নতুন চাকরিজীবীগণ সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় । নতুন চাকরিজীবীগণ চাকরিতে যোগদান করেও পেনশন পাবেন না।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও স্বায়িত্ত্বশাসিত সংস্থায় চাকরিতে যোগদান করেও পেনশন পাবেন না।
তারা সর্বজনীন পেনশন পাবেন।
নতুন চাকরিজীবীগণ সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় !!! রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও স্বায়িত্ত্বশাসিত সংস্থায় চাকরিতে যোগদান করেও পেনশন পাবেন না, তারা সর্বজনীন পেনশন পাবেন। চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, স্বায়িত্ত্বশাসিত এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যারা নতুন যোগ দিবেন তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো অবসরত্তোর পেনশনের সুবিধা পাবে না।
নতুনদের জন্য বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দেশের স্বশাসিত রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ব বা সমজাতিয় সংস্থা তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকুরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের জুলাইয়ের পর যোগদান দিবেন সরকার তাদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করবে।
জিপিএফ, সিপিএফ কি রাখেন?
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) এবং স্বায়িত্ত্বশাসিত সংস্থাগুলো ভবিষ্যৎ তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখেন। তার মানে যে সব সরকারি কর্মচারী রাজস্বখাত হতে বেতন পান তাদের টাকা রাখেন জিপিএফ এ আর যারা রাজস্বখাতের বাইরে থেকে বেতন পান তাদের টাকা রাখেন সিপিএফ এ।
জিপিএফ, সিপিএফ এর সুদ কত শতাংশ হারে
যার বিনিময়ে সরকার সুদ দেন ১১ থেকে ১৩ শতাংশ হারে। এ টাকা পেনশনে যাওয়ার পর অবসরভোগীরা পেয়ে থাকেন। এই জিপিএফ টাকা এবং সিপিএফ টাকা থেকেও আবার প্রয়োজনে একাধিকবার লোন নেওয়া যায়।
স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত শাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংবিধিবদ্ব সমজাতিয় সংস্থা প্রতিষঠান কত?স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত শাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংবিধিবদ্ব সমজাতিয় সংস্থা এবং তাদের অধীন প্রতিষঠানগুলো মিলে সংস্থা রয়েছে প্রায় চারশো। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা -কর্মচারি রয়েছে প্রায় চার লাখেরও বেশি।
স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত শাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংবিধিবদ্ব সমজাতিয় সংস্থা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, পেট্রো বাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিএসটিআই, বেনাপোল কাস্টমস ইত্যাদি।
সর্বজনীন পেনশনে আঠারো থেকে (পঞ্চাশ) ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ (ষাট) বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ (পঞ্চাশ) বছরের বেশি বয়সের সুবিধাভোগী নূন্যতম ১০ (দশ) বছর চাঁদা দেয়ার সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।