চট্রগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা একসাথে দেখুন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছিল । এর প্রধান কারণ জেলার ভৌগলিক অবস্থান । এখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সাথে রয়েছে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা, সীমান্ত এলাকা এবং সীমান্তের ওপার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলা বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে । মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাসই জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত হয়েছে সম্মুখ যুদ্ধ । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫ সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং নিয়ে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে মুক্তিযুদ্ধে । এছাড়া বিচ্ছিন্ন কিছু দালাল-রাজাকার ব্যতীত তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহকুমার প্রায় ১০ লাখ মানুষই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন । মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ অঞ্চল ২ নং সেক্টরে এবং কিয়দাংশ ৩ নং সেক্টরের অন্তর্ভূক্ত ছিল ।
২নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ (পরে মেজর জেনারেল, বীর উত্তম, ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যূত্থানে নিহত হন)। তিনি তাঁর সেক্টরকে ৬টি সাব-সেক্টরে ভাগ করেছিলেন । ১৯৭১ সালের ২২ মে মুজাহিদ ক্যাপ্টেন আঃ হকের নেতৃত্বে একটি গেরিলা দল কসবা উপজেলার সালদা নদী এলাকায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর প্রতিরক্ষা ঘাটির উপর অকস্মাৎ আক্রমণ চালায় । এতে পাকবাহিনীর ১৫ জন নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪ জন শহীদ হন । ২৭ মে সকাল ৭ টায় মুক্তিবাহিনীর এক এ্যামবুশে পড়ে সালদা নদীর পাড়ে পাকবাহিনীর ৯ জন নিহত হয় । ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে পাকবাহিনীর এক কোম্পানী সৈনিক রেলযোগে আখাউড়া থেকে মুকুন্দপুর হয়ে হরষপুরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন । এ সংবাদ জানতে পেরে কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হেলাল মুর্শেদ ও কয়েকজন সঙ্গীসহ মুকুন্দপুর ও হরষপুরের মাঝামাঝি রেল লাইনে ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন বসিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন । রাত প্রায় ৪ টার দিকে পাকবাহিনী বোঝাই রেলগাড়িটি মাইনের আওতায় এসে যায় । সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে ইঞ্জিনসহ রেলগাড়ির কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খাদে পড়ে যায় এবং এ ঘটনায় পাকবাহিনীর ২৭ জন সৈন্য নিহত হয় । ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আখাউড়ার দরুইন যুদ্ধে শহীদ হন । বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি আখাউড়া উপজেলার মোগড়া নামক স্থানে অবস্থিত ।
মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ২০২৩ অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার থানা ডাকঘর গ্রাম সমূহের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার থানা ডাকঘর গ্রাম সমূহের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা দেশ মাতৃকার জন্য মরণপণ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এসেছিল ।মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর ২০১৮ সালের পরিপত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৩০ শে নভেম্বর যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্ত বয়স নুন্যতম ১২ বছর ৬ মাস ছিল । তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
সড়াইল এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
নাছিরনগর এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
বিজয়নগর এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
কসবা এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
বাঞ্ছারামপুর এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
নবীনগর এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
আশুগঞ্জ এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
আখাউড়া এ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ