বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স - জাতীয় পতাকাবাহী ক্যারিয়ার
ইতিহাস রাস্ট্রপতির অধ্যাদেশ নং ১২৬ অনুসারে ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গঠিত হয়। এদিন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে একটি ডিসি - ৩ বিমান নিয়ে জাতির বাহন হিসেবে বাংলাদেশ বিমান যাত্রা শুরু করে।
অধীনস্থ কোম্পানি - বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার
সিম্পল কমপ্লেক্স
বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং
বিমান এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টার
কার্যক্রম শুরু - ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২
প্রতিষ্ঠাকাল - ৪ জানুয়ারি ১৯৭২
বিমান বহরে রাকাত - ২১
গন্তব্য -২৫
প্রধান কার্যালয় - বলাকা ভবন, কুর্মিটোলা ঢাকা -১২২৯ বাংলাদেশ
চেয়ারম্যান - সাজ্জাদুল হাসান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ওয়েবসাইট - http://biman.gov.bd/
হাব - শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
নিয়ম অনুযায়ী উড়ান পরিকল্পনা - বিমান লয়ালিটি ক্লাব
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ স্বাগতম, আপনারা যারা আরামদায়ক উপভোগ্য সর্বোপরি নিরাপদ করার জন্য আমরা সদা তৎপর, যাত্রাপথের সম্মানিত অতিথি রসনা তৃপ্তির জন্য ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের সাথে সহযাত্রী হিসেবে পাবেন বাঙালি পতিতা, সম্মানিত অতীতের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে বিমান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এ যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৪৭ বছর, আগে সম্ভবত সদ্য স্বাধীন দেশের স্বাধীন ভেবেছিল একদিন আমাদের হবে এ স্বপ্ন, যাতে করে উড়ে যাওয়া যাবে দুরন্ত, বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খার জন্ম দিয়েছে বিমানের, ডানায় চড়ে তারা ছাড়িয়ে যেতে পারবে সূর্য অস্তের রক্তিম দিগন্ত, আর এই স্বপ্নটা সত্যি হয়ে ছিল ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বিমান, সরকারের দেওয়া বিমানবাহিনীর একটি ডিসিপিন এয়ারক্রাফট এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা, ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেট এবং ৯ মার্চ যশোরে একটি ফ্লাইট এর মাধ্যমে আকাশে উড়ে বিমান, কিভাবে শুরু হয়েছিল বিমানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম, এরপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি ঐতিহ্যকে ধারাটিকে , অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ৩ দিন আগে অর্থাৎ 4 মার্চ তারিখে ১৭৯জন যাত্রীকে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার মাধ্যমে বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সম্পন্ন হয়।
যাত্রীদের বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন তৈরি করেছে দিগন্ত বিস্তৃত, বিশ্বব্যাপী ভ্রমণবিলাসী সম্মানিত যাত্রী গন এ প্রত্যাশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬ টি ব্রান্ড নিউ বই ৭৮৭ লাইনার এবং তিনটি দেশ 8-400 বিমানের বহরে উড়োজাহাজ এর সংখ্যা ২১ টি যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা কে সব সময় আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি যা চলমান কোভিদ নাইনটিন মহামারীতে আরও জোরদার করা হয়েছে, কোভিদ ক্রমযোজিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ICAO C AAB IATA এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও নির্দেশনা নিবিড় ভাবে অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, এ পর্যায়ক্রমে অংশ হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাক্স ব্যবহার ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, এছাড়াও প্রতিবার ল্যান্ডিংয়ের পরে উড়োজাহাজ সম্পন্ন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
কোভিদ নাইনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির বিমানে অপারেশনাল কার্যক্রম কখনই থেমে ছিল না, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দেশে ফেরার জন্য এবং দেশ হতে অন্য গন্তব্যে পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ৪৮৮ এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়, শুধু তাই নয় জাতিসংঘ শান্তি মিশনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুনামের সাথে পরিচালনা করা হয়েছে, উল্লেখ মহামারী সময় বৈশ্বিক পরিস্থিতি বজায় রেখে এবং ঢাকার হংকং রোডের কারদো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা-ম্যানচেস্টার ঢাকা-মদিনা চট্টগ্রাম মদিনা এবং সিলেট লন্ডন রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা চেন্নাই ঢাকা কোকিল ডাকা টরেন্টো এবং ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি সম্মানিত যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এ সকল ফ্লাইট চালু হলে দিল্লি চেন্নাই কলকাতা ব্যাংকক কাঠমুন্ডু থেকে সম্মানিত যাত্রী গন দুই থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে জাপান লন্ডন টরেন্টো নিউইয়র্ক ফ্লাইট সংযোগ লাইক পাবেন যেখানে ঢাকা আঞ্চলিক হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করবে।
এছাড়াও স্মার্টফোনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অ্যাপ ডাউনলোড এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন, ভিসা মাস্টার কার্ড এমএক্স এবং ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড বিকাশ এবং রকেট ব্যবহার করেও টিকিট ক্রয় করা যাবে, এই অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীগণ ফ্লাইট সম্পর্কিত সকল তথ্য, ফ্ল্যাশ লাইট ফ্লাইট ফ্লাইট সিডিউল, সেল সেন্টার সমূহের ঠিকানা অনলাইন টিকেট হেলপ এবং টিকিট বুকিং সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন সম্মানিত যাত্রী গন গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করে সব প্রোফাইল তৈরি পূর্বক রিজার্ভেশন লিস্ট চেকিং এর সুবিধা অর্জন সক্ষম হবেন।
আপনার ভ্রমণ নিরাপদ ও উপভোগ্য হোক সে আশাবাদ ব্যক্ত করছি ভবিষ্যতে সেবার মান বাড়াতে আপনার মন্তব্য পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে যা আমাদের কর্মপরিকল্পনা সহায়ক হবে, বিমানের সঙ্গে থাকার জন্য বিমান বাংলাদেশ এর পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ রেখে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আপনার যাত্রা শুভ হোক ।
