ভূমি মালিকদের জন্য থ্রিডি আকারে ডিজিটাল ম্যাপ প্রকাশ ২০২৩ বিআরএস

 


ভূমি সেবা সপ্তাহ

ভূমি মালিকদের জন্য থ্রিডি আকারে ডিজিটাল ম্যাপ প্রকাশ

২০২৬ সাল নাগাদ ভূমিসেবার কল্পচিত্র: কোন খতিয়ানের দাগ শেয়ার হবে না, ভূমি নিয়ে কোন মামলা - মোকাদ্দমা তেমন থাকবেনা, সীমানা বিরোধ হবে প্রায় শূণ্য, নাগরিকদের খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হবে না, এনআইডি দিয়েই পাওয়া যাবে একজন নাগরিকের জমির সকল তথ্য আর জমি ক্রয়ের সাথে সাথেই পাওয়া যাবে “ভূমি মালিকানা সনদ” বা সিএলও (Certificate of Land Ownership)। যে সব জায়গায় একবার ডিজিটার জরিপ সম্পন্ন হবে, সেখানে ভবিষ্যতে আর জরিপ করার প্রয়োজন পড়বে না। 

এক ফোনে সকল ভূমি সেবা পেতে কল করুনঃ ১৬১২২ নম্বরে।

জরিপ চলাকালীন আপনার করণীয়

রিপ পরিচালনার সময় জমির মালিক হিসেবে আপনাকে অবশ্যই মালিকানার স্বপক্ষে বৈধ কাগজপত্রসহ জরিপ কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী, জমির প্রকৃত অবস্থার উপর ভিত্তি করে ম্যাপ তৈরি হয় এবং মালিকানার কাগজপত্র দেখে রেকর্ড তৈরি হয়। কাজেই রেকর্ডের সময় সঠিক কাগজপত্র প্রদর্শন করতে না পারলে অনেক সময় ভূল রেকর্ড হয়ে যেতে পারে। তবে রেকর্ড ভূল হলে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। এক্ষেত্রে সংশোধনের প্রক্রিয়া ও খুব সুনির্দিষ্ট। রেকর্ডের সময় আপনাকে জরিপ বিভাগের কর্মকর্তা তাতে লিখিত একটি খসড়া খতিয়ান বা মাঠ খসড়া খতিয়ানটি সংগ্রহ করবেন এবং এতে আপনার জমির বিবরণ সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে দেখবেন। ভূল থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে ভূল সংশোধন করিয়ে নিবেন।

ভূমির মালিকানা এবং মালিকানার উপর ভিত্তি করে ম্যাপ তৈরির উদ্দেশ্য সরকার নির্দিষ্ট সময় পরপর জরিপ কাজ পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন নামে পরিচালিত এ সকল জরিপের রেকর্ড ছাপা আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এই উপমহাদেশে ১৮৮৯ সালের দিকে প্রথম ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভের (সিএস) সূচনা হয়। সিএস এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৮ শতাংশ সঠিক বলে বিবেচিত। এরপর রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ভিত্তিতে স্টেট অ্যাকুইজিশন (এএস) জরিপ সম্পাদিত হয়। এসএ জরিপের সবচেয়ে ত্রুটিপূর্ণ দিক হচ্ছে এই জরিপে খতিয়ান বা মালিকানার স্বত্বলিপি হাতে লেখা হয়েছে। এ জরিপে তৈরি করা হয়নি কোন ম্যাপ, এর খতিয়ানের নেই কোন মাস্টার কপি। ফলে দেশের অধিকাংশ মামলা-মোকাদ্দমা সৃষ্টি হয়েছে এই জরিপকে কেন্দ্র করেই। এসএ জরিপের পর সম্পন্ন হয়েছে রিভিশন সার্ভে (আরএস) জরিপ। কোন কোন ক্ষেত্রে এটিকে বলা হয় বিআরএস জরিপ। ঢাকা মহানগরীর জন্য সম্পাদিত বিআরএস জরিপ সিটি জরিপ নামে পরিচিত। জরিপের পর জমির মালিকানার উপর ভিত্তি করে যে কাগজে মালিকানার বিবরণ লেখা থাকে তাকে বলা হয় খতিয়ান। জরিপের নামানুসারে খতিয়ানের ও নামকরণ হয়েছে যেমন: সিএস খতিয়ান, এসও খতিয়ান, আরএস খতিয়ান ইত্যাদি।   

অনেকেই জিজ্ঞেস করেন জরিপ কত প্রকার ও কি কি?

জরিপ অনেক প্রকার ! যখন যে জরিপ আসে তখন সেই জরিপের নাম দেওয়া হয় কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য পাওয়া মতে ১৭৭৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জরিপ গুলোর নাম আপনাদেরকে জানিয়ে দিবঃ


১।  রনাল জরিপ শুরু ১৭৭৪

২। ত্রিগনোমেট্রিক্যাল জরিপ শুরু ১৮০২

৩।থাকবাস্ত জরিপ শুরু ১৮৪৬

৪। রাজস্ব জরিপ শুরু ১৮৪৭

৫। খসড়া জরিপ

৬। ক্যাডাষ্ট্রাল জরিপ ১৮৭৫

৭।দিয়ারা জরিপ ১৯৬৩

৮। মহানগর জরিপ 

৯। জোনাল জরিপ ১৯৮৪




ডিজিটাল জরিপ বাংলাদেশ অনলাইনে সর্বসাধারণের জন্য কিছু শর্তসাপেক্ষে থ্রিডি ম্যাপ থাকবে ভূমি মালিকদের জন্য। ভূমি মালিকদের জন্য থ্রিডি আকারে ডিজিটাল ম্যাপ প্রকাশ করবে সরকার।BDS


সিএস CS জরিপ

১৮৮৮ সাল থেকে সিএস CS জরিপ শুরু হয় যে জরিপটি বাংলাদেশের শুরু হয়েছিল কক্সবাজার জেলার রামুতে এবং সিএফ জরিপ শেষ হয় ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলার এসে সিএফ জরিপের কাজ সম্পন্ন হয়


সিএস জরিপকে কি বলা হয়

উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৮ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় অনুসারে ১৯৪০ সালের মধ্য পরিচালিত হয়। এই জরিপ সিলেট ও পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারাদেশে পরিচালিত হয়। সিএস হল এর সংক্ষিপ্ত রূপ


এস এ জরিপ শুরু হয় কত সালে এবং শেষ হয় কত সালে

শুরু হয়ে ১৯৫৬ শেষ হয়  ১৯৬৩ সালে।এস এ জরিপে ভূমি মালিকের নাম ও জমির বিবরণাদি সম্মলিত হাতের লেখা রেকর্ড খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এস এ জরিপের খতিয়ান ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত হয়নি এবং উহা কোন মাঠ পর্যায়ের সরজমিন ছিল না। জেলা প্রশাসনের কর্মচারীগণ জমিদারদের কাচারিতে বসে পত্তন রেজিস্টার দেখে এস এ খতিয়ান প্রণয়ন করেন। এজন্য ১৯৬৬ পুনরায় সারাদেশে ভূমি জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক সংশোধনীয় শুরু হয় ।এস এ জরিপের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল জমিদারি স্টেটগুলোকে অধিগ্রহণ করা এবং দখলদার ভূমি মালিকদের সরাসরি সরকারের অধীনে নিয়ে আসা। জমিদারদের কাঁচা দিতে বসে পতন রেজিস্টার দেখে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীগণ প্রজন নামে খতিয়ান খোলেন। কাজেই এর বিশুদ্ধতা ছিল  প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এসে জরিপের পরপরই আরেকটি সংশোধনীর জরিপ শুরু হয় যা ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৬ 


আর এস জরিপ কাকে বলে?

আর এস জরিপের পূর্ণরূপ কি?

বাংলাদেশে আর এস খতিয়ান আরএস জরিপ ১৯৫০ সাল থেকে শুরু হয়ে ১৯৬৩ সালে শেষ হয় ।


সিএস জরিপ এস জরিপ আর এস জরিপ বিএস জরিপ বর্তমানে যে জরিপটি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ডিজিটাল থ্রিডি ম্যাপের এটি বিশেষ ভাবে রাখা হবে। দুটি স্যাটেলাইট কোম্পানির সাথে বাংলাদেশ সরকার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তুলা হাই রেজুলেশন ছবি দিয়ে থার্ড ডাইমেনশন থ্রিডি আকারে ডিজিটাল ম্যাপ প্রকাশ করছে সরকার।


CS সিএস, এস এ, আর এস এস,বিএস, বিআরএস

এই ম্যাপগুলো এখন টপ ভিউ এর উপর থেকে বাস্তবে দেখতে পারবেন নতুন এই bds জরিপে

এই জরিপকে ডেশ লাইন ধরে সরকার সারাদেশে ডিজিটাল জরিপ কাজ শুরু করেছে পটুয়াখালী জেলা সদরের ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের একটি মৌজায় ৪৯১ একর জমির ডিজিটাল সম্পূর্ণ করেছে সফলভাবে।


ভূমি মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে গোটা দেশকে ডিজিটাল ভূমি সেবার আওতায় আনতে প্রত্যেক জমির মালিকগণকে একটি স্মার্ট কার্ড প্রদান করবে এই স্মার্ট কার্ডের অভ্যন্তরে থাকা মাইক্রোচিপসেটে আপনার জমির পরিমাণ শ্রেণী খতিয়ান নম্বর দাগ নাম্বার ইত্যাদি তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।





Previous Post
Next Post
Related Posts