রাজশাহি ক্যাডেট কলেজ Rajshahi Cadet College
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজের তালিকা
সারদা চারঘাট উপজেলা রাজশাহী মুক্তারপুর Sarda Charghat Upazala Rajshahi Muktarpur
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ চতুর্থ ক্যাডেট কলেজ বিসমার্ক এর সবচেয়ে ক্যাডেট কলেজে ধারণা পরিবর্তিত হয় পরবর্তীতে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সে এই ব্যবস্থা চালু করে ক্যাডেট কলেজের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির দ্বাদশ শ্রেণি জাতীয় পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি ক্যাডেটদের শারীরিক-মানসিক বুদ্ধিবৃত্তিক চারিত্রিক ও নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষা সম্পূরক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়
অবস্থান ও যোগাযোগ
রাজশাহী শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে চারঘাট উপজেলার সারদায় পদ্মা নদীর তীরে মুক্তারপুর গ্রামে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ অবস্থিত রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বানেশ্বর ট্রাফিক মোড় হতে বানেশ্বর চারঘাটের সারদা ট্রাফিক মোড় দিয়ে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে যেতে হয় টেলিফোন নম্বর 01723356088 পদ্ম যোগাযোগ রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ সারদা রাজশাহী।
মুক্তিযুদ্ধের রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের শহীদ হয়েছেন - ১৮ জন ।
রাজশাহী শহর থেকে কত কিলোমিটার দূরে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ - ৩০
ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন কে - পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোমেন খান
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ এর পূর্ব নাম - আইয়ুব ক্যাডেট কলেজ
উদ্বোধন করেন - ১৯৬৬ সালে ১১ ই ফেব্রুয়ারি
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক কে ছিলেন - ইয়ং কমান্ডার মোহাম্মদ সাঈদ
কলেজের প্রথম বাঙালি অধ্যাপক - এম বক্তিয়ার উল্লাহ
কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয় - ১৯৭১ সালের ৯ মার্চ ক্যাডেট
প্রথম ক্যাডেটশহীদ হয় - ক্যাডেট এস এ মমিন হিটলু
ক্যাডেট কলেজ এর আয়তন - ১১০ একর
ইতিহাস
উপনিবেশিক পাকিস্তান আমলের পূর্বপাকিস্তানে প্রতিষ্ঠা তথা শেষ ক্যাডেট কলেজ রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর আইয়ুব ক্যাডেট কলেজ নামে এর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোমেন খান হাজার ১৯৬৬ সালে ১১ ই ফেব্রুয়ারি আইয়ুব ক্যাডেট কলেজ উদ্বোধন করেন পদ্মা নদীর তীরে মুক্তারপুর গ্রামে ১১০ একর জমির উপর ৩ টি হাউস হোস্টেল নিয়ে ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ছিলেন ইয়ং কমান্ডার মোহাম্মদ সাঈদ বিএফ কলেজের প্রথম বাঙালি অধ্যাপক এম বক্তিয়ার উল্লাহ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আইয়ুব ক্যাডেট কলেজ নাম পরিবর্তন করে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ রাখা হয় এই ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠন ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট আর্কা নামে পরিচিত।
অবকাঠামো
বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ভবন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র বিডিপিও ভবনে রয়েছে শ্রেণিকক্ষ সমূহ কম্পিউটার ল্যাব পদার্থবিদ্যা রসায়ন বিদ্যা ও জীববিদ্যা ল্যাঙ্গুয়েজ কেন্দ্রীয় লেকচার হল অনুষদসমূহ উপাধ্যক্ষের অফিস এবং ইসলাম একাডেমী নগ্ন আরেকটি স্থাপনা হল বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল অডিটোরিয়ামে আধুনিক মঞ্চ অডিও ভিজুয়াল ইফেক্ট ও আলোক প্রক্ষেপণ এর সুব্যবস্থা রয়েছে দ্বিতীয় অডিটোরিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৬৫০ জন অডিটোরিয়ামের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ পাঠাগার বিশ্ব সাহিত্য মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন বিষয়ে রেফারেন্স বইয়ের কলেজের এ কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্বৃদ্ধ রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের অবসানের জন্য তিনটি হাউস হোটেল রয়েছে মুসলিম বীর খালিদ বিন ওয়ালিদ বিন কাশেম এবং তারিক বিন সাঈদ এর নাম অনুসারে হাউসগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।
প্রশাসন
ক্যাডেট কলেজসমূহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর jio-general শাখা কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোন বিমান বাহিনীর অফিসার অথবা সিনিয়র শিক্ষক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যক্ষ ক্যাডেট কলেজের সার্বিক বিষয়ে প্রধান দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেন মেজর পদমর্যাদায় একজন অফিসার প্রশাসনিক বিষয়ে অধ্যক্ষের সহায়তা করেন একজন সিনিয়র শিক্ষক মাস্টার এর দায়িত্ব পালন করেন তিনি হাউজের প্রশাসনিক বিষয়ে দেখাশুনা করেন।
পথগুলো হচ্ছে
- কলেজ প্রিফেক্ট
- হাউস প্রিফেক্ট পড়তে
- কলেজ গেমস প্রিফেক্ট
- কলেজ কালচার প্রিফেক্ট
- কলেজ ডাইনিং হল প্রিফেক্ট
- অ্যাসিস্ট্যান্ট হাউস প্রিফেক্ট
- হাউস গেমস প্রিফেক্ট
- হাউস কালচার প্রিফেক্ট
জুনিয়র প্রিফেক্ট প্রিফেক্টদের সহায়তার জন্য প্রত্যেক হাউজের একাদশ শ্রেণি হতে মনোনীত
শিক্ষাব্যবস্থা
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয় প্রত্যেক ক্লাসে গড়ে ৫০ জনকে ডেট ২৭ ফ্রম বিভক্ত হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে প্রত্যেক শাখায় তদারক করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ফ্রম মাস্টার রয়েছে গৃষ্ম কাল সকাল ৮ টা থেকে ১ টা শনিবার হতে বুধবার এবং সকাল ৭ টা ৩০ হতে ১১ টা ২০ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার এবং গৃষ্ম কালে ৮.২০ হতে ১.৫০ এবং ৮.২০ হতে একটা ১১.৩০ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ক্লাস নেওয়া হয় ক্লাসের সময় প্রত্যেকদিন মিন্নির শ্রেণিকক্ষে লেখাপড়া করতে হয় ক্রিকেটারই প্লাস গৃষ্ম কালে পেপ প্লাস ৩টা বিকালে ৩:১৫ থেকে ৪ টা ১৫ পর্যন্ত ৬টা ৪৫ হতে৮.১৫ পর্যন্ত রাত্রে ৮টা ৫০ হতে ৯.৫৫ পর্যন্ত শীতকালে ২টি সন্ধ্যা ৬.৩০ হতে ৭.৭৫৫ এবং রাত্রে ৮,৩০ হতে ৯.৫৫ পর্যন্ত দুর্লভ ছাত্রদের জন্য খেলার সময় অতিরিক্ত ক্রিকেটারই ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয় ক্যাডেটদের যোগ্যতা মূল্যায়ন এবং শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা জেএসসি এসএসসি এবং এইচএসসি প্রস্তুতির জন্য স্কোর টেস্ট পাক্ষিক পরীক্ষা প্রগ্রেস টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের মানবিক বিভাগে ইংরেজি বাংলা ইসলামিক স্টাডিজ দ্বিতীয় অর্থনৈতিক ভূগোল এবং চারুকলা ও কারুকলা এবং বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিদ্যা রসায়ন বিদ্যা পরিসংখ্যান ব্যুরো কম্পিউটার সাইন্স বিষয়গুলো রয়েছে সাধারণ শিক্ষার বাইরে ধর্মীয় শিক্ষা কমিটি ইংলিশ সাধারণ জ্ঞান ও চলতি ঘটনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে ক্যাডেটদের ।
শিক্ষাসংক্রান্ত এবং অন্যান্য বিষয়ে মূল্যায়ন নিয়মিত অভিভাবকদের অবহিত করা হয়
স্বাধীনতাযুদ্ধের অবদান
১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের সুশাসন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের যে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিল তা ক্যাডেট কলেজ প্রভাবিত করেছিল কলেজের অধ্যক্ষ তুল্লা নেতৃত্বে গ্রাজুয়েট ক্যাপ্টেন কর্মচারী এবং সকলকে এবং অসহযোগ আন্দোলন সংক্রিয়ভাবে সমর্থন করে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমেই জটিল এবং অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১৯৭১ সালের ৯ মার্চ ক্যাডেট কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ক্যাডেটদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু ৭ জন সাহসী ক্যারেট বাড়ি না গিয়ে রাজশাহী অবস্থান করেন সেই সাতজন হলো কলেজ প্রিফেক্ট দ্বাদশ শ্রেণীর রোল - 37, মাওলা চৌধুরী দ্বাদশ শ্রেণীর রোল - 48, মনির দেওয়ান দ্বাদশ শ্রেণি ক্যাডেট রোল - 74, ক্যাডেট খাইরুল একাদশ শ্রেণির রোল - 78, একাদশ শ্রেণির রোল - 93, একাদশ শ্রেণির রোল - 109 ক্যাডেট একাদশ শ্রেণির রোল - 125 । তারা সেখানে বড় বড় নেতা এবং রাজনৈতিক নেতাদের সংস্পর্শে এসে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত হয়।
২৩ মার্চ ক্যাডেট কলেজের নাম সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তারপুর ক্যাডেট কলেজ রাখা হয় এবং পাকিস্তান পতাকার পরিবর্তিত বাংলাদেশ পতাকা উত্তোলন করা হয় ওই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এক বিশাল মিছিল নিয়ে ক্যাডেট কলেজ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা প্রদক্ষিণ করেন কলেজের অধ্যক্ষ এম বরকতুল্লাহ ক্যাডেট কলেজ পরিবারকে সাথে নিয়ে এই মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এভাবে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ স্থায়ী জনতার সাথে একাত্ম হয়ে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করেন।
অধ্যক্ষের অনুমতি ও সমর্থন নিয়ে কলেজে বাঙালি অ্যাডজুটেন্ট ক্যাপটেনশিপ শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সাথে নিয়ে রাজশাহীর দক্ষিণ অংশে মুক্তিসংগ্রাম চালানোর দায়িত্ব নেতাদের সহযোগিতা করেন বাংলার শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলিটারি সাইন্স শিক্ষক শামসুল আলম ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ বগুড়ায় সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেন কিন্তু পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়ে এবং ২৯ শে মার্চ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তি সংগ্রামে তিনি প্রথম ক্যাডেটশহীদ ক্যাডেট এস এ মমিন হিটলু ,৩০ মার্চ অধ্যক্ষ বরকতুল্লাহ পদ্মা নদী পার হয়ে ভারতে চলে যান পরবর্তীতে তিনি কলকাতার বাংলাদেশি মিশনে ইয়ুথ ক্যাম্প এর পরিচালক ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বিশাল পাক বাহিনীর সাথে আপ্রাণ চেষ্টা করেও পেরে ওঠেনি ওই যুদ্ধে আবু বক্কর সিদ্দিক বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন এজন্য তাকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়।
১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রবেশ করে ওই দিনকা স্যারের কাছে পাকবাহিনী সাথে যুদ্ধ করে তার ভাইসহ শহীদ পুলিশ একাডেমি দখল নেওয়ার পর শুরু হয় গণহত্যা পদ্মা নদীর তীরে প্রতিদিন অসংখ্য বাঙালিকে হত্যা করা হয় এসময় জীবন বাঁচাতে অনেক লোক পদ্মা নদী পার হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় চলে যায় তখন কাজীপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ছিলেন তিনি শেখপাড়া এবং কাজীপাড়া ক্যাম্পে গেরিলা প্রশিক্ষণ দিতেন ক্যাপ্টেন পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে যান এবং ৭ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা তিনি বীর প্রতীক খেতাব পান শিক্ষক শামসুল আলম বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তিনি বীর উত্তম প্রতীক খেতাব মুক্তিযুদ্ধের রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ১৮ জন শহীদ হয়েছেন।
ভর্তি সংক্রান্ত
বাংলাদেশের সকল ক্যাডেট কলেজ সমূহে ভর্তির এপ্লাই করার জন্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হয় । এবং ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষার জন্য জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্ধারণ করে । সাধারণত ভর্তির ফলাফল এর পর যারা উত্তীর্ণ হন/ কৃতকার্য হন তাদেরকে এবং তাদের পরিবারকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাদেরকে মেডিকেল করানো হয় । মেডিকেলে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মূল ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয় ।
বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজ সমূহে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত
আবেদনের যোগ্যতা
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ইচ্ছুকদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, এছাড়া তাদের ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষার উত্তীর্ণ হতে হবে। নির্ধারিত বয়স সীমা সর্বোচ্চ ১৪ বছর, ছেলে ও মেয়ে উভয়ের উচ্চতা থাকতে হবে কমপক্ষে চার ফুট ৮ ইঞ্চি, ইতিমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি এমন শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য, এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন গ্রস , নকনি, ফ্লাট ফুট, বর্ণান্ধ ,অতিরিক্ত ওজন, এবং বিভিন্ন রোগ যেমন- ইজমা, মিরগি, হূদরোগ, বাত, যক্ষা, পুরনো আমাশয়, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস সহ আরো কয়েকটি রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
আবেদনের নিয়ম
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে, এজন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ব্যবহার করতে হবে www.cadetcollege.army.mil.bd এই ওয়েবসাইটটি , আবেদনের সময় প্রার্থীদের আনাধিক ১৮০*১৮০ এবং ২০০ কিলোবাইটের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করতে হবে, ছবি অবশ্যই ১৫ দিনের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
আবেদন ফি জমা পদ্ধতি
প্রার্থীরা পরীক্ষার আবেদন ফি ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানি কিউ ক্যাশ অথবা টেলিটক প্রিপেইড যেকোনো মোবাইল থেকে sms - এর ৩ তিনটি যে কোন একটি মাধ্যম ব্যবহার করে দিতে পারবেন, তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পার্থক্য রয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দান পদ্ধতি
প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সত্যায়িত কাগজপত্র, পঞ্চম শ্রেণীতে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক উত্তীর্ণ প্রত্যায়ন পত্র, জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ষষ্ঠ শ্রেণি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ উল্লেখপূর্বক সনদপত্র, ফলাফল প্রকাশিত না হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এই মর্মে প্রদত্ত সনদ, বাবা-মা বা অভিভাবক মাসিকা এর স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যায়ন পত্র, জাতির অভিভাবক বা বাবা-মা ও ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, অনলাইনে আবেদন পত্রের আপলোড করা প্রার্থীর ছবির অনুরূপ পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গিন ছবি, সফলভাবে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ পর উক্ত কাগজপত্র দিয ১৫*১০ ইঞ্চি খামের উপর ইনডেক্স নম্বরঃ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ পূর্বক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রার্থীর প্রবেশপত্র উল্লেখিত পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাডেট কলেজের ঠিকানা ডাকযোগে বাহকের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
কোটা সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্যাডেট কলেজ গুলোর আউটলেট মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, সে ক্ষেত্রে কোটাধারীদের তাদের সংশ্লিষ্ট কক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র ও ছবির সঙ্গে আনতে হবে, উল্লেখ্য প্রার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে অনলাইনে আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দানের জন্য প্রতিটি ক্যাডেট কলেজ এবং ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামের একটি করে ইবুক আউটলেট স্থাপন করা হয়েছে, এসব উপস্থিত হয়ে অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
পরীক্ষার মাধ্যমে
বাংলা ও ইংরেজি, মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়, তবে প্রার্থীকে যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নিতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি
মোট ৩০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এর মধ্যে প্রাথমিক ধাপ ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা, ও সুট বিলিটি টেস্টের জন্য ১০০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন
বাংলা - ৪০, ইংরেজি -৬৫, গণিত - ৫৫ এবং বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ জ্ঞানে - ৪০ , মোট নম্বর -২০০ ভাইবা - ৫০, ও সুট বিলিটি টেস্টের জন্য রয়েছে ৫০ নম্বর।
এছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা, উল্লেখিত সাপের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে উত্তর নেতাদের তালিকা প্রকাশ করা হয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষায় এবিলিটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষা থেকে বিভিন্ন ধরনের, তাই এ পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল পেতে দরকার দীর্ঘ প্রস্তুতি, অধ্যবসায় ও সঠিক গাইডলাইন, সহায়ক ভূমিকা পালন করে, উল্লেখ্য ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে www.cadetcollege.army.mil.bd ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন, সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের অগ্রধিকার ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা শেষে ক্যাডেটদের সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার পদে নির্বাচনী পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে শুধু ISSB পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করা যায় এবং তা বাধ্যতামূলক ।