বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা Directorate General of Family Planning
বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা Directorate General of Family Planning বিষয়ক কাজ সরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সরকারের বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত থাকেউ বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর হচ্ছে একটি সরকারি সংস্থাউ মেরিষ্টপ নামে একটি আন্তর্জাতিক এনজিও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা প্রদান করে আসছে।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৬.৩ মিলিয়ন এবং ২০০১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ১৩০.৫ মিলিয়ন এ পৌঁছেছিল। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল এর মতে বাংলাদেশের জন্মহার ২.৩ যারা বাংলাদেশকে নিম্ন প্রজনন দেশ তৈরি করবেন। এই দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি, এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০০০ জন মানুষ রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের মোট প্রজনন হার ২.১ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে, যার অর্থ মহিলাদের ২.১ জন বাচ্চা থাকবে এই প্রজনন হার অপরিবর্তিত থাকলে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের দেশ বদল না ঘটলে বাংলাদেশের জনসংখ্যা অধিক হারে বাড়বে না কমবে না সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রাম দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে ।
- বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর হচ্ছে একটি - সরকারি সংস্থা,
- আন্তর্জাতিক এনজিও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা প্রদান করে - মেরিষ্টপ
- ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল - ৬.৩ মিলিয়ন
- জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল এর মতে বাংলাদেশের জন্মহার - ২.৩
- ২০০১ সালে জনসংখ্যা ১৩০.৫ মিলিয়ন
- বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে মানুষ রয়েছে - ১০০০ জন
- স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মোট প্রজনন হার - ২.১
- বাংলাদেশ সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি কে দেশের এক নাম্বর সমস্যা বলে ঘোষণা করেন - ১৯৭৬
- বাংলাদেশ তথা পূর্বপাকিস্তানে পরিবার পরিকল্পনা শুরু করে - ১৯৬৫
- ১৯৭৫ সালে জন্ম হারছিল - ৬.৩
- ২০১১ সালে জন্ম হারছিল - ২.৩
- বাংলাদেশ কনডম উৎপাদন শুরু হয়েছে - ২০১০ সালে
ইতিহাস History
বাংলাদেশের ১৯৫০ সালে মেডিকেল স্বেচ্ছাসেবক এবং সমাজকর্মীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা উদ্যোগ শুরু হয়, হাজার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশ তথা পূর্বপাকিস্তানে পরিবার পরিকল্পনা শুরু করে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি কে দেশের এক নাম্বর সমস্যা বলে ঘোষণা করেন স্বাধীনতার পর থেকে ব্যাপকহারে জনসংখ্যা বাড়ছে উচ্চ জন্মহার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং অধিক মৃত্যুহারের জন্য এখানে জনসংখ্যা ১২ ছিল, ১৯৭৫ সালে জন্ম হারছিল ৬.৩ কিন্তু ২০১১ সালে তা ২.৩ এ চলে যায় জরিপে দেখা যায় অধিকাংশ মহিলারা ২ দুই বা ততোধিক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফ্যামিলি প্লানিং অনুসারে ২০১১ সাল পর্যন্ত জন্মহার ২.৩ স্থির ছিল এমনকি মৃত্যুর হারও কমে যায়। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে অনুসারে ২০১৪ সালে দেখা দেয় ১৫ থেকে ১৮ ৩৩ %মেয়ে গর্ভবতী এবং ৬৬ শতাংশ মহিলা ১৯ বছর বয়সী হওয়ার আগেই প্রথম সন্তান প্রসব করেন, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল সহায়তা প্রদান করে।
বাল্যবিবাহ child marriage
আঠারো বছর বয়স হওয়ার আগেই বাল্যবিবাহ হওয়া ৬০ শতাংশ দম্পতির, ১৯ বছর বয়সেই প্রথম সন্তান হয়, ১০ ভাগ দম্পতির ক্ষেত্রে মাত্র ১৫ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যৌন সম্মতির বয়স ১৪ যদিও বিবাহ-পূর্ব যৌন কার্যক্রমকে সামাজিকভাবে সমর্থন দেয় না।
গর্ভ নিরোধক Contraceptive
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী দেশের ৪০ শতাংশ দম্পতি কোন ধরনের গর্ভনিরোধক ব্যবহার করে না, গর্ভনিরোধক পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ গর্ভ নিরোধক বিক্রয়ের ভর্তুকি দেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তকে প্রজনন স্বাস্থ্য শেখানো হয় না এবং তা পাঠ্যক্রম এর অংশ নয়, পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক পরামর্শ ও সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সরকার নারীদের নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশের অবৈধ গর্ভপাত হার রয়েছে এবং গর্ভনিরোধক সামগ্রিক প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেলে তা দেশের সম্ভাবনা রয়েছে এ্যাসেনিংল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ কনডম উৎপাদন শুরু করছে।