Land Crime Prevention and Remediation Act 2022 !! ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২২ তারিখ ১৯/০১/২০২২





 ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২২

Land Crime Prevention and Remediation Act 2022


 ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন 2001


দখলদারি সূত্রে ভূমি মালিকানা নিষিদ্ধ দলিল যার মালিকানা ভূমি আইন 2022


ব্যক্তিমালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি সহ সরকারের যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা মালিকানাধীন ভূমি ও  সত্ত ও দখল বুক, ভূমি ইসু কোন ব্যক্তির জালিয়াতির প্রতারণামূলক ও অন্যের সহিত যোগসাজশে সৃষ্টি দলিল মূলে কোন দলিল ব্যতিরেকেই বা প্রয়োজনের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ না করিয়া উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধভাবে ভূমি দখল গ্রহ, বাদল গ্রহণের চেষ্টা ওভার ক্ষতি সাধন এবং উপরোক্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেশী শক্তির ব্যবহার, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, ইত্যাদির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধ ও অধিকার নিশ্চিত করা এবং তদ্ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় একত্রিত করিয়া সমন্বিতভাবে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত


 আইন


যেহেতু ব্যক্তিমালিকানাধীন বা সরকারি খাস ভূমি সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এর মালিকানাধীন ভূমি শক্ত ও দখল ভোগ, ভূমি link-2 কোন ব্যক্তির জালিয়াতির প্রতারণামূলক ও অন্য সব সৃষ্টির দলিল মূলে বা কোন দলিল ব্যতিরেকেই উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধভাবে ভূমির যখন গ্রহণ বা দখল গ্রহণের চেষ্টা বা উহার ক্ষতিসাধন এবং উক্তরূপ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেশিশক্তির ব্যবহার বা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার, ইত্যাদির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধ ও দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিতকরণের অত্যাবশ্যক রহিয়াছে


 এবং


 যেহেতু ভূমিতে জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ সহ সামগ্রিকভাবে তাদের শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন ও জীবন মান উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ


 এবং


 যেহেতু উপরে বর্ণিত ভূমি সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রতিকার কল্পে দাখিলকৃত দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দীর্ঘসময় বিচারাধীন থাকায় উক্ত ক্ষেত্রে সৃষ্টি মামলা যানজট জনগণের জন্য যে ভোগান্তির কারণ হইয়াছে উহান নির্বাচন হওয়া বাঞ্চনীয়


 এবং


যেহেতু ব্যক্তিমালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি সহ সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন ভূমি নিকটস্থ থাকিলে ও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহারের অবারিত সুযোগ থাকে


 এবং


 যেহেতু উপরে উপরে বর্ণিত পেক্ষাপটে ভূমি সম্পর্কিত অপরাধসমূহের প্রতিরোধ ও প্রতিরোধ প্রতিকার সম্পর্কিত বিধান সমন্বয়ে একটি আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়


 যেহেতু নিম্নরূপ আইন করা হইল


১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন-

১।  এই আইনে অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১ নামে অভিহিত হইবে


২। ইহা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে


৩। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করবে, শে তারিখ হইতে এই আইন কার্যকর হইবে


২। সংজ্ঞা - বিষয় বা প্রসঙ্গের  পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

১।অপরাধ” অর্থ এই আইনের অধীন দন্ডনীয় অপরাধ,


২্  অবকাঠাম “  অর্থে বাসস্থান, অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা, শিল্প কারখানা, দোকান বা অন্য কোনো স্থাপনা, কাঁচাপাকা যাহাই হোক না কেন উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে,


৩। অবৈধ দখল “  না থাকা সত্বেও কোন ব্যক্তি ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি সহ সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা মালিকানাধীন ভূমিতে প্রবেশ,  প্রবেশের চেষ্টা অধিগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত হইবে, অক্টোবর ৩  এ অনুষ্ঠিত উক্ত সুপারিশ বিবেচনা নিয়ে বিধানটি পূর্ণ গঠন করা হয়েছে


৪।  আদালত” অর্থ এই আইনের ধারা ২৮  এ বর্ণিত যে কোন আদালত


৫। আগ্নেয়াস্ত্র” অর্থ বন্দুক, পিস্তল,, বল, রাইফেল বা সমজাতীয় অন্য কোনো অস্ত্র, গুলি, গোলাবারুদ ও বেওনেট, এবং  আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি সরঞ্জাম ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে


৬। কালেক্ট “অর্থ কোন জেলার কালেক্টর, এবং জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এই আইনের অধীন কালেক্টর- এর যে কোন কার্য সম্পন্ন পরিবার নিম্নোক্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তা ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে


৭।  খাস জমি অর্থ State Acquisition % Tenancy Act,1950 (Act No XXVII of 1951) ‍ এবং আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের বিধান অনুসারে সরকারের নিকট অথবা যেকোনো ভূমি ০২ / ১১ / ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবার পরে সংযোজিত


 বিকল্প


 কোনটি ভাল হয় সে সিদ্ধান্ত সচিব মহোদয় গ্রহণ করতে পারবেন

 খাস জমি অর্থ State Acquisition % Tenancy Act,1950 (Act No XXVII of 1950)(Act No XXVII of 1951) এর ২ (১৫) ধারা সংজ্ঞায়িত খাস জমি এবং কোন ব্যক্তি, সংজ্ঞা বা অন্যান্য সরকারি বিভাগের মালিকানা বহির্ভূত ও ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন খাস জমি, এবং নিম্ন বর্ণিত ভূমি ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে -


(ক) কালেক্টর এর ১  নম্বর খতিয়ান বা ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল, ১৯৯০  এর ৬ সাইরাত রেজিস্টার ও ৮  নম্বরে  রেজিস্টার (  খাস জমি রেজিস্টার)  অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধসমূহ


খ) নদী বা সমুদ্রগড় তো হইতে জাগিয়া ওঠা চরের জমি যাহা স্বীকৃতি জমি হোক বা নতুন চর হউক 



Bangladesh Land Holding (Limitation) order, 1972 (PO No. 98 of 1972) এর ৩  ধারা মোতাবেক কোন পরিবার বা সংস্থা body মালিকানাধীন 100  অতিরিক্ত সরকারের নিকট কৃতজ্ঞ জমি এবং Land Reforms Ordinance, 1984 (Ordinance Number X of 1984) এ ধারা 4  মোতাবেক কোন পরিবার বা সংস্থার মালিকানাধীন 60  বিঘার অতিরিক্ত সরকারের নিকট অর্পিত বা অর্পণ যুদ্ধ কৃষিজমি


 সরকার কর্তৃক নিলামে করা ইচিত জমি



State Acquisition & Tenancy Act, 1950 (Act NO. XXVIII of 1951) (resumed) এর ৯২  ধারা মোতাবেক পুনরায় গ্রহণকৃত resumed জমি


মালিকানার দাবিদার বিহীন যে কোন জমি;  এবং


প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকার বা আদালত কর্তৃক খাস ঘোষণাকৃত কোন জমি


 ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনের  খসরা হতে গৃহীত


জেলা ম্যাজিস্ট্রেট“  অর্থ Code of Cri minal Procedure 1898 (Act V 1898 ) এর ধারা 10 এবং মৃত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে


 দন্ডবিধি অর্থ Pen al Code , 1860 (Act XLV of 1860)


দলিল বা দলিলাদি“ অর্থে ভূমির মালিকানা হস্তান্তর এর লক্ষ্য নিবন্ধিত যেকোনো দলিল, আমমোক্তারনামা, নকশা map ওয়াইনে স্বীকৃত অন্যান্য দলিল, খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান বা সংশোধিত খতিয়ান, ডুবলিকেট কার্বন রশিদ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ দাখিলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হইবে (October 3 অনুষ্ঠিত ওয়াকসপ এ প্রাপ্ত সুপারিশ)


দেশীয় অস্ত্র“  অর্থ বাস বা কাঠের লাঠি, চুরি, বটি, দা, কুড়াল, তরোয়ার, খঞ্জন, বর্ষা, বল্লম, টাটা,ফালা, হাসুয়া, তীর ধনুক, এবং সমজাতীয়, অন্য যে কোনো অস্ত্র ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত হইবে,


 ফৌজদারী কার্যবিধি“  অর্থ Code of Criminal Procedure , 1898 (Act V of 1898)


বল প্রয়োগ“ অর্থ শক্তি প্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন বা মন মাস্তি ভাবে চাপ প্রয়োগ, এবং অন্য কোন প্রকার ক্ষতি সাধন -  পরিবার বা দৈহিকভাবে আটক রাখিবার হুমকি প্রদর্শন, মির্জা কোন ব্যক্তি পাকিস্তান, দাপ্তরিক বা আইনগত অবস্থানকে অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কাজে লাগাবার হুমকি প্রদান ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;


 বিধি“  অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;


 ব্যক্তি“  অর্থে কোন কোম্পানি, অংশীদারি কারবার বা ফার্ম বা একাধিক ব্যক্তির সমিতি ও সংঘ, নিবন্ধিত হউক  বা  না  হোক, ওহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।


ভীতি প্রদর্শন“  এই আইনের অধীন প্রতিকার প্রার্থী কোন ব্যক্তিকে আদালতে মামলা দায়ের, মামলা চলাকালে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ বা আদালতের উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে লাভবান হই লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রত্যাখ্য বা পরোক্ষভাবে বা প্রচ্ছন্নভাবে ভিকটিম, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সাথীকে যেকোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা, অথবা প্রতিশোধ গ্রহণের, জীবননাশের হুমকি প্রদান, শক্তি প্রদর্শন, অবৈধ প্রস্তাবিত প্রস্তাব বিস্তার, সম্পত্তির ক্ষতি সাধন বা ক্ষতি সাধনের হুমকি প্রদান, অসঙ্গত প্রভাব খাটানো বা যেকোনো ধরনের হয়রানি করা যাহার ফলে ন্যায় বিচার ব্যাহত হতে পারে এরূপ যে কোনো কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত হইবে


 ভূমিলিন্সু“ অর্থ কোন ব্যক্তি যিনি জালিয়াতি বা প্রতারণামূলক ও যোগসাজশে সৃষ্ট দলিল মূলে বা কোন দলিল ব্যতিরেকেই ভয়-ভীতি ও পেশা শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বা অন্য কোন কৌশলে অবৈধভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি সহ সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ভূমি দখল করেন বা দখলের উদ্যোগ গ্রহণ করেন;


 মোবাইল কোট“ মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ ( ২০০৯ স্নানের ৫৯  নং আইন ) -এর ধারা ৪  এর অধীনে পরিচালিত মোবাইল কোট;


রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার“ অর্থ রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ( ২০১০ সনের ৪৮  নং আইন)  এর ধারা ২ (১৫) অসংজ্ঞায়িত যেকোনো রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বা ওভার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা এজেন্ট যাহারা জমি, বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন, ফ্লাট ইত্যাদি নির্মাণ ও ক্রয় বিক্রয়ের সহিত জড়িত।


 আইনের প্রাধান্য - আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে


দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ অপরাধ ও দণ্ড


৪। অন্যর জমির মালিকানা হইবার মাংসে জাল দলিল সৃষ্টির দণ্ড।- যদি কোন ব্যক্তি লাভবান এবার লক্ষ্য ব্যক্তিমালিকানাধীন সরকারি খাস জমি সহ সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন জমি নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন সহ ওভার মালিকানা সংক্রান্ত যেকোন জাল দলিল সৃষ্টি করেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে এবং অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা তবে অন্য তিন  লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, জাবিন যোগ্য অপরাধ


মালিকানার অতিরিক্ত জমি লিখিয়ে নেওয়ার দন্ড - ১ যদি কোন ব্যক্তি ভূমি হস্তান্তর দলিল সম্পাদনকালে গ্রহীতা হিসেবে লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে কোন জমিতে দাতার মালিকানা ও দখল না থাকার বিষয়ে অবগত থাকা সত্ত্বেও দাতা পত্রিকার মালিকানা ও দখলীয় জমির অতিরিক্ত জমির দলিলে লিপিবদ্ধ করান তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং ত জন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের তবে অনন্য দুই বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা তবে অন্য তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন,  জামিনযোগ্য অপরাধ


পূর্ব বিক্রয় বা হস্তান্তর গোপন করিয়া কোন জমি বিক্রয় এর দন্ড - যদি কোন ব্যক্তি তাহার বিকৃত কোন জমি সম্পর্কে তথ্য গোপন করিয়া লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে উক্ত জমি পুনরায় অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর এ লক্ষ্যে বিক্রয় দলিল সম্পাদন ও নিবন্ধন করেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধের জন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের তবে অন্য দুই বছরের কারাদণ্ড, বা দশ  লক্ষ টাকা তবে অনন্য তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বাধ্য হইবেন, জামিনযোগ্য অপরাধ


বায়নাকৃত জমি পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার দন্ড - যদি কোন ব্যক্তি তাহার মালিকানাধীন কোন ভূমি বিক্রয়ের লক্ষ চুক্তি Cont ract forsale বা বায়না চুক্তি করিবার পর লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে উক্ত ভূমি বিক্রয়ের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তির শহীদ চুক্তিবদ্ধ হন, তারা অনুরূপ কার্য একটি অপরাধ এবং ত জন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের তবে অন্য দুই বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা তবে অনন্য তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বাবাই দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন,  জামিনযোগ্য  অপরাধ


ভুল বুঝিয়া দানপত্র ইত্যাদি ছয় জনের দণ্ড- যদি কোন ব্যক্তি লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে অন্য কোন ব্যক্তিকে ভুল বুঝা বা মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে কোন ভূমির দান দলিল সিজন করেন, তাহলে তার অনুরোধ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং ত জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা তবে অনন্য 50000 টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন


সহ- উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত কোরিয়া প্রাপ্যতার অধিক জমিv নিজ নামে দলিলাদি সৃষ্টির দন্ড- যদি কোন ব্যক্তি লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে সহ উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত কোরিয়া সিও উত্তরাধিকারীর কার অনুযায়ী নিজ ভূমি নিজ নামে দলিল দিয়ে সৃজন করে, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং ত জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা তবে অনন্য ৫০০০০০ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন


অবৈধ দখল ইত্যাদি দন্ড - যদি কোন ব্যক্তি বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্বেও ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি সহ সরকারের যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা মালিকানাধীন ভূমি জোরপূর্বক দখল  করেন অথবা ভূমির জোরপূর্বক দখল অব্যাহত রাখেন, তাহা অনু হইবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি অনধিক তিন বছরের তবে অনন্য এক বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক তিন লক্ষ টাকা তবে অনন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।


সহ উত্তরাধিকারী জমি জোরপূর্বক দখল রাখিবার দন্ড - যদি কোন ব্যক্তি তাহার শরীর বা সহ উত্তরাধিকারীর প্রাপ্য জমি জোরপূর্বক দখল করিয়া রাখেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্যকরী অপরাধ এবং ত জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা তবে অনন্য ৫০০০০ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হইবেন


অবৈধভাবে মাটি কাটা, বালি উত্তোলন ইত্যাদির দন্ড- যদি কোন ব্যক্তি বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারি ভূমি, নদীরপাড় তলদেশ বা অন্যকোন ভূমি ইত্যাদি হইতে মাটি কাটা কাটা, বালি উত্তোলন করেন বা করান  তাহা হইলে ,অনুরূপ কর্তন বা উহার উত্তোলন ইত্যাদির ফলে প্রকৃত কোন ক্ষতি সাধিত হউক বা না হউক, তাহার অনুরোধ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে ন্যূনতম ছয় মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা তবে অনন্য ৫০০০০ টাকা অর্থদণ্ড, বা দণ্ড। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ নেওয়া যেতে পারে


জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করিবার দণ্ড- যদি কোন ব্যক্তি বেআইনিভাবে মাটি ভরাট করিয়া বা অন্য কোন ভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেন বা করান, তাহা হইলে তাহার অনুরোধ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং তোর জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা তবে অরণ্য 50000 টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ নেওয়া যেতে পারে



বিনা অনুমতিতে ভূমির- উপরের স্তর Top  soil কর্তনের দণ্ড যদি কোন ব্যক্তি ভূমি মালিকের অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত ভূমির উপরে রয়েছে মাটির উত্তোলন করে বা করান, তাহা হইলে, তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং ত জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা তবে অনন্য 50000 টাকা অর্থদণ্ড, বাহবা দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ নেওয়া যেতে পারে



১৮। জনসাধারণের ব্যবহার্য , ধর্মীয় বা  দাতব্য প্রতিষ্ঠান জমি দখলের দণ্ড- যদি কোন ব্যক্তি-


ক।  জনসাধারণের ব্যবহার্য বা পাবলিক ইজমেন্ট, খেলার মাঠ, জলাশয় প্রকৃতির দখল করেন বা করান;  বা


খ। ওয়াকফ এস্টেট,  দেবোত্তর , কবরস্থান,  মসজিদ, মন্দির, গির্জা, ঈদগাহ, প্যাগোডা, মাজার শরীফ, দরগা, শ্মশান, প্রকৃতির ভূমি জমি দখল করেন বাদল গ্রহণের সহায়তা প্রদান করেন;  বা


গ।  চিকিৎসা, শিক্ষা, ক্রিয়া, বিনোদন প্রভৃতি দাতব্য উদ্দেশ্য উৎসর্গকৃত ভূমি জমি বেআইনিভাবে দখল করেন বাদল গ্রহণে সহায়তা প্রদান করেন;  বা


ঘ।  উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত দফা ক,খ,ও গ এ উল্লেখিত ভূমির শ্রেণি“ Character পরিবর্তন করেন বা উপযুক্ত কাজে সহায়তা প্রদান করেন;  বা


ঙ। উপরুক্ত ভূমিতে বেআইনি ও অবকাঠামো নির্মাণ করেন বা নির্মাণ করতে সহায়তা প্রদান করেন;


 তাহা হইলে তাঁহার অনুরোধ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের, বা অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা তবে অনন্য 2 লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন


রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন,২০১০ (২০১০ সনের ৪৮  নং আইন)  এর নিম্নবর্ণিত ধারা সমূহ অপরাধ ও দণ্ড সম্পর্কিত যে বিধান আছে তা প্রস্তাবিত ধারার দফা ক,খ, ও  গ এর সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কিনা তা বিবেচনা করা যেতে পারে;


২১। কোন ভূমির মালিক এর সহিত কোন ডেভলপার কোন রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হইবার পর চুক্তির শর্ত মোতাবেক রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন যথাযথভাবে সম্পূর্ণ করিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমির মালিক এর ভূমির মালিক এর অনুকূলে হস্তান্তর না করে কিংবা ক্ষেত্রমত, দখল বুঝাইয়া না দিলে অনূর্ধ্ব ২  বছরের কারাদণ্ড অথবা ২০  লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবে।



রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন,২০১০ (২০১০ সনের ৪৮  নং আইন)  এর ষষ্ঠ অধ্যায় অপরাধ, বিচার ও দণ্ড এর বিস্তার বিধান রয়েছে বিধায় এই আইনে কি করণীয় তা আলোচনা সাপেক্ষে


২২ । সরকারি, বেসরকারি, সাহিত্য শাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান জমিদারি বেআইনি দখলের দন্ড- যদি কোন ব্যক্তি, সরকারি খাস জমি বা অন্য কোন বা অন্য কোনো সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান মালিকানাধীন ভূমি বেআইনি ভাবে দখল করেন পাওয়াতে অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ করেন, তাহা হইলে তাহার অনুরোধ কার্যকরী একটি অপরাধ এবং তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক চার লক্ষ টাকা তবে অনন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বাহবা দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ নেওয়া যেতে পারে



২৩ । নদী, হাওর, বিল ও অন্যান্য জলাভূমির শ্রেণী পরিবর্তনের দন্ড- যদি কোন ব্যক্তি নদী, হাওর, বিল বা অন্যান্য জলাভূমি বেআইনিভাবে-


ক। মাটি, বালি বা আবর্জনা দ্বারা; বা

খ। অন্য কোন পদার্থ দ্বারা; বা

গ। অন্য কোন উপায় ; বা

ঘ। উহাতে অবকাঠামো নির্মাণ করিয়া উহার কোন অংশ বা সম্পূর্ণ ভরাট করেন বা কোরআন, যাহাতে ওহাট শ্রেণি আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হইয়া যায়;


 তাহা হইলে তাহার অনুরোধ কার্য হইবে একটি অপরাধ, তবে তার জন্য তিনি -


অ) আংশিক শ্রেণী পরিবর্তনের জন্য অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; এবং


আ) সম্পূর্ণভাবে শ্রেণীর পরিবর্তনের জন্য অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা তবে অনন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন 


 মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ নেওয়া যেতে পারে



২৪। অবৈধ দখল গ্রহণ ও দখল বজায় রাখিতে পেশি শক্তি প্রদর্শনের ইত্যাদি দন্ড-  যদি কোন ব্যক্তি একক বাদল কতভাবে অবৈধভাবে ভূমিদখল গ্রহণ করেন এবং উক্ত বেআইনি দখল বজায় রাখিবার জন্য দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন ও ব্যবহার করিয়া প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন তাহা হইলে তাহার অনুরোধ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং ত জন্য তিনি অনধিক তিন বছরের তবে অনন্য 6 মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা তবে অন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা  উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, জামিনযোগ্য অপরাধ


২৫। অপরাধ পুনরায় সংগঠনের দন্ড- এই আইনে কোন ধারার অধীনে কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হইলে এবং পরবর্তীতে তিনি এই একই অপরাধ সংঘটনের জড়িত থাকলে তিনি যে ধারায় দোষী সাব্যস্ত হইবেন মুক্তধারায় নির্ধারিত দ্বিগুণ পরিমাণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। জামিনযোগ্য অপরাধ


২৬। জমির পরিমাণ ও ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বর্ধিত সাজা - ধারা ৬  এ বর্ণিত দলিল বা কাগজ যদি একরকম অপেক্ষা অধিক হয় বা বিষয়টিতে ল্যান্ড লেভেল লেভেল পারবা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার জড়িত থাকেন, তাহা হইলে উক্ত জড়িত ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছরের তবে অন্য দুই বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক 20 লক্ষ টাকা তবে অন্য পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ নেওয়া যেতে পারে



২৭। সন্নিধি নিকটবর্তী ভূমি মালিকের ভূমির ক্ষতিসাধনের দন্ড - যদি কোন ব্যক্তি সহ মালিক বা পাশাপাশি দখলে থাকা মালিকের জমির মধ্যে ভূমি ব্যবহারের এমন কোনো পরিবর্তন আনেন বা স্থাপনা নির্মাণ করেন যার ফলে নিকটবর্তী ভূমি মালিকের ভূমি ক্ষতিসাধন হয়, তাহা হইলে তাঁহার অনুরোধ কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি অনধিক দুই বছরের তবে অনন্য এক বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা তবে অন্য তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ নেওয়া যেতে পারে



২ ৮। অপরাধ সংগঠনের ছাতা বা প্ররোচনা ইত্যাদি দন্ড- এই অধ্যায়ে বর্ণিত যে কোন অপরাধ সংগঠনের পক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা প্রদান করিলে তাহা হইলে একটি অপরাধ এবং ত জন্য সহায়তা প্রদানকারী অপরাধ সংগঠন কারী ব্যাক্তির নায়ক দন্ডনীয় হইবেন।


২৯।অপরাধের বিচার - 

১।ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধমূলক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করুন সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট এর অধীন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।


২। এই আইনে ভিন্নরূপ কোন কিছুই না থাকিলে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার, যতদূর সম্ভব, ফৌজদারী কার্যবিধি Cha pter XXII অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সম্পন্ন করিতে হইবে।


৩০। প্রশাসনিক জরিমানা - সরকার, সাধারণভাবে শেষ আদেশ দ্বারা, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি কে তার অধিক ক্ষেত্র দিন এলাকায় সংগঠিত. ধারার অপরাধের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন; তবে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ এর ক্ষেত্রে বিরোধীয় ভূমি বাজার মূল্য এক-চতুর্থাংশের অধিক জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।  যেসকল ধরার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানা প্রযোজ্য হয়, আলোচনা সাপেক্ষে


 ব্যাখ্যা;  এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাজারমূল্য অর্থ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন শ্রেণীর জমির দলের নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত মৌজা মূল্য


৩১। ধারা ২৯  এর প্রশাসনিক জরিমানা আদায়ের পদ্ধতি-

১। কোন ব্যক্তি ধারা ৩০  এর অধীন তাহার উপর আরোপিত প্রশাসনিক জরিমানা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে ওহার Public Demands Recovery (Act IX of 1913) এর অধীন সরকারি দাবি গণ্য আদায়যোগ্য হইবেG


২। এই ধারার অধীন আদায়কৃত প্রশাসনিক জরিমানার অর্থ প্রজাতন্ত্রের সরকারি তহবিলে জমা হইবে। 


৩২। অভিযোগ আদায়ের পদ্ধতি - এই আইনের অধীন সংঘটিত যে কোন অপরাধ এর প্রতিকার চাহিয়া ভূমি সংশ্লিষ্ট থানা বা উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে।


৩৩।  উপজেলা নির্বাহি অফিসার সহকারী কমিশনার ভূমি এর ক্ষমতা - 

১। উপজেলা নির্বাহি অফিসার সহকারী কমিশনার ভূমি তাহার অধিক ক্ষেত্রে দিন ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি বাবুসহ সরকারের যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন জমি, নদী-  নালা খাল বিল, জলাভূমি, নদী সাগরের তীরবর্তী ভূমি, জবরদখল, অবৈধভাবে বালি, মাটি, ইত্যাদি উত্তোলন প্রতিরোধ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং তাহার গৃহীত উদ্যোগ সফল বাস্তবায়ন করবে সরকার, সাধারণভাবে শেষ আদেশ দ্বারা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১০  এর অধীন তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করিতে পারিবেন।


২। উপধারা ১  এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের যেকোনো বা সকল পর্যায়ের স্থানীয় পুলিশ সুপার বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় সহায়তা এমন ভাবে প্রদান করিবেন যেন প্রতিরোধ কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।


৩৪।  অর্থদন্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা - ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা-কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কারি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনের অনুমোদিত যেকোনো অর্থদণ্ড আরব করিতে পারিবেন।


৩৫। ফৌজদারী কার্যবিধি প্রয়োগ, ডিজিটাল স্বাক্ষর গ্রহন করা ইত্যাদি-

১। এই আইনে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে, কোন অপরাধ সম্পর্কে মামলা বা অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানগুলি প্রযোজ্য হইবে।


২।  সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ (১৮৭২  স্নানের ১  নং  আইন) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণকৃত ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য হইবে।


৩৬। সাক্ষীর সুরক্ষা- মামলার বিচারকারী আদালত অভিযোগকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার প্রকৃত বা পারিস পারিস তা বিবেচনা ক্রমে, প্রয়োজনে, কোন সাথী কে অভিযুক্ত বা তাহার সহযোগী গান বা অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ, এজলাসে নাম থাকুক বা না থাকুক, কুর্তি ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি বা প্রতি হিংসা হতে সুরক্ষা প্রদান, এবং সাক্ষীকে আর্থিক সহ তাহাকে সুবিধা সহ তাহাকে অন্যান্য সুবিধা প্রদানের আদেশ করিতে পারিবেন


 ৩৭। তদন্ত - এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্তভার প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত সম্পর্কিত কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন এবং তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী 30 কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করবেন।


২।  উপধারা ১  এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত করা সম্ভব না হলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতের তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিবার জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করবেন এবং আদালত আবেদনের উল্লেখিত কারণ বিবেচনা সন্তুষ্ট হলে তদন্তের সময়সীমা অনধিক 15 দিন বর্ধিত করিতে  পারিবেন।


৩। উপধারা ২  উল্লেখিত বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত কার্য সমাপ্ত না হইলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতের তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিবার জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করবেন এবং আদালতের আবেদনের উল্লেখিত কারণ বিবেচনার সন্তুষ্ট হলে তদন্ত এর সময়সীমা অনধিক 15 কার্যদিবস বর্ধিত করিতে পারিবেন।


৪।  উপধারা ২  বা, ক্ষেত্র মত, উপধারা ৩  এর অধীন নির্দেশিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্ত সমাপ্ত করতে ব্যর্থ হইলে, আদালত -


ক।  অন্য কোনো কর্মকর্তা দ্বারা অনধিক 15 দিনের মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবেন; এবং


খ।  এই ধারার অধীন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত করতে ব্যর্থ তদন্তকারী কর্মকর্তার ব্যর্থতার বিষয়টি অদক্ষতা হিসেবে বিবেচিত চিহ্নিত কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে।


 আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় -  এর উপায় বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় - এর জননিরাপত্তা বিভাগের সাথে আলোচনা করে এই ধারা এবং অন্য কতিপয় ধারা পরিমার্জিত করা শ্রেয় হইবে ।


৩৮। অপরাধের আমলযোগ্যতা ইত্যাদি - এই আইনের ধারা ……. এর অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য Cognizable ও জামিনযোগ্য non - baiable এবং অন্যান্য ধারার অধীন অপরাধ আমলযোগ্য non - bailable ও জামিনযোগ্য bailable হইবে।


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় -  এর উপায় বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় -  এর জননিরাপত্তা বিভাগের সাথে আলোচনা করে এই ধারা এবং অন্য কতিপয় ধারা পরিমার্জন করা শ্রেয় হইবে।



৩৯।  জামিন সংক্রান্ত বিধান -এই আইনের অধীন অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত নিম্ন বর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করবেন, যথা;-

ক. তাহাকে জামিনের আবেদনের উপর অভিযোগকারীর পক্ষে কে শুনানির সুযোগ প্রদান; এবং


খ. তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ না থাকে; এবং


গ. অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি তদন্ত, সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিঘ্নিত পরিবার সম্ভাবনা থাকে; এবং


ঘ. অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিনে মুক্তি পায় পলাতক বা ফেরারি হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।


৪০। আপোষ যোগ্যতা - ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দায়েরকৃত যেকোনো মামলা যে কোন পর্যায়ে পক্ষগণের সম্মতিতে আদালতের বাইরে অথবা আদালতে আপস যোগ্য হইবে ।


৪১। আপিল ও রিভিশন -এই আই ও তদন্ত দিন প্রণীত বিধি এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনে বর্ণিত যে কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল, রিভিশন এবং আনুষঙ্গিক সকল বিষয়ে কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে। 


৪২। ভূ -  সম্পদ রক্ষায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব - 

১.  সরকারি, আধা সরকারি, সাহিত্য শাসিত সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান উহার মালিকানাধীন সম্পদের পরিমাণ এবং সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ করবেন।


২. উপধারা ১  উল্লেখিত সম্পদের পরিমাণ অর্থ উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কিন্তু বেদখল ভূমি ও অন্তর্ভুক্তি হইতে হইবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেদখল হওয়া ভূমি কিভাবে, কোন সময়ে অন্যের দখলে গিয়েছে সে সম্পর্কিত বিবরণ এবং গ্রহণে গৃহীত উদ্যোগ সম্পর্কিত তথ্য যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া উহার প্রতিকারের আইনি পন্থা নির্ধারণ করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়ী থাকিবেন।


৩. উপধারা ১ ও ২ এ বর্ণিত ভূমি সম্পর্কিত কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে ওহা দ্রুত নিষ্পত্তি গল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন


৪. ভূ-সম্পত্তি বা অবহেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর অদক্ষতা বলিয়া গণ্য হইবে।


৫. সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।


৪৩। ভূমি অপরাধ সংঘটনে উদ্যত ব্যক্তি ও সরঞ্জাম  ও সরঞ্জাম অপসারণ , আটক ও বিনষ্টকরণ-

১. জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কানেক্টর বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার ভূমি এর নিকট ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি সহ সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন ভূমি, নদী নালা, খাল বিল, জলাভূমি, নদী সাগরের তীরবর্তী ভূমি জবরদখল, অবৈধভাবে বালি, মাটি, ইত্যাদি উত্তোলন, জলাভূমি ভরাট, নদীতে মাছ চাষ, ইত্যাদি সংবাদ থাকিলে বা অন্য কোন ভাবে প্রতীয়মান হইলে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা কালেক্টর বা উপজেলা নির্বাহি অফিসার বা, ক্ষেত্র মত, সহকারী কমিশনার ভূমি অনতিবিলম্বে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিগণকে ঘটনাস্থল হইতে অপসারণ, পূর্বকোণ কর্মকাণ্ডের জন্য ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।  কমিটির সুপারিশ করা হয়েছে


২. উপধারা ১  এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট প্রদান করিবেন।


৩. উপধারা ১  এর অধীন কোন ব্যক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কালেক্টর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ক্ষেত্র সহকারী কমিশনার ভূমি এর নির্দেশ অমান্য করলে মোবাইল কোড বিচার করা যাইবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে আটক করিয়া নিয়মিত মামলা দায়েরের নিম্নোক্ত পুলিশের নিকট সোপর্দ করা যাইবে।


৪ । অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্য উপধারা ১  এর অধীন ঘটনাস্থলে আন্তঃদেশীয় বা আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ তালিকা মূলে পুলিশ হেফাজতে গ্রহণ করিয়া আইন অনুযায়ী সংরক্ষণ করিবেন।


৪৪। কোম্পানী বা ফার্ম কর্তৃক অপরাধ সংঘটন -এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন কালী কারি ব্যক্তি কোন কোম্পানি বা ফারম হইলে,তাহা বাংলাদেশি নিবন্ধিত  incorporated হোক বা না হোক, যে সকল ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় উক্ত কোম্পানি বা ফার্মের মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব এজেন্ট দায়িত্বে ছিলেন তাহার উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে অপরাধটি তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে এবং তাহা বদ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।


৪৫। ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদি - 

১।এই আইনের নির্ধারিত অপরাধের বিচার চলাকালে সংশ্লিষ্ট আদালতের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, সংঘটিত অপরাধের ফলশ্রুতিতে বিচারপ্রার্থী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে তাহা হইলে আদালত মামলার সংশ্লিষ্ট ভূমি মূল্যবান এবং অপরাধের ধরণ বিবেচনায় নিয়ে আদায় ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।


২। আদালত উপধারা ১  এর অধীন ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও প্রদানের সময়সীমা নির্ধারণ করবে এবং ক্ষতিপূরণের সম্পূর্ণ বা একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা, তাহার মৃত্যুতে, তাহার উত্তরাধিকারীকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন;


 তবে শর্ত থাকে যে, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি অংশ প্রজাতন্ত্রের সরকারি তহবিলের জমাদানের নির্দেশ প্রদান করিতে হইবে।


৩।  উপধারা ২  এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করা হয় তাহা হইলে আদালত সংশ্লিষ্ট জেলা কালেক্টর কে Public Demand Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর বিধান অনুসারে ক্ষতিপূরণ আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কে প্রদানের বা, ক্ষেত্র মত, মতো রাষ্ট্রীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।



৪ ৬। আদালতের নির্দেশনার সম্পর্কিত তথ্য লিপিবদ্ধ করণ - 

ক.এই আইনের অধীন সূচিত/ আদায়কৃত মামলায় কোন দলিল জাল, প্রতারণামূলক বা যোগসাজশের সৃষ্ট মর্মে প্রণীত হইলে, সংশ্লিষ্ট আদালত মামলার রায় ও আদেশের কপি দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা, মত সাব-রেজিস্ট্রার বা জেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট গ্রহণ করিবেন।


খ.  উপধারা ১  উল্লেখিত আদালত ও হাদিসের দলিল জাল, প্রতারণামূলক বাজিল সংশ্লিষ্ট ভলিয়ম, মূল দলিল, রেজিস্টার ইত্যাদি যথাযথ স্থানে লিপিবদ্ধ করিবার জন্য দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা ক্ষেত্রমত সাব-রেজিস্ট্রার বা জেলা রেজিস্ট্রার, সহকারী কমিশনার ভূমি ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট থাকলে অন্য যে কোনো কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করিবেন।


গ.  আদালত  এর নির্দেশনা জ্ঞাত  হইবার পর সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কর্মকর্তা দলিল সংশ্লিষ্ট বলিও, মূল দলিল, রেজিস্টার বা সংশ্লিষ্ট এইরূপ কোন স্থানে উক্ত নির্দেশনা লিপিবদ্ধ করবেন যাতে ও সহজেই নজরে আসে।


ঘ. উপধারা ১  এর অধীন আদালতের নির্দেশনা প্রাপ্তির 7 দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপ- ধারা ২  অনুসারে ফলাফল লিপিবদ্ধ বা নোটিশ প্রদান করিবেন এবং গুহার জন্য কোন আবেদন বা নির্দেশনার প্রয়োজন হইবে না


ঙ. মামলায় পক্ষ ভুক্ত যে কোন ব্যক্তির আদালত প্রদত্ত রায় বা আদেশের কপি দলিল সংশ্লিষ্ট যে কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করলে ওরা গ্রহণ করিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপধারা ৩ ও ৪ এর বিধান  অনুযায়ী অবিলম্বে করণীয় সম্পূর্ণ করিবেন।


চ. উপধারা ২,৩,৪,ও ৫ এ বর্ণিত বিধান অনুসারে যে কোনো কর্মকর্তার সময়ের মধ্যেও তাহার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করিলে উহা হইতে উক্ত কর্মকর্তার জন্য গুরুদন্ড শ্রেণীভূক্ত একটি অপরাধ এবং তিনি সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী হইবেন এবং তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।


৪৭। অসুবিধা দূরীকরণ - এই আইনের কোন বিধানে অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, আইনের অন্যান্য বিধানের সহিত রাখিয়া উক্ত অসুবিধা দূরীকরণ অর্থে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।



৪৮। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা -এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

৪৯।  সরল বিশ্বাসে কাজকর্মের রক্ষণ - এই আইনের অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজ- কর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকলে, তার জন্য আইনগত কার্য গ্রহণ করা যাইবে না।


৫০। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ - ১  এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনুমোদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবেন।


ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২২


















ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন সমূহ

তারিখবিষয়Action
২১-০৯-২০১৭স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ডাউলোড
৩১-০৮-২০১৭পরিপত্র-৬৬৮ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভূমি মালিকদের জিম্মি করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে - এহেন অবস্থা থেকে পরিত্রানের নিমিত্ত জরুরী নির্দেশনা, ৩১-০৮-২০১৭ডাউলোড
১২-০৬-২০১৬অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০১৩ জারি হওয়ার পর বাতিলকৃত 'খ' তফসিলভূক্ত সম্পত্তির দাবীদারগণের আবেদন দাখিলের সময়সীমা বর্ধিতকরণ-২৫০ডাউলোড
১১-০৮-২০১৫উন্নয়ন প্রকল্পে জলমহাল প্রাপ্তির আবেদন দাখিল ও ইজারা মূল্য পরিশোধ পদ্ধতিডাউলোড
৩০-০৬-২০১৫ভূমি উন্নয়ন করের পরিবর্তিত হারডাউনলোড
৩০-০৬-২০১৫আবেদন, নোটিশ জারি, রেকর্ড সংশোধন এবং মিঊটেশনের ফি সংশোধন সংক্রান্তডাউনলোড
১৭-১২-২০১৪Chingli Mohal Committeeডাউনলোড
১৫-১২-২০১৪Jalmohal Committeeডাউনলোড
০২-০৯-২০১৪বিদ্যমান আইনানুযায়ী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত রেকর্ড সংশোধনডাউনলোড
২০-১১-২০১৩অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনে বাতিরকৃত খ-তফসিল বিষয়ে নির্দেশনাসমূহডাউলোড
২১-০৬-২০১২অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইনডাউনলোড
৩০-০৬-২০১১ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন, ২০১১ডাউনলোড
১৯-০৪-২০১১বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১১ডাউনলোড
২০-১২-২০১০বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১০ডাউনলোড
০৮-০৪-২০০৯পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন, ২০০৯ডাউনলোড
০৭-০৩-১৯৯৫অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা, ১৯৯৫ডাউনলোড
১৩-০৩-১৯৮২Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982ডাউনলোড













Previous Post
Next Post
Related Posts