ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ Jhenaidah Cadet College



 ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ !! Jhenaidah Cadet College

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজের তালিকা

ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া 

ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ Jhenaidah Cadet College বাংলাদেশের ১২ টি আবাসিক কলেজের মধ্যে অন্যতম। স্থাপনের দিক দিয়ে এটি দ্বিতীয় ক্যাডেট কলেজ ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর তারিখে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।


গীতিকাব্য -  সুশিক্ষিত জনই সুবিবেচক


 প্রতিষ্ঠাকাল - ১৮ অক্টোবর ১৯৬৩


কার্যক্রম শুরু - ১৯৬৪


 বিদ্যালয়ের কোড - 132184


 শ্রেণি - সপ্তম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ


 আয়তন - ১০৩ একর


 রং - সবুজ


অবস্থান


ঝিনাইদহ শহরের অদূরে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে অবস্থান

ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ যশোর বোর্ডের অধীনে ছেলেদের ক্যাডেট কলেজ।

বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ একটি সুপরিচিত নাম। ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর এই কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জনাব আব্দুল মোনায়েম খান। প্রকৃতপক্ষে কলেজটির কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৬৪ সালের জুলাই মাস থেকে।


ঝিনাইদহ শহরের প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে এক প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে প্রায় একশত একর জমির উপর কলেজটি অবস্থিত।

ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আবাসিক হাউসের সংখ্যা তিনটি। এগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ইসলাম প্রচারের প্রথম যুগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের নামানুসারে।

যথা - বদর হাউস, খাইবার হাউস, হুনাইন হাউস।


Jhenaidah Cadet College


ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের Jhenaidah Cadet College একটি সুন্দর মনোগ্রাম রয়েছে। গাঢ় সবুজের পটভূমিতে আঁকা প্রতীকের মাঝখানে বইয়ের উপর খোদিত কলেজের মূলমন্ত্র উদীয়মান সূর্যালোকে বিচ্ছুরিত। বইয়ের নীচে সশস্ত্র তিন বাহিনীর তিনটি রং এবং জ্ঞান ও শক্তির পরিচায়ক কলম ও তরবারি। এসবগুলোকে বেস্টন করে আছে ধানের শীষ ও পাটের পত্রগুচ্ছ এবং নীচের দিকে কলেজের নাম। পাঁচটি গাঢ় রঙের সমন্বয়ে কলেজের নিজস্ব পতাকা আছে।

১৯৬৮ সাল থেকে অত্র কলেজে এসএসসি এবং ১৯৭০ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। কলেজের ক্যাডেটদের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত চমকপ্রদ ও সর্বজন বিদিত। এক্ষেত্রে কলেজটি আপন মহিমায় সমুজ্জল।


ভর্তি সংক্রান্ত

বাংলাদেশের সকল ক্যাডেট কলেজ সমূহে ভর্তির এপ্লাই করার জন্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হয় । এবং ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষার জন্য জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্ধারণ করে । সাধারণত ভর্তির ফলাফল এর  পর যারা উত্তীর্ণ হন/ কৃতকার্য হন তাদেরকে এবং তাদের পরিবারকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাদেরকে মেডিকেল করানো হয় । মেডিকেলে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মূল ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয় ।


বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজ সমূহে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত



আবেদনের যোগ্যতা

 ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ইচ্ছুকদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, এছাড়া তাদের ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষার উত্তীর্ণ হতে হবে। নির্ধারিত বয়স সীমা সর্বোচ্চ ১৪ বছর, ছেলে ও মেয়ে উভয়ের উচ্চতা থাকতে হবে কমপক্ষে চার ফুট ৮ ইঞ্চি, ইতিমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি এমন শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য, এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন  গ্রস , নকনি, ফ্লাট ফুট, বর্ণান্ধ ,অতিরিক্ত ওজন, এবং বিভিন্ন রোগ যেমন- ইজমা, মিরগি, হূদরোগ, বাত, যক্ষা, পুরনো আমাশয়, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস সহ আরো কয়েকটি রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।


 আবেদনের নিয়ম

 ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে, এজন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ব্যবহার করতে হবে www.cadetcollege.army.mil.bd এই ওয়েবসাইটটি , আবেদনের সময় প্রার্থীদের আনাধিক  ১৮০*১৮০ এবং ২০০ কিলোবাইটের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করতে হবে, ছবি অবশ্যই ১৫ দিনের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।


 আবেদন ফি জমা পদ্ধতি

 প্রার্থীরা পরীক্ষার আবেদন ফি  ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানি কিউ ক্যাশ অথবা টেলিটক প্রিপেইড যেকোনো মোবাইল থেকে sms - এর ৩ তিনটি যে কোন একটি মাধ্যম ব্যবহার করে দিতে পারবেন, তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পার্থক্য রয়েছে।


 প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দান পদ্ধতি

প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সত্যায়িত কাগজপত্র, পঞ্চম শ্রেণীতে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক উত্তীর্ণ প্রত্যায়ন পত্র, জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ষষ্ঠ শ্রেণি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ উল্লেখপূর্বক সনদপত্র, ফলাফল প্রকাশিত না হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এই মর্মে প্রদত্ত সনদ, বাবা-মা বা অভিভাবক মাসিকা এর স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যায়ন পত্র, জাতির অভিভাবক বা বাবা-মা ও ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, অনলাইনে আবেদন পত্রের আপলোড করা প্রার্থীর ছবির অনুরূপ পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গিন ছবি, সফলভাবে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ পর উক্ত কাগজপত্র দিয ১৫*১০ ইঞ্চি খামের উপর ইনডেক্স নম্বরঃ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ পূর্বক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রার্থীর প্রবেশপত্র উল্লেখিত পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাডেট কলেজের ঠিকানা ডাকযোগে বাহকের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।


 কোটা সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্যাডেট কলেজ গুলোর আউটলেট মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, সে ক্ষেত্রে কোটাধারীদের তাদের সংশ্লিষ্ট কক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র ও ছবির সঙ্গে আনতে হবে, উল্লেখ্য প্রার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে অনলাইনে আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দানের জন্য প্রতিটি ক্যাডেট কলেজ এবং ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামের একটি করে ইবুক আউটলেট স্থাপন করা হয়েছে, এসব উপস্থিত হয়ে অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।


 পরীক্ষার মাধ্যমে

 বাংলা ও ইংরেজি, মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়, তবে প্রার্থীকে যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নিতে হবে।


 পরীক্ষা পদ্ধতি

 মোট ৩০০  নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এর মধ্যে প্রাথমিক ধাপ ২০০  নম্বরের লিখিত পরীক্ষা, ও সুট বিলিটি টেস্টের জন্য ১০০ নম্বর।


 লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন

 বাংলা - ৪০,  ইংরেজি -৬৫, গণিত - ৫৫ এবং বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ জ্ঞানে - ৪০ , মোট নম্বর -২০০  ভাইবা - ৫০, ও  সুট বিলিটি টেস্টের জন্য রয়েছে ৫০  নম্বর।


 এছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা, উল্লেখিত সাপের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে উত্তর নেতাদের তালিকা প্রকাশ করা হয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষায় এবিলিটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।


 পরীক্ষার প্রস্তুতি

 ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষা থেকে বিভিন্ন ধরনের, তাই এ পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল পেতে দরকার দীর্ঘ প্রস্তুতি, অধ্যবসায় ও সঠিক গাইডলাইন, সহায়ক ভূমিকা পালন করে, উল্লেখ্য ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে www.cadetcollege.army.mil.bd ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন,  সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের অগ্রধিকার ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা শেষে ক্যাডেটদের সশস্ত্র বাহিনীর  অফিসার পদে নির্বাচনী পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে শুধু ISSB পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করা যায় এবং তা বাধ্যতামূলক ।

Previous Post
Next Post
Related Posts