পাতাল রেলের যুগে বাংলাদেশ Bangladesh in the age of subway
বাংলাদেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে পাতাল রেলের যুগে। ৩১কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের জন্য ২১টি স্টেশন বিশিষ্ট ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের জন্য পরামর্শক নিয়োগ দিচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। ২৩ অক্টোবর রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ডিএমটিসিএল নির্মাণ তদারকি পরামর্শদাতা হিসেবে জাপানের নিপ্পন কোম্পানি লিমিটেড জেভি সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছেন। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন নাওকি হুদো জাপান এবং এম এ এন সিদ্দিক বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গোটা পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারিনা।
পাতাল রেলের দীর্ঘ -৩১.২৪ কিলোমিটার
পাতাল রেলের স্টেশন -২১ টি
পরামর্শদাতা - জাপানের নিপ্পন কোম্পানি লিমিটেড
চুক্তি স্বাক্ষরিত - ২৩ অক্টোবর ২০২২
লাইনটিতে কয়টি অংশে থাকবে - ২ (দুটি অংশে) থাকবে
কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে - ২৪ মিনিট
পাতাল রেলে টাকা ব্যয় হবে - ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা
প্রকল্পের কাজ শুরু হবে - আগামী ডিসেম্বর ২০২২
প্রকল্পের কাজ শেষ হবে - ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার লাইনটির দুটি অংশে থাকবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭ কিলোমিটার অংশ ভূগর্ভস্থ হতে এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল রোড পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে ওরা কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে ২৪ মিনিট বিমানবন্দর স্টেশন থাকবে এবং পূর্বাচল রেলওয়ে স্টেশন থাকবে পূর্বাচল নতুন বাজার স্টেশন থাকবে ভূগর্ভে এবং এই দুটি স্টেশন যাত্রীদের পরিবর্তনের জন্য একটি ইন্টারচেঞ্জ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।বাজবে পরিবেশ যানজট কমাবে মেট্রোরেল ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল প্রকল্পের ভৌত কাজ আগামী ডিসেম্বর শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে আশা করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে পিতলগঞ্জ ডিপুর ভূমি উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড পরিচালনা গত ৭ সেপ্টেম্বর উন্নয়নের একটি জাপানি কোম্পানি নেতৃত্বে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করে, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভূগর্ভস্থ ground-breaking অনুষ্ঠানের জন্য সময় চাওয়া হবে বলে জানান আয়োজকরা। আনুষ্ঠানিকভাবে- ১ এমআরটি- ১ এর কাজ শেষ হলে দৈনিক 8 লাখ যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে উড়াল ভূগর্ভস্থ লাইন ,২০২০ সালের ডিসেম্বরের এমআরটি-১ প্রকল্পের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা ছিল কর্তৃপক্ষের, এ প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান মূলত করোনার কারনে শুরু করতে দেরি হয়েছে, কারণ অনেক বিদেশি বিশেষজ্ঞ সেসময়ে কাজে যোগ দিতে পারেন, প্রধান অতিথি পরিবহন আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল- ৬ প্রকল্প আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করবেন । ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল -৬ প্রকল্প উদ্বোধন হবে। সড়ক ও সেতু পরিবহন মন্ত্রী এম আর টি আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল এর নির্মাণকাজ শেষ হলে কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে মাত্র সময় লাগবে ২৪ মিনিট।দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে চলার জন্য নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।