প্রযুক্তির বিস্ময় The Wonder of technology
প্রযুক্তির বিস্ময় The Wonder of technology গত এক দশকেরও বেশি সময় মানুষ মঙ্গল গ্রহ এবং চাঁদে অভিযান পরিচালনা করছে। বিশ্ববাশী দেখেছে স্বচালিত গাড়ি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।যুগান্তকারী উদ্ভাবন থেকে অপ্রত্যাশিত অ্যাপ্লিকেশন; প্রযুক্তির উৎকর্ষে মানুষের জীবন সহজ হয়েছে। আজ এমন কয়েকটি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানব - যা আমাদের অবাক করবে না, আমাদের ভব্যিষৎকে ও অনেকটা উন্নত করবে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার: আমরা যে ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করি তার ভবিষ্যৎ বা নেক্সট বিগ থিং হতে যাচ্ছে এ কম্পিউটার। বিজ্ঞানীদের মতে এখনো তার শৈশবকাল। পরিপক্কতা পেতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এখনকার সাধারণ একটি কম্পিউটারকে যদি গরুর গাড়ির সাথে তুলনা করা হয় তাহলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে তুলনা করা যাবে দ্রুত গতির বুলেট ট্রেন কিংবা রকেটের সাথে। এ দুটো কম্পিউটার হয়তো একই কাজ করে তবে আসল কথা হচ্ছে তারা একেবারেই আলাদা।
নিউরোমর্ফিক কম্পিউটিং: মানব মস্তিষ্ক দ্বারা অনুপ্রাণিত, এ কম্পিউটিং আরো দক্ষ ও অভিযোজিত কম্পিউটিং সিস্টেম, যা মানব মস্তিকের গঠন এবং গঠন এবং কার্যকারিতা দ্বারা অনুপ্রাণিত। নিউরোফার্মিক কম্পিউটার/চিফ হলো -যে কোন যন্ত্র বা গণনা করার জন্য শারীরিক কৃত্রিম নিউরণ ব্যবহার করে।এ সিস্টেমের মূল দিক হলো -কিভাবে পৃথক নিউরন, সার্কিট অ্যাপ্লিকেশন এবং সামগ্রিক আর্কিটেকচারের রূপবিদ্যা কাঙ্খিত গণনা তৈরি করে, কীভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়, ক্ষতির দৃঢ়তাকে প্রভাবিত করে, শেখার এবং বিকাশকে অন্তর্ভুক্ত করে, স্থানীয় পরিবর্তনে (প্লাস্টিকের) সঙ্গে খাপ খায় এবং বিবর্তনীয় পরিবর্তনের সুবিধা দেয়। এ প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে, আমরা ভবিষ্যতে এমন কম্পিউটারও দেখতে পারি যেগুলো শিখতে, মানিয়ে নিতে এবং যুক্তি দিতে পারে যা আমাদের কল্পনারও বাইরে।
বায়োডিগ্রেডেবল ইলেকট্রনিক্স: আজকের দিনের ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো অনেকাংশে পরিবেশ দূষণ করে। এর একটাই কারণ এগুলোর সবই অ বায়োডিগ্রেডেবল প্রকৃতির। যাই হোক, গবেষকরা বায়োডিগ্রেডেবল ইলেকট্রনিক্স বিকাশে অগ্রগতি করছেন যা ব্যবহারের পর পঁচে যেতে পারে, প্রযুক্তির পরিবেশগত পদচিহ্ন হ্রাস করে। অর্থাৎ, এ ইলেকট্রনিক সার্কিট বা ডিভাইস, যা তাদের বায়োডিগ্রেড হওয়ার কারণে এর জীবনকাল সীমিত। এ ডিভাইসগুলো মেডিকেল ইমপ্লান্ট এর অন্তর্ভুক্ত বা অস্থায়ী।
স্পেস ট্যুরিজম: স্পেস এক্স এবং ব্লু অরিজিনের মতো কোম্পানির নেতৃত্বে, স্পেস ট্যুরিজম (মহাকাশ পর্যটন) এখন আর দূরের স্বপ্ন নয় বরং একটি বাস্তব সম্ভাবনা। এর মূল কাজ হলো- বিনোদনের উদ্দেশ্যে মানুষের মহাকাশ ভ্রমণ। আজকের বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের স্পেস ট্যুরিজম রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে অরবিটাল, সাবঅরবিটাল এবং চন্দ্র মহাকাশ পর্যটন। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তিটি আরও গ্রহণযোগ্য এবং সাশ্রয়ী হওয়ার সঙে সঙ্গে বেসমারিক মানুষের স্পেসে চলার পথ মসৃণ করে দিয়েছে।