সরকারি কর্মচারীর ফৌজদারি অপরাধ- সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ আইন নং৫৭
সরকারি চাকরি আইন ২০১৮
একাদশ অধ্যায়
সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি অপরাধ
ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি
কোন সরকারী কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলা আদালত কর্তৃক অভিযোগ পত্র গৃহীত হইবার পূর্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।
কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো আদালতে ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনি কার্যধারা বিচারাধীন থাকিলে, বিচারাধীন কোন এক বা একাধিক অভিযোগের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিভাগীয় কার্যধারা নিষ্পত্তির ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকিবে না।
যদি বিচারকারী আদালতের গোচরীভূত হয়ে থাকে তাহার আদালত বিচারাধীন কোন মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সরকারি কর্মচারী তাহা হইলে আদালত অনতিবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারীরা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
ফৌজদারি মামলা দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা
কোন সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত মৃত্যুদণ্ড বা এক বছর মেয়াদে কারাদণ্ড, উক্ত অপরাধের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন।
কোন সরকারি কর্মচারী মামলায় আদালত কর্তৃক এক বছর মেয়াদে কারাদণ্ড অর্থদণ্ড উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নিম্নবর্ণিত যে কোন দন্ড আরব করিতে পারিবেন।
যথা-
- তিরস্কার,
- নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করুন
- বেতন গ্রেড স্কেল অবহিত করণ
- অথবা কোন আইন বা সরকারি আদেশ অমান্য করুন অথবা কর্তব্যে অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হয় যথা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়
উপধারা ১ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আদালত কর্তৃক কারাদন্ডে দন্ডিত চাকরি হইতে বরখাস্ত কোন ব্যক্তিকে অনুরূপ বরখাস্ত হইতে অব্যাহতি প্রদান বিশেষ কারণ বা পরিস্থিতি আছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন, এবং অনুরূপ আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকরিতে বহাল পূর্ণবহাল হইবেন
উপধারা ২ এর অধীন আরোপের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন বিভাগীয় কার্যধারার অজু করিবার প্রয়োজন হবে না এবং এত প্রদত্ত আদেশ আপনি যোগ্য হইবেন না
ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক আরোপিত দণ্ডাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে-
উপধারা ১ এর অধীনে বরখাস্ত ব্যক্তি, পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করিতে হইবে, এবং
উপধারা ২ এর অধীন দন্ডিত ব্যক্তি, পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে, তাহার উপর আরোপিত দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করিতে হইবে
খালাসপ্রাপ্ত কোন কর্মচারী, অবসরে গমনের বয়সে উপনীত হলে অথবা সংশ্লিষ্ট পথ বা চাকরির বিলুপ্তি ঘটিল, তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা যাইবে না, তবে তিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হইবে