মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কর্মচারীদের জীবনমান রক্ষার্থে কর্মচারী বান্ধব বৈষম্যহীন একটি জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে কর্মচারীদের জীবন রক্ষার আকুতি জানাচ্ছি



 দেশের চালিকাশক্তি নামক এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রাণের দাবি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্মচারীদের জীবনমান রক্ষার্থে কর্মচারী বান্ধব বৈষম্যহীন একটি জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে কর্মচারীদের জীবন রক্ষার আকুতি জানাচ্ছি।


দ্রব্যমূল্য বাড়লে ও বাড়ে না বেতন


দ্রব্যমূল্যর উদ্যোগ গতিতে সংসার খরচের হিসাব মিলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নৃত্য পূর্ণ দাম বাড়ায় এখন আর বেতনের টাকায় সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না অনেকে। মাছ মাংস খাওয়া বাদ দিয়েও বাজার করে বেতনের প্রায় সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের বাজারদরের তুলনায় বর্তমানে তার তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বারেনি বেতন খরচ ঠিকই বেড়েছে। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে মানবতার জীবনযাপন করছে। প্রতিনিয়তই চিন্তা করছে আমরা প্রজাতন্ত্রের প্রজা হয়েও বর্তমানে যে দুর্দশার মধ্য কাটাচ্ছি ।১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বেতন খুবই কম, নৃত্য পূর্ণ দাম বেশি কারণে বেতন কম হিসাবে বলা চলে।


আর কর্মকর্তাদের সাথে বেতন বৈষম্যটা একেবারেই বেশি, একথা মানতেই হবে। একই অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী একই শহরে থাকা। একই বাজারের খাদ্য, পো, ওষুধ ইত্যাদি করাই করা। কিন্তু আয়ের পার্থক্যটা সীমাহীন। দুঃখের সাথে মাথা নত করে আজ বলতে হচ্ছে। কর্মচারীদের বাবা-মা অসুস্থ হলে, ছেলে মেয়ে বিয়ে দিতে গেলে, কিংবা বাবার দেওয়া নিতে হয়। আর সেই লোন পরিশোধ করতে, বছরের পর বছর এর সুদ টানতে হয়।


 ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ তাদের পোশাক বই খাতা কলম বাবা মার নিয়মিত ওষুধ আত্মীয়-স্বজনের আপ্যায়ন নিয়মিত অফিসে আশাবাদ পকেট খরচ বাদ দিলে সংসার চালানোর জন্য একটি কানা করিও হাতে থাকে না। এই অবস্থায় একদিকে সংসার, অন্যদিকে অফিস সামাল দিতে না পেরে কর্মচারীরা স্টক নামক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।


 দেশের চালিকাশক্তি নামক এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রাণের দাবি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্মচারীদের জীবনমান রক্ষার্থে কর্মচারী বান্ধব বৈষম্যহীন একটি জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে কর্মচারীদের জীবন রক্ষার আকুতি জানাচ্ছি।


একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মিনিমাম মাসিক খরচের তালিকা

 বাসা ভাড়া ( দুই রুম) = ১৫,০০/-

 চাউল (১ বস্তা) =৩,৫০০/-

 তেল (৫ লিটার) =১০০০/-

 মাছ-মাংস =৫,০০০/-

 সবজি তরকারি =৩,৫০০/-

 মুদি বাজার =৫,০০০/-

 গ্যাস সিলিন্ডার =১,৮০০/-

 বিদ্যুৎ বিল =২,০০০/-

 প্রসাধনী =৫০০/-

 মোবাইল খরচ =১,০০০/-

 যাতায়াত খরচ =১৫০০/-

 চিকিৎসা =১৫০০/-

 সর্বমোট = ৪১,৩০০/-





Previous Post
Next Post
Related Posts