ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়ন বিল Land Crime Prevention and Remediation Act
ভূমির মালিকানার দখলে থাকলেই ভূমির মালিকানা নয়
দখলে থাকলেই ভূমির মালিকানা নয় ২০২৩ আইন সংশোধন ১৯৮৫
একজনের নামে থাকা জমি ১২ বছর ধরে অন্যজনের ভোগ দখলে থাকলেও সেই জমি তার হয়ে যাবে এমন আইনে পরিবর্তন ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান সরকার দখলদার যাতে জমির মালিক না হয়ে যায় সেজন্য ভূমি ব্যবহারিত আইন গ্রহণ করা ২০২৩ ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান। ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত আইনে ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান Land Crime Prevention and Remediation Act তৈরি করা হয়েছে । ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আইনটি পাস সংসদে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্র ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন। জমি অবৈধ দখল দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন সংশোধন। এজন্য একজনের জমি আরেকজন জোরজবরদস্তি করে দখল করে রাখবেন তা হতে দেওয়া যাবে না একারনে ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান। জমি দখল দুর্নীতি ও জমি সংক্রান্ত মামলা কমাতে আইন কার্যকর ভূমিকা রাখবে জমি দখলের সঙ্গে জড়িতরা যত ক্ষমতা বাণ হোক না কেন এই ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান এ তারা ছাড় পাবে না বলেও মন্তব্য করেন ভূমিমন্ত্রী।
আদালতে এখন যত মামলা আছে তার ৭০ শতাংশ জমি সংক্রান্ত যার বেশিরভাগই জমির দখল বিষয়ে মামলা আর এসব মামলা চলতে থাকে বছরের পর বছর নিষ্পত্তি হওয়ার উল্লেখযোগ্য নয় দেশের জমির ভোগ দখল সংক্রান্ত যে আইনটি রয়েছে তা ব্রিটিশ আইন ১৯৮৫ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশে অনেক আইনের পরিবর্তন হলেও এ আইন আগের মতোই রয়ে গেছে এতে কারো জমি অন্যজন ১২ বছর ভোগ দখল করলে সে জমি মালিকানা পাওয়ার সুযোগ ছিল এখন ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান।
ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান আইনটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন যেমন ধরেন রহিম সাহেবের ঢাকা চাকরি করেন তার জামালপুরের একটি বাড়ি আছে সেই বাড়িতে তার পরিচিত কামালকে থাকার জন্য সুযোগ দিলেন প্রায় ১৫ বছর ধরে কামাল ওই বাড়িতে বসবাস করছে এলাকার লোকজন জানে এটা কামালের বাড়ি এখন রহিম সাহেব চাকরি থেকে অবসর নিয়ে গ্রামে এসে তার বাড়িতে থাকতে চান তিনি আইনগত কামালকে গায়ের জোরে বাড়ী হতে বের করে দিতে পারেন না। সে যেতে না চাইলে রহিম সাহেব কে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে খাওয়ালেন কে বেদখল করতে হবে যদি জোর করে বের করে দেন তবে কামাল দেওয়ানী আদালতে মামলা করে তার দখল এখানে আদালত সত্যের বিষয় বিবেচনা করে না। শুধু দখলের বিষয় বিবেচনা করেন জমির মালিক না হয়েও মালিকের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মামলা করা যায়। মানুষ যাতে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা না বাধায় সেজন্য দেশে ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান এ আইন করা। যিনি আছেন তিনি যেন শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারেন যিনি দখলে আছে তাকেই প্রথমে আইনগত দখলের অধিকারী বলে মনে করা হয় সত্যের অধিকারী হলেন দেওয়ানি আদালতে উচ্ছেদের মামলা করতে কোন অসুবিধা হয় না বেদখল হওয়ার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে মামলা করতে হয়। এ ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান ভূমি আইন ২০২৩। ভূমির মালিকানা প্রাপ্তির সঠিক তথ্য দেখুন।
ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান