সরকারি খাস জমি লিজ নেওয়ার উপায় Dotcombd
সরকারি খাস জমি লিজ নেওয়ার উপায় Dotcombd সরকারী খাস জমি লিজ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহোদয়ের। একমাত্র জেলা প্রশাসক পারেন সরকারী খাস জমি সাধারণ মানুষের নিকট লিজ দিতে। সরকারি খাস লিজ নেওয়ার জন্য আপনার জেলার ডিসি/ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হবে। সরকারি জমি লিজ নেওয়ার জন্য অবশ্যই জমিটি খাস ও বিরোধ মুক্ত হতে হবে। সরকারি খাস জমি লিজ নিতে হলে land.gov.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। খাস জমি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য যে সকল পদ্ধতি আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। সরকারি অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ০৫ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হবে।
নীতিমালা
১৯৮৭ সালের খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত প্রথম প্রদান করা হয়েছে ও ১৯৯৭ সালে উক্ত ব্যবস্থাপনা নীতিমালার কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে।
খাস জমির মালিক কে ?
খাস জমির মালিক সরকার
সরকারি খাস জমির তথ্য
- সরকারি খাস জমি লিজ নেওয়ার উপায়
- সরকারি খাস জমি কত প্রকার
- সরকারি খাস জমির নিতিমালা
- সরকারি খাস জমি চেনার উপায়
কারা খাস জমি লিজ/বরাদ্দ নিতে পারবে ?
খাস জমি বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী ভূমিহীন পরিবার বলে গণ্য সেসব পরিবার তারা খাস জমি নীতিমালা বরাদ্দ অনুযায়ী জমি বরাদ্দ পাবে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ পর্যন্ত বসতবাড়ি আছে কিন্তু কৃষিযোগ্য জমি নেই, এইরূপ কৃষি নির্ভর পরিবারও ভূমিহীন হিসেবে গণ্য হবে।
সরকারি খাস জমি কত বছরের জন্য লিজ নিতে পারবেন।
কত শতক জমি লিজ নিয়ে ভোগদখল করতে পারবেন।
সরকারি খাস জমি সাধারণত ৯৯ বছরের জন্য লিজ/ ভোগদখল করতে পারবেন। আপনি সর্বোচ্চ ১০০ শতক বা ১ একর জমি লিজ নিয়ে ভোগদখল করতে পারবেন।
জমি লিজ বা বন্দোবস্ত কী?
লিজ বা বন্দোবস্ত হচ্ছেঃ সরকারের যে খাস জমি রয়েছে সেই সম্পত্তি সরকারের কাছ থেকে ভোগদখল করার অনুমতি অর্থাৎ সরকারি খাস জমি ব্যাক্তিগতভাবে ভোগদখল করার অধিকার পাওয়াই হচ্ছে লিজ বা বন্দোবস্ত।
খাস জমি খুজে পাওয়ার উপায়ঃ
প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৮ নম্বর রেজিষ্ট্রার নামে একটি রেজিষ্ট্রার থাকে ঐ ৮ নম্বর রেজিষ্ট্রারে আপনার এলাকায় সকল খাস জমির তালিকা অন্তর্ভূক্ত থাকে ৮ নং রেজিষ্ট্রারে ৪ টি পাটে খাস জমিগুলো অন্তর্ভূক্ত থাকে।
৮ নম্বর রেজিষ্ট্রার এ ১ম পার্টে/অংশে নদীনালা, রাস্তাঘাটের সম্পত্তিগুলো অন্তর্ভূক্ত থাকে।
৮ নম্বর রেজিষ্ট্রার এ ২য় অংশে সরকারী কৃষি ও অকৃষি খাস জমি থাকে।
৮ নম্বর রেজিষ্ট্রার এ ৩য় অংশে সরকারী নানা ধরণের সরকারী প্রয়োজনে জনগণের নিকট থেকে জমি অধিগ্রহণ বা ক্রয় করেছেন।
৮ নম্বর রেজিষ্ট্রার এ ৪ নং অংশে যে সম্পত্তিগুলো নদীভাঙ্গনের ফলে খাস হয়ে গিয়েছে সে সকল জমিগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
সবার আগে কারা খাস জমি পাওয়ার অধিকারীঃ
১। দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
২। নদী ভাঙ্গা পরিবার
৩। বিধবা বা স্বামী পরিত্যাক্ত পরিবার
৪। কৃষি জমিহীন বাস্তুভিটাহীন পরিবার
৫। অধিগ্রহণের ফলে ভূমিহীন পরিবার
৬। যে পরিবারে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বসতভিটা আছে, কৃষি জমি নেই
অকৃষি খাস জমি দীর্ঘমেয়াদী লিজ নিতে হলে যে সকল কাগজ জমা দিতে হবেঃ
১। ০৫ টাকার কোর্ট ফি।
২। জমির পরিমান নির্ধারণ করে স্কেসম্যাপ।
৩। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরম এ আবেদনপত্র।
৪। চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত ২ কপি ছবি।
৫। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদপত্র।
৬। অঙ্গীকারনামা (এফিডেবিট করে) দাখিল করতে হবে।
৭। জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডসহ ।
খাস জমি বরাদ্দ নীতিমালা ২০১৪
সরকারী খাস জমি লিজ নেওয়ার ফরম PDF
জেলা প্রশাসক বরাবর অঙ্গীকারনামা করিতে হইবে।
এফিডেবিট করার নিয়মঃ
এফিডেবিট লেখার নিয়ম দেখুন
আমি শপথ করিয়া বলিতেছি যে, আমার সম্পর্কে উপযুক্ত বিবরণ আমি পড়িয়াছি/আমাকে পড়িয়া শুনানো হয়েছে। প্রদত্ত বিবরণ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে সত্য। উক্ত বিবরণের অংশ ভবিষ্যতে যে কোন সময়ে মিথ্যা প্রমাণিত হলে আমাকে বন্দোবস্তকৃত জমি বিনা ওজরে সরকারের বরাবরে বাজেয়াপ্ত হইবে এবং আমি বা আমার ওয়ারিশগণ উহার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনত দাবি করিতে পারিব না। করিলেও কোন আদালতে কোন গ্রহণযোগ্য হইবে না। আমি শপথপূর্বক আরো বলিতেছি যে, আমার এবং আমার স্ত্রীর নামে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হইলে উহা আমরা নিজে চাষাবাদ করিব। অন্যকে দিয়ে চাষাবাদ করিব না এবং অন্যকে হস্তান্তর করিব না। আমি দরখাস্ত জেনে, শুনে এবং বুঝে স্বাক্ষর করিলাম।
আবেদনকারী --------
স্বাক্ষর/টিপসহি-------