স্মার্ট পুলিশিং টঙ্গী পূর্ব থানায়
স্মার্ট পুলিশিং, স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ- এ স্লোগান সামনে রেখে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশেরর উদ্যোগে টঙ্গী পূর্ব থানার কার্যালয়ে চালু হয়েছে স্মার্ট পুলিশিং সার্ভিস।
স্মার্ট পুলিশিং, স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ তৈরি করবে বাংলাদেশ পুলিশ ১৩ এপ্রিল ২০২৩ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছিলেন ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ এবং সেটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ ।স্মার্ট পুলিশের কাজ হবে মানুষের ধারনা পাল্টে দেওয়া।
উৎসবমুখর পরিবেশে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্মার্ট পুলিশিং, স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ, এই সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই সেবা সঠিকভাবে কার্যকর করা গেলে জনভোগান্তি কমবে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আটটি থানা নিয়ে গঠিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম চালু হওয়ার পর পর্যাপ্ত জনবলের অভাব, গাড়ি সংকট ও কতিপয় অসাধু পুলিশের কর্মকান্ডে সেবা বঞ্চিত নগরবাসী। সেবা গ্রহীতারা থানায় এসে হয়রানির শিকার হন। এসব কারণে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পুলিশিং সেবা পৌঁছে দিতে গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যোগ নিয়েছেন।
সেবা গ্রহীতার প্রথমে থানায় এসে টোকেন গ্রহণ করবেন। যে কোন নাগরিক থানায় এসে টোকেন নেওয়ার পর অতি সহজে আইনি সহযোগিতা পাবেন। সেবা পাচ্ছেন কিনা স্মার্ট পুলিশিং, স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ এ নিয়ে যাবতীয় প্রক্রিয়া এ্যাপসের মাধ্যমে মনিটরিং করবেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ফলে সেবা গ্রহিতারা থানায় এসে শতভাগ নিশ্চিত সেবা পেয়ে ফিরবেন। এ প্রক্রিয়ার নাগরিকরা হয়রানি কিংবা দালালের হপ্পর থেকেও রেহাই পাবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে নগরের প্রতিটি থানায় এ প্রক্রিয়া চালু হবে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কমিশনার স্যারের নির্দেশে চালু হওয়া স্মার্ট পুলিশিং সার্ভিসিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেবা গ্রহিতারা থানায় এসে সেবা পাচ্ছেন নিয়মিত। কোনো পুলিশ সদস্য সদস্য কিংবা কর্মকর্তা গ্রাহকসেবা প্রদানে অবহেলা করলে রয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা। গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, এখন থেকে সেবাগ্রহীতারা থানায় এসে আর হয়রানি হবেন না। থানায় এসে টোকেন সংগ্রহ করবেন এরপর সেবাপ্রার্থীরা মুখে বলবেন আর পুলিশ লিখবে এটাই হবে আধনিক আদর্শ মডেল । টোকেন নেওয়ার পর যাবতীয় প্রক্রিয়া অ্যাপসের মাধ্যমে মনিটরিং করবেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ফলে যে কোন নাগরিক থানায় এসে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই আইনি সুবিধা পাবেন।