সরকারি চাকরিজীবীরা ৯৫% সাধারণত ঋণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে


 সরকারি চাকরিজীবীরা ৯৫% সাধারণত ঋণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে 

গরিব মানুষের বেঁচে থাকা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দিন দিন বেড়েই চলেছে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাটের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সাধারণ জনগণ তারা জীবন মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির  কোন সম্ভাবনা নেই। বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। নেই নতুন পে স্কেল এর সম্ভাবনা,  বেতন বাড়ছে না কিন্তু বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধি! গাড়ির ভাড়া ও কিন্তু বহন করতে পারছেনা বেতন এর কারণে।


সরকারি চাকরিজীবীরা  প্রতিদিনই  ঋণের নিচে পড়ছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন পান সে বেতনে তাদের ১৫ দিন ঠিকমতো চলা যায়। বাকি ১৫ দিন ধারদেনা করে বহুৎ কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়।  সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বিশেষ করে ১১গ্রেড হতে ২০তম গ্রেড অর্থাৎ তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জীবিকা নির্বাহ করছে ঋণের উপর ঋণ করে। 


ছোট্ট একটি পোস্ট দিয়ে কমেন্টের পর কমেন্ট, দেখা যাচ্ছে যে পোস্টটি দেওয়া হয়েছিল সেই পোস্টটিতে লেখা ছিল!!  ঋণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে- ট্রাই ৯৫% সাধারণ সরকারি চাকরিজীবীরা!!  এ পোস্টে যারা কমেন্ট করেছেন আপনারা নিজেরাই দেখুন।















এরপরও সরকারের নজরে আসছে না তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ব্যাপারে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন। এরা বর্তমানে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে অল্প কিছু মানুষ ভালো আছে, যে সকল মানুষ গুলো আছে সেগুলো কোন না কোন উপায় ইনকাম করছে যেমন - টিউশন, ফ্রিল্যান্সিং, চাষাবাদ, গবাদি পশু পালন করে।


আর সরকারি তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর সৎ নিষ্ঠাবান মানুষগুলো এদের বর্তমান জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এরা প্রতিনিয়ত এই ধার-কর্জ করে চলছে অনেকেই পায়ে হেঁটে অফিস পৌঁছান। আশেপাশের মানুষ এসে ঠাট্টা করে বলে তিনি সরকারি চাকরি করে অথচ পায়ে হেঁটে অফিসে যায় তাছাড়া নিজের ও অনেক কষ্ট হয়। ইনি সরকারি চাকরি করে অথচ রাতের আধারে বাজারে আসে তাতে নিজের ও লজ্জা লাগে।


 বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা একা একা চোখের জল ফেলে যা কাউকে বুঝতে দেয় না। কেউ বুঝতে চায় ও না, সবাই শুধু বলে সরকারি চাকরি করে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের অবস্থা বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, বাজার ঘাট, ওষুধ, ছেলে মেয়ের স্কুলের বেতন, ছেলে-মেয়ের স্কুলে যেতে গাড়ি ভাড়া, ছেলে-মেয়ের টিউশন ফি, ইত্যাদি ইত্যাদি মেটাতে গিয়ে দেখা যায় সারা মাসে চলার মতো কোনো টাকা নেই। তাই সরকারি চাকরিজীবী ঘরের এক কোণে গিয়ে চুপিচুপি চোখের জল ফেলে।


তাই অনতিবিলম্বে সরকারের নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করা প্রয়োজন। নতুন পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে সরকার প্রজাতন্ত্রের প্রজাদের বুঝিয়ে দিক সরকার ১১  থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীসহ সকল মানুষের প্রয়োজনে পাশে ছিল, ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের পাশে আছে।


Previous Post
Next Post
Related Posts