কৃত্রিম বৃষ্টি সৃষ্টিতে কোনটি ব্যবহৃত হয়, যেভাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়, মেঘ ও বৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য, মেঘ ও কুয়াশার মধ্যে পার্থক্য, বৃষ্টি কাকে বলে, বৃষ্টি কেন হয়, বৃষ্টি কীভাবে সৃষ্টি হয়, বৃষ্টি না হওয়ার কারণ, মেঘ থেকে কীভাবে বৃষ্টি হয়, মেঘ কত ধরণের।
কৃত্রিম বৃষ্টি সৃষ্টিতে কোনটি ব্যবহৃত হয়
কৃত্রিম বৃষ্টিপাত হলো প্রকৃতির উপর বৈজ্ঞানিক প্রভাব খাটিয়ে সংঘটিত জোর করে বৃষ্টিপাত। এ জন্য প্রথমত মেঘ সৃষ্টি করতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই মেঘকে বৃষ্টিপাতের উপযোগী অবস্থায় নিয়ে আসতে হয় এবং শেষতঃ মেঘ গলিয়ে বৃষ্টি ঝরানো হয়। এই মেঘকে সিলভার আয়োডাইন একটি অজৈব যোগ যা কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের জন্য ব্যবহৃত হয়।কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের জন্য মেঘ বপনের প্রক্রিয়াকে সিলভার আয়োডাইন মেঘে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এটি একটি উচ্চ আলোক সংবেদনশীল যৌগ। তবে, সচরাচর আকাশে ভাসমান মেঘকে জলের ফোটায় পরিণত করে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়। এবার কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের জন্য দুবাইতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
মেঘ ও বৃষ্টির মধ্যে পার্থক্যঃ বৃষ্টিপাতের জন্য প্রথমে দরকার পড়ে জলীয় বাষ্প। সেই জলীয় বাষ্প প্রথমে হালকা হওয়ার কারণে উপরে উঠে গিয়ে বাতাসের ধূলিকণা ইত্যাদির সহায়তায় জমাটবদ্ধ করে মেঘ। এভাবে মেঘের আকৃতি বড় হতে হতে যখন ভারী হয়ে যায় তখন হয় বৃষ্টি।
মেঘ ও কুয়াশার মধ্যে পার্থক্যঃ মেঘ হল বায়ুমন্ডলে ভাসমান জলকনা ও তুষারকণার সমষ্টি। অন্যদিকে কুয়াশা হল ভূ পৃষ্ঠ সংলগ্ন অংশে ঘনীভূত জলকনা । তাপ বিকরন করে শীতল হয়ে কুয়াশা সৃষ্টি করে।
বৃষ্টি কাকে বলেঃ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে।এই ফোটা গুলি যথেষ্ট পরিমানে ভারি হলে বৃষ্টিতে পরিণত হয়।একেই বৃষ্টি বলে।
বৃষ্টি কেন হয়ঃ বিচিত্র জৈবব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি সচল রাখতে বৃষ্টি প্রয়োজন হয়।
বৃষ্টি কীভাবে সৃষ্টি হয়ঃ বৃষ্টি এক ধরনের তরল, যা আকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠের পড়ে।
বৃষ্টি না হওয়ার কারণঃ দূষণের ফলে বৃষ্টির পরিমান কমে যাচ্ছে।বিশেষ করে গ্রীণহাউস গ্রাসের পরিমান বৃদ্ধি বর্তমানে গাছের পরিমান কমে যাওয়ার ফলে বৃষ্টি পাতের পরিমান কমে যাচ্ছে।
মেঘ থেকে কীভাবে বৃষ্টি হয়ঃ সূর্যতাপের ফলে পুকুর, খাল-বিল, নদী ও সমুদ্রের পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়।জলীয় বাষ্পে ক্ষুদ্র পানিকণা ঠান্ডায় ঘনীভূত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে।মেঘের বালিকণাগুলো একত্র হয়ে আবারও বড় বিন্দু আকারে ভূপৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে বৃষ্টি বলে।
মেঘ কত ধরণের ঃ আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সমিতি ১৮৯৪ সালে আকার ও উচ্চতা অনুসারে মেঘকে ১০ ভাগে ভাগ করেন। পরবর্তী সময়ে ২৮ রকমের মেঘের কথা বলা হয়েছে। মেঘগুলোর নামঃ স্ট্রাটিফর্ম, কিউমুলিফর্ম, স্ট্রাটোকিউমিলিফর্ম, কিউমুলোনিম্বিফর্ম, সিরিফর্ম, অলক মেঘ, আনুভূমিক মেঘ, পুঞ্জ মেঘ, জলধ মেঘ, উচ্চ পুঞ্জ মেঘ, উচ্চ আনুভূমিক মেঘ, আলকা পুঞ্জ মেঘ, পুঞ্জ বর্ষন মেঘ, আনুভূমিক পুঞ্জ মেঘ।