ভয়েস ক্লোনিং বুঝবেন যেভাবে

 


ভয়েস ক্লোনিং বুঝবেন যেভাবে

ভয়েস ক্লোনিং বুঝবেন যেভাবে অনলাইনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। হুবুহু যে কারো গলা নকল করে আপনার সাথে কথা বলতে পারে এআই। প্রতারকরা আপনার পরিচিত কারো গলা নকল করে আপনার কাছে টাকা বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। একটু সতর্ক থাকলে ভয়েস ক্লোনিং কি না তা বুঝতে পারেন।

হুবুহু গলা নকল করেএআই

অপ্রত্যাশিত কল: পরিচিত কারো গলা নকল করলেও সাধারণত ঠিক কখন প্রিয়জন বা আপনজনেরা ফোন কল করে তা জানতে পারে না প্রতারকেরা। তাই আপনি যদি আত্নীয় বা কোন পরিচিতজন থেকে অথবা কোনো বন্ধু থেকে অপ্রত্যাশিত কল পান তাহলে সাবধান থাকতে হবে। ভুল সময়ে বার বার ফোন এলেই সতর্ক হোন। দয়া করে টাকা পাঠাবেন, খুব ইমার্জেন্সি, খুব দরকার এ ধরণের শব্দ পেলে খুব সাবধান।

ইমার্জেন্সির চাপ দিয়ে আপনার উপর চাপ দিতে পারে জালিয়াতরা। দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য বলতে পারে। এমন পরিস্থিতে তার পরিচয় অন্য কোনো মাধ্যম দ্বারা যাচাই বাছাই না করা পর্যন্ত টাকা লেনদেন করা উচিত নয়।

গলার ধরণ হুবুহু এক হলেও বলার ধরণ এক হবে না। হ্যাকিং এর মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তির গলার আওয়াজ চুরি করে ভয়েস ক্লোনিংয়ের জন্য ব্যবহার করে। কিন্তু তার কথা বলার ধরণ সর্বদা কেমন হয়ে থাকে তা জানতে পারে না। তাই সেক্ষেত্রে তারতম্য হয়ে থাকবে।

ব্যক্তির গলার আওয়াজ চুরি - ভয়েস ক্লোনিংয়ের

এমনকি আওয়াজে রোবোটিক সাউন্ড থাকতে পারে, ভুল উচ্চারণ, কথা বলার ধাচ আলাদা লাগতে পারে। এমন কিছু হলেই বুঝতে পারবেন আপনি বাস্তবে কারো সাথেই কথা বলছেন না। প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই ভয়েস ক্লোনিং করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও দ্রুত সতর্ক হতে হবে। টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে।অধিকাংশ ক্ষেত্রে এআই ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় বা ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করে থাকে জালিয়াতরা। 

এ পরিস্থিতে কখনোই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, পিন নম্বর, এটিএম কার্ড নম্বর, পাসওয়ার্ড বা ইউপিআই পিন ইত্যাদি শেয়ার করবেন না। বৈধ সংস্থা বা প্রতিনিধি অথবা আপনার নিকট আত্নীয় কখনোই এসব তথ্য দ্রুততার সাথে বা হঠাৎ জানতে চাইবে না।

অপ্রত্যাশিত কল বা অযথোচিত কথাবার্তা টের পেলেই সতর্ক হোন। ভয়েস ক্লোনিং টের পেলেই নম্বর ব্লক করে দিন। 




Previous Post
Next Post
Related Posts