শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত যে নীতিমালা প্রকাশ করেছে তা এক নজরে দেখে নিন। See Ministry of Education's Rules
Ministry of Education's Policy of Transfer of Government Secondary School Teachers:
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালা না থাকায় এবং বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রেও বিদ্যমান পরিপত্র ও অফিস আদেশ যুগোপযোগী করার উদ্দেশে এ সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।
নীতিমালার আওতা বিষয়ে বলা হয়েছে,
* শিক্ষার মাধ্যমিক স্তরের সরকারি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
* সরকার জনস্বার্থে যে কোন সময় যেকোন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করতে পারবে।
বদলির সময়:
** প্রতি শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে আগ্রহী শিক্ষকদের বদলির আবেদন করতে পারবেন।
এ সময়সীমা ছাড়া অন্য কোনো সময়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না।
** তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে শুধু সিনিয়র সচিব বা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বরাবর আবেদন করা যাবে।
আবেদন করার কিছু শর্ত:
* বর্তমান কর্মস্থলে চাকুরির সময়সীমা তিনবছর পূর্ণ হতে হবে এবং বদলির উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে।
* শিক্ষকদের বদলি শুধুমাত্র অনলাইনে।
* শিক্ষাবর্ষের অক্টোবর মাসে এ আবেদন কার্যক্রম চলবে।
অন্যান্য শর্তাবলী:
* সমতলের কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে পার্বত্য অঞ্চল (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) এবং দূর্গম, চর ও হাওড় অঞ্চলে বদলি করা হলে বদলিকৃত কর্মস্থলে এক বছর চাকুরির পর তিনি পুনরায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তার আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন কর্তৃপক্ষ।
আরো বলা হয়,
* মহানগরী ও জেলা সদরে কর্মরত কোন শিক্ষকের কর্মকাল একই প্রতিষ্ঠানে একাধারে ছয় বছরের বেশি হলে তাকে নিজ জেলায় বা পাশের জেলায় বদলি করা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি বা অন্যকোন অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাকে বদলি করতে পারবে।
* বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নে গুরুত্ব দেয়, সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ে শিক্ষক বদলি বা সহ পদায়ন করা হবে না।
এতে আরো বলা হযেছে যে,
অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন করা যাবে না।
অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার একবছর আগে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী অবসরভাতা গ্রহণের সুবিধার্থে কোন সুবিধাজনক কর্মস্থলে বদলির আবেদন করলে তার আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্র জানায়, দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬২৭ টি এবং স্কুল এ্যান্ড কলেজ রয়েছে ৬৪ টি। এগুলোতে শিক্ষক রয়েছেন ১৭ হাজারের ও বেশি। এ যাবৎকাল ২০০৫ সালের একটি অফিস আদেশ অনুযায়ী এ বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকগণের বদলি ও পদায়ন করা হতো। বর্তমানে ২০২৪ সালে বদলির জন্য খসড়া নীতিমালা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।