কৃষি তথ্য সার্ভিস এআইএস Agriculture Information Service AIS
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে, জিডিপিতে অবদান
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড়, জিডিপিতে অবদান ১৮.৭ শতাংশ বি বি এস ২০১২ একহাতে কোন শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশে আশঙ্কাজনকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১.৩৭ শতাংশ পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিকূলতা হিসেবে বিবেচিত এই বিশাল জনসংখ্যা ভরণপোষণের জন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই কিন্তু একভাবে কৃষিজমি ১.০% হারে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ুর প্রভাব খাদ্য উৎপাদনের বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ভবিষ্যতে গ্রামীণ দরিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্দিষ্ট হারে খাদ্য সরবরাহ একান্ত প্রয়োজন। যখন বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র, ঠিক সে সময়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস এর প্রতিপাদ্য হিসেবে গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি গৃহীত হয়েছে, এ প্রতিপাদের মূল তিনটি উপাদান গ্রামীণ দরিদ্র বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা এবং কৃষি অর্থাৎ গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করছে এবং করতে পারে তা অনুধাবন করা পরিসরে প্রতিপাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপাদান তিনটি কেবলই পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত নয়, পারিবারিকভাবে নির্ভরশীল বটে, সামাজিক সুরক্ষা না থাকলে কেবল কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন খুবই দুরূহ কাজ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্ঘবদ্ধ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কৃষি উৎপাদন, উন্নয়ন ও সফল বিপণনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চেয়ে ছিলেন তিনি তার দূরদর্শী উপলব্ধি ছিল- কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ কৃষি এর অর্থ সামাজিক অবস্থান ভিত্তি, কৃষি কিসের মূল, কৃষিতে সবুজ বিপ্লব গঠনের উদ্দেশ্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের আর্থিক দায় বদ্ধতা লাভ, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের চিন্তা মাথায় রেখে তিনি কৃষকদের জন্য নিয়েছিলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তার সরকার প্রণীত প্রথম দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনায় তিনি কৃষি খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, কৃষিভিত্তিক জ্ঞান চর্চা ও প্রয়োগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহিত করার জন্য তিনি সরকারি চাকরিতে কৃষি পেশাজীবীদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন, তাই বলা চলে ২০১৫ সালে বিশ্ব খাদ্য দিবস এর প্রতিপাদ্য বঙ্গবন্ধুর প্রাণে বেঁচে ছিল আজ থেকে ৪৪ বছর আগে।
ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য যামু দানাশস্য প্রায় ৯৫% চাহিদা মিটায় এবং জনগণের পুষ্টি প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ক্যালোরি সরবরাহ করে। ইহা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ক্ষুধা দারিদ্র্য দূরীকরণের বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে ১৯৭২-৭৩ অর্থ বছরে দেশের মোট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১.১০ কোটি মেট্রিক টন যা ২০১৪ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩.৪৭ কোটি মেট্রিক টন, সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে যেখানে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল ৩.৩৩ কোটি মেট্রিক টন সেখানে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৮৫ কোটি মেট্রিকটন ২০০৯ অর্থবছরে যেখানে আলু ও সবজি উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ৬৭.৪৬ ও ১০৬.১০ লাখ মেট্রিকটন সেখানে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৩.৮৮ ও ১৪২.৬০ ৩০ লাখ মেট্রিক টন সুতরাং দেখা যায় যে সরকারের সঠিক কৃষি নীতি প্রণয়ন সঠিক মূল্যায়ন।
সময়মতো উপকরণ সরবরাহ ও কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রসরতার কারণে জমি কমে যাওয়া বিগত ৪০ বছরের বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের তিন গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, এখানে উল্লেখ্য করা প্রয়োজন যে মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ৯৬ লাখ ব্যাংক একাউন্ট খোলা, এক কোটি ৪০ লাখ কৃষকের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উপকরণ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করন এবং ডাল, তেল, মশলা ইত্যাদি ফসল চাষের জন্য মাত্র ৪ শতাংশ হারে সুদ কৃষি ঋণ প্রদান, ফসল উৎপাদন মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কি সব পর্যায়ের চাহিদা দূরীভূত করতে সরকার কর্তৃক সার বিতরণ ও মনিটরিং জোরদার করে ব্যাপক ভর্তুকি দেওয়ার মাধ্যমে চার দফা রাসায়নিক সারের মূল্য কমানো এবং সাশ্রয়ী মূল্য বিদ্যুৎ প্রদানের স্মার্ট কার্ড প্রচলন করা হয়েছে, এছাড়া ৩০% ভর্তুকিতে খামার যন্ত্র সরবরাহের যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন ও আউশ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে কৃষকদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উপকরণ সহায়তা প্রদানের মতো কাজ করছে সরকার।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে ২০১৫-১৬ মৌসুমের আউশ, আমন ও বোরো ধান চাষের লোকের সর্বমোট ২,১০,০০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীর্য রাসায়নিক স্যার প্রদান করা হয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের সরকার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও গভীরতা ও তীব্রতায় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে, স্বাধীনতার পর যেখানে বাংলাদেশের দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী লোকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৩ শতাংশ তা কমে বর্তমানে সীমার নিচে বসবাসকারী লোকের সংখ্যা প্রায় ২৪ শতাংশ এর মধ্যে গ্রামীণ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী লোকের সংখ্যা ৩১.৫% বিশ্বব্যাংকের গবেষণামূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিগত এক দশকে অর্থাৎ ২০০১ থেকে ২০১০ মেয়াদে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে প্রায় দেড় কোটি অথচ এর আগের ১৯৯০ থেকে ২০১৬ দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কম ছিল মাত্র ২৩ লাখ এর সফলতা কোন দেশের সব নীতি নির্ধারণ ও উন্নয়নের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র বিমোচন, দারিদ্র বিমোচন এদেশের অগ্রগতি গুরুত্ব, এক্ষেত্রে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পিছনে সরকারের অর্থনীতির উন্নয়ন কার্যক্রম বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগ এবং একই সঙ্গে সামাজিক উদ্যোগ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, বাংলাদেশের দরিদ্র #power মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিকল্পিত অর্থনীতির উন্নয়নের বিরাট সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সঠিক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং একটি দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া দূর করার অন্যতম লক্ষ্য ছিল দারিদ্র বিমোচন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন হয়েছে ২০১৭ সালে। সম্পূর্ণভাবে সহসা উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এমডিজি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা এসডিজি অর্জনের ব্যাপক ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এই লক্ষ্য অর্জনের ধারাবাহিকতায় সরকারকর্তৃক দ্বিতীয় দারিদ্র নিরসন কৌশলপত্রের সময় উপযোগী সংশোধন জাতীয় নির্বাচন কৌশলপত্র ২০০৯ থেকে ২০১১ দিনবদলের পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প হিসেবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০ থেকে ২০২১ সালে প্রণয়ন করা হয়, রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১১ থেকে ১৫ সালের জন্য ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনায় দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকার উল্লেখযোগ্য রয়েছে তা হলো দরিদ্র অঞ্চলের উপার্জিত লোকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতে কর্মসৃজন শিক্ষা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা পানি সরবরাহ ও পুষ্টি খাতে সরকারের আঞ্চলিক বৈষম্য বিষয়টির উপর অধিক গুরুত্ব। খাস জমি, বিদ্যুৎ এবং গ্রামীণ সড়ক ব্যবস্থাপনায় ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদান সহায়ক বিষয়সমূহের অগ্রধিকার নিশ্চিতকরন। শহর বাসীদের জন্য নাগরিক সুবিধা প্রদান করা দারিদ্র্য নিরসনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০১৬ থেকে ২০২০ মেয়েদের বাস্তবায়নের জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে এসব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের তথা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী জনগণের সংখ্যা ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা।
জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি
এ নীতির আলোকে গৃহীত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দলগত পদ্ধতিতে গরু সম্প্রসারণের সেবাদানের বর্তমানে কৌশল গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি এর পিক সুন্দর সমন্বয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় গঠিত হচ্ছে। গ্রাম সংগঠন, উক্ত সংগঠন কে কেন্দ্র করে উপকরণ বিতরণ উন্নয়ন প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনের যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে সামাজিক সুরক্ষা মূল ডেস্টিনি, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামীণ দারিদ্র দূরীকরণ। এ ধরনের উদ্যোগের নানা দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যে অবদান রাখতে শুরু করেছে, ময়মনসিংহ- শেরপুর প্রকল্পের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে ভিলেজ অরগানাইজেশন এবং ময়মনসিংহ শেরপুর জেলার 48 গঠন করা হয়েছে কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা ন্যায্যমূল্য কৃষি উপকরণ ও উৎপাদিত পুনরায় বিক্রয়ের সুবিধা তৈরীর জন্য প্রকল্প। এলাকায় স্থাপিত করা হয়েছে পাঁচটি পল্লীসঞ্চয় পল্লী বাজার প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫টি জেলায় ১৩৫৬০ সিআইডি এবং সিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭ টি জেলায় ১২৬১০ গঠন করা হয়েছে এছাড়া আইএফএমসি প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় ১৫৩ টি কৃষক সংগঠন ও এবং আইপিএম প্রকল্পের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে ৩০৭৩ আইপিএম ক্লাব গঠনের জন্য শেয়ার করায় সঞ্চয় ও বিনিয়োগের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
উল্লেখিত কৃষক সংগঠন গুলোর পরিকল্পনার আলোকে অথবা দলীয় চাহিদার ভিত্তিতে তাদেরকে আয় বর্ধন মূলক কর্মকান্ড প্রতি জাতকরন মাঠ ফসল চাষাবাদ ফুলবাগান স্থাপন, পশুপালন, মৎস্য চাষ, বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ ইত্যাদি কার্যক্রমের উপর আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নের ফলে প্রতিটি গ্রাম হয়ে উঠেছে স্বনির্ভরতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে দ্রুত অবসান ঘটে আইএম আইএম ক্লাব, সিআইডি ইত্যাদির মাধ্যমে কৃষি সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করে। সামাজিক সুরক্ষা এবং কৃষি উন্নয়নের অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে না গ্রামীণ দারিদ্র্য দূরীকরণের ফলশ্রুতি ভূমিকা রাখছে এ ক্ষেত্রেও একটি সফলতা উদাহরণকে মাথায় রেখে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে, এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে উপকরণে সহজ ভিত্তি এবং বাজারজাতকরণে সুবিধা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ পাশাপাশি উৎসাহিতকরণ ও সহজ কোনো ঋণ সরবরাহের কারণে গ্রামীণ কৃষকদের পারিবারিক আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ।
বিশ্ব খাদ্য সম্মেলন ১৯৯৬ অনুসারে খাদ্য নিরাপত্তা নিরাপত্তা বিরাজ করে যখন সকল লোকের সব সময় শারীরিক ও আর্থিক ভাবে পর্যাপ্ত এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সামর্থ্য থাকে যা খাদ্যের চাহিদা মিটানো এবং সুস্থ জীবনযাপনের সহায়তা করে খাদ্য উপাদান থেকে শুরু করে খাদ্য সংগ্রহ ও ব্যক্তির পছন্দমত পুষ্টিসম্মত অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের করার পর্যন্ত বিষয়গুলো খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় পড়ে। বাংলাদেশের উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের অগ্রগতির উল্লেখ করার মতো পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ১৯৯১-১৯৯২ মানুষ ছিল যেখানে ৩৫% ২০০২ থেকে ২০০৪ সালে তা কমে হয়েছে ৩০ শতাংশ। ১৯৮৪ সালের গ্রামীণ এলাকায় যেখানে একজন ব্যক্তির দৈনিক গড়ে শালগম, সবজি, ডাল, ফল মাছ ও ডিম দুধ গ্রহণের পরিমাণ থেকে ২০১০ সালের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায় সবজি ও ফল খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৬৫ শতাংশ। এছাড়া গ্রামীণ পর্যায়ে মাংস ও ডিম খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে এক তৃতীয়াংশ এবং শহরে বেড়েছে ৩৫% ২০১১ সালে পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মধ্যে প্রতিযোগ দৈনিক গড়ে ২১২২ কিলো ক্যালরি গ্রহণ করতে পারে এছাড়া ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পর্যাপ্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে সক্ষম ১৯৯০ সালের দিকে সেখানে একজন শ্রমিকের মজুরি দিয়ে দৈনিক গড়ে ৩.৫ কেজি চাল কিনতে সক্ষম হতো বর্তমানে তা বেড়ে প্রায় ১০ কেজি।
শিশুর জন্মহার ১৯৯০ সালের শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ৩৬% তে নেমে এসেছে। ওজনের দিক দিয়ে পুষ্টির চরম নিদর্শন খর্বাকৃতি ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সালের ২% পয়েন্ট কমে এসেছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৯৯৭সালের সংবিধানের ১৮/১ ধারায় বলা হয়েছে জনগণের পুষ্টি স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন কে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করবেন। ভবিষ্যতে বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য টেকসই খাদ্য উৎপাদন ব্যতীত অন্য কোন বিকল্প পন্থা আমাদের হাতে আছে বলে মনে হয় না আর এ জন্য আমরা যা উৎপাদন করব তার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন।
পরিশেষে বলা যায়, আমাদের কৃষি এগিয়ে যেতে শুরু করেছে এই অর্জন ও সাফল্য ধরে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত করাসহ অর্জিত উন্নয়নকে টেকসই করতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে, সেইসঙ্গে অর্জন করতে হবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য এসব উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে তাই সঙ্গতভাবেই নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা আইসিএম সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা আইপিএম সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, আই এন এম সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইডিএম ও বৃষ্টির পানি এবং শক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণ, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব জোরদারকরণ, কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার কৃষক ব্যবসায়ী উপকরণ সরবরাহ কারী উদ্যোক্তা প্রশিক্ষক গবেষক নারী উন্নয়ন।
কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার কৃষক ব্যবসায়ী উপকরণ সরবরাহ কারী উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ আনাড়ি দক্ষতা উন্নয়ন, গবেষণা সম্প্রসারণ সম্পর্কে জোরদার করণ, শস্য উৎপাদন বাড়াতে বহুমুখীকরণ নিধন কার্যক্রম জোরদার করণ, কৃষিতে আইসিটি ও আই সি আই এর ব্যবহার,
কৃষকদলের মাধ্যমে প্রযুক্তির সম্প্রসারণ
জৈব বৈচিত্র সংরক্ষণ উদ্ভিদ ও প্রাণীর
খাদ্যনিরাপত্তা পুষ্টি এবং খাদ্যাভাসের বহুমুখীকরণ
বৃষ্টিনির্ভর চাষাবাদ কে উৎসাহিত করুন
প্রতিষ্ঠান মানোন্নয়নের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা