বাংলাদেশ বেতারের ইতিহাস Glorius History of Bangladesh Betar
ইতিহাস এই অঞ্চলে বাংলাদেশে ঢাকাতে রেডিও সম্প্রচার শুরু হয় ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৩৯ সালে। প্রথমদিকে কেন্দ্রটি পুরনো ঢাকায় নাজিমুদ্দিন রোডে একটি ভাড়া করা বাড়িতে ( বর্তমানে যেটি শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ) যাত্রা শুরু করে। প্রথম নামকরণ করা হয়” ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র”।
অন্তর্ভুক্তি- রেডিও নেটওয়ার্ক Included Radio network
প্রধান কার্যালয়- Main office
৩১, সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি, আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা ১২০৭ ।
আরম্ভের তারিখ-১৬ ডিসেম্বর ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ
প্রতিষ্ঠিত- ২৬ আগস্ট ১৯২৭
প্রচারের স্থান- বাংলাদেশ
মালিকানা- বাংলাদেশ সরকার
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৩৯ সালে বাংলাদেশ ঢাকাতে রেডিও সম্প্রচার শুরু হয়, পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের একটি ভাড়া করা বাড়িতে প্রথমদিকে কেন্দ্রটি যাত্রা শুরু করে (যেটি বর্তমানে শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ)
প্রথম নামকরণ করা হয় ঢাকার ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্রিক পরবর্তীতে কেন্দ্রটি শাহবাগে স্থানান্তর করা হয়। ,রেডিওটি ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ তারিখে সম্প্রচার কেন্দ্র রেডিও পাকিস্তান স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করা হয়, যা চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর একটি জাপানি জাহাজ থেকে শুনা হয়েছিল এবং তা পুনরায় সম্প্রচার করা হয়েছিল। যুদ্ধের সময় এটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল। ভারী বর্ষণের কারণে বেতার কেন্দ্র টি কয়েকবার স্থানান্তর করা হয়েছিল। শেষে ২৫শে মে তারিখে কলকাতাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে যুদ্ধের বাকি সময় পর্যন্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতো। ডিসেম্বর ৬ তারিখে বেতার কেন্দ্রটিকে বাংলাদেশ বেতার নাম দেওয়া হয়।
সম্প্রচার
ঢাকার শেরেবাংলা নগরে জাতীয় বেতার ভবন বাংলাদেশ বেতার ঢাকার ক খ ও গ চ্যানেল এবং এফএম এর অনুষ্ঠান নির্মাণের পাশাপাশি ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র নিয়ে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান শাখার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এছাড়া বহির্বিশ্বে কার্যক্রম বাংলার পাশাপাশি সার্কভুক্ত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের জন্য ৫টি বিদেশি ভাষার অনুষ্ঠান নির্মাণ করে। এছাড়া ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্র গুলোতে এফএম এর পাশাপাশি এফ এম এর নিজস্ব অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এফএম অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বর্তমানে বিবিসি বাংলা,ডয়চে ভেলে ,রেডিও চায়না ও এন এস কে- এর অনুষ্ঠান প্রচার করে।
এ এম
এফএম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সম্প্রচার কেন্দ্র যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌমত্ব স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পর এর নাম বদলে বাংলাদেশ বেতার করা হয়। বাংলাদেশ বেতার এর পূর্ব নাম ছিল রেডিও বাংলাদেশ। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন বাংলাদেশের ঢাকা থেকে সম্প্রচার শুরু করে। বাংলাদেশ বেতার রেডিও, পাকিস্তান, ঢাকা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবাসীকে উদ্ধুদ্ব করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, অবিস্মরনীয় ভূমিকা রেখেছিল, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিদিন মানুষ অধীর আগ্রহে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার জন্য অপেক্ষা করতো, জয় বাংলা জয় বাংলা গানটি কে বেতার কেন্দ্রের সূচনা সংগীত হিসেবে প্রচারিত হত।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কিছু নিয়মিত অনুষ্ঠান হল পবিত্র কুরআনের বাণী, মুক্তিযুদ্ধের গান, যুদ্ধক্ষেত্রের খবরা-খবর, রণাঙ্গনের সাফল্য কাহিনী, সংবাদ বুলেটিন, ধর্মীয় কথিকা, বজ্রকন্ঠ, নাটক, সাহিত্য আসর এবং রক্তের আঁচড়ে লিখি, সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল এম আর আখতার মুকুল চরমপত্র, এখানে তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অসংলগ্ন অবস্থানকে পুরনো ঢাকার আঞ্চলিক ভাষার সংলাপের তুলে ধরতেন, চরমপত্রের পরিকল্পনা করে আব্দুল মান্নান, আরেকটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান জল্লাদের দরবার পরিচালনা, কল্যাণ অনুষ্ঠানটিতে ইয়াহিয়া খানকে কেল্লাফতে খান হিসেবে ব্যর্থ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হতো, বজ্রকন্ঠ অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবুর, অংশ সম্প্রচার বেতার কেন্দ্রে তরুণ শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও অনুপ্রেরণাদায়ক গান, করতে সম্প্রচারের জন্য এ সময় অনেক গান ও কবিতা লেখা হতো, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি কামাল লোহানী বলেন, আমাদের জন্য বেতার ছিল মর্মান্তিক যুদ্ধক্ষেত্র, যার মাধ্যমে আমরা জনগণকে সাহস বাড়াতে সহায়তা করে।