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, সমঝোতা এবং সহযোগীতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো;
 
 
(খ) শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা;
 
 
(গ) শৃঙ্খলাবোধে উত্সাহিত করা, নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষা এবং কাজের অবস্থার উন্নতি বিধান ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা;
 
 
(ঘ) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, শ্রমিক শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ প্রশিক্ষণে উত্সাহিত করা;
 
 
(ঙ) শ্রমিক এবং তাহাদের পরিবারবর্গের প্রয়োজনীয় কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহের উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এবং
 
 
(চ) উত্পাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন, উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি, উত্পাদন খরচ হ্রাস এবং অপচয় রোধ করা এবং উত্পাদিত দ্রব্যের মান উন্নত করা৷
 
 
(২) কোন ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটি মূল অংশগ্রহণকারী কমিটির তত্ত্বাবধানে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যাবলী, যতদূর সম্ভব, সম্পাদন করিবে৷

২০৮৷ (১) অংশগ্রহণকারী কমিটির সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা, তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ট্রেড ইউনিয়ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) যদি কোন কারণে মালিক অথবা ট্রেড ইউনিয়ন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারী কমিটির সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করিতে কোন কারণে অসুবিধা বোধ করেন, তাহা হইলে তত্সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করিতে হইবে, এবং উহা যথাশীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করিতে হইবে৷

২১০৷ (১) যদি কোন সময়ে কোন মালিক বা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি দেখিতে পায় যে, মালিক এবং শ্রমিকগণের মধ্যে কোন বিরোধ উত্থিত হইবার সম্ভাবনা আছে, তাহা হইলে উক্ত মালিক অথবা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি তাহার বা উহার অভিমত ব্যক্ত করিয়া অন্য পক্ষকে লিখিতভাবে জানাইবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পত্র প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে পত্র প্রাপক, অন্যপক্ষের সহিত আলোচনাক্রমে, পত্রে উত্থাপিত বিষয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে যৌথ দরকষাকষি শুরু করিবার জন্য তাহার সহিত একটি সভার ব্যবস্থা করিবেন, এবং এইরূপ সভা এতদউদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উভয় পক্ষের প্রতিনিধির মধ্যেও অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে৷
 
 
(৩) যদি পক্ষগণ উক্তরূপ আলোচনার পর আলোচিত বিষয়ের উপর কোন নিষ্পত্তিতে উপনীত হন, তাহা হইলে একটি নিষ্পত্তিনামা লিখিত হইবে এবং উহাতে পক্ষদ্বয় দস্তখত করিবেন, এবং উহার একটি কপি মালিক কর্তৃক সরকার, শ্রম পরিচালক এবং সালিসের নিকট প্রেরিত হইবে৷
 
 
(৪) যদি-
 
 
(ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত কোন পত্রের প্রাপক অন্য পক্ষের সহিত উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সভার ব্যবস্থা করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত অন্য পক্ষ, অথবা
 
 
(খ) উভয় পক্ষের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অনুষ্ঠিত প্রথম সভার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে অথবা উভয় পক্ষের লিখিত সম্মতি অনুযায়ী বর্ধিত সময়ের মধ্যে কোন নিষ্পত্তিতে উপনীত হওয়া না যায়, তাহা হইলে যে কোন পক্ষ, উপ-ধারা (২) অথবা, ক্ষেত্রমত, এই উপ-ধারার দফা (খ) এ উল্লিখিত সময়সীমা শেষ হইবার পর পনর দিনের মধ্যে তত্সম্পর্কে উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত উপযুক্ত সালিসকে (Conciliator) অবহিত করিতে পারিবেন এবং বিরোধটি সালিসীর (Conciliation) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য তাহাকে লিখিতভাবে অনুরোধ করিতে পারিবেন৷
 
 
(৫) এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপণ দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত কোন নির্দিষ্ট এলাকা অথবা কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সালিস (Conciliator) নিযুক্ত করিবে, এবং উপ-ধারা (৪) এর অধীন সালিসীর (Conciliation) জন্য কোন অনুরোধ এই উপ-ধারার অধীন সংশ্লিষ্ট এলাকা বা প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের জন্য নিযুক্ত সালিস (Conciliator) গ্রহণ করিবেন৷
 
 
(৬) উক্তরূপ অনুরোধ প্রাপ্ত হইবার দশ দিনের মধ্যে সালিস (Conciliator) তাহার সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) শুরু করিবেন, এবং বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষের সভা আহ্বান করিবেন৷
 
 
(৭) বিরোধের পক্ষগণ স্বয়ং অথবা তাহাদের মনোনীত এবং উভয় পক্ষের মধ্যে অবশ্য পালনীয় চুক্তি সম্পাদন করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে সালিস (Conciliator) এর নিকট তত্কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে ও সময়ে হাজির হইবেন৷
 
 
(৮) যদি সালিসীর (Conciliation) ফলে বিরোধ নিষ্পত্তি হয় তাহা হইলে, সালিস (Conciliator) তত্সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি রিপোর্ট পেশ করিবেন, এবং ইহার সহিত উভয়পক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত নিষ্পত্তিনামার একটি কপিও প্রেরিত হইবে৷
 
 
(৯) যদি সালিস (Conciliator) কর্তৃক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে বিরোধটি নিষ্পত্তি না হয়, তাহা হইলে সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) ব্যর্থ হইবে, অথবা উভয় পক্ষের লিখিত সম্মতিক্রমে আরো অধিক সময় চালানো যাইবে৷
 
 
(১০) যদি সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে সালিস (Conciliator) উভয় পক্ষকে বিরোধটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উহা কোন মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) এর নিকট প্রেরণ করিবার জন্য রাজী করাইতে চেষ্টা করিবেন৷
 
 
(১১) যদি পক্ষগণ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য কোন মধ্যস্থতাকারীর (Arbitrator) নিকট প্রেরণে রাজী না হন, তাহা হইলে সালিস (Conciliator), সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) ব্যর্থ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে, উহা ব্যর্থ হইয়াছে এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র পক্ষগণকে প্রদান করিবেন৷
 
 
(১২) যদি পক্ষগণ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য কোন মধ্যস্থতাকারীর (Arbitrator) নিকট প্রেরণ করিতে রাজী হন, তাহা হইলে তাহাদের সকলের স্বীকৃত কোন মধ্যস্থতাকারীর (Arbitrator) নিকট বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য যৌথ অনুরোধপত্র প্রেরণ করিবেন৷
 
 
(১৩) উপ-ধারা (১২) তে উল্লিখিত মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) সরকার কর্তৃক এতদ্‌উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত মধ্যস্থতাকারীর তালিকা হইতে কোন ব্যক্তি হইতে পারিবেন, অথবা পক্ষগণ কর্তৃক স্বীকৃত অন্য যে কোন ব্যক্তি হইতে পারিবেন৷
 
 
(১৪) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) মধ্যস্থতার অনুরোধ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে, অথবা পক্ষগণ কর্তৃক লিখিতভাবে স্বীকৃত কোন বর্ধিত সময়ের মধ্যে তাহার রোয়েদাদ প্রদান করিবেন৷
 
 
(১৫) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) তাহার রোয়েদাদ প্রদানের পর উহার একটি কপি পক্ষগণকে এবং আরেকটি কপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
(১৬) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) কর্তৃক প্রদত্ত রোয়েদাদ চূড়ান্ত হইবে এবং ইহার বিরুদ্ধে কোন আপীল চলিবে না৷
 
 
(১৭) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) কর্তৃক নির্ধারিত অনধিক দুই বত্সর পর্যন্ত কোন রোয়েদাদ বৈধ থাকিবে৷
 
 
(১৮) শ্রম পরিচালক, কোন বিরোধ নিষ্পত্তির স্বার্থে উপযুক্ত মনে করিলে যে কোন সময় কোন সালিস (Conciliator) এর নিকট হইতে কোন সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) উঠাইয়া আনিয়া নিজেই উহা চালাইয়া যাইতে পারিবেন, অথবা অন্য কোন সালিস (Conciliator) এর নিকট উহা হস্তান্তর করিতে পারিবেন, এবং এক্ষেত্রে এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
(১৯) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ সম্পর্কে কোন মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন রেজিস্ট্রি করা হইয়াছে, সে প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি শিল্প বিরোধ সম্পর্কে উক্ত মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ফেডারেশনের সহিত যোগাযোগ করিবে, এবং উক্তরূপ মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ফেডারেশনের সংগে সম্পাদিত শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কোন চুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের সকল মালিক ও শ্রমিকগণের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে৷

২১২৷ (১) ধারা ২১০ এর অধীন কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপনকারী পক্ষ যদি-
 
 
(ক) ধারা ২১০ (৪) এর অধীন উহাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিরোধটি সালিসীর মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য কোন সালিসের নিকট অনুরোধ করিতে ব্যর্থ হয়, অথবা
 
 
(খ) ধারা ২১১ (১) এর অধীন জারীকৃত নোটিশে উল্লিখিত নির্দিষ্ট সময়ে ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু করিতে ব্যর্থ হয়, অথবা
 
 
(গ) ধারা ২১১ (১) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে প্রেরণ করিতে, অথবা ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারী করিতে ব্যর্থ হয়,
 
 
তাহা হইলে শিল্প বিরোধটি উক্তরূপ নির্ধারিত সময় বা তারিখের পর ক্ষান্ত হইয়া যাইবে৷
 
 
(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন শিল্প বিরোধ ক্ষান্ত হইয়া যায়, সে ক্ষেত্রে উক্ত ক্ষান্তির তারিখ হইতে এক বত্সরের মধ্যে একই বিষয়ের উপর কোন নূতন বিরোধ উত্থাপন করা যাইবে না৷

২১৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রম আদালত স্থাপন করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন একাধিক শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠিত হইলে, সরকার উক্ত প্রজ্ঞাপনে উহাদের প্রত্যেককে যে এলাকায় এই আইনের অধীন এখতিয়ার প্রয়োগ করিবে উহা নির্ধারণ করিয়া দিবে৷
 
 
(৩) শ্রম আদালতের একজন চেয়ারম্যান এবং তাহাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য, দুইজন সদস্যসমন্বয়ে গঠিত হইবে, তবে কোন অপরাধের বিচার অথবা দশম এবং দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন বিষয় নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে উহা কেবল মাত্র চেয়ারম্যান সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
 
 
[(৩ক) শ্রম আদালতের সদস্যগণ তাহাদের মতামত লিখিতভাবে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যানকে জানাইতে পারিবেন এবং সদস্যগণ কোন মতামত জানাইলে উহা মামলার রায়ে অবশ্যই উলেস্নখ করিতে হইবে।]
 
 
(৪) শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক কর্মরত জেলাজজ অথবা অতিরিক্ত জেলা জজগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন৷
 
 
(৫) শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণের নিযুক্তির শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
 
(৬) শ্রম আদালতের দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী এবং অপরজন শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী হইবেন, এবং তাহারা উপ-ধারা (৯) এ বর্ণিত পন্থায় নিযুক্ত হইবেন৷
 
 
(৭) সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায়, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, দুইটি সদস্য তালিকা প্রস্তুত করিবে, যাহার একটিতে ছয়জন মালিক প্রতিনিধির নাম এবং অপরটিতে ছয়জন শ্রমিক প্রতিনিধির নাম থাকিবে৷
 
 
(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন প্রস্তুতকৃত সদস্য তালিকা প্রতি দুই বত্সর অন্তর পুনর্গঠিত হইবে, তবে উক্ত দুই বত্সর শেষ হওয়া সত্ত্বেও পূর্ববর্তী তালিকার অন্তর্ভুক্ত সদস্যগণ নূতন তালিকা সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত না হওয়া পর্যন্ত তালিকাভুক্ত থাকিবেন৷
 
 
(৯) শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান কোন নির্দিষ্ট শিল্প বিরোধের শুনানী বা নিষ্পত্তির জন্য উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত উভয় তালিকা হইতে একজন করিয়া প্রতিনিধকে নির্বাচন করিবেন এবং উক্তরূপ নির্বাচিত প্রতিনিধিদ্বয় এবং চেয়ারম্যান সহকারে উক্ত শিল্প বিরোধ সম্পর্কে শ্রম আদালত গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানীর জন্য চেয়ারম্যান উক্ত যে কোন তালিকা হইতে যে কোন একজন প্রতিনিধকে আদালতের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করিতে পারিবেন৷
 
 
(১০) কোন শ্রম আদালত নিম্নলিখিত বিষয়ে অনন্য এখতিয়ারের অধিকারী হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) এই আইনের অধীন আনীত, পেশকৃত অথবা দায়েরকৃত কোন শিল্প বিরোধ অথবা অন্য কোন বিরোধ অথবা কোন প্রশ্নের বিচারও নিষ্পত্তি;
 
 
(খ) সরকার কর্তৃক পেশকৃত কোন নিষ্পত্তি ভংগ অথবা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কোন বিষয়ের অনুসন্ধান, মিমাংসা ও নিষ্পত্তি;
 
 
(গ) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহের বিচার; এবং
 
 
(ঘ) এই আইন অথবা অন্য কোন আইনের অধীন বা দ্বারা প্রদত্ত বা প্রদেয় অন্য কোন ক্ষমতা প্রয়োগ অথবা কার্য সম্পাদন৷
 
 
(১১) যদি শ্রম আদালতের কোন সদস্য আদালতের কোন শুনানীর তারিখে অনুপস্থিত থাকেন, অথবা কোন কারণে হাজির হইতে অপারগ হন, উক্তরূপ অনুপস্থিতি বা অপারগতা কোন মামলার শুনানীর শুরুতেই হউক অথবা উহা চলাকালেই হউক, তাহা হইলে, আদালতের কার্যধারা তাহার অনুপস্থিতিতেই শুরু করা যাইবে অথবা, ক্ষেত্রমত, চালাইয়া যাওয়া যাইবে, এবং তাহার অনুপস্থিতিতে আদালতের সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করা যাইবে; এবং শ্রম আদালতের কোন কাজ, কার্যধারা সিদ্ধান্ত অথবা রোয়েদাদ কেবলমাত্র উক্তরূপ অনুপস্থিতির কারণে অথবা শ্রম আদালতের কোন শূন্যতার কারণে অথবা শ্রম আদালত গঠনে কোন ত্রুটির কারণে অবৈধ হইবে না বা উহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে নাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি আদালতের কোন সদস্য কোন নির্দিষ্ট মামলায় অনুপস্থিতির কথা চেয়ারম্যানকে পূর্বেই অবহিত করেন সেই ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষের তালিকা হইতে অন্য একজন সদস্যকে মনোনীত করিবেনঃ
 
 
আরো শর্ত থাকে যে, কোন মামলার রায়ে উভয় পক্ষের সদস্যদের মতামত অবশ্যই উল্লেখ করিতে হইবে৷
 
 
(১২) ফৌজদারী কার্যবিধি এর পঁয়ত্রিশতম অধ্যায়ের বিধানাবলী শ্রম আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, এবং উক্ত অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে শ্রম আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
(১৩) সকল শ্রম আদালত ট্রাইব্যুনালের অধঃস্তন আদালত হইবে৷

২১৬৷ (১) অপরাধ ব্যতীত এই আইনের অধীন অন্য কোন বিষয়, প্রশ্ন বা বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে, শ্রম আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন দেওয়ানী আদালতের উপর ন্যস্ত সকল ক্ষমতা নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাসহ, শ্রম আদালতেরও থাকিবে, যথাঃ-
 
(ক) কোন ব্যক্তির উপস্থিতি এবং তাহাকে শপথাধীন জবানবন্দী এবং সাক্ষ্য প্রদানে বাধ্য করা;
 
(খ) কোন দলিল বা বস্তু হাজির করিতে বাধ্য করা;
 
(গ) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য অথবা দলিল পরীক্ষার জন্য কমিশন প্রেরণ করা;
 
(ঘ) কোন পক্ষের আদালতে অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে মামলায় একতরফা সিদ্ধান্ত প্রদান করা;
 
(ঙ) একতরফা সিদ্ধান্ত বাতিল করা;
 
(চ) কোন পক্ষের অনুপস্থিতির কারণে প্রদত্ত মামলা খারিজের আদেশ বাতিল করা; এবং
 
(ছ) মামলার উদ্দেশ্য ব্যাহত রোধ করার লক্ষ্যে শ্রম আদালত যে কোন পক্ষের উপর অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারী করিতে পারিবে৷
 
(২) এই আইন সাপেক্ষে, কোন শ্রম আদালতে কোন দরখাস্ত বা দলিল পেশ করা, প্রদর্শন করা অথবা লিপিবদ্ধ করার জন্য অথবা উহা হইতে কোন দলিল নেওয়ার জন্য কোন কোর্ট-ফিস প্রদান করিতে হইবে না৷
 
(৩) শ্রম আদালত জারীকারক অথবা বিশেষ বাহক মারফত অথবা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা উভয়বিধভাবে কোন মামলার প্রতিপক্ষকে মামলা দায়ের করার অনধিক দশ দিনের মধ্যে তাহার লিখিত জবাব বা আপত্তি পেশ করিবার জন্য নির্দেশ দিবে৷
 
(৪) শ্রম আদালত, যুক্তি লিপিবদ্ধ করিয়া, উক্ত সময় অনধিক সর্বমোট সাতদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
 
(৫) যদি প্রতিপক্ষ নোটিশে উল্লিখিত অথবা বর্ধিত সময়ের মধ্যে কোন লিখিত জবাব বা আপত্তি পেশ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে মামলাটি একতরফা শুনানীক্রমে নিষ্পত্তি করা হইবে৷
 
(৬) কোন পক্ষের আবেদনক্রমে শ্রম আদালত সর্বমোট সাত দিনের অধিক সময় মামলার শুনানী স্থগিত রাখিতে পারিবে নাঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি মামলার উভয় পক্ষ স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করে, তাহা হইলে সর্বমোট অনধিক দশ দিন পর্যন্ত মামলার শুনানী স্থগিত রাখা যাইবে৷
 
(৭) যদি মামলার দরখাস্তকারী মামলা শুনানীর তারিখে অনুপস্থিত থাকে, তাহা হইলে মামলা খারিজ হইয়া যাইেবঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, খারিজ আদেশ প্রদানের তিন মাসের মধ্যে মামলার দরখাস্তকারীর আবেদনক্রমে খারিজ আদেশ বাতিল করার এখতিয়ার আদালতের থাকিবে৷
 
(৮) যদি মামলার প্রতিপক্ষ শুনানীর তারিখে অনুপস্থিত থাকে, তাহা হইলে মামলাটি একতরফা শুনানীক্রমে নিষ্পত্তি করা হইবে৷
 
(৯) কোন মামলা খারিজ হওয়ার কারণে, যে কারণে মামলাটি দায়ের করা হইয়াছিল উক্ত একই কারণে, নূতন মামলা দায়ের করা বারিত হইবে না যদি না ইহা অন্য কোন কারণে বারিত হয়, এবং খারিজ হওয়ার তিন মাস পর দায়ের করা হয়৷
 
(১০) যদি কোন মামলার সকল পক্ষ মামলাটি প্রত্যাহার করিবার জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করে, তাহা হইলে আদালত উভয় পক্ষকে শুনানী প্রদান করিয়া, মামলার যে কোন পর্যায়ে উহা প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারিবে যদি, আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিরোধটি আপোষে নিষ্পত্তি হইয়াছে৷
 
(১১) শ্রম আদালতের কোন রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, লিখিতভাবে প্রকাশ্য আদালতে প্রদান করিতে হইবে, এবং উহার একটি কপি সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক পক্ষকে দেওয়া হইবে৷
 
[ (১২) শ্রম আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, প্রত্যেক ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করিবার তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে।
 
(১৩) উপ-ধারা (১২) এর বিধান সত্ত্বেও, ৬০ (ষাট) দিনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করা সম্ভব না হইলে, উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া আদালত উক্ত সময়সীমা আরো ৯০ (নব্বই) দিন বর্ধিত করিতে পারিবে।]

২১৮৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে, বাংলাদেশে একটি শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল থাকিবে, যাহা একজন চেয়ারম্যান সমন্বয়ে গঠিত হইবে, অথবা সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করিলে একজন চেয়ারম্যান এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
 
(২) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ, যদি থাকেন, সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
(৩) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক হইবেন, এবং উহার কোন সদস্য সুপ্রিমকোর্টের কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক হইবেন; অথবা অন্যুন তিন বত্সর কর্মরত আছেন বা ছিলেন এমন কোন জেলা জজ হইবেন৷
 
(৪) যদি চেয়ারম্যান কোন কারণে অনুপস্থিত থাকেন বা তাহার কার্যসম্পাদনে অপারগ হন, তাহা হইলে সদস্যগণ যদি থাকেন, এর মধ্যে যিনি জ্যেষ্ঠ তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
(৫) যে ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের কোন সদস্য নিযুক্ত থাকেন সে ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান, আদালতের কার্য সুচারুরূপে সম্পন্ন করিবার জন্য, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেঞ্চ গঠন করিতে পারিবেন, এবং উক্তরূপ বেঞ্চ এক বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে অথবা চেয়ারম্যান এবং এক বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে গঠন করা যাইবে৷
 
(৬) ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বা বিবেচ্য কোন আপীল বা বিষয়ের শুনানী এবং নিষ্পত্তি পূর্ণ আদালতে হইতে পারিবে অথবা উহার কোন বেঞ্চেও হইতে পারিবে৷
 
(৭) এই আইন সাপেক্ষে, মূল ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল শুনানীর জন্য কোন আপীল আদালত দেওয়ানী কার্যবিধিতে বর্ণিত যে কার্যক্রম অনুসরণ করে, ট্রাইব্যুনাল, যতদূর সম্ভব, উক্ত কার্যক্রম অনুসরণ করিবে৷
 
(৮) যদি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঞ্চের সদস্যগণের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা যায়, তাহা হইলে-
 
(ক) বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের, যদি থাকে, অভিমত অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হইবে, এবং
 
(খ) যদি বেঞ্চের সদস্যগণ সমানভাবে বিভক্ত হন, তাহা হইলে তাহারা তাহাদের অভিমত ব্যক্ত করিয়া তর্কিত বিষয়ের উপরে শুনানীর জন্য বিষয়টি চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং চেয়ারম্যান, যদি তিনি উক্ত বেঞ্চের সদস্য না হন, তাহা হইলে স্বয়ং বিষয়টির উপর শুনানী গ্রহণ করিতে পারিবেন অথবা বিষয়টি শুনানীর জন্য এক বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত অন্য কোন বেঞ্চের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন, এবং চেয়ারম্যান অথবা উক্তরূপ নতুন গঠিত বেঞ্চের সদস্য বা সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতানুযায়ী বিষয়টির নিষ্পত্তি হইবে৷
 
(৯) যে ক্ষেত্রে কোন বেঞ্চ চেয়ারম্যান এবং কোন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং উহার সদস্যগণের মধ্যে কোন বিষয়ে মত পার্থক্য দেখা দেয় এবং সদস্যগণ এই ব্যাপারে সমানভাবে বিভক্ত হন, সে ক্ষেত্রে উক্ত বিষয় সম্বন্ধে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাইবে এবং বেঞ্চের সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যানের অভিমত মোতাবেক প্রকাশ করা হইবে৷
 
(১০) ট্রাইব্যুনাল আপীলে শ্রম আদালতের কোন রায়, সিদ্ধান্ত, রোয়েদাদ বা দণ্ডাদেশ বহাল রাখিতে, সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে বা বাতিল করিতে পারিবে অথবা মামলাটি পুনরায় শুনানীর জন্য শ্রম আদালতে ফেরত পাঠাইতে পারিবে; এবং অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন প্রদত্ত শ্রম আদালতের সকল ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবে৷
 
[(১১) ট্রাইব্যুনালের রায় আপিল দায়ের করিবার ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে প্রদান করা হইবে।
 
(১১ক) উপ-ধারা (১১) এর বিধান সত্ত্বেও, ৬০ (ষাট) দিনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রায় প্রদান করা সম্ভব না হইলে, উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে রায় প্রদান করিতে পারিবে।]
 
(১২) ট্রাইব্যুনাল উহার অথবা কোন শ্রম আদালতের অবমাননার জন্য শাস্তি দিতে পারিবে, যেন উহা সুপ্রীমকোর্টের একটি হাইকোর্ট বিভাগ৷
 
(১৩) ট্রাইব্যুনাল যদি উপ-ধারা (১২) এর অধীন কোন ব্যক্তিকে জেলের আদেশ দেয়া অথবা দুইশত টাকার অধিক জরিমানা করে, তাহা হইলে উক্ত শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷
 
(১৪) ট্রাইব্যুনাল স্বইচ্ছায় অথবা কোন পক্ষের দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে কোন মামলা এক শ্রম আদালত হইতে অন্য শ্রম আদালতে হস্তান্তর করিতে পারিবে৷
 
(১৫) সকল শ্রম আদালতের উপর ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকিবে৷

২২০৷ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উপস্থিতির ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে, শ্রম আদালতে অথবা ট্রাইব্যুনালে কোন ব্যক্তির দরখাস্ত পেশ, হাজিরা প্রদান অথবা অন্য কোন কাজ তিনি স্বয়ং অথবা তাহার নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি বা আইনজীবীর মাধ্যমে করিতে পারিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত প্রতিনিধি বা আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতের কোন প্রতিনিধি হইতে পারিবেন না৷

২২২৷ (১) কোন সালিসী কার্য ধারায় উপনীত কোন নিষ্পত্তি, অথবা কোন মধ্যস্থতাকারীর প্রদত্ত রোয়েদাদ অথবা শ্রম আদালতের কোন রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ অথবা ট্রাইব্যুনালের কোন রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) বিরোধের সকল পক্ষগণ;
 
 
(খ) যদি না আদালত ভিন্নরূপ নির্দেশ দেয়, তাহা হইলে শ্রম আদালতের নির্দেশে বিরোধের পক্ষ হিসাবে মামলায় হাজিরকৃত অন্য কোন পক্ষ;
 
 
(গ) কোন বিরোধ যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সে প্রতিষ্ঠানের মালিক কোন বিরোধের পক্ষ হইলে, তাহার উত্তরাধিকারী বা স্বত্ব প্রাপক কোন ব্যক্তি; এবং
 
 
(ঘ) যে ক্ষেত্রে বিরোধের এক পক্ষ যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি সে ক্ষেত্রে বিরোধটি যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সে প্রতিষ্ঠানে বিরোধটি উত্থিত হইবার তারিখে নিয়োজিত ছিলেন অথবা পরে নিয়োজিত হইয়াছেন-এরূপ সকল শ্রমিক৷
 
 
(২) সালিসী কার্যধারা ব্যতীত অন্য কোনভাবে মালিক এবং তাহার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে উপনীত কোন নিষ্পত্তি চুক্তিভুক্ত সকল পক্ষের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে৷





Previous Post
Next Post
Related Posts