প্যানেল নিয়োগ কি?

 


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

১৭ই এপ্রিল ২০২৩

 ০৫.০০.০০০০.১৭০.১১.০১৬.২২.-৯৬ 

প্যানেল নিয়োগের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

  • প্যানেল অর্থ কি? 
  • প্যানেল নিয়োগ কি? 
  • কিভাবে অপেক্ষমান তালিকা বা প্যানেল সংরক্ষণ করা হয়? 
  • অপেক্ষমান তালিকা সংরক্ষণের মেয়াদ কতদিন?
  • অপেক্ষমান/ প্যানেল নিয়োগ কেন?

অপেক্ষমান থেকে প্যানেল নিয়োগ 

সরকারী চাকরির ১৩ তম থেকে ২০ তম গ্রেড ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদের চাকরি। এখন থেকে অপেক্ষমান তালিকা সংরক্ষণ করা হবে। ০৫.০০.০০০০.১৭০.১১.০১৬.২২.-৯৬ নং পত্রে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর, সায়িত্ব শাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনে চাকরিতে ১৩ তম থেকে ২০ তম গ্রেড পদের চাকরির নিয়োগে অপেক্ষমান তালিকা সংগ্রহ করে প্যানেল নিয়োগ করা হবে।

প্যানেল নিয়োগ কি?

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি অপেক্ষমান থেকে প্যানেল নিয়োগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে অপেক্ষমান তালিকা সংরক্ষণ করে অর্থাৎ প্যানেল থেকে প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে। 

যেভাবে অপেক্ষমান তালিকা বা প্যানেল সংরক্ষণ করা হয়:

নিয়োগ কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা ও বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে অপেক্ষমান থেকে প্যানেল নিয়োগ করবে

শূণ্য পদে প্রার্থী সুপারিশের পাশাপাশি সুপারিশকৃত প্রতিটি পদের বিপরীতে 

অপেক্ষমান থেকে প্যানেল নিয়োগ অনুপাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমান তালিকা হতে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরে সিলগালা করা খামে গোপনীয়তা সংরক্ষণ করবে। 

অপেক্ষমান তালিকা তৈরির সময় বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি শূণ্য পদে নিয়োগে যে জেলার জন্য প্রার্থী সুপারিশ করবে সে জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিটি সুপারিশকৃত প্রার্থীর বিপরীতে দুই ভাগের এক ভাগ অনুপাতে অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করবে। তবে অপেক্ষমান তালিকা তৈরির সময়ে কোন কোঠার অধীনে, কোন জেলার যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট সাবেক জেলার অন্তর্ভূক্ত জেলার যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম সে জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সাবেক বৃহত্তর জেলার অন্তর্ভূক্ত কোন জেলা থেকে উপরোক্তভাবে কোটার শূণ্য পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলাগুলোর যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম সে জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করতে হবে।

অপেক্ষমান তালিকা সংরক্ষণের মেয়াদ কতদিন?

অপেক্ষমান তালিকা সংরক্ষণের মেয়াদ হবে বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ১ম নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের তারিখ থেকে এক বছর বা শূণ্য পদ পূরণের জন্য পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত। নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্য কেউ চাকরিতে যোগদান না করলে শূণ্য পদ পূরণের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ডিপিসির সভায় অপেক্ষমান তালিকা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রেজাল্ট সীট উপস্থাপন করে শূণ্য পদে প্যানেলে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে হবে। পাশাপাশি কমিটির উপস্থিতিতে প্যানেলে (অপেক্ষমান তালিকা থেকে) সুপারিশকৃত প্রার্থীদেরকে তার নিয়োগের বিষয়টি তাৎক্ষণিক অবগত করতে হবে।

প্যানেল অর্থ কি:= অপেক্ষমান তালিকা

অপেক্ষমান/ প্যানেল নিয়োগ কেন?

অপেক্ষমান প্যানেল নিয়োগ কেন প্রায় দেখা যায় অনেকেই চাকরি ছেড়ে চলে যান ফলে সেই পদটি পরবর্তী নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত দীর্ঘদিন শূণ্য থাকে যার ফলে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মীর সংকটে কাজের চাপ বেড়ে যায়। এজন্য প্যানেল বা অপেক্ষমান তালিকা করা হয়েছে। গত ১৭ই এপ্রিল ২০২৩ তারিখে প্যানেল নিয়োগের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর প্রজ্ঞাপন



Previous Post
Next Post
Related Posts